আলেক্জাণ্ডার কুপ্রিন

রচিত দি রিভার অফ লাইফ এগ আদার ট্লোরিজ

সপ

অনুবাদক £ পতিতপাবন বন্দ্যোপাধ্যায়

হিনৃস্থান বুক ডিপো৷ ১২ বন্ধিম চ্যাটার্জি ্রীট কলিকাত।।

প্রচ্ছদ শিল্পী £ শ্রীকমলাকান্ত চট্টোপাধ্যায়

তারাপদ গঙ্গোপাধ্যায় হিলুস্থান বুক ছিপো

১২, বন্ধিম চ্যাটার্জি রী, কলিকাতা।

মুদ্রাকর £

জ্রীরামগোগাল বল্যোপাধ্যায সার্ভিস প্রিন্টার্স

৪১, বৃন্দাবন বাক স্ীট, কলিকাতা

সুল্য ৩.

আলেকজাগার কুপ্রিন

আলেকজাপ্ডার কুপ্রিন ১৮৭০ খুষ্টাব্বে জন্মগ্রহণ করেন। সামরিক শিক্ষা সমাপ্ত ক'রে কিছুদিন রুশ বাহিনীতে লেফ টুগ্ান্ট পদে নিযুক্ত ছিলেন।- ১৮৯৭ খুষ্টাবে সামরিক বৃত্তি ত্যাগ ক'রে তিনি সাহিত্য সাধনায় ব্রতী হন। সেনানায়ক থেকে শিল্পী হলেন কুপ্রিন। “দি ডুয়েল? উপগ্ভাসখানি রচনা ক'রে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন) তারপর "ইয়ামা” গ্যামৃত্রিনাস্» প্রভৃতি উপগ্ভাস অন্াস্ঠ গল্প গ্রন্থে তার অদ্থিতীয় প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন সাহিত্য জগতে

কুপ্রিনের প্রতিভ! বিষয় বন্তর অপেক্ষা রাখে না; তিনি প্রাণ ধর্মের প্রেমিক চরিত্র চিত্রাঙ্কণে তাঁর হৃদয়াবেগের পর্যাপ্ত প্রক্ষেপ থাকলেও সেগুলি বাস্তব পটভূমিকাকে ছাপিয়ে কৃত্রিম, দৃষ্ট-কঠোর হয়ে ওঠেনি) সে বিষয়ে তার দৃষ্টি যেমন সত্যমুখী তীক্ষ, লেখনী তেমনি দু সঙ্কোচমুক্ত তীর শিল্প-দষ্টিতে বিশাল জগৎ প্রাণের রশ্বর্যে অক্ষয় এবং প্রকৃত বাস্তব বিচিত্র রহন্তে বিশ্বয়কর হ'য়ে ফুটে উঠেছে; তিনি ঝাঁপ দিয়েছেন প্রাণ-প্রবাহিণীর বিপুল তরঙ্কে। কথাচিত্রকর হ'লেও কুপ্রিনকে বলা হয় প্রাণের কবি। তার কাহিনী- গুলি প্রাণের বিচিত্র লীলায় ছন্দিত এবং অপূর্ব বিগ্যাশ ভঙ্গীতে অপরূপ অনিন্দনীয়। এই অনুবাদ খণ্ডে তাঁর যে তিনটি গল্প [রিবেশিত হয়েছে সেগুলির প্রত্যেকটির বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ পৃথক দিরিভার অফ. লাইফ'-এর (প্রাণ-প্রবাহিণী) বোহিমীয় জীবনের টৎকট উদাসীন বীভৎসতা ) “দি আউটরেজ'-এর (বিপর্যয়) সমাজে মপাঙ্ক্রেয়দের ছুঃসাহদিক অভিযান) এবং “দি উইচ. বা অলিয়ে- গয়া'তে (কুহুকী) রহন্তময় কুহক-রাজ্যের অপাঁধিৰ সৌনার্ঘ-_এই সব [নোহর সজীব চিত্র কুপ্রিনের তুলিতেই সম্ভব হয়েছে।

্চ্ছ প্রাঞ্জল অথচ অবিকৃত যথাযথ অন্বাদই হ'লো অন্নবাদ হিত্যের সার্থকতা; তার ব্যতিক্রমে গ্রন্থকারের প্রতি অবিচার র| হয়; সে বিষয়ে যদি কৃতকার্য হয়ে থাকি তাহ'লে আমার [ধী সাহিত্যরসিক সুহৃদ শ্রীবুক্ত হৃধীকেশ চৌধুরী মহাশয়ের আন্তরিক হায্যেই সাফল্য সম্পূর্ণ হ'য়েছে। পবা

যার টংগাহ মহযোণিতায় কৃপ্রিনের গজ অনুবাদের নাত রানি দেই মিবাকেই নদ

গ্রাণ-গ্রবাহিণী বিপর্যয়

্া"্বাহিণী

্রাগপ্রধাহিী

যখন বাইরে যায় তখন ভাঁর ঘর খুলে তাঁর লব জ্রিনিংপত্র বাঁভীয়াতের পথে অথবা সিঁড়িতে রাখে; মাঝে যাঝে নিজের কাদরাতেও জড়ো করে| পুলিণ তার উপর খুবই সদয়, তাঁর আতিথেয়তা আর খুমীনতরা স্বভাবের জন্য এবং বিশেষ করে তার হাসিমাথা সহজ অনাড়ধর নিঙ্িধধ শিষ্টাচারের জন্ঘ, য! দিয়ে সে প্রত্যেক লোকের সাময়িক হদয়াবেগে সাড়া দিত

ছেলে মেয়ে তার চাঁরটি। বাড়ো ছুটি, রোমৃকা' আর অদদিচকা, এখনো ইস্কুল থেকে ফেরেনি এবং ছোটো। ছুটে, ফ্যাভ্‌কা সাত বছরের আর এডকা পাঁচ বছরের, গেঁটরাগট্া ছেলে-_গ্রথম বসন্তের রোদে-পৌঁড়া মুখে ব্রণ তরা--গালে কাদা মাটি মাথাতার উপর চোখের জল গড়িয়ে গড়ার দাগ. ভার| সব দময়েই মার কাছে ঘুর-ঘুর করছে--ছুজনে টেবি- লের পায়! ধরে খাবার চাইছে। সব স্ময়েই তাদের ক্ষিদে কারণ মা তাদের খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখেনা কোনো রকমে তারা খেয়ে যায় টঝে মাঝে যা হোক কিছু চাইলেই একটা সাধারণ ছোট্র দোকানে তাদের ঠিযেদেঘ। ঠোট দুটো ছুঁচোলো ক'রে ভুরু কুচকে চৌথ কালে তুলে কা চীংকার করে বললে, “তোকে দেখতে ঠিক এই রকম। তুই ঠাক ভ্যাঙচাতে পারবিনা।* এড্কা খানি গা দিযে অপর পাযের গুলি টাতে চুলকাতে নাকি সরে বল্লে, দেখ, পারি কিনা? [জানালার ধারে টেবিলের কাছে বসে রিজার্ড সেনাদলের সেফ রয়াণ আইহেনোভিচ, চিবেভিচ--তার সামনে একটা রেজিটার, দে ভাড়াটেদের ছাড় পত্রের বিবরণ লেখে। ধিন্ত গত কালের টু গর থেকে কাজ তালা চলছে না-চিঠিপবগুলো এলোমেলো না গেছেলতার কীগা আঙ্গলেডে কদম বাগে আমুছে না-শরৎ

চলা গায় টেলিগ্রাফ পো্টে কান পালে যেমন শষ শোনা যার

রি প্রাণ-প্রবাহিণী

তেমনি তে! তে! করছে তার কান। মাঝে মাঝে তার মনে:হচ্ছে মাঁথাটা যেন ফুলতে স্থুর হচ্ছে-_ফুলেই চলেছে-_সেই সঙ্গে টেবিলের খাতা খানা, দোয়াতদানি আর লেফটন্তাণ্টের হাত ঘেন অনেক দূরে সরে চলেছে এবং খুব ছোট্র হয়ে যাচ্ছে। তারপর আবার খাতাখানা তার চোখের কাছে চলে আসছে--দৌয়াতদানি বড়ে! হ'তে হ'তে সংখ্যায় বাড়তে থাকে আর তাঁর মাথাটা ছোটো হ'তে হ'তে এক অদ্ভুত আকারে পরিণত হয়। লেফটস্তান্ট ঠিঝেতিচের চেহারাতে প্রকাশ পাচ্ছে আগেকার সৌন্দর্য আর হারানো পদনমর্ধাদা। কালো কালো চুলগুলো খোচা খোচা, স্গরদানের খানিকটায় লোম-ওঠা দাগ। দীড়ি বেশ সৌখীন ভাবে ছাটা ছুচোলে| ধ'রে-মুখখানা রুগ্ন মলিন, বিবর্ণ__লাম্পটা মাখা ) . 'সরবিঘা'তে তার অবস্থাটা গোলমেলে রকমের। য্যানা ফেভুফি কোভ নার হয়ে সে ম্যাজিষ্েটের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করে__-ছেলে মেয়েদের পড়া নেয়, শিষ্টচ্চাঁর শেখায়_-বাড়ীর হাজিরা খাতা লেখে, বাসাড়েদে” রি হিসাব রাখে টেচিয়ে চেঁচিয়ে খবরের কাগজ পড়ে, রাজনীতির কথা কর কচি » সীধারণতঃ খাঁলি কামরার একটাতে সে ঘুমায-_আর অতিথিদের সং টা বেশী হ'লে চলাচলের পথে শ্পরিংগন্দি বেরিয়ে আসা পুরানো একটা লা নু শোয়। যখন এতে শুতে হয়, লেফটক্তা্ট তার য! কিছু স্থল সন্ত: টাঙ্গিয়ে রাখে সোফার গায়ে পেরেকে--তার ওভারি কোট-টুি সকারকার কোট, পুরানো হয়ে এসো উঠছে, সেলাইয়ের জায়গাগুলো? 1 লেগেই ভা হস্পেও কেশ পরিফার। একটা মোনোপোল কাগজের কলার, দে মার অফিসারের টুরপি-নীল বাগ দেওয়া; কিনব তার নোট বই টা দিকে একজনের নামের প্রথম অক্ষর লেখা রুমালটা রাখে বালিসের নীর্সের মুতে বিধবা জেফ টক্কাটকে রেখেছে তার হাতের মুঠোয়। সে' রঃ শা

আমায় বিয়ে করো তা হলে তোমার যাঁকিছু ক'রে দেব! সম: নিজের “নে লোক

প্রাণপ্রধাহিণী

পোষাক পরিচ্ছদ তোমার যা দরকার ) চমৎকার এক গ্রোড়া বৃট। মায় তার গলস্‌ (জুডার উপর পরবার রবারের ভুত!)। তুমি সব পাবে, এমন কি টির দিনে আমীর স্বামীর ঘড়ি আর চেন৪ তোমায় পরতে দেব। কিন্ত লেকট্ত্ান্ট এখনও ভাবছে সে বিষয়ে। তাঁর কাছে ভার স্বাধীনতার দাম ঢের বেশী এবং আগেকার সেই অফিসারের পদমর্যাদাকে এখনও সে ৃল্যবান মনে করে। যাই হোক, সে সেই মৃত বির পরিচ্ছদেরই কিছু কিছু ব্যবহার করছে!

(২)

কথনো কথনে। ঝড় উঠতে বাড়ীওয়ালীর কামরায়! ব্যাপার হতে! লট তার ছান্ত রোমৃকার সহায়তায় অপর কোনো লোকের ্ু গাদ। বই হয়তো বেচে দিলে পুরানো বইয়ের দৌকানে। বাড়ীওয়ানীর কু্স্থিতির সুযোগে কনো বা দিনের বেলা কোনো কামরার ভাড়াটা টু দিলে, অথবা সে গোপনে গোপনে পরিচারিকার সঙ্গে একটু সরম পাতাতে শুরু কবজো। এই সেদিন কেকট্গা্ট বাস্তার ওপারে দের দোকানে যান! ফিডরিকোতনীর ওঠা ব্যবস্থার অপব্যব- উরে এসেছে এই কথা বেরিয়ে পড়তেই ঝগড়া হলো শুরু, গালা

রং সকলে উৎস্থক হয়ে মাথা বার করে দেখতে লাগল। মানা ্চাভনা এত রে চীৎকার করছিল যে তার গা রাস্তা থেকে

কালোক্ট্র্তজ-করে রোক্লকারের টাকার গ্রতিটা পমসা! তোর পিছনে

প্রাণ-প্রবাহিণী

খরচ করেছি। আমার ছেলে মেয়েদের জন্তে পরিশ্রম করে আমি রোজ. কার করছি আর তুই সেই পয়সায় তোর পেট ভরাচ্ছিস্‌।”

থলের পৌঁড়ে| রোম্কাও তার মায়ের স্কার্টের পিছন থেকে মুখ ভেংচে চেঁচিয়ে উঠলো--“তুই আমাদের পয়সায় পেট তরাছ্ছিদ্‌ 1”

য্যাডকা আর এডকাঁও তাতে যোগ দিল--'তুই পেট ভরাচ্ছিম।”

হোটেলের চাকর আরসেনী চুপচাপ এসে বুকে করে চেপে ধরলো লেফ- টন্তান্টকে। ন" নগর কামরা থেকে সৌখীন করে ছু তাগে স্বাচড়ানে! কালো দাড়িওয়াল! হোঁৎকা লোকটা অস্তব্ণস পরা অবস্থাতে কোমর পর্যন্ত ঝুঁকে_-মাথায় আবার কি কারণে গোল টুপি চাপানো ছিল তার-_-জোর গলায় উপদেশ দিল্_-“আরসেনী, ওর চোখ ছুটোর মাঁঝ বরাবর এক ঘা কষেয়ে দাও ।?

এই ভাবে লেফটন্কাণ্টকে ভাড়িয়ে সিঁড়িতে আনা হলো। বাঁরা- ন্টার দিকে সিঁড়ির উপর একট! খোলা জানালা ছিল গ্ঠানা তার ভেতর দিয়ে ঝুঁকে লেফটন্কাণ্টকে তখনও গাল পাঁঢ়ছিল”" জানোয়ার কোথাকার খুনে শ্জষ্পট.. নদিমার অল 1” _ বারান্দা থেকে ছেলেগুলো টেচিয়ে তাদের গলা! ধরিয়ে ফেললে পন মীর ময়লা কোথাকার, নর্দিমার ময়লা 1”

“এথানে আর পাত পাড়তে আসিস্‌ নি; লিয়ে ভোর যত সব নোংরা জিনিষপত্র-_নিয়ে যা-নিরে যা)”

তাড়াতাঁড়িতে ল্লেকট্ন্যান্ট তার যে-দব জিনিষপত্র উপর তলায় ফেলে এসেছিল, সেগুলো তার উপর এসে পড়তে লাগলে'-ছড়ি-- কাগজের কলার--নোট বই। লেফটন্যান্ট তলার সি'ড়িতে এসে দঁড়িয় উপরের দিকে চেয়ে ঘুষধিটুটুড়লো'। মুখটা বিবর্ণ হয়ে গেছে। বাঁ চোখের ভল্গায় চোট লাগা জায়গাটা লাল হয়ে উঠেছে__বল্রে

প্রীণ-প্রবাহিণী

“তুই হ্াড়া ইতর কোথাকার, সব কথা বলে দিচ্ছি গিয়ে আসর জাগায় যে, কতকগুলো কোট্না মিলে সব বাসাড়েদের লুঠ করছে।”

“যা যা, গায়ের চামড়া থাকতে থাকতে সরে পড়,” চড়া গলায় বললে আরেনী, লেফটন্তান্টকে তার পিছন থেকে কীধে করে ধাকা দিতে দিতে

“দূর হ* শৃয়োর কোথাকার ; অফিসারের গায়ে হাত তোলবাঁর তোর অধিকার কিরে ?” বুক ফুলিয়ে বল্লে লেফটন্যান্ট--“আমি সব জানি! তোরা এখানে যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের থাকতে দিস্‌! তোরা ফত চোরাই মাল নিদ্‌ আর এটা একটা গনিকা-***

কথা শেষ হবার আগেই আরসেনী খপ করে প্লেফউন্যান্টকে প্ছন থেকে ধরলো, দরজাটা! ঝন্‌ ঝান্‌ শবে বন্ধ হয়ে গেল, তাঁরা ছুঙ্গনে বলের মত গড়িয়ে পড়লো রাস্তায়--তখন সম্পূর্ণ কথাটা ঝাঝ নিয়ে বেরিয়ে এলো-*ণগনিকালয়"

বরাবর যেমন হয়েছে এক্স আগে, লেকটন্যান্ট চিঝেভিচ আজ সকালে ফিরলো-__-অহৃতপ্ত হয়ে, কোনো লোকের বাগান থেকে তোলা একটা লিলাকের তোড়া নিয়ে। তাঁর মুখখানা বিমর্ষ, চোখের কোনে নীলদাগ, কপালটা হল্দে, পোষাক পরিচ্ছদ ঝাঁড়া হয়নি, চুলেতে ছোট ছোট পালক। ধীরে ধীরে মিটযাট শুরু হলো গ্লানা ফিক ভ্লার তখনও মলঃপুত হয়নি, তার প্রণয়ীর সেই বিশীত দৃষ্টি আর অন্থভীপের কথা, বরং রাগ হচ্ছিল.**তার সেই নাগরটি কার কুণ্ধে তিন রাজি কাটালো, জানতে না পেবে।

খুব শান্ত মোলারেম স্থরে ঈবৎ কীপা গলায় লেফটন্যা্ট আর্ত করলো--"ওগো ফ্যানা" কোথায় শত

বাঁড়ীওয়ালী ভাকে বাধা দিয়ে অবজ্ঞা ভরে বলে উঠলো--“কী, কে

প্রাণ-প্রবাহিনী

ভোর ফ্যান রে."আমি শুনতে চাই? আমি কোনো ইতর রাস্তার ঝাঁড়দারের প্রাণের য্যানা নই”

“আমি কেবল জিজ্ঞাসা করছি যে; 'প্রস্কোভিগ উভার্টিসেতা, বয়স ৩৪ বৎদর--এর ঠিকানা কি লিখবো; এভে তো কিছুই লেখা নেই!»

“শুকে চোরা বাজারে পাঠিয়ে দে আর তুইও যা সেইখানে তাল জোড় মিলেছে তোদের নয়ত তুই যা! ভাড়াটে নিদ্থানায় থাকবি যা।”

ইডর জানোয়ার কোথাকাঁর--লেফ টন্যান্ট মনে যনে বললে বটে কিন্ত প্রকাশ্যে কেবল একটা গভীর আশ্মগত্যস্ছগক দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো-- *শুনছো য্যানা, তুমি বোধহয় আজ খুব বিচলিত হয়েছে”

শ্বিচলিত! যাই হইনা আমি? আমি জানি আমি হচ্ছি একটা সত কর্মীষ্ট যেয়ে মাহুষ"*.”বেরিয়ে যা আমার সামনে থেকে"**চারছ গুলো কোথাকার”--বলে টেচিয়ে উঠলে! ছেলেমেয়েদের উপর। সঙ্গে সঙ্গে ম্লাডকা আর এডকাঁর কপালে পড়লো পটাপট, চামূচের ঘা, ঠিক টিপ করা। ছেলে গুলো নাকে কাদতে শুরু করলো।

বাড়ীগয়ালী রাগে গর্জন করে উঠুলো_আযীর কাজের উপর আর আমারঞ্টপরও অভিসম্পাত আছে! যখন সোয়াদীর সঙ্গে ছিলাম আমার কখনও দুঃখ ছিল নাঁ_এখন সব কুলিগুলো হয়েছে মাতাল, চাকরানি গুলো হয়েছে সব চোর 1 উ%, ওরে আপুদে ছৌোড়াগুলো-*-*"& প্রোক্কাটা ১২ নম্বর ঘরের মেয়েটার মৌজা চুরি করবার পর ছুদিন ভার আর দেখা নেই এখানে পরের পয়সায় ফুর্তি করতে বেশ আছে লব-_কাঁজের বেলা কুটি নড়ে না।” *

কথাগুলো ম্যানা কাকে লক্ষ্য করে বল্ছে লেফটন্যাণ্ট তা ভাল ভাবে জানলেও পাথরের মত চুপচা'পই ছিল। বিগস্‌ (এক প্রকার রুশয় খাস) রান্নার স্থপ্রাণ পেয়ে তার মনে ভোজনের ক্ষীণ আশা জাগছিল। সেই

পা পিবাহিণী হু

সময় দরজা খুলে আরসেনী ঢুকলো-সোনার ক্লিপ লাগান! টুপিটা না ঘুলেই--তকে দেখাচ্ছিল ঠিক খোজার যত, কাকার মূখ খানায় গর্ত গর্ভ দ্বাগ। এই নিয়ে কম পক্ষে চল্লিশ বার চাঁক্রি নেওয়া হ'লো ঘ্যানার কাছে। যাতলামো শুরু হওয়ার গোড়ায় কিছুদিন চাকরিটা থাকে ঠিক, তার পরই বাড়ীওয়ালী তাকে পিটিয়ে রাস্তায় বার করে দেয়, প্রথমে তাঁর চাপরাশ--তেভীজ টুপিট! কেড়ে নিয়ে।

তখন আরসেনী একটা! সাঁদা লোমশ ককেসীয় টুপি মাথায় দিয়ে নাকে-স্ত্রাটা ঘননীল চশমা পরে বিপরীত দিককার সরাবখানায় গিয়ে যথা সর্ব্থ মদে উড়িয়ে তি করে বেড়াবে; শেষ পর্যন্ত নেশার ঝোকে কোনো! এক নিবিকার থানসামার বুকের উপর পড়ে ফ্রিডরিকের প্রেমে হতাঁশ হওয়ার দরুণ খানিক কাদবে আর লেকটুন্তান্টকে খুন করবে ব'লে শাসাতে থাকবে। নেশ! ছুটে গেলে তখন আবার 'দারবিয়াতে এসে বাড়ীওয়ালীর পায়ে পড়ে যাবে। র্যানাও তাকে নেবে আবার, কারণ আরসেনীর জায়গায় যাকে রেখেছিল দে এই অল্প সময়ের মধ্যেই তার চুরি করে মদ থেয়ে হাঙ্গাম! বাধিয়ে থানার হাজতে আট্ক! পড়েছে।

্যানা জিজ্ঞাস! করলে, “তুই জাহাজ থেকে আসছিম্‌ ?”

“হা; আমি আধ ডজন যাত্রী এনেছি সঙ্গে করে। কমাখিয়ালঃ হোটেলের জেকবের খপ্পর থেকে ছিনিয়ে আখ কম কাজ কি! নেতো! তাদের মজে ক'রে এগোচ্ছিল আমি তখন তাদের কাঁছে গিয়ে বল্লাম- “তৌয়রা যেখানে খুশী যাও তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তবে আমি বলে রাখছি, এমন সব লোক আছে যার! এখানকার কিছুই জানে না। তোযাদের জন্ত আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি স্পষ্টই ব্ল্ছি ভোমরা লোকটার সঙ্গে যেও না! ওদের হোটেলে গত সপ্তাহে ওরা এক যাত্রীর খাবারে কিমের গুঁড়ো মিশিয়ে তাঁর হথাসর্বন্থ লুঠ করে

ঠত প্রাণপ্রযাহিণী

নিয়েছে। এই বলে আমি ভাদের নিয়ে এসেছি। জেকব তখন দুর থেকে আমায় ঘুষ দেখিয়ে শীদালো, দীড়াওন্আরসেনি, তোমায় আমি একদিন পাঁবই। আমার কাছ থেকে রেহাই পাবে না সে যখন হবে

বাড়ীওয়ালী বাধা দিয়ে বললে, “আচ্ছা আচ্ছা, তোর জেকবের কৌঁনো ধার ধারিনি আমি! কি দূর ঠিক করেছিস?”

শ্তিরিশ কোপেক (রুশ তাক়মদ্রা)। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি; ওর বেশী ওদের কাছ থেকে বাগাতে পারলাম না।”

দুখ কোথাকার! তুই কিছুই পারিম না।-””*ওদের দু'ন্থর ঘরটা দেখিয়ে দে”

এবাৰ কটাকে এক ঘরে?”

“ওরে মুখ, ছুঙ্জনের এক একটা কামরা***

1 বটেই। পুরানো তোষকের তিনট| বিছিয়ে বলে দে যে, ত্রীদের সঙ্গে সব সময়েই

হ্যা! সব কটাকে একই

ঘরে ছে তাঁদের সোফায় €শায় চলবে না। এই দব যা ছারপোকা থাকে। বরো” * সে বেবিয়ে গেলে লেফটন্তা্ট মিহিস্থরে অনুযোগ করলো-_+্যানাঃ আমি আঁশর্য হই তুমি কেন ওকে টুপি পরে ঘরে ঢুকতে দীও! মহিলা হিসাবে এবং সত্বাধিকারিণী হিসাবেও তোমার পক্ষে ওটা অসধ্বানের। তার পর আমার দিকটাও ভেবে দেখ। আমি হচ্ছি একক রিঙার্ডের অফিসার আর হলো প্রাইভেট (সাধারণ সৈনিক)। এটা বড়ো বিশ্রী”

কিন্ত ম্যানা আবার নৃতন করে মুখ ঝাম্টা দিয়ে উঠলো--“যেখানে দরকার নেই সেখানে তোর মাথা গলাতে হবে নাতো! অফি-মার, বৈকি! তোর মত অফিসার গণ্জ গণ্ড! রয়েছে, হাটে রাত কাটায়।

প্রিন্্রধাহিনী ১১ আরসেনী হচ্ছে কাজের লৌক। সে ধেটে খাঁয়”*তোর মত'*'বেরো 'বেরো'“কূড়ে ছোড়াগুলো কোথাকার...হাত মর] বল্ছি।”

গ্্যা সববাচ্ছি'**কিন্ত আযাদের কিছু থেতে” গর্জে উঠলো! ফ্যাডা।

"আমাদের কিছু খেতে** ***,

ইতিমধ্যে বিগদটা রাঙ্গা হয়ে গিছলো। ফ্যান! টেবিলের উপর ডিদ্‌ বিছোতে লাগলো। লেফটন্যাষ্ট রেজিষ্টারের উপর ঘাড় গস্কে কাজে মন দিলে। একেবারে কাজেই ডুবে গেল সে। |

বাড়ীওয়ালী হঠাৎ ডাকলো তাকে--”"এসো গোঃ বাসো।”

চিকেতিচ, মাথা না তুলে ধরাগলায় একটা ঢোক গিলে বললে--“না ধন্যবাদ ফ্যানা, খাও তুমি, আমার ক্ষিদে পায়নি”

“তোমায় যা বলা হচ্ছে তাই করো।-"*আবার চাল দেখানো হচ্ছে" এসো এসো”

“এই যাই, এখুনি যাচ্ছি। শেষ পাতাটা সেরে নি! ******, ্যা'*সার্টিফিকেট দিয়েছে"বিল্ডেন রুর্যাল ডিস্ক কাউন্সিল" প্রদেশের নধর ২০৩৯-তইা হযেছে” এই বনে লেখ| ছেড়ে উঠে লেফটন্যান্ট হাত ঘম্তে ঘর্‌তে বল্লে”“আমি কাজ ভালবাসি”

“ই্য..এ তোমার কাজ!” অবজ্ঞা তরে ভেংচে বাড়ীওয়ালী বললে_-“বসো।” *

“ওগো শুনছো গ্যানা-"একটু দাও, অল্প কারে”

“ওটা বাদেই সেরে নাও ।”

রাগারাগি প্রায় মিটে গিছলো। র্যানা আলমারী থেকে একটা মোটা কাটগ্লাসের পানপাত্র কার করলো-_-সেটাতে তার স্ব্গায় পিতা থেতেন। ফ্যাডকা তার ডিলে কীধাকপির তরকারি ছড়াচ্ছিল, আর তার ভাইকে বিরক্ত করছিল ভার বেশী আছে বলে। এড কা চটে গিয়ে

১২ প্রা-প্রবাছিণী

চেচিয়ে উঠলো-“াডকা বেশী গেয়েছে, তুমি ওকে” পটু করে গড়লো চামচের ঘা এডকার কপালে। পর মুহূর্তে ইধ্যানা আবার বথাবা্ শুরু ফরলো যেন কিছুই হয়নি ভাদের+-“লবই ভৌ তোমার যিছে কথা, বঙ্গে আর একটা_আমি বাঙ্ছি রাখছি, তুমি কোনো মেয়েমাষের সঙ্গে ছিলে লেকট্ন্যাপ্ট ভত্সনা করে উঠলো--“শুনছো ফ্যানা” তারপর থাঞ্জা ছেড়ে হাত ছুটো বুকে চেপে, এক হাতে কাটাতে মাংসের টুকুরো বেধা রয়েছে, বললে, "আমি--তুমি কিছুই জানো না আমাকে রকম কাজ হবার আগে আমার মাথা কাটা যাওয়া উচিত। সে দিন যখন আমি বেরিয়ে গেলাম-_এত বিশ্রী জেগেছিল, এত কষ্ট হয়েছিল আমার! আমি কেবল রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়ে, তুমি তো বুঝতে পারো! কেঁদে তাঁসিয়েছি আমি। হায় ভগবান! আমি ভাবলাম, আমার দারা ছার অপমান হতে দেব, আম সেই একমাত্র মহিলা যাকে আমি পবিজ্ঞ ভাবে ভালবামি'**গাগলের মত**৮ বেশ চমৎকার গরটা” বাট়ীওয়াণী বললে। খুব ধুণী হলেও তখনও সন্দ্হ কিছু কিছু রয়েছে।

“তুমি আমার কথার বিশ্বাস করছে! না ?”..শোস্ত এবং গভীর বেদনার স্বরে বল্লে লেফটন্যান্ট-_“হা, এটাই আমার পাওনা প্রচ্দেক দিন [াত্রে আমি তোমার জানালার কাছে এদে তোমায় ডেকেছি অসুর দিয়ে 1 এই বলে লেফউন্যান্ট চট্‌ করে গ্রসিটা মুখে ঢেলে দিলে এবং এক কাড় যাংস নিয়ে ঘুখ ভতি'করে বল্তে লাগলো, চোখে স্ুন ঝরছে তার-- “আমি তখন ভাবছিলাম, এই সময় হঠাৎ আগ্চণ লেগে যায় বা ডাকাত পড়ে'“আহি দেখিয়ে দিই তোমাকে, আমি কি*“আনন্দে প্রাণ দিয়ে দিতাম | হায়_তা না হলে আমার জীবন তো শেষ......আমার দিন

"তে! ঘনিয়ে এসেছে** ০৪

প্রাখ-প্রবাহিণী

এদিকে বাড়ীজ্জানী তার তহবির হাত্ড়াছিল--একু চপল ভাবে বলনে,*বরে যাও ওরে ম্যাডকা, এই নে টাকা, ছুটে যা ত্যাদিলি ত্যাসিলিকের দোকানে-এক বোতর বিজ়র নিয়ে আয়। তাঁকে ব্পকি যেন টাটকা হয়। লীগ্গির যা”

প্রাতরাশ শেষ হয়ে গেল। বিগম খাওয়া হলো, বিধারের সবটা শেষ করা হয়ে গেছে এমন সময় হাজির হলো রোমূকা-_ প্রাথমিক বিদ্যা লয়ের অবাধ্য ছাত্র সে, গায়ে খড়ি আর কালির দাগ। দরজায় খাঁড়া দাড়িয়ে রাগে ঠোট ফুলিয়ে এদিক ওদিক দেখলে, ভার পর বই খাতার ব্যাগটা মেঝেতে ছু'ড়ে দিয়ে ঠেচাতে আরম্ত করলো“ যে তৌমরা আমাকে বাদ দিয়ে নব খেয়ে নিয়ে-আর ক্ষিদেতে আগার পেট চুই চুই করছে”

ঘাডকা! তার ডিসটা দেখি তাকে বিরক্ত করবার জন্ে বল্লে_ আমার কিছু বেশী আছে কিন্ত আমি তোমায় দেব না।”

“এ ফে-কী শয়তানি মতলব,” রোমূকা তাঁড়াভাড়ি তার কথা টেনে বল্লে-“মা, য্যাঁড্কাকে বলনা”***৮

“চিপ কর,” চড়া গলায় চেচিয়ে উঠলো য্যানা, "সদ্য পর্যন্ত ঘুরে বেড়াবি যা, ঘুরলি না কেন? যা, এই নে দৃঃপেনী--কাবাব কিনে নিবি যাঁ_ওতেই তোর হবে!” |

শা ঠা, মোটে হুপেনী! তুমি আর ভ্যালেরিয়াম আইভ্যানোভিচ বেশ বিগদ খেলে আমাকে ইসুলে পাঠিয়ে দিযে_আমি ঘেন ঠিক কৃহুর রে!*

ভয়ানক রেগে বলে উঠলো য্যানা- “বেরিয়ে যা।* রোয়কাও তৎক্ষণাৎ হট করে দরে পড়লো) ঘাবার সমতার ব্যাগটা কিনতু কুড়িয়ে নিদ্বেছিল মেৰে থেকে। তাঁর মাথায় হঠাৎ এক মতলব এল্লো__চোরা. বাজারে গিয়ে তার বইগুলো বিক্রি করে দেবে | দরজার মুখে তার বড়

১৪ প্রাণ-প্রবাহিণী

বোনি ক্যালিচকার দিকে ছুটে গ্রে, সুযোগ বুঝে, তার হাতে খুব জোরে চিমটি কেটে দিল। -. ফ্যাজিচ কা রাগে গর গর কর্‌তে করৃতে ঠুকলো ঘরে-_“মা, রোহ্কাকে চিম্ট কাটিতে বারণ করে|” | বেশ হুম্দরী মেয়ে-বছর তের বয়ে্__একটু তাঁড়াতাড়ি বাড়তে শুরু করেছে। ঘন অলিভ ভার গায়ের রং-_হুন্দর কালো কালে! চোখ, সেগুলো জার শিশু স্থল নাই--ঠোঁটগুলি টকটকে লাল, পরিপুষ্ট টস্‌ টস্‌ করছে-_ ভার উপরের ঠোটটি খুব হুম কালো লোমে ঢাকা, তায় আৰার চমৎকার ছুটি তিস। সে ছিল বাড়ীর সকলকাঁর প্রিয় লৌকগুলো তাকে চকলেট দিত। প্রায়ই ঘরের ভিত্তর ডেকে নিয়ে চু খেত_আঁর ইতর কথা শোনাতো। পরিণতদ্দের মত সে সব কিছুই জান্তো কিন্তু এসব ক্ষেত্রে লক্জ! মোটেই পেতো না। কেবল তার কালো চোখের পাতা যা ভার হল্দেটে চিবুকেব্ত উপর নীলাত দেখাতো, সেই চোখের পাতা নিচু করে মুচ্‌কে মুচকে হাসতো এক অদ্ুভ হাঁদি_খুব বিশীত ঙ্গিগ্ধ অথচ লালসা মাখা হামি ভাঁতে এক রকমের 'পুীক্ষায় আছি* ভাব। তার সব চেয়ে বন্ধু হলোএকটি যেয়ে__ইউজেনিয়া ; ১২ নগর কামরার থাকে, খুব শান্ত প্রকৃতির মেয়ে_ঘরের ভাড়া! যথা সময়ে বরাবর দেয়) স্বাস্থ্যবতী স্থন্দরী : এক তক্তা ব্যবসায়ীর বনিতা৷ সে-ফাক পেলে রাস্তা থেকেও নাগর ড& | র্যানা ফ্রিডরিকোভ না ডাকে খুব সম্মানের চোখে দেখে; তার সম্বন্ধে বলে-_ “বেশ তো, ভাতে কি যায় আসে, ইউজেনিয়া খুব সন্ত নাই বা হলো, বাবলী তো তাকে ব'লতেই হবে !” প্রাতরাশ শেষ হয়ে গেছে দেখে য্যালিচকা মুখে ভোর করে একটু হাঁসি টেনে তাঁর সরু গলায় চেঁচিয়ে বল্লে ক্মভিনয়তঙগীতে--“ওঃ তৌমরা এরই মধ্যে শেষ করে ফেলেছো! আমার

প্রাণ-প্রবাহিণী ১৫

ঘড়ো দেরা হয়ে গেছে | মা, আমি ইউজেনিয়া নিকোলেইড নার কাছে যাব কি?”

“ভোর যে চুলোয় খুশী ধা।”

“স্বাদ 1

সে চলে গেল। প্রাতরাশের পর পরিপূর্ণ শান্তি বিরাজ করডে লাগলো | লেফটন্যাষ্ট বিধবার কানে কিস্‌ ফিস্‌ করে তার প্রাণের কথা শোশাতে লাগুলো-টেবিলের তণায় তার পরিপু্ট হাঁটুতে চাগ দিতে দিতে? খাবার এবং মদের উত্তেজনীয় তারও কাধটা ঘেসে আরও এগিয়ে বার তধ্ন। ভাঁরপর হঠাত ধাকা! দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে দী্ঘস্বাসের সঙ্গে লালসা বিহ্বল হাসি হেসে বলে, “ছা ভ্যালেরিযাণ, বড়ো নিরল তুমি, ছেলে মেয়েরা রয়েছে! *

্যাডকী আর এডকা তাদের দিকে চেয়ে ছিল__আঙ্গুলগুলো মুখ পুরে চোখগুলো বড় বড় করে! ভাদের মা! হঠাৎ ঝাপিয়ে পড়লো তাদের উপর--“যা দৌড়োবি যা, গুপডারা৷ কৌথাকার...যাছু ঘরের পুতুলের মত বসে রয়েছ-"-তাড়াতাড়ি দৌড়ো।

লাকা চেঁচিয়ে উঠলো" আমি কিন্তু দৌড়োবো না...আমি দৌড়োবো না **০,

“দৌড়োবি না, দাড়াও তোমাদের দেখাচ্ছি। এই নে আধপেনী, যিছরী কিন্বি_ঘা বেরো।”

তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জঙ্গে সে দরজায় চাবি দিয়ে লেফট- ্যাটটের হাটুর উপর বসে হুঙ্গনে অধর হুধার বিনিময় করতে লাগলো।

লেফটন্াষ্ট তার কানে কানে বল্লে-* তুমি আমার উপর রাগ করনি মাণিক আমার?”

ঠিক সেই সম দরজায় ঘা পড়লো। খুলতে হলো ভাদের। লরাই

১% প্রাণ-প্রবাহিণী

খানার নৃতন এক পরিচারিকা ঘরের ভিতর ঢুকলো-_লঙ্কা গড়নের এক স্বীলোক--এক চোখো-বিমর্ষ চেহারা--একটা হিংস্র দুটি নিয়ে কর্ষশ গলায় বল্লে-“১২ নঘ্বর কামরায় একটা-_সামোভার (রুশ দেশীর এক রকম চায়ের পাত্র ; এতে চা গরম থাকে), কিছু চা আর চিনি চাই

ম্যানা ফ্রিডরিকোভনা ব্যন্ত হয়ে ঘা যাচাই দিয়ে দিলে। লেফট- নাট সোফায় গা ঢেলে দিয়ে অবসন্ত তাবে বল্লে--"শুনছো গ্যানা, আমি একটু বিশ্রাম করতে চাই, একটা কামরাও কি খালি নেই? এখানে ছে] খালি ধাকা দিচ্ছে!”

একটি মাত্র কামরা খালি ছিল) নম্বর কামরা দেই থানেই তারা গ্নেল। ঘরটা লগ! সূ আর অন্ধকার--স্বিটুল খেলার খুঁদির মত-_-একটা| মাত্র জানালা তাঁতে_একটা| বিছবানা, একটা জুয়ার চেষ্টমুখ হাত ধোবার একটা জনপাত্রের আধার, একটা ছোট টেবিল--এই হলো আসবার পত্র। বাড়ীওয়ালী আর লেফটন্যান্ট আবার একবার নীক্ষণ শুরু করুলো, বসুস্তকাঁলে ছাদের উপর ঘুঘুপাখীদের মত কৃজন চল্লো! তাঁদের।

“রানা, শুনহো, যদি তুমি আমায় ভালোবাসো তাহলে দ্শটাওল! একপ্যাকেট “সিগারেট প্রেইজার আনতে দীও_ছ কোপেক মাত্র ।” লেফ্নান্ট সোহাগের সুরে এই কথা বল্তে বল্‌তে বিবস্ু হতে. লাগপো

তারপ্র******** রর

বসন্ত কালের যন্ধ্যা খুব তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আমে; তখন প্রায় রাত্রি হয়ে এসেছে জানলা দিয়ে আসছি নিপার নদীর উপর থেকে ্টারের বাশী-.আর সেই সঙ্গে আসছিল মৃদু মূ গন্ধ--গুকৃনো ঘাস, ধুর, লিলাক আর তেতে-€ঠা পাথরের ; মুখ হাত ধোঁবার জঙ্গপাত্রের উপর-

পরা-প্রবাহিনী

ঠিক একই ভাবে বিনু বিন করে জল পড়ছিধ। ভাবার উর একটা ধাক্কা পড়লো

কেরে? শয়তান কোথাকার, কি জনে ঘুরে বেড়াঙ্ছিস্‌?” চেঁচিয়ে উঠে পড়লো ঘ্যানা ফ্রিড্রিকোতলা। খালি পাযেই বিছান! থেকে লাফিয়ে প'ড়ে রেগে মেগে দরজা খুলে ব'দূলে, «কি-_কি চাই তোর?”

লেফটন্তাণ্ট চিঝেভিচ, ধীরে ধীরে কম্লটা মাথার উপর টেনে ছিলে। -

আরলেনী হজের পাশ থেকে কথা কওার মত দরজার পাশ থেকে বল্নে--“একটি ছাত্র একটা কামরা ভাঁ়া চায়।» "

“কে ছাত্জ? তাকে বলগে, একটা মাত্র কামর! আছে, ছু রুব্‌ল (রাশিয়ার টাকা) তার ভাড়া। সে একলা, না যেয়েমান্ৃয সঙ্গে আছে?”

পএকাগ।

“হবে ববগে যা তাকে_-পাসপোর্ট আর টাকা জাম চাই। সব ছাত্রদের আমার জানা আছে ।,

লেফট্রা্ট চটপট পোষাক পরে নিব, অভ্যাস হয়ে গিছল-_ সেকেওড দশেক লাগতো তার বেশ বিগ্তাস করতে। যানা ফিডরিকোতনা বিছানাটা তাড়াতাড়ি গুছিয়ে দিনে কায়দ। করে যাতে কিছু বোঝা না যায়। আরসেনী ফিরে এল।

সে বিমর্ষ তাবে বল্লে_“সে আগামই দিয়েছে, এই থে তার পানপোট্।”

বাড়ীওয়ালী বারাপগডায় বেরিয়ে গেল। তার চুলগুলো উস্‌কো! খুকো, কগালে বাবরের একটা টুকরো জাউকে রয়েছে, তার গোনাসী নযের গালের উপর বানিসের তাদের দাগ পড়ে গেছে, চোধগুনো

চি

১৮ প্রাণ-প্রবাহিশী

অস্থাভাবিক রকমের জনজলে হয়ে উঠেছিল। লেফ টা তার পিছনে আড়াল দিয়ে ছায়ার যত নিশবে হট করে গিয়ে বাডীতযানীর : কামরার চুক্কে পড়লো! সিড়ির জানালার ধারে ছাত্রাটি ঘপেক্ষা করছিল! ভখন আর ডাকে ঘুবক বলা চলে না) রোগা গড়ন, কটা কটা চুদ, মুধধধানা লহাটে--বিবপূ, কচি জখচ রুপ, তার খাটো নহরের শান্ত নীল চোথ ছুটোতে একটু টের! ভাব যেন কুয়াশার ভেতর দিয়ে চেয়ে রয়েছে। ছান্ছটি বিনীত ভাবে বাড়ীওয়ালীকে নত হয়ে অভিবাদন জানালো তাতে জে হকচকিয়ে একটু হেসে তার ব্লাউজের উপরের হুকটা পরাতে লাগলো।

ধত্আযার একটা কামরা চাই”- ক্ষীগ কঠে বললে সে, যেন তাঁর সাহসে কুপিয়ে উঠেছে ন! বলডে--“আমায় যদিও এখান থেকে চলে যেতে হবে তা হয়েও একট! বাতি আর কালি কলম একটা পেলে বাধিত হবো11%

তাকে সেই খুঁদি ঘরখানা দেখিয়ে দেও! হলো। |

সে বললে--“্চমৎকাঁর! এর চেয়ে ভালো আর আমার চাই নাঁ। বড়ো হন্দর জারগাঁ এটা! দয়া করে আমায় একটা কা কলদ ঈলেই হবে ।* চা অথবা বিছানার চাদর তার দরকার ছিল এ।

6৩১

বাড়ীওয়াণীর ঘরে আলোটা জলছিল। খোলা জাননার উপর র্যালিচকা তুবাঁদের কায়দায় বসে তাকিয়ে দেখছিল নিচের দিকে বিছ্বাতের আলোতে টল্টলে ঘন কালো নদীর জল আঁর জেটির ধারে গণ্লার শ্রেণীর ঝরে গড়তে বাঞি কিকে সবুজ পাতাগুলোর

প্রাণপ্রবাহিন ১৪

সহ আন্বোলন। তার গালের উপর দুদিকে ছটো গোল গোল লাল দাগ টক টক্‌ করছিল ত্দার ভার চোখে ছিল লরম অথচ শ্রাস্ত একটা দৃষ্ি। গা বাতামে বনে আনছিন নীর ওপারে বনরুরে, হেখানে খোলা মেলায় চায়ের আসর ঝলমল্‌ করছিল, দেখান থেকে. ছলুসের (এক প্রকার বৃত্য) একটানাপ্মাওাজ। ... +

দৌকান থেকে কেনা ব্যাজপ্বেরীর জ্যাম আর চা খাচ্ছিন তারা ফ্যাড্‌কা আর এডকা। তাদের পিরিচে কালো রুটির টুকরে! গুঁড়ো করে হালুয়ার মত তৈরী করে নাকে। মুখে, কপালে মাখামাখি করছিল? পিরিচের উপর. বুদবুদ কাটছিল! রোম্কা বিম্্ঘ দৃষ্টি নিয়ে ঘরে ঢুকেই তাড়াভাড়ি টো চো শব্বে পিরিচ থেকে চা! চুমৃ দিচ্ছিল। লেফটন্তাণ্ট চিঝেভিচ ওয়েট কোটের বোতাম খুলে কাগজের ডিকি (সার্টের গলার দিককার কৃত্রিম আবরণ ) বার করে এই গার্হস্থ্য দৃশ্তাবলীর মধ্যে বেশ হৃথে আধশোয়া অবস্থায় ছিল সোফায়।

“ঈশ্বরের কৃপায় যাহোক সব কামরাগুলোই ভাড়া হয়ে গেছে !” বপ্ারিষ্টের ঘত বলে উঠলো! য্যানা একটা দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে

লেফটন্তান্ট:বল্লে, “দেখছো তো, সবই আমার ছোঁয়ায় আমার পয়ে! আমি ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব দিককার অবস্থাই ফিরে যায়ঃ

“ঢের হয়েছে, অন্ত কথা কও ।”

শনা ন| বাস্তবিক বল্ছি আমার সংস্পশ্শের অসম্ভব পর-ঈশ্বরের দিব্যি--সত্যি তাই। ফৌন্জে যখন ক্যাপ্টেন গোরোজহেভস্কি ব্যান্কের তার নিলে, সে সব সময় আমাকে তার পাশে বসাতো | উঃ লোকগুলে| কি জুয্বাটাই খেলতে! গোরোহেভস্কি তখনও সাবলটার্ব ছিগ। হ্াঁদের সঙ্গে লড়াইয়ের সময, বারো হাজার জিতেছিল। আমাদের

প্রাণ-প্রবাহিনী

কৌন বুখারেক্টে এলো। অবিশ্যি নব অফিসারদের সঙ্গে তখন মোটা টাকা ছিল। তা দিয়ে কিছুই করবার নেই-_মেয়েমামৃষও নেই। তাঁরা ভাস শুরু করলে! ।--গোরোষ্হ্তস্কি এক গাকা! ওস্তাদের সঙ্গে বলে গেল। ভার কাণের ছাট দেখলেই বোঝা যায় কি রকম ধড়িবাঁজ দে! কিন্তু তাস পাণ্টানোতে তার এমন হাত লাফাই যে তুমি কিছুতেই ধরতে পারবে না””*** 1”

“একটু ছাড়াও আমি এখুনি আসছি” বাড়ীওয়ালী থাম দিয়ে

একট! তোয়ালে বার করে দিয়ে আসি”

সে বেরিয়ে গেল। লেফুগ্কা্ট চুপিসাড়ে ফ্যালিচকার কাছে গত কে দীড়ালো; একপাঁশু ফেরা তার হন্দর তমু্গতা থানি__রাত্রির পট ছুমিকার উপর কালো ছায়ার মত, বিজ্লী বাতির আলোতে তার উপর একটি শৃল্ছ দগ্ধ বূপালী রেখাপাত করেছিল।

"কি ভাবছো তুমি র্যানিচকা? না-না-কার কথা তাবছো৷ জিজ্ঞামা করি--” মধুর ভাবে গল! কীশিয়ে জিজ্ঞাসা বরুলে।

» সে তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল। কিন্তু লেফটূন্তাণ্ট চট করে তার চুলের মোটা বেণীটা তুলে চুলের তলায় উচ্চ ক্ষীণ গ্রীবার উপর চুঙ্বন করে লৌলুপভাবে তাঁর গাত্রলৌরভের আ্রাণ নিতে লাগলে! ম্যালিচকা ঘাড় না সরিয়ে বললে-_“মাকে আমি বোলে দেব।”

দরজা খুলে গ্েল। ঢুকলো ম্যানা ফ্রিডরিকোভলা। লেফ টুন্যান্টও তৎক্ষণাৎ উচু গলায় সহজ ভাবে বন্তে আরম্ভ ক'রূলো-_*বান্তবিক ব্ষস্তকালের এই রম রাতে তুমি যদি তোমার প্রিয়পাজ্জ ব! অন্ত বন্ধুর সঙ্গে নৌকায় বেড়াতে, খুব চমৎকার লাগতো 1-"-"্যা, ঘা বলছিনুহ্-ঢ্যান এই করে গোরোজহেতস্কি তো করকরে ছুটি হাজার

প্রাণ-প্রবাহিণী ২১

খোয়ালো! আমার কথা বিশ্বাস ক'রবে কিনা জানি ন--শেষে তাকে কে একজন কি উপদেশ দিলে! দে বলে উঠলা--এই থাক, আমার আর বেশ পাবার দরকার নেই আমরা যদি এবার তাসের গোছাটা্ পেরেক লিটে টেবিলের উপর আট্কে-তাঁসগুলে। ছিড়ে ফেলি, তুমি কিছু মনে ক'রো না)” লোকট! খেল! থেকে সরে পড়বার মতলব করেছিল। গ্োোরোজহেভষ্কি তার রিভলভার বার করে বলবে-প্তোকে খেলতেই হবে কুত্তা কাহাকা, তা না হলে তোর মাথা ছেঁদা করে দেব।” | |

কোনে। উপায় ছিল না) নে ধড়িবাজ বস্লো। এমন হকৃচকিয়ে গিছলো সে যে.তার পিছনে আয়নাটার কথা বেমানুম তুলে গেল। গোরোন্ত্রহেভস্কি তার তাসের প্রত্যেকটি দেখতে পাচ্ছির। গোৌরো- জহেভদ্ি ঘে কেবল তার টাকাটা উন্ল করুলে তা নয় অধিকন্ধ রোক্‌ এগারটি হাজার তার কাছ থেকে আরও টুঙ্গিয়ে নিলে। এমন কি সে সেই গজালটা সোনায় বাধিয়ে ভার ঘড়ির চেনে স্ুলিযে দিল-যাছু হিসাবে*।

(৪)

তখন ছাত্রটি পাচ নধর কামরার বিছানায় বলে। তার সামনে ছোট্র তাক্টার উপর একটা বাতি আর একপ্রন্ত রেখার কাগজ। ছাজটি খুব তাড়াতাড়ি লিখে যাচ্ছে--লিখডে লিখতে তের জন্তে থেমে আপন মনে কি বলে মীথা নেড়ে মুখে একটা ক্ষীণ হাসি টেনে এনে আবার লিখতে লাগল। তার কলমটা নেই মাত্র কানিডে ডুবিয়েছিল বেশী করে; তাই দিয়েই বাতির গল্তের চারপাশের গলস্ত মোমটা চেঁছে দিয়ে সব শুদ্ধ এগিরে দিল আলোক শিখার

২২ প্রাণ-প্রবাহিণী

মধ্যে। সেটা পট্পট শবে চারিদিকে নীল অন ছিটোতে লাগলো আতসবাজীর যত) সেই আতসবান্ী তাকে কি এক মন্ধাদার কথা মনে করিয়ে দিলে__তার সুদূর শৈশবের কথ. যা অস্প্ভাবে ছিল তার শ্বরণে। লে বাতির শিখাটার দ্ধিকে চেয়ে উ্লো। তার চোখ ছুটো ছোট হয়ে এলো, ওঠে একটা বিষর্ধ উদাস: হাসির রেখা উঠলো! ছুটে! তারপর হঠাৎ যেন জেগে উঠে মাধা নেড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে কলমটা তার নীল ব্লাউজের আস্তিনে পুঁছে নিষ্ে লিখতে শত করলো

* আমার চিঠির সব কথা ভাদের বলো--যা তুমি বিশ্বাস করবে আঁমি জানা সত্বেও তারা আমার বুঝবে না। তবে তোমায় আহি সহজ কথাতেই লিখবো যাতে তাদের বোধগম্য হবে। একটা বড়ো অন্তূত ব্যাগার। . ধন আমি তোমায় লিখছি অথচ আমি জানি দশ__পনয় মিনিটের মধ্যে আমি বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করবো সে চিন্তায় আমাকে কিছু মাত্র শঙ্কিত করেনি। কিন্তু যখন ফরাসী সমস্ত পুলিশ বাহিনীর পীশ্ডটে রংয়ের জাদরেল হোৎক] কনেলটা স্মন্তটা লাল হয়ে গিয়ে মাটীতে পা ঠুকে আশ্ষালন করতে লাগলো--তখন অমি একেবারে হতবুদ্ধি হ'য়ে গিছলাম-_যখন সে চীৎকার করে উঠলো যে, আম: গৌ়া- তুমি করা মিছে এবং তাতে কেবল আমার কমরেডদের ৬৭২ আমার নিজেকে বিপদ্নেই ফেল্বো এবং যখন বললে ধে-_বিয়েলোসোভ, এমন কি লিগি আর সোলোভিচিক্ও স্বীকারোক্তি করেছে তৎন আমিও স্বীকার করে ফেল্লাম।

“মৃতকে তন করিনি আমি অঞ্চ নির্বোধ সন্তীপ্ঘনা পেশাদারী অহমিকা-কঠোর মাংস পিগুটার চীৎকারে ভয় পেয়ে ছিলাষ। আরও বেশী বিরক্তিকর হচ্ছে এই যে, সে অন্ত লোকের উপর তদ্দি করতে

প্রাণ গ্রবাহিণী কত

সাহস করে তাদের কাছে সে একেবারে সহরতলীর গ্লাতের ডাক্তারের মৃত ভর, বিনয়ী আর ভারী মিঠে। এমন কি তাদের কাছে দে উদ্দারগন্থী হয়ে পড়ে! কিন্তু আমার মধ্যে সে সব সময়েই একটা দুর্বল নমনীয়তা! দেখতে পেয়েছিল। নিট দেধবা- মাত্রই ধরা যায়_-কখার দরকার হয় না।

* হ্যা আমি শ্বীকার করি, কাজটা নিতান্ত পাগলের যত হয়েছে) ্ত হথান্তকর এবং বিভৃষ্কার ব্যাপার, কিন্তু তা ছাড়া আর কিছু উপায় ছিল না আবার যদি কখনও হয় রকমই হবে। ছর্দান্ত সাহসী সেনাপতিরাও নেক সময় নেংটি ইছুরকে তয় পার_অনেক সময় তারা আবার সেই সাঁদান্ত দুর্বলতার জন্যে গর্বও বোধ কারে থাকে. কিন্তু মামি দুঃখের সঙ্গেই বলছি যে আমি এই কাষ্ঠ প্রকৃতির লোব- গুলোকে বড়ো ভয় করি; এমন কি মৃত্যুর চেয়েও ভন্ব করি। পৃথিবী সম্বন্ধে এদের ধারণ! বড়ো! কঠিন, তার আর পরিবর্তন নাই; এদের আত্মাতিমান বড়ো মৃঢ) দ্বিধা বলে এদের কিছু নাই। তুমি জান নাঃ আমি এই হোৎকা পুলিস, পিটাসবার্গের বিশ্রী পোর্টার, লাময়িক পত্রি- ফার সম্পাদকীয় অফিসের টাইপিষ্, ম্যাজিেটের ক্লার্ক আর খেঁকি ষ্টেশন- মাষ্টারগুলোর সামনে কতে৷ ভীরু হয়ে পড়ি, কতো অসোয়াস্তি বোধ করি! একবার থানায় আমার স্বাক্ষর সনাক্ত করতে হয়েছিল, সেই মোটা ইনস্পেক্টারটা, সেই পাম গাছের মত বিরাট-হল্দে গৌফ, জীদ- রেল বুকথানা আর মাছের মত চো নিয়ে আমায় বার বার বাধ! দিচ্ছিল, কিছুতেই আমায় বলতে দিতে রাজী নয়। কিছুক্ষণের জন্তে আমার কথা একেবারে ডাহা ভুলেই যাচ্ছিল-_নয়তো৷ অতি সহজ রুশীয় কথাগুলো-_-আদৌ বুঝতে পারছে না, হঠাৎ এমনি ভাণ কর-

ছিল--তার ফেবল সেই চাউনীতেই আমাকে এত অপ রকমের

হঃ প্রাপ্রবাহিনী

তুর করে ফেলেছিল যে আমায় গলার স্বরে অজাতসারেই একটা ফিন্ডরা টান এদে গিইনো, তা বুঝতে গেরেছিনাষ।,

: শর যোহী কে? বলি তোমা : আমার মাই দোষী! নীচ

রর ধা লাল [রি এই, বি কর

[ল হলেন তিনি। | “তিনি যখন বিধবা হন তখনও ছিলেন তরুণী এবং আমার শিশ্ত-মনের প্রথম নংস্কারগুলোর সঙ্গে অচ্ছে্ত তাবে মিশে গিছুলো--অপরের বাড়ীর রে দুয়ারে ঘোরা, বশ্ততার হাসি হাসা, তুচ্ছ অথচ অসহনীয় অপমান [হু করা, শিষ্টাচার দেখানো, মিথ্যা কথা বলা, করুণ মুখতঙ্গী স£কারে প্যানপানানি আর হীন অঙ্নয় বাণ'-এক ফোটা-.....এক টুকরো...... একট্ধানি চা.....এআামার উপকারী হ্ত চুম্বন ক'রতে হ*তৌ-_পুরুষট হোক ঠা হোক। আমার মা মিছে অভিযোগ করতেন ঘে এসব উপাদেয় খান্ত "ঘানার রোচেনা। তিনি মিছে করে বলতেন আমি পেটরোগা বলে ; যেহেতু তিনি জানতেন ে, তাইলে বাড়ীর ছেলেমেয়েদের 'তাগে বাড়বে আর গৃহকতরীও চান ভাই। চাঁকরবাকরগুলো গোপনে গোপনে আমাদের উপর নাক সেটকাতো। তারা আমার ঝুজো বলৃতো কারণ ছোট থেকেই আমি কোল-কুঁজো। তার! আমার লাঁমনেই দামার মাকে গনগ্রহ, ভিখারী বলতো আর সেই দু লোকদের হাসাবার জন্রে পুরানো জীর্ণ চামড়ার পিগারেট ফেশটা নাকের উপর রেধে ইভাজ ফরে মা বলতেন “এই হলো আমার প্রিঘ্নকম লেচাউস্কার নাক।' তারা-হাসতো আর মা'র এবং আমার নিজের জন্তে শেষ ফ্রণা হ'তো আমার? লঙ্জায় রাঙা হ'য়ে উঠতাম। কিন্তু আমায় চুপ, রে থাকতে ই'তো, কারণ আমার হিতকারীদের সামনে কথা কও? নিষেধ ছিল। স্ব! করতাম তাদের আমি কারপ আমি ঘেন একট।

প্রাণ্প্রবাহিী পাথর, টাল সেই তাবে নে হামার চে জাম বে বত বর বে হু সতী

তাদের বাও বাজায় ভাও বরভাম হো আমি নও দু এব তম ক'রে থাকি- সব স্থির গ্বাতিমানী অনমদীয় গীতি লোকগুলোকে; ঘেন আগে থাকৃডেই নব তাদের জান] জাছে--সক্সের পেশাদার বা, সব বুড়ো লাবনূখো রোমী় অধাপকগুলো, নির্দোষ উদারনৈতিকত! নিয়ে ছেনালী করতে যাদের বাধে না) যারা প্রধান গির্জার চোখ! চোখা বিধানগলো নিয়ে তত্তাযী করে? জেগামির (ফরাসী রশঙ্ত পুলিস বাহিনী ) কর্ণেল আর & জাত লেডী ডাক্কারগুলো যার] আবাহমান কাল ধরে চিকিংসকমণ্ডগীর বোষণী। পত্র কপ.চে যায়-যাদের প্রা যেমনই নি তে্নি অনাড় আর মারের টেবিলের পাধ্রটার মতই অবাধ সমতল!

“যখন আমি গুদের সঙ্গে কথা কই আমি বেশ অন্ভতব করি আমার মুখের উপর একটা বিরক্তিকর ভাব ফুটে উঠেছে--একটা কোর-করা গোলামী হাসি যেটা আমার নিজের নয়। আর আমার ক্ষীণ তোধাদুদে কঠচ্বরটার জন্তে নিজেই নিজেকে দবপা করি, ফেটার মধ্যে আমি আমার মায়ের গঙ্ার প্রতিধ্বনি পাই এই লোস্গুলোর গ্রাণ হ'লো অসাড়; এনের চিন্তাগুলো লব সোজা এক বগা এবং এরা সব গড়! নির্বোধ লোকের মতই নিঠুর

এনামার দাত থেকে দশ বংসর বছ়মটা কেটেছে একটা কিওার- গার্ডেন পদ্ধতির সরকারী অবৈতনিক ইন্থুলে। িকষযিত্ীা ছিন ষ্ব থেকি বড়ি আইবুড়ো, সকষেই নানা রফম প্রদাহ রোগে তুগতো ? তারা আমাদের মনে বদান্ত ওপরওালাদের প্রতি দধাটা, গেঁথে দেবার চে ক'রতো; পরস্পরকে লুকিয়ে পাহারা দেওয়া, অপরের নামে বানিয়ে গজ

হ্৬ প্রী-প্রবাহিণী

করা, প্রিপাঁছদের হিংসা করা, এই সব শেখাতো |. আর সর্বোপরি শেখাতে! কেমন করে ধত্দূর সম্ভব ভালোমান্গষের মৃত ব্যবহার করতে £ য়। বস্তু আমাদের মত ছেলেরা কেবল চুরি আর নানান্‌ কদাচারই শিখেছিল। তারপরেও-_সেই বদান্তার পালা--সরকারী বামিনে- ছাত্র হিসাবে আমাকে এক ইস্থুলে নেওয়া হলো ইন্স.পকটাররা পরিদর্পনে এসে আমাদের ওপর চুপিসাড়ে নজর রাখতো। আমরা ভোতাপাধীর মত একের পর এক শিখে গেলাম--তৃতীয় শ্রেণীতে এসে শিখলাম ধূমপান, চতুর্থ ভ্রণীতে স্ঘপান, পঞ্চম শ্রেণীতে প্রথম গণিকা সঙ্গ--আরু মারাতক গুধ ব্যাধি!

“তারপরেই হঠাৎ বাতাসের মত ভেসে এলো নবীন উৎসাহ বাণী, দুরন্ত দ্ধ, স্বাধীন জালা চেতনা মনের দুয়ার খুলে সাগ্রহে বরণ করে নিলাম তাদের কিন্ত আমার আশা তার আগেই চিরকালের মত বিধ্বস্ত হ'য়ে কলঙ্কিক্ঞ হ'য়ে একেবারে মারে ভূত হয়ে গেছে--তার সর্ধাঙ্গে একটা হেয় শিখিল ্াযুর ভীরুতার দংশ্ন-_কুকুরের কাঁণের এটুলির মত” যাঁকে ছিড়ে ফেলজেও তার ছোট্ট মাথাটা আটকেই থেকে যায় আঁবার পুরোপুরি সেই স্বৃণ্য উকুনে পরিনত হবার জন্তে।

“নৈতিক বিকারে কেবল আমিই যে একা ভূগেছি তা নয় হৃঘ্তো আমিই সকলের চেয়ে ছূর্বল! আগেকার বংশধরদের সফলেই মানুষ হয়েছে একট! কপট ধর্মভাবের স্তব্ধ: আবহাওয়ায়। বড়োদের প্রতি বাধ্যতামূলক মন্ত্র নিয়ে; তাদের সমস্ত ব্যক্তিগত স্থাপত্য হারিয়ে প্রতিবাদহীন অবস্থায়। বিলুপ্ত হয়ে যাক্‌ সেই স্তব্ধ দীরিপ্রাময় কলুঘ- লিপ্ত যুগটা-ধর্মভাবের প্রতিক্রিয়ার নির্বাক ছায়ায় এই শাস্তিময-- বুট জীবনটা, কারণ তবে তলে মানব আত্মার এই অধঃপতন জগতে কল রকমের প্রতিবন্ধক এবং হত্যার চেয়েও ভয়াবহ!

প্রারথপ্রবাহিদী ২৭.

“অদ্ভুত লাগে আমার, আমি যখন আঁষার মনের সঙ্গে একা! থাঁকি তখন তো আমি কাপুরুষ নই, অধিকস্ক তখন ভ্বীবন বিপর্র করতে আমার চেয়ে বেশী আগ্রহশীল, জা নাশোনার মধ আর কাউকে মেলে না বলা চলে। আমি মাটি থেকে পাঁচতলা উঁচুতে এক জানলা থেকে আর এক জানলা ক'রে বেড়িয়েছি--নিচের দিকে চেয়েছি সেই উচু থেকে; সমূদ্রে সীতার কেটে এতদূর এগিয়েছি যে হাত পা অসাড় হয়ে এসেছে--চিৎ হয়ে ভেসে থাকতে হয়েছে! ছাড়া আরও কতো! কি করেছি শেষ পর্যন্ত, আর মিনিট দেকের মধোই নিজেকে শেষ করে ফেলবো, সেটাও যাহোক একটা কিছ তো! আমি লোককে ভয় করি। আমার ঘরের ভেতর থেকে যখন শুনি রান্তায় মাতাল- গুলো আস্ফালন আর মারামারি করছে, আমি আতঙ্কে বিবর্ণ হয়ে যাই। রাত্রে বিছানায় শুণ্ে শুয়ে যখন ভাবি--একটা ফ্কাকা মাঠে একদল কদাক্‌ অশ্বারোহী সৈন্ঠ হুহস্কারে ছুটছে, আমার বুকের ধুক- ধুকানী বন্ধ হয়ে আসে, সারা দেহ ঠাণ্ডা হয়ে যার, আঁমার আঁুলে খিচুনী শুরু হয়। আঁি সর্বদাই এমন একটা! জিনিষের জন্য শঙ্কিত ঘেটা বেশীরতাগ লোকের মধ্যে আছে, অথচ--তা আমি পরিফার ক'রে বল্তে পারি না। দেশের যুগ পরিবর্তনের সময়কার? তরুণ বংশধরেরা সকলে আমারই মত। মনে মনে আমরা দাসত্বকে বা করেছি কিন্তু নিজেরাই কাপুরুষের যত গোলাষ হয়ে পড়েছি। আমাদের দ্ব্ণাটা বদ্ধমূল আর উত্তেজক হলেও হিজড়েদের বিপুল প্রণয় লালসার মত বন্ধ্যা

“কিন্তু তুমি আমার সব কিছু বুঝতে পারছে! এবং কমরেডদেরও সমস্ত বুঝিয়ে দিও; যরবার আগে যাদের কাছে আমি বল্তে চাই 'যে, সকল কিছু সত্বেও আমি তাদের ভালবাসি এবং শ্র্বা করি।

নর রা ্রবাি

হয়তে! তাঁর! তোমার কথায় বিশ্বাস করবে তুম যখন তাদের বলবে” নামি আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জতন্ঠতাবে তাদের প্রতারণা করেছি বলে যে মরেছি, সংটা তানয়। আমি জানি-_বিভীবিকাময় 'বিশ্বাস- “ঘাতক শফটার চেয়ে ভয়াবহ জগতে আর কিছু নাই। শকটা একের সখ থেকে অস্ত্রের কানে, এইভাবে ছড়িয়ে লোককে জীবন্ত মেরে ফেলে। ওগো, আমার তুল সংশোধন করতে পারতাম--যদি আমি মাছযের নিলর্জতা, কাপুরুষতা আর নির্বদ্ধিতার ক্রীতদীদ হ'য়ে না জন্মাতাম_পালিত ন| হতাম--কিন্তু আমি সেই জীতদাল বলেই তো 'মরেছি। এই বিপুল জালাময় দিনগুলোতে আমার মত লোকদের বৌঁচ ধাকা কেবল গ্লানিকর,এবং কঠিন নয় একেবারেই অনস্ভব |

গষ্্যা গো, শেষ বছরটায় আমি অনেক গুনেছি, অনেক দেখেছি, পড়েওছি অনেক। সত্যি বল্ছি তোমায়, ভীষণ আতেয়গিসির উদ্‌গীরণের মত একটা মৃহূর্ত এসেছিল-__বহৃকাঁপের রুদ্ধ রোষের বন্ছি ছড়িয়ে সব কিছু আচ্ছন্ন করে দিয়েছিদ-_ভাবীকালের শঙ্কা, পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা জীবনের মমতা, পারিবাণ্রক মুখের শান্তিময় আনন্দ--সব। আমি সে সব ছেলেমেয়েদের কথা জানি, শিশু বল্লেও চলে তাদের ; ঘাতকের স্থাতে মরবার সময়ও চোখ বাঁধতে দেয়নি তারা। আমি নিঙ্গে দেখেছি সে লব লোক--হার! নির্যাতন সহ করেছে তবু এটা কথাও বলেনি। বঞ্ বিক্ষোভের আবর্তে হঠাৎ হয়ে পড়েছে সব। টার্কির ডিম থেকেই ঈগলের বাচ্চা ফুটে বেরিয়েছিল-_ধরুক, কে ধরবে তাদের নাগাল।

“আমি সপূর্ণ জানি যে আঞ্জকাপকার একটা! হট শ্রেণীর ছাত্র তার দলের দাবী বেশ দুঢ়ভাবে বিবেচনার সহিত, এমন কি তাতে ঝত্যের বাঁজ মিশিয়ে, ইউরোপের ঘে কোনো পুরিশের কতদের এবং

প্রাবাযী

সব রাজা-রাজড়াদের সামনে ঘে কোনো বিচারারয়ে ঘোষণা করতে পারে! সত্যি কথা, এই সোনার চাদ ইচ্ছনের পোঁড়োট হয়তো হান্াম্পদ হবে, কিন্ধু তার নিজের উন্নত মূক্ত-সতবার প্রতি ইতিমধোই একটা দূ আস্থা জেগেছে তো! তাঁর মধ্যে, সকল জিনিষের প্রতি শ্র্ধা যা আমাদের মধ্যে

ক্ষয় হয়ে গেছে আধ্যাত্মিক দারিপ্রয আর পৈতৃক নৈতিক শিথিলতার, ফলে! আমাদের অধঃপাতে যাওয়াই দরকার

“এখন নষ্টা বাজতে ঠিক আট মিনিট বাকী। ঠিক ন্টার সময় আমার সব শেষ হয়ে যাবে! বাইরে একটা কুকুর ডাকছে-_একবার, ছ'বার** তারপর একটুর জন্তে চুপচাপ, আবার একবার, ছ'বার, তিপবার-**** বোধহয় আমার যখন সংজ্ঞালোপ পাবে, সেই সঙ্গে সব কিছু আমার কাছ থেকে চিরতরে অদৃশ্য হয়ে যাবে-_শহর, সাধারণের বেড়াবার মাঠ, শবকরা গীমারগুলো, দিন এবং রাতগুলো, কামরাগুলো! টিকৃটিক করা, ঘড়িগুলো, লোকজন, জীবজন্তু, বাতাস, আলো এবং আধার, দেশ এবং কাল কিছুই থাকবে নাঁ_-তখন এই 'কিছুই নাই'এর চিস্তাটাও থাকবে না। হয়তো কুক্ুরটা অনেক রাত পর্যস্ত ডেকে যেতে থাকবে_ প্রথমে ছু'বার, তারপর তিনবার...

“ন”টা বাজতে পাচ মিনিট একটা মন্দার কল্পনার আমি আচ্ছিন। আমার মনে হচ্ছে, মাস্ুষের চিন্তাটা কোনো এক বৈছ্যুতিক কেন্দ্র থেকে প্রবাহের মত ভারহীন ইথারের আলোকবিচ্ছুরী প্রচণ্ড কম্পন, বিশ্বের সর্বত্র পরিব্যাপ্ত হয়ে একই অবাধ গতিতে পাথর, লোহা এবং বায়ুর অথুর ভিতর দিয়ে চলে ঘায়। আমার মস্ভিক্কে একটা চিন্তার উদয় হয়, বিশ্বের সকল মণ্ডল কম্পিত হ'য়ে ওঠে, আমার চতুর্দিক তরক্গায়িত ₹*তে থাকে যেমন হয় জলরাশির মাঝে একটা পাথর ছুড়ল, শব যেমন, কম্পিত হয় তত্ত্রীকে ঘিরে! আমার মনে হয়, হখন লৌকট| ময় ঘান্_-

প্রাণ-প্রবহিনী

ভার সংজা লোপ পায় বটে, কিন্ধু তার চিন্তাটা তখনও থেকে যায়-_তার আগেকার জায়গায় কম্পিত আবস্থায়। হয়তো! এই লম্বা জন্ধকা'র কামরাটায় আমার আমে যে সব লোক ছিল, তাদের চিন্তা। ভাদের শ্বপ্ন এখনও আমার চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অবক্ষ্যে আমার ইচ্ছাশক্তিকে পরিচালিত করছে, এবং হয়তো আগীমী কাল এই কামরায় কোনো অস্থায়ী ভাড়াটে হঠাৎ ভাবতে শুরু করবে, জীবন-মরণ আর আত্মহত্যার কথা, কারণ আমার পশ্চাতে আমার চিন্তাকে এইখানে রেখে যাচ্ছি! কে বলতে পারে-ভার,। সম আর বস্তর বাধা নিরপেক্ষ আমার চিস্তাগুলে! মঙ্গল গ্রহের কোনে! এক অধিবাীর মস্তিষ্কের রহম্ময় সৃক্ম অথচ চেতনা-বিহীন গ্রাহক, যন্্রুলোতে এবং বাইরে যে কুকুরটা ডাকছে তার মন্তিষ্েও একই সময়ে গৃহীত হচ্ছে ৭1! হ্যা, আমার মনে হয় জগতে কিছুই একেবারে অস্তথিত হয় না, কিছুই নয়'** যা রলা হয়েছে সে তো নয়ই; যা ভাবা হ'য়েছে, তাও নয়! আমাদের সকল কাজ সকল কথা আর চিন্তাগ্জলো৷ হ'লে! ছোটে! ছোটো প্রবাহের মত, তলে তলে ধৃছ্মন্্ সুষ্্ম ধারায় প্রবাহিত নির্ঝরের মত। আমার বিশ্বাস, আমি দেখতে পাচ্ছি, তারা একসঙ্গে মিলিত হরে নদীমুখে প্রবাহিত হচ্ছে--সমতলের উপর উপচে উপচে পড়ে ছোটো! ছোটো নদীর দিকে চুটে চলেছে। শেষ পর্যস্ত বেগে চলেছে তার! স্ুবিষবদধারা প্রাণ প্রবাহিণীর বিপুল বিশীগ প্রবাহের দিকে। প্রাণের প্রবাহ--কি বিরাট মেট।! আগেই হোক, পরেই হোক, সব কিছুই সে বায়ে নিয়ে যাকে, ধুরে নিয়ে যাবে সব ছু্গকারা-_যেখানে অস্তরাস্মার স্বাধীনতা! থাকে বন্দী হ'য়ে! আগে যেখানে ছিল তুচ্ছতা! গবপ্নগন্তীর, সেখানে বীরত্ব হয়ে ওঠে গভীর অতলক্পরাঁ। মুহূর্তের মধ্যে ওতে আমায় বায়ে নিয়ে যাবে বহুদূর একট! শীতল অভাবনীয় এক জায়গায় এবং হয়তো এক বছরের

প্রাণগ্রবাহিণী ৩১

মধ্যেই এই সকল বিশাল শহরের উপর বিরাট দু্দ্যবেগে প্রবাহিত হন প্লাবিত করে ওর জল কেবল যে তাদের ধ্বংসাবশেষ ধুরে নিয়ে ঘাবে তা নয়, তাদের নাম পর্স্ত নিশ্চিহ্ন ক'রে দেবে।

“হয়তো আমি যা পিখেছি তা সবই হাম্যকর। আর ছু'মিনিট আমার বাকি। বাতিটা জলছে, আমার সামনের ঘড়িটা ক্রতবেগে টিক্‌ টিক করে চলেছে__কুকুরটা এখনও চীৎকার করছে। কি আসে যায়, যদি আমার কিছুই না পড়ে থাকে--আঘার কিছু না। অথবা! আমার মধ্যে কেবল একটি জিন্যি। শেষ অন্ভৃতিটুকু, হয়তো যন্ত্রণা, হয়তো পিশ্তাগের শবটা, হয়তো! উৎকট বীতৎস আতঙ্কটা থাকবে সেট। বিস্ত বরাবরের জুন্তে থেকে যাঁবে দশ সহশ্র লক্ষ বংসর ধ'রে দশ লক্ষগ্ুণে।

প্ঘড়ির কাটাটা ঘণ্টার ঘরে এসে গেছে! এবার সব জানতে পারা যাবে। না, দাড়াও একটু ; একটা! হাস্যকর মৌনজন্তে পড়ে আমার উঠে গিয়ে দবজাটায় চাবি বন্ধ করতে হচ্ছে বিদায়! আর একটা! কথাঁ_ কুকুরের অজ্ঞাত আত্মাটা নিশম মাহুষের চেয়ে চিন্তার কম্পনের প্রতি ঢের বেশী অনুভূতিশীল। মৃত ব্যক্তির উপস্থিতি অন্ৃতব ক'রে তাঁরা চীৎকার করে নাকি? এই থেকুকুরটা নিচের তনীয় ঘেউ ঘেউ ক'রছে, সেটাও। কিন্তু আর এক সেকেওডের মধ্যে নৃততন দানবীয় একটা! গ্রবাহ আমার মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় ভড়িভাধার থেকে বেগে বেরিয়ে এসে কুকুরটার সু মন্তিষ্ককে স্পর্শ করবে | সেটা এক অদ্ভূত আতঙ্কে চীৎকার করতে আতন্ত করবে ।***বিদায়, আমি চক্লাম 1”

ছাত্রটি চিঠিথানা সেঁটে দিল হয়তে! কোনো কারণে সে দোয়াতটার ছিপি এটে সন্ভর্পথে বন্ধ করলো এবং জ্্যাকেটের পকেট থেকে একখান! ত্রাউনিংএর কাব্যগ্রস্থ বার ক'রলো। রিভননভারের সেফটি ক্যাচট। এদিক থেকে ওদিকে নিয়ে গিয়ে ভার পা ছুটে! ফাঁক করলো, যাতে দৃঢ়্াবে

ত২ প্রাণ-প্রবাহিনী ্বীড়াডে পারে, চোখ ছুটো বন্ধ করে ফিল। তারপর অকস্মাৎ ছ'হাতে রিতলভারট নিযে চকিতে ভান দিক্কার রগের কাছে তুলে ঘোড়া টিপঝো। যান ফ্রিড রিকোতনা আতঙ্কে জিজ্রাসা করলো-”ওকি হলো?” রেফটন্াস্ট অন্তমনন্কভাঁবে বললো--"ও তোমার দেই ছাছটি নিজেকে গুলি করলো, ওরা রক্যই ইতর স্ব-_এই ছাড়লো... যানা লাফিয়ে উঠে ছুটে বেরিছে এলো ারাণার) লেফ টস্া্টও ধীরে সু্থে এলো তায পরে। পীচ মর কামরা থেকে একটা তীব্র গন্ধ আসছিন- গ্যাস ছার হীন বারদের। তারা রজার চাবির গর্ব ঘিয়ে দেখলে_ ছাট মেঝেতে পড়ে রয়েছে। 4 পাচ মিনিটের মধ্যে হোটেলের বাইরে রাস্তায় একটা! ঘন, কালো' উৎমুক্ক জনতার হট হলে আরসেনী উত্তেজিত হয সিঁড়ি থেকে বাইরের লোকদের তাড়াতে লাগবো। হোটেলের সর্বরই একটা চাঞচল্য। এক চাঁবিওয়াল! এসে ঘরের দরজা খুল্লো। বাঁড়ীর তদীরক. কার চুটলে! পুলিশে খবর দিতে; দাসী ছুটলো ডাক্তারের কাছে। কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের ইন্স্পেক্টার হাঙ্জির হলো; লগ্বা রোগা এক ঘুবক, সাদা চুল, চোধের পাতার চুলগুলৌও সাঘা, গৌঁফ ঘোড়াটাও সাদা। সে ছিল পুলিশের পোষাকে। তার চওড়া পেন এতো িলে যে মেগুলো তার পালিশ করা জ্যাকবুটের উপর আহে ঙ্জ লুগেচ্ছে। তৎক্ষণাৎ দে জনতার তিতরে জ্বর করে ঢুকে তার ছলঙজলে চোথ দুটো বের করে কতৃত্ব্যঞ্জক গলায় হুমকি দিপে-_“স'রে যাও, তফাৎ যাও বুঝতে পারছিনা তৌমরা এখানে এত মজাদার কি পেলে! কিছুই নেই, মশাইরা......আবার বল্ছি'**"'*। লোকটাকে বুদ্ধিমান বলে মনে হচ্ছে। যে মাথায় বোলার হাটি...'".ওকি? দেখাচ্ছি তোমায় পুনিশের অত্যাচার কাকে বলে। মিথাইলচাক লোকটাকে দেখে

প্রাণ-প্রবাহিণী রড রা.তো| হেই, দুষি গুঁড়ি মেরে কোথায় এগোঙ্ছে৷ ছে, ছৌকর। ? আমি...

দরজাটা তে্গে খোলা হল। ঘরের তেতর ছড়িয়ে ঢুকলো__ ারিটি সাক্ষীর অন্ত একজন পাহারাওয়ালা আর সুজন তারকার. তাদের পিছনে াক্তার। হাটি মেবোর উপর পড়ে রয়েছে, বিছানার পাশে পী্ছটে রংয়ের কার্পেটের উপর মুখটা গৌঁজা। তার $ হাতধানা বুকে চাপা, ডান ছাতখানা ছড়ানো পিশ্তলটা একধারে পড়ে রয়েছে) মাথার নিচে ঘন রজ্েয় যোত। বা দিককার রগে হোই একটা গোল গর্ত বাতিটা তখনও অবলাইিল: ঘড়িটা জততালে টি্‌টিক করছিল।

কাঠ খোষ্টা বাধা গতে একটা ছোউ এজাহার লিখে তার লক্ষে আত্মহত্যার চিঠিধানা এটে দেওয়া হলো। ছুই তদারককার আর পাহারাওয়ালা মিলে মৃতদেহটা নিচে তলায় নামিয়ে আনলো। বাতিটা মাথার উপর তুলে আরসেনী পথে আলো দেখালো য্যানা, পুলিম ইদ্লপেক্টার আর লেকট্তান্ট উপরের যারাণীয জানালা দিয়ে দেখছিল। সিঁড়ির বাকের মুখে বাহকদের পাঁ ফসকে যাওয়ায় তারা দেওয়াল আর নিড়ির সৌপান-্তস্তের মাঝে চেপে গিইলো) পিল থেকে যে মৃতদেহের মাথাটা ধরে আনছিল--তার হাত গেল ছুটে। মাথাটা সিঁড়ির উপর জোরে ধাক্কা, খেতে লাগলো--এক-.-ুই... তিন...

জানালা থেকে বাড়ীওর়ালী রাগে চীৎকার ক'রে 'বনূলে_পঠিক হাচ্ছে ওর...টিক হছে-+স্পাজী বদযায়েলটা! আমি তোদের একর জন্তে তালো রকম বকৃলিস্‌ দেব 1”

্রাণপ্রবাহিনী

চুল তাবে মন্তব্য ক'রে পুলিশ ইন্স্পেন্টর আড় চোখে চাইলে... _. শ্কেন। আমায় এখন খবরের কাগজে জাহির ক'রলো লোকটা তো) আমি একটা গরীৰ মেয়েমাছৃষ, থেটে খুটে খাই). এর পর থেকে ওর সঙ্গে সঙ্গে লোকে আযাব ছোটেল মাড়াবে না-”

সহাচছতূতির সঙ্গে সমর্থন করে ইন্মূপেক্টর বললে--বান্তবিকই, আমি এই ছাত্রগুলোর রকম সকম বুঝতে পারি না! ওর! লেখাপড়া করতে চায়, না) ওরা লালবাণ্ডা ঘুরোয় তারপর গুলি করে মরে। ওদের বাপ মার যে কি হবে সেকথা ভাবতেই চায় না ওরা। ওরা স্ব য়িছ্দীদের টাকায় কেনা..." নিপাত যাক, নিপাত যাক। অবিস্থি এই একই খেলাতে তালো তালো সন লোকও আছে মনতাস্ত লোকের ছেলেরা, পা্রীরা, ব্যবসায়ী, চমৎকার দন এদের যাই হোক আজি আপনাকে উারিফ দিচ্ছি...

“না-না-না-কিছুতৈই না” বাড়ীওয়ালী ব্যস্ত সমস্ত হয়ে বললে-_ “এধুনি আমাদের নৈশ তোঙ্ষের আয়োজন হবে, চমৎকার একটুখনি ছেরিং খেতে ছবে। তা না হ'লে আমি কিছুতেই আপনাকে ছাড়ছি লা; কোন কারণেই না।”

ইনসূপেক্টার একটু ঘাবড়ে গিয়ে বললে_“সত্যি ১৭ বলতে কি." আচ্ছা বেশ। বাস্তবিক পক্ষে আমি নাগোরনোর বিপরীত দিকেই যংচ্ছিলাম--*যা হোক কিছু খেতে আমাদের কাজ-..বিলীততাবে পাশ কেটে বাঁড়ীওয়ালীকে দরজার তেতরে পথ করে দিয়ে বললে “-*প*কঠিন | মাঝে মাঝে সারাদিনেও কুটো কাটতে আমরা পাই না”

নৈশভোন্ধে তিনজনে প্রচুর ভডকা টানলে। য্যানা ক্রি- রিকোভনা সমস্টা লাল হয়ে গেছে। ঝক ঝকে চৌখ আর রক্ত

প্রাণপ্রবাহিন চু

স্বাধা ক্যধর নিয়ে টেবিলের তলার পায়ের একটা দূত খুলে ফেলে ইন্সপে্টারের পায়ের উপর চাগ দিলি! বেকট্সা্ট কটমটিয়ে চাইলে | ইর্ধান্ধিত হয়েছিল--এবং সারাক্ষণ চেই! বরছিল একটা গলপ কেঁদে

ইন্সপেক্টর কান দেয়নি উপরস্ধ বাধা দিয়ে হুরস্ত কাহিনী শুরু করলো- প্পুলিসে-.. 2

ছু্ধনে পরম্পরের প্রতি যতদুর স্ব অবস্তা আর অস্ভমনদ্বের ভাব দেখাবার চেষ্টা করছিল। ছজনেই যেন ঠিক দুটো সোমোস্ক কুকুর সবে মাত্র দেখা হয়ে গেছে উঠানে।

লেফটষ্ঠাণ্টের দিকে না চেয়ে * উ৩ঘ৪ দিকে চেয়ে ইম্‌স- পেক্টার বললে, “আপি দেখছি কেবলই বলতে চাইছেন" 'রেজিযেন্টে, রেজিমেপ্টে) কিছু মনে করবেন না, আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি, কারণটা কি? কেন আপনি চাকরি ছাড়লেন ?”

এআচ্ছা”**” লেফট্া্ট অপরস্থত হয়ে বাব দিল, “আমি কি আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারি আপনি পুলিসের চাকরীতে এলেন কি করে, কেমন করে এই রকম জীবনযাত্রায় পড়লেন ৮”

এই সময় য্যানা কোন থেকে যোনোপ্যান বাজনার বাক্সুটী এনে চিজেভিচকে দিলে হাতল ঘোরাতে সামান্ট অস্থরোধের গর ইন্সপেকটার তার সঙ্গে পোলকা নাচ শুরু করলো......মে ছোট্ট মেয়ের মত এলো যেলো লাফাতে লাগলো, তার সঙ্গে তার কপালের উপর কৌকড়ানো চুলগুলোও নাচতে লাগলো। ভারপর ইনস্পেক্টার হাতল ঘোরাতে লাগলো তখন লেফটন্তা্ট নাচতে শু করলে) বাড়ীওয়াীর বী হাতটা তার ধা পাশে চেপে মাথাটা পন দিকে হেলিয়ে। য্যালিচকাও চোখ নামিয়ে নাচতে লাগলো।

প্রাথগ্রবাহিণী

তার ঠোটে কোল উকনো_ঘাসি! ইন ্‌ দায়ে যানে গর যো ুে। “আমি ওঘারে ছাত্রটাকে রা দেখছিবুম। আছি

বাইরে আছি আর তোমরা"+"'" যা, আমার উপর ঠিক কুকুরের

মৃত বাবহার করেছো নু য়ে এক মায় ছাত্র ছিলি মে এখন-বযবদ্ছেলগ'রের একটা ঠা

কামরায় দ্র বায়ে বরফের উপর গড়ে বয়ে পাশে ছে গাসের হলদে শিখা হনূদে এবং উংক্ট। তার আচ্ছাদন-হীন ভান পারে হর উপর মোটা কামির হন বেখা যহেছে ১৮ &টাই হলো বাবচ্ছাদাগারে তার নম্বর

ইদস্পেক্কার তার হে

বিপর্যয়

ছুলাই মাসের বিকাল গাঁচটা। প্রচণ্ড গরম। পাথরের তৈরী বিরাট শহরটা থেকে হুলস্ত গন্গনে হাপরের মত ভাপ বেরচ্ছে। সাদা দেওয়ালের বাড়ীগুলোর বলক্‌ অসহৃ। প্চ-ঢালা রাস্তাগুলে! গণলে পা! পুড়িয়ে দিচ্ছে। হুড়ি-বীধানো রাস্তার বুকে ম্যাকাসিয়া গাছের হায়াগুলো যেন, শুকিয়ে মুস্ড়ে পড়ে রয়েছে; সেগুলোও যেন ভেতে গেছে রোদে বিবর্ণ ষমূত্ মৃতের মত তার সর্বনথ অনড় হ'য়ে পাড়ে রায়েছে। রাস্তায় উড়ছে সাদা সাদা ধূলো।

একটা সখের খিয়েটারের শ্রোতাদের বিশ্রাম কক্ষে স্থানীয় ব্যারিষ্টার- দের ছোট্ট এক কমিটি বসেছে ঘিহ্দীদের উপর গত বেপরোয়া হত্যাকাণ্ডে যারা ছূর্ভোগে প'ড়েছিল তাঁদের মামল! চালাবার ভার নিয়েছেন এরা | রোজকার যা কাজ প্রায় শেষ হ'য়ে এসেছে তখন। এঁরা সংখ্যায় উনিশ জন ছিলেন উপস্থিত ; সক লই ছুনিয়ার (সহকারী), যুবক, উ্রতিশ্ীল এবং বিবেচক লোক। বৈঠকে কোনোরকম আহ্মঠানিক ব্যাপার ছিল না) বেশীর ভাগ পরিধানে সাদা পেপ্টজুন আর সাদা ফ্রানেল এবং সাদা আলপাকার পোষাক। যিনি খানে পেরেছেন বসে গেছেন ছোটো ছোটো মার্ধেল টেবিলের স্লামনে। আর সভাপতি ব'সেছেন একটা ফাক! কাউপ্টারের সামনে) শীতের ছিনে এই কাউন্টারে চকোলেট বিক্রী হয়।

চোখ ঝন্মানো রোদ আর রান্তার কোলাহলের সঙ্গে জানালার তিতর দিয়ে উত্তাপ আসছিল, তাতে ব্যারিষ্টাররা একেবারে শ্রান্ত

চে বিপর্যয়

হয়ে পড়েছিলেন একটা বিশেষ রকমের উত্তেজনার সঙ্গে সভার কাছ্ছ চলেছে টিমেভেতালায়।

সভাপতির আসনে দীর্ঘকীয়.এক যুৰা, হুন্দর তার গৌফ. জোড়া 'আর পাতলা পাতজা চুল। কেমন ক'রে এখুনি বেরিয়ে গডে নৃতন কেনা সাইকেলে চ'ড়ে বাংলোমুখো হবেন সেই চিন্তাতেই ছিলি 'বিতোর। গিয়েই তাড়াতাড়ি পোষাক ছেড়ে ঠাওা হবার অপেক্ষা না ক'রে ঘেমে-নাওয়া অবস্থাতেই পরিষ্কার শীতল স্ববাসিত সমুদ্রের জলে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। সারা দেহটা নিস্তেজ কাঠপানা হায়ে গিছলো, এই চিন্তাতে শিহরণ জেগে উঠলো। সাম্নেকার কাগঞ্- পন্ধগুলো অসহিফুভাবে নাড়াচাড়া ক'রে ঝিমুনো গলায় বলে উঠলেন_“তাহলে জোসেফ মোরিজোভিচ রুবিনসিকের মাঁমলাটা চাঁলাবেন-*”""*কোধ হয় প্রচলিত ধারা যতে একটা বিবৃডিও. তৈরী ক'রে নিতে হবে ?* . স্তার সব চেয়ে অন্য সহকর্মী বেটেখাটো মোটাসোটা কারাইম- বামী দেখতে খুব কালো এবং সতেজ, চাপা গলায় কনূলে অধচ যেন সকলেই অনৃতে পায়-_“প্রচলিত ধার! মতে সবচেয়ে ভালো জিনিষ হচ্ছে বরফ দেওয়। ভ্যাস্‌ (রুশ দেশীয় এক প্রকার যদ )।

সভাপতি তাঁর দিকে তীব্র কটাক্ষপাত ক'রলেও ন। হেসে থাকতে পারলেন না। একটা দীর্ঘ্াস ছেড়ে টেবিলের উপর ছুই হাতে তর দিয়ে দাড়িয়ে উঠে ঝঁরৃতে যাবেন যে, তার কাজ বন্ধ হ'লো__এযন সময় থিয়েটারে ঢোকবার দরজায় খাঁড়া ছিল যে দারোয়ান ছঠাৎ এগিয়ে এসে বনূলে-“গাতজন লোক বাইরে আগেঙ্গা করাত, তেতরে আসতে চায় তারা ।”

বিপর্ঘস় ৪১

সভাপতি ব্যনস্তভাবে সকলের দিকে দেখে-নিয়ে বলূলেন--“কি করা যাবে বরুন, আপনার! ?”

নানারকম উত্তর এলো তার!

“পরের বার হবে) ব্যাস্‌ ব্যাস্‌।”

“ওদের বক্তব্য লিখে দিতে বলা হোঁক্‌।”

“যদি তাড়াতাড়ি শেষ ক'রতে পারে ওরা--এখুনি খতম ক'রে দিন?”

“িলোয় যাক ওরা ভঃ একে তো ফুটত্ত পিচ ঢাল্ছে, যেম. গরমে

বিরক্তিভরে মাথা নেড়ে ঈঙ্গিত ক'রে সভাপতি কলুলেন “আস্তে বলো ওদের। আর-. আমাকে এক গ্লাস্‌ ভিসি (রুশ দেয় একপ্রকার সরবৎ বিশেষ) এনে দিও; কিন্তু ঠান্ডা: হয রে

দারোয়ান দরজ| খুলে বারান্দা থেকে ভাঁক্লে তাদের--ক্তিভর- 'আছুন। এরা ঝল্ছেন আসতে পারেন আপনারা 1”

ভারপর, সবচেয়ে বিশ্ময়কর এবং অপ্রত্যাশিত সাতটি ফি সারি- বন্দি উদয় হুণলো বিশ্রাম কক্ষে। প্রথমটিকে দেখাচ্ছি বেশ পরিণত বয়সের দৃঢ়চিত, ফিটফাট পে"য'ক- স্যুজের শুকুনো বালির রংয়ের 'উপর চমৎকার গোলাপী রংয়ের সঙ্গে সাদা ডোরাকাটা সার্ট: 'ৰোতাম ঘরে একটা লাল গোলাপ। সামনে 'থের্কে তার মাথাটা দেখাচ্ছিল খাড়া করা বরবটি কলাইয়ের মত আর পাশ থেকে দেখাচ্ছিল 'যেন শোয়ানো বরবটি। মুখখানাকে সাদ্স্ত ক'রেছে ফোটা এক 'জোড়! ঘন পালোয়ানী গোঁফ | নাকের উপর জ্জ্রীং আটা একটা খন নীল কীচের চশমা, হাতে খড়ের মত. রংয়ের দন্তালা, বাঁ হাতে

৪২ বিপর্যয়,

একটা রূপা বীধানো কালো ছড়ি, ডান হাঁতে ফিকে নীল রংয়ের, রুমাল। | অপর হুজনকে কেমন একটা অন্কুত খাপছাড়া সব মনে হচ্ছিল যেন তারা তাড়াতাড়ি কোনো মতে কেবল তাদের পোষাক পরিচ্ছদ নয়, হাত, পা আর যাখাগুলোও চাপিয়ে এসেছে একজন ছিল__ তাকে পাশ থেকে দেখলে জীদ রেল রোম্যান সেনেটারের মত দেখায়; তার পরণে ছেঁড়া খোঁড়া পোষাঁক ) আর একজনের গায়ে ছিল পরিষ্কার পোষাকী ওয়ে্টকোট, তার বড়ো ছেঁড়া জায়গার ফাক দিয়ে উত্তর রুখীয ঢংএর সার্ট ন্জরে পড়ছিল এদের মুখগুলো সব বেখাপপা, আদামীদের মত, কিন্তু এমন দৃঢ়তার লঙ্গে চেয়ে রয়েছে__মনে হয় কিছুতেই তাদের হটাতে পারে না। এই লোকগুলোকে দেখতে যুবকদের মত হ'লেও স্পষ্টই মনে হয় জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা এদের' আছে_বেশ সাবলীঞী চাল চলন, সতেজ গতিবিধি এবং একটা গুপ্ত সন্দেহজনক ধৃত বৃষ্িওবিস্মান এদের মধ্যে

'বেলে রংয়ের পোবাকপরা ত্রলোকটি পরিষ্কার সহজ তব্যতায় কেবল মাধাটি নত ক'রে আধা প্রশ্নের ব্য্জনায় বল্‌লে--“সভাপতি: মহোদয় 1

সভাপতি ব+লূলেন_্যা, আযিই সতাপতি। বনুন আপনাদের কি আছে?”

তদ্রলোকটি মোলায়েম গলায় শুরু ক'রলো--“আমর! সকলেই,

তত প্ব'লে সঙ্গীদের দিকে ফিরে তাদের দেখিয়ে ঝলুলে, “আমরা *

এসেছি সংযুক্ত রোস্তত-খারকত এবং ওডেমুসা-নিকোলেইতের, তস্কর সঙ্গের প্রতিনিধি ছয়ে”

ব্যারিষ্টার তাদের আসনে নড়ে উঠলেন।

বিপর্যয় ৪৩

সভাপতি চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ কপালে তুলে থতমত খেয়ে প্রশ্ন ক'রলেন--“কিসের সঙ 1”

বেলে রংয়ের পোষাক পরিহিত ভদ্রলোকটি শান্ততাবে আবার বল্লে--“তঙ্করদের সঙ্ঘ। আমার কমরেডরা আমাকে চূড়ান্ত লন্মাশ দিয়েছেন এই প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র নির্বাচিত ক'রে ।”

সতাপতি এলোমেলো! তাবে বলৃলেন-_এধুব*'খুসি-' হলাম 1” . “্থষ্ঠবাদি আপনাকে আমাদের সাতজনই সাধারণ তত্কর, অবস্ঠি তির তি বিভাগের & সঙ্ঘ আমাদের উপর ভার দিয়েছে আপ- নাদের বন্মাষ্ঘ কমিটির কাছে.” এই ব'লে তদ্রলোকটি আবার মাথা! নত ক'রে নমরধীর অভিবাদন ক'রে বল্লে- সহায়তার সম্মাননচক দাবী জানাবার 1

“আমি ঠিক বুঝতে পারছি না..স্পষ্টই ব'লৃছি''কি সম্পর্কে". সভাপতি হতবুদ্ধি হ'য়ে হাত নেড়ে ব'ল্লেশ_“ঘাই হোক, বছুন.."

“ভদ্রমহোদয়গণ্, যে ব্যাপারের জঙ্ঠো আমরা আপনাদের কাছে আবেদন করতে সাহসী হ'য়েছি এবং সম্ানিত মনে হষ'রছি সেটা খুব পরিষ্কার, খুবই সহজ এবং ধুব সংক্ষিপ্ত। সেটা ব্ৃতে" হয়তো ই'সাত যিনিট সময় নেবে। একে তে! আপনাদের অধিবেশনের শেষ মুখ, তার উপর ছায়াতেই উত্তাপের যাত্রা! উঠেছে ১১৫*ডি্রী ফার্ণাহিট, এই দিক থেকে আমার মনে হয় ওটা ক'লে রাখাই ভার্লো।” বক্তা সামাগ্ত একটু গল! থেকারী দিয়ে তার চমৎকার সোনার ঘড়ি- টার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ ক'রলো।

“আপনারা দেখেছেন, স্থানীয় কাগজগুলোতে গত 'যিছদী হত্যা কাণ্ডের ছুঃখময় তয়ঙ্কর দিনগুলোর যে সব বিবরণ শেষের দিকে প্রক্কী- শিত হয়েছে তাতে প্রায়ই ইঙ্গিত রয়েছে যে, পুলিশ থেকে পয়সা

বিপর্থায়

দিয়ে দল গড়ে যাদের & হত্যাকাণ্ডে উত্তেজিত করা হয়েছিল তার! হচ্ছে সমাজের যত সব নিকট শ্রেণীর লোক-_তাদের মধ্যে ছিল যাতাল, ভবঘুরে, গণিকাপালিত লম্পটগুলো আর বস্তি যত ও? তদ্কররাও তাদের মধ্যে ছিল। প্রথম প্রথম আমরা চুপচাপ ছিলাম কিন্তু শেষ পর্য্যন্ত ধীমীন' সমাজের সমক্ষে আমনের উপর এই অগ্যায় এবং গুরুতর অভিযোগের প্রতিবাদ করা প্রয়োজন যণে করলাম আমি তীলোভাবেই জানি যে, আইনের চক্ষে আমরা অপরাধী এবং সখীজের শক্ত! কিন্তু, এ্মহে'দয়গ”, আপনারা একটুণানি ভেবে -দেখুন সমাজের এই শরুদের অবস্থাটা কি দীড়ায় যখন তাকে সম্পূর্ণরূপে এমন একটা অপরাধের জগ্ঠে অভিযুক্ত করা হয় যা সে কখনো তো করেই না পরন্ত যার বিরুদ্ধে সে তার দেহমনের-সমস্ত শ্তি নিয়ে 'ঈাড়াতে প্রস্ত। বলাই বাহুল্য যে, সাধারণ স্বাভাবিক একটা ভাগ্যবান নাগরিকের চেয়ে, এই অবিচারের উৎপীড়ন তার পক্ষে বেনী অুসহদীয় হবে। এখন আমরা ঘোষণা ক'রে জানাতে চাই যে, আমাদের কিছ্ধে যে অভিযোগ আন! হয়েছে ভা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তি হীন_বাস্তবতীর দিক থেকে তো বটেই, যুক্তির দিক থেকেও অসম্ভব মাননীয় কমিটি যদি অসুপ্রাহ ক'রে শুনৃতে চান জমি মাত্র -গোটাকিতক কথা ব'লে তাঁ প্রমাণ ক'রে দিতে চাই 1” সভাপতি ব্লুলেন_বিলে যান?”

বারিষ্টাররাও তখন' উৎসাহিত: হ'য়ে উঠেছিলেন, তাদের মধ্যে “থেকেও শোনা গেল_পিয় ক'রে বলুন--বলুন আঁপনি ৷”

“নামার সব ক্মরেডেয হ'য়ে আমি আপনাদের আন্তরিক ধগ্যবাদ জানাচ্ছিশি বিশ্বাস করুন আমাকে, আমাদের, ওর নায কি, সংশয়- বন্বলই বলি; সংশয়সন্ুল অথচ ছুঃলাধ্য কম'জীবিদের প্রতিনিধিদের

বিপর্যয় 8৫

উপর এই কৃপানৃষ্টির জপতে আপনাদের কোনোদিনই অন্গৃতাপ করতে হবে লা। তাহলে আমরা শুরু করি-যেমন জিরালডোনাই প্যাগলি- যাকৃসির প্রস্তাবনায় গেয়েছেম।

«কিন্ত তার আগে সর্ব প্রথম আপনার অন্থমতি নিয়ে আমি আমার গলাটা একটু ভিঙ্গিয়ে নিতে চাই। ওহে পোর্টার, আমার জগ্ে একটা লেমন্ড আর এক গ্রাস বিলাতী-*লৌকটা বড়ো ভালো! তন্রমহো- দয়গণ, আমি আয়াদের উপজীবিকার নৈতিক দিক বা সাযাজিক প্রয়োজনীয়তার দিক নিয়ে আলোচনা করবো না। প্রধোর চিন্তাকর্মক ভ্ুলস্ত বচনটা আমার চেয়ে আপনাদের ভালোরকম জানা আছে সন্দেহ নাই_বিত্তের অধিকারী হওয়ার চেষ্টা চুরিডাকাতিরই নামাস্তর। কথাটা আপাতঃ যুক্তিতে অসম্ভব বা অবিশ্বাস্তও ব'লৃতে পারেন কিন্তু কগীটাকে এপর্যন্ত কাপুরুষ মধ্যবিভদের ৰা ভোগপুষ্ট: যাজকদের তত্বকথায় খণ্ডন করতে পারে নি। উদাহরণ স্বরূপ মনে. করুন, কোনো পিতা উদ্যম আর কৌশলের দ্বারা লাখ লাখ টাকা! আহরণ ক'রে ছেলের জন্মে রেখে গেলেন__একটা রোগা ডিগডিগে অলস নির্বোধ নীচ আহাম্মোক, মন্তিফহীন কীট বিশেষ-_সন্ত্যিকারের পরগাছা যাকে বলে ' কার্মতঃ হিসাব করলে লাখ লাখ টাকা! হলো. লাখ লাখ. কাজের দিন__অগণিত সংখ্যক লোকের শ্রম, স্বেদ, প্রাণ জার রক্ের যে নিরদ্ুশ আদিম অধিকার তাই। কেন? এর মুনন বা কারণ কি? সম্পূর্ণ অজ্লাত। তাহলে বসুন আপনারা, কেন আমাদের এই প্রস্তাবে সম্মত হবেন না, যদি আমরা বলি যে, সত্যি বরৃতে কি, আমাদের উপকীবিকা হচ্ছে, ব্যক্তি বিশেষদের হস্তে সঙ্গিত অতিরিক্ত সুম্প্রদের সংশোধন কর! এবং সেটা ছক মানবতার উপর সকল রকম কষ্ট, স্ব, যথেচ্ছাচার, উতৎপীড়ন অবজ্ঞার এব্‌ং আইফুনিক,

ঞভ বিপর্যয়

সমাজের ধনিক সম্প্রদায়ের সমবেত চেষ্টার পৈশাচিকতার গ্রৃতিবাদ- শ্বর্প। আজই হোক বা কালই হোক সামাঞ্তিক বিশ্লবের ফলে ধারার পরিবতন নিশ্চয়ই হবে। সম্পত্তি কোথায় চ'লে যাবে বিস্বৃতির অত্রল তলে করুণ কাহিনীর মত, তার সঙ্গে সঙ্গে আমরাও ধরাপৃষ্ঠ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবৌএই আমরা, শ্রযশিল্ের বীর অধি- মায়কর্ল।”

পোর্টারের হাত থেকে ট্রেখানা নেবার জগ্ভে বক্তা থামলো; সেটা .টেধিলের উপর তার হাতের কাছে রেখে কলূলে_ “মাফ. করবেন, তত্রমহোদয়গণ' হ্যা, এই নাও হে, তুঁমি'---স্যা, আর একটা কথা,

তুমি যখন বেরিয়ে যারে দরক্জাটা বন্ধ ক'রে দিয়ে যেও” “যে আল্তে, মহারাজ £ পরিহাস করে জোর গলায় বলে উঠলো পোর্টার।

বক্তা আধ গ্লাস পানীয় নিঃশেষ কারে শুরু ক'রলো--“যাই হোঁক ্রশ্টার দার্শনিক, "সামাজিক এবং অর্থ নৈতিক দিকগুলো! বাদ দিন। আমি-আপনাদের যনোযোগকে ক্লিট করতে চাই না সেষাই ছোক, আমার বলে রাখা আবক যে, আমাদের পেশাটা যাকে আর্ট বলে, প্রায় তাঁর কাছাকাছি যায়। “আর্ট হতে গেলে যে সকল ্$পাব্লী থাকা দরকার এর মধ্যে সবই আছে--এতে চাই যোগ্যতা, গ্ক্কা চাই প্রেরণা, কল্পনা, উদ্ভাবনীশার্জি, উচ্চাকাঙ্ষা আর এর বিজ্ঞানে চাই দীর্ঘ একাগ্র শিক্ষাসাধনা। এতে কেবল ধর্মের ছোয়াচটির অভাব, এর সম্বন্ধে কার'মক্তিন লিখে গেছেন তার অত প্রদীপ্ত অস্কুরাগ নিয়ে! ভন্রমহোদয়গণ, আপনাদের জঙ্গে পরিহাস করা বা আপনাদের মূল্যবান সময় বিযোহদ বচনে বৃথা নষ্ট করা আমার অতিপ্রায়ের সম্পূর্ণ বাইরে) কিন্তু আমার বক্তব্যটা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা লা করে পারি লা। তত্বর বৃদ্ধি

বিপর্ধয় ৪৭

সম্বন্ধে কিছু বলাটা, বাইরের লোকের কানে উদ্তট এবং হাণুকর ঠেক্বে। যাইহোক, আমি আপনাদের নিশ্চয় করে বলূতে পারি যে বৃ্িটা খুবই বাস্তব। এমন সব লোক আছে যাদের স্বৃতিশক্তি বিশেষ প্রবল এবং ধারালো, যানের দৃষ্টিশক্তি খুব তীক্ষু এবং অন্রন্ যাদের উপস্থিত বুদ্ধি আর হাত সাফাই দেখবার মত! সবার চেয়ে বেশী হচ্ছে ভাদের সুক্ষ স্প্শামভূতি। সত্যিকষধা বলৃতে কি, তারা যেন তগবানের রাজ্যে জন্মেছে কেবল বিখ্যাত তাসের যাদুকর হবার মত বিশেষ উদ্ষেশ্র নিয়ে। পকেটমাঁরদের বৃত্তিতে চাই অসাধারণ ক্ষিগ্রতা এবং £তৎপরতা, নড়াচড়া সম্বন্ধে তয়ঙ্কর রকমের নিশ্চয়তা, উপস্থিত বুদ্ধির কথা ছেড়েই দিন, পর্যবেক্ষণ করবার এবং স্রেনমৃি রাখবার প্রতিত! থাকা চাই। কারুর কারুর বিশিষ্ট পেশা হচ্ছে সিন্দুক তাঙ্কা। তাদের সুকুমার শিশুকাল থেকেই-_-বাইসাইকেল, শেলাইকল, দমদেওয়া খেলনা, আর ঘড়ি গ্রতৃতি যত রকমের জটিল কলকজার রহস্তে আকষট হয় তারা ভদ্রমছোদয়গণ, চরম কথা হলো এই যে, এতে এমন স্ব লোক আছে ব্যকিগত সম্পত্তির ওপর যাঁদের পুরুষাচুক্রমিক বিছেষ ব্তমান। আপনারা হয়তো! এসব ৰলবেন অধঃপাত। *কিন্ত আমি বলতে পারি কোনো নিষ্ঠাবান তস্বরকে বা চৌর্যই যার পেশা তাকে কিছুতেই আপনি একটানা বিরক্তিকর সততাঁবে বেঁচে থাকার পদ্থায়, প্রলুন্ধ করতে পারবেন না কোঁনো চমক্দার পুরস্কার বাঁ পাকা পদ- মর্ধাদার প্রলোভনে নয়ই, কাঞ্চন বা কামিনীর প্রেম দিয়েও নয় ; কারণ এর মাঝে রয়েছে একটা স্থায়ী ঝোক্কির পুলক। বিপদের অতল তষ্ঠৌ তলিয়ে যাবার বিপুল আকর্ষণ হৃদয় ভেজে যাওয়ার মধুর অনুভূতি, প্রাণের প্রচণ্ড স্পদূন আর উল্লাম1 আপনারা সব অস্ত্সঙ্জায় তৈরী রয়েছেন_ আইনের আশ্রয়ে, তানাচাবি, রিতাঁলবার, টেলিফোন,

8৮ বিপর্ধয়

পুলিশ আর মৈস্কহামন্ত নিয়ে কিন্ধ আমাদের কেবল নিজেনের-নক্ষতা, চুরতা জহ ভাশূ্তা। আমরা হচ্ছি শেযালের দল আর. সাঙ্গ হলো ফুফুর পাহারায় ঘেরা মোরগ শাবনের ঝাঁক! জাপনারা কি জানেন হে, আমাদের গল্ীর যারা কুশলী এবং যেধ ম্পর লোক তারা মধ ঘোড়াচোর বা মাছচোর হয়? আর কি চান? আগ্রহীল, উচ্চাভিলাবীদের পক্ষে জীবনটা কত তুচ্ছ, কত বিশ্বাদ এবং কত অসহ- রকযের বোদা হয়ে গেছে ভাবুন] .

“প্রেরণার কথা বলি এবার। ভভ্রযহোদয়গণ। আপনারা নিশ্চয় এমন চুরির কথা পঁড়ে খাকবেন, কাজে এবং পরিকরীনায় যেগুলো অভিপ্রাকৃত ঘটনার যত ঠেকে | খবরের কাগজের মাথায় বড় বড হরফে লেখা হয়-_বিশ্বয়কর ডাকাতি? .বা ““অঙত প্রতারণা + অথবা 'পকেটমারদের চতুর ফঙ্দি। তখন আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের মাতন্বরেরা অবাক হয়ে হাত নেড়ে বলৃতে থাকেন--/কী ভীষণ ব্যাপার! এই সব লোকের ক্ষমতাখখলো যদি ভাল কাজে লাগানো হ'তো-_ ওদের উদ্ভাবনী শক্তি, মাম্থৃষের মনন্ৃত্ব নমবন্ধে ওদের &ঁ আশ জ্ঞান, ওদের আক্ষ্রত্যয়, ওদের নির্ভীকতা আর ওদের & অতুলনীয় অভিনয় ক্ষমতা! দেশের কি অসাধারণ উপরারই না করতে পারতো ! করিন্তু এ.কথা হ্ববিদিত, যে, এই মধ্যবিত্ত মাতষ্বরদল হ৮। বিধাতার বিশেষ পরিকল্পনায় ষ্ট জীব কেবল আজেবাজে তুচ্ছ কথা আগওড়াবার ন্ভে। আমিই নিজে মাঝে মাঝে চোর আযরা একটু ভাবগ্রবণ নোক হই.মযাষি স্্ীকার করছি আমি নিজেই মাঝে মাঝে মৃগধ ছয়ে ফাই মনোরম সূর্বন্ত দেখে আলেকজ্ঞাঙার পার্কে অথবা সমুদ্রের তীরে, এবং আমি আগে থাকৃতেই জানি, আমার আশে পাশে কেউ না কেউ বলৃবে রীতিষত তন্ময় ছয়ে, “দেখ, দেখ, দৃষ্ঠ ছবিতে আকা

বিপর্যয় ৪৯ হালে কেউ বিঙ্বীল করতে না কিছ়ে তাকালে শ্বভাবতাই দেখবো পরব খাসইপুই কোনো অধ্যবিত মাতকার, যারা অপর কারর মূ বচন ক্ষপচে জাল পীখেদ নিজের কথাই ব'লছে। আমাদের এই প্রিয় স্বদেশকে & মহাষিত -মাতবযরদল দেখে ঠিক বল্সানো টা্ষির মত। কোনোমতে পাহীর সেরা অংশটা নিজে কেটে নিতে পারলেই আরামদায়ক একটা কোণে গিয়ে চুপি চুপি খাওয়া আর ঈশ্বরকে ধস্যবাদ দেওয়া কিন্তু আসলে লোকটাকে আমি প্রাধাগ্ত দিই না, অন্লীল- তার প্রতি আমার বিভৃষ্জাবশতঃই আমি বিষয়ান্তরে চলে গেঙ্ছিং আমার এই অবাস্তর আলোচনার জগ্ভে মাজলা ক'রবেন। প্রক্কত কথা হচ্ছে, প্রতিভাই বলুন আর উদ্ঘযই বলুন, গোঁড়া যাজক সম্প্রদায়ের সেবায় তা! নিযুক্ত না হ'লেও সেগুলো ছুর্লভ এবং লুন্দরই থেকে যায়। গ্রগতিই হ'দে' নিয়ম; চৌর্ধের মধ্যেও শ্ষর্টির অবকাশ রগ্কেছে।

“মোটকথ। প্রথম দৃষ্টিতে যতটা মনে হয়, আমাদের পেশাটা! কোনো মতেই তত সহজ বা সুখকর নয়। এতে চাই দীর্ঘ অস্িজ্ঞতা, অবিরাম সাধনা আর ধীর এবং কষ্টকর অস্ুশীলন। এর মধ্যে শত শত হুকুমীর কুশলী পন্থা যে-সব রয়েছে তা লুচতুর বাজীকরেরও সাধ্যের বাইরে। আমি যে আপনাদের কাছে ফাকা বুলি আউড়ে যাচ্ছি না তার প্রমাণস্বক্ূপ, ভদ্রমহোদয়গণ, আপনাদের সামূনে এখুনি তার কয়েকটা! প্রত্যক্ষ নমুনা দিচ্ছি। ধারা ক'রে দেখাবেন জীদের উপর সম্পূর্ণ আস্থা স্থাপন করতে অন্থরোধ করি। উপস্থিত আমরা সকলেই এখন আইনের চক্ষে যুক্ত, যদিও স্বভাবতই আমাদের উপর নজর রাখা হয়, এবং আযাদের প্রত্যেকেই মুখচেদা আর আমাদের ফোটোগুলো সকল. গোয়েদা বিভাগের চিত্র সংগ্রহের খাতায় শোতা

[ও

ঠিক করেছি আপনাদের সম্পত্তি হস্তক্ষেপের উধ্রবিলে ঘোষণা করা হবে এবং তার উপর চৌর্ শাস্ত্রের নিষেধ-বাক্য প্রয়োগ কর! হবে। যাই হোক, আমি কাজের কথা কই" বক্তা মুখ ফিরিয়ে বলুলে, “মহাুতব সিসোয়ি, এদিকে আনুন এক বিরাটকায় পুরুষ, সামনের দিকে একটু ছুয়ে পড়া, হাত দুটো হাটুতে গিয়ে ঠেকেছে, কপাল ৰা ঘাড় নেই বললেই চলে, এক বিশাল মনোরম হারকিউলিসের যত, সামনের দিকে এগিয়ে এলো; * নির্বোধেরে মত ধীত বার কারে হেসে হত হয়ে বাচেখের রগড়াতে লাগলো ধরা গলায় বললে, পকিছুই করতে পারবো না, এখানে কিছুই নাই” কমিটির সদসথদের গ্রতি মুখ ফিরিয়ে সেই বেলে ₹য়ের পোষাক পরা তদ্রুলোকটি তার হ'য়ে বলূদে-তত্রমছোদয়গণ, আমাদের সঙ্ের . একজন মানীয় সত্য আগনাদের সম্মুখে দণ্ডায়মান এর হাতিযশ হচ্ছে মিদদুক ঢাঙ্গায়, লোহার বার এবং টাকাকড়ি সংক্রান্ত কাগঞ্গপত্রের আধার খুলে ফেলায়। এর নিশাকালীন কাজকর্মে সরবরাহ থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করে থাকেন। দুঃখের

ত।

বিপর্য় $১

বিষয় যার উপর তাঁর সেবা কেরামততির পরীক্ষা! ক'রে দেখাবেন তেমন কিছুই নাই। সবচেয়ে শক্ত রকমের তালাও উনি অনায়াসে খুলে ফেলেন! ***৭ তাল কথা, এই যে দরজাটা, বোধহয়, চাবি দেওয়া, নয় কি?”

প্রত্যেকের দৃষ্টি পড়লো দরজাটার উপর, যাতে ছাপা! হরফে বিজ্ঞাপন ঝুল্ছিল-_“মঞ্চের দরজা? “সাধারণের নহে)

সভাপতি তার কথায় সায় দিয়ে বলৃলেন, “হা দরজাটা চাবি দেওয়াই বটে।”

“চমৎকার | মহামগুতব সিসোয়ি, আপনি কি দয়া করবেন ?”

বিরাটকায় পুরুষটি মন্থরতাবে বলেল, "ও কিছুই নয়”

তারপর দরজার খুব নিকটে গিয়ে হাতে করে সন্তর্পনে নাড়া দিয়ে তাঁর পকেট থেকে একটা ছোট ঝকঝকে যন্ত্র বার ক'রে চাবির গর্ডের উপর ঝুঁকে সেই যন্ত্রের সাহায্যে কি যে ক'রলে ধরতেই পারা গেল না, তারপর খাড়া হয়ে দাড়িয়ে নিঃশকে দরজাটা দুষাক করে খুলে দ্রিলে | সভাপতির হাতে ঘড়ি ছিল; দেখলেন সমস্ত ব্যাপারটা পারতে মাত্র দশ লেকেণ্ড লেগেছে।

বেলে রংয়ের পোষাক-পরা ভদ্রালোকটি বিনীত তাবে বললে, “্যহাম্ুতব সিসোয়ি আপনাকে ধগ্যবাদ; আপনি আপনার আসনে গিয়ে বসৃতে পারেন”

সতাপতি ঈষৎ সন্ত্্ত হয়ে বাধা দিয়ে বলূলেন, “মাফ. ক'রবেনঃ সব খুবই মজাদার আর শিক্ষাপ্রদ সন্দেহ নাই কিন্ধ':.*.*আপনার 25875 চাবি দেবার হাতও "আছে নাকি ?”

ভদ্রলোকটি তৎক্ষণাৎ নতশির হ'য়ে বললে, “আঃ মার্জনা করবেন

৫২ বিপধয় আযায়। ওটা আমি ভূলে গিছুলাম। মহামুতব সিসোরি, আপনি কিআমায় বাধিত করবেন ?” ূ্ববৎ ক্ষিপ্রতায় এবং নিঃশবে দরজাটায় চাঁৰি দেওয়া হলো। সহক্মী্মছোদয় দন্তবিকাশী হাসি হেসে হেনৃতে ছুলৃতে বন্ধুদের কাছে ফিরে গেল। বক্তা শুরু করলে, “এইবার আমি আপনাদের আমার কমরেডদের আর একজনের দক্ষতা! দেখাতে পারলে কতার্থ বোধ করবো) ধারা খিয়েটার এবং রেল ষ্টেশনে পকেট কেটে থাকেন ইনি তাদের পর্যায় কাঁজ করেন। ইনি নিতীস্তই যুবক, তা হলেও এঁর এখনকার কাজের মধ্যে সুপ সাফাই দেখলে আপনারা হয়তো কিছুটা অগ্্মান করতে পারবেন, শ্রমযন্ধে তবিষ্যাতে উনি কত উচুদরের হবেন। ইয়াসা !” একটি কালো বুবা, নীল সিষ্কের ব্লাউজ আর চক্চকে বুটপরা জিপ্িদের মত+বুক ফুলিয়ে এগিয়ে এলো! কোযরবদ্ধের থোপ নাগুলো আন্ুলে ক'রে নাড়তে নাড়তে আর খুশি মনে ভার সাদায় হলুদে মেশানো রাড়ো বড়ো ছূরষিনীত কালো চোখ দু'টো ঘোরাতে ঘোরাতে। বামি রংয়ের পোষাক-পরা সেই তদ্লোকটি বিশ্বাস জতম্মাবার বাঞজনায় বমূলে, “ভদ্রমহোদয়গণ, আমার অস্থুরোধ, আপনাদের উপর একটু পরীক্ষা করে দেখাবার জগ্তে যদি কেউ দয়া ধরে এগিয়ে আসেন। আমি আপনাদের নিশ্চয় করে বলছি এটা দেখানো হবে ধাত্র, ঠিক খেলা দেখানোর মত।” এই বলে সে উপবিষ্ট লোকাদের উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো শর্বটে খাটো স্থলকায় কারাইমবাসী, গুবরে পোকার বত কালো চেহারা এগিয়ে এলেন তার টেবিল থেকে। আমোদ তরে বললেন

“জো হুকুম

বিপর্যয় ৫৩

বক্তা যাথা নেড়ে ইজিত ক'রে বল্লেশ্ইয়ীসা 1” ইয়াসা ব্যারি- স্টারের কাছে ঘেঁসে এলো। তার বাঁ হাতটা ঝোলানো, তাতে প্রকটা ঘোর রংয়ের গলাবন্ধ খুলছিল।

সে বেশ মিষ্টি গলায় অনর্গল বলৃতে জরা আপনি গির্জায় রয়েছেন অথবা বারের একটা হলে-_অথবা সার্কাস দেখছেন। আমি সোভাহ্বুজি দুরে দেখছি এক মালদার লোক ; মাফ, করবেন মশাই যনে করুন আপনিই সেই মালদার। রাগ করবার কিছু নাই; তার যানে ধনী ভদ্রলোক, বেশ ফিটফাট কিন্ত ক্কার আশপাশের ব্যাপারে ওয়াকিফহাল নন। প্রথমতঃ কার সঙ্গে কি কি থাকা সম্ভব? সব রকই। বিশেষ করে ঘড়ি আর চেন। কোথায় সেটা রাখেন তিনি। হয়তো তার ওয়েষ্টকোটের উপর দিককার পকেটে কোধাও-_এখানে। অগ্য লোকেরা নিচের পকেটে রাখে। ঠিক এইখানে। তহবিল বেশীর তাগ থাকে পেপ্টুনের পকেটে ; কেবল যৃবকেরা জ্যাকেটের পকেটে রাখে সিগারকেস- "আগে দেখতে হবে কিসের সেটা, সোনার, রূপার-_লাযের যোহর করা কিনা। চাষ্ড়া--তাহলে ভদ্রলোকে হাত নষ্ট করবে কেন? সিগারকেস। সাত সাতটা পকেট-এটাতে-_এটাতে-_এটার্ে-_ উপরে__ওটাতে_তী ওটাতে। ঠিক হয়েছে; তাই না? এই তাবে আপনাকে কান্ত সারতে হবে 1”

সে যখন কথা কইছিল ঘুবক ব্যারিষ্টার হাসছিলেন। তার চোখ- ছুটো সোজা ব্যারিষ্টারের চোখের উপর জলঙ্জল করছিল। তার ডান হাতের ক্গিপ্র নিপুন গতিতে তীর পরিজ্ছদের বিভিন্ন অংশ দেখাচ্ছিল। “*স্ছ্যা, তারপর হয়তো দেখবেন টাইয়ে এখানে পিন রয়েছে অবিষ্তি আমরা ওটা আঘ্মসাৎ করি না। আঁজকালক্কার ভদ্রলোক সব খুব কমই সত্যিকারের পাথর বঙগানো পিন ব্যবহার করেন।

৫৪ বিপর্যর

তারপর শ্রাঘি তাঁর কাছে গিয়ে সোজাক্কিভি তদ্রলোকের মত কথা কইতে শুরু ক'রবো-আপনি দয়া কু আগুনটা একবার দেবেন 1*অখবা রক একটা কিছু। যে কোনো উপায়েই হোক আমি তীর সঙ্গে কথাবাত শ্তরু ক'রলাম। তারপর কি? আমি সটান তীর চৌধ ছুটোর উপর চাইলাম--ঠিক এই রকম ক'রে আমার কেবল ছুটো আঙ্গুল এতে লাগে_-এইটে আর এইটে?” ইয়ান! ভার ভান হাতের দু'টো আঙ্গুল, সাম্নের আর মাঝের, ব্যারিষ্টারের মুখ পর্যন্ত তুলে এদিক ওদিক নাড়াতে লাগলো।

“দেখছেন! এই ছু'টো আঙ্গুল দিয়ে আমি সারা পিয়ানো চ'ষে বেড়াই। আশ্চর্য্য হবার কিছু নাই এতে; এক-ছুই-তিন- প্রস্তুত যেকোনো লোক বোকা না হ'লে সহছেই শিখতে পারে এইতে) আর কি, খুবই সাদাসিধে কাজ অংপন'কে ধন্যবাদ

স্থানে প্রস্থান ক'রবার শ্রটিপ্রযে পকেটমার গোড়ালির উপর পাক খেয়ে এগোলো!।

“ইয়াসা 1" বালি রংয়ের পোষাক-পরা তদ্রলোকটি গুরুত্বপূর্ণ তাবে বনূলে। “ইয়াসা 1” জোর ক'রে ডাক দিলে *'বার।

ইয়াসা থামলো ব্যারিষ্টারের দিকে পিছন ফিএ।নো ছিল তার; প্রতিনিধির দিকে সে বেশ সুস্পষ্ট অনুনয় দৃষ্টি নিক্ষেপ কারুলো কারণ লে তখন ভার দিকে ভ্রকুটি ক'রে মাথা নেড়ে ইঞ্জিত ক'রছিল।

ধমক্‌ দেবার গলায় তৃতীয়বার বান্লে_“ইয়াসা 1”

তত্কর যুবক বিরক্তিকচক শব্দ ক'রে “আ:” বলে ব্যারিারের দিকে ফিরলো। মিহি গলায় জিজ্তাসা ক'রলে--“আপনার ছোট ঘড়িটা কোথায়, মশাই ?”

বিপর্ধয় ৫৫

“এই ব্যাঃ?” বলে চমকে উঠলেন সেই কারাইমবাসী |

“দেখলেন ত? আপনি এখন বর্ছেন “এই য্যাঃ” তৎপনার হরে বালৃতে লাগলো ইয়াসা, "সারাক্ষণ আপনি মুগ্ধ হ'য়ে আমার ডান হাতটা দেখছিলেন আর আমি বা হাত দিয়ে আপনার ঘড়িটা সরাচ্ছিলাম; গলাবন্ধের আড়ালে এই দু'টো আধুলদিয়ে। এই জগ্ভেই আমাদের গলাবন্ধটা থাকে। আপনার চেনটার কোনো দাম নেই_কোনো মহিলার উপহার হবে, ঘড়িটা সোনার, চেনটা আমি নেইনি, রেখে দিয়েছি আপনার স্বৃতিচিন্ন ছিসাঁবে। নিন।” ব'লে দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে ঘড়িট! তার দিকে এগিয়ে দিল!

“বাইহোক-.খুই সাফাই” হতবৃদ্ধি ব্যারিষ্টার ব'ল্লেন_-“আমি লক্ষ্যই করিনি ।” |

গর্বভরে ইয়াসা বালূলে, “ই তো আমাদের কাজ

সে আবার হেলৃতে ছু'ল্তে তার সঙ্গীদের কাছে ফিরে গেল। ইতি মধো বক্তা তার গ্লাস থেকে এক চুমুক পান কারে শুরু করলো

«এইবার, ভদ্রমহোদয়গণ, আমাদের পরবর্তী সহযোগী আপনাদের কয়েকটা খুব সাধারণ তাসের খেলা দেখাবেন_-যে সৰ কৌশল হাটে, ্টামারে বা রেলে দেখানো হয়। তিনখানা তাস দিয়ে, ধরুন একটা টেক্কা, একটা বিবি আর একটা ছ্' নিয়ে তিনি খুব সহজেই...কিস্ত আপনারা হয়তো এই সব খেলা দেখে এলে গেছেন*****”

“মোটেই না; খুব চমৎকার লাগছে,” সভাপতি সাগ্রহে ব'লে উঠলেন, “যদি নেহাৎ অবিবেচকের যত না হয় একটা প্রশ্ন জিল্তাসা কা'রতে ইচ্ছা হ'চ্ছে__মহাশয়ের নিজের বিশেষত্ব কি ?”

“আমার-হাঃ'**লা নাতঅকিব্ছেকের মত হবে কেন? আমার কাজ বড়ো বড়ো হীরের দোকানে-"'আর একটা পেশা আছে

€৬ বিপর্যয়

ব্যান্কে।” মধুর হাফি ছেসে জবাব দিল বক্তা_-“এ কাজটা অনা সবার চেয়ে সহজ মনে করবেন না। চারটে ইউরোপীয় ভাষা, জান ফ্রেঞ্চ ইংরাজী, আর ইতালীয় তাল ভাবে ছানি, পোল, ইউক্রেণী আর ইড্‌ডিসের কথা ছেড়েই দিলাম যাক্‌, মভাপতিমহে'দ্য়। আর কসরতের পরীক্ষা আপনাদের দেখাবো কি?”

সভাপতি তার ঘড়ির প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ কারে বলূলেন_ “ছুর্ভাগ্য আমাদের ) সময় বড় সক্ষেপ আপনাদের কাছের কথণ্ট] পেড়ে ফেন্লে ভাল হয় না? তাছাড়া আমরা এখনই যে স্ব কৌশলের পরীক্ষা প্রত্যক্ষ করলাম তাতেই আপনার মাননীয় সহযোগীদের গুণাগুণ সন্বন্ধে যথেষ্ট বিশ্বাস হয়েছে...+.ঠিক বলি দি আমি, আইসাক র্যাব্রামেতিচ?”

কারাইম ব্যারিষ্টার তৎক্ষণাৎ জমর্থন ২: বল্লেন" ক্যাংঠিক 1 স্

“বেশ বেশ?” বালি রংয়ের পেমাক-পরা « লোকটি সম্মতি- হুচক মিষ্টি গলায় বলূলে। তারপর, দে গড়া চুলওয়ালা পরিষ্কার একটি লোক, ব্যান্কের ছুটির দিনে : জয়ার্ড প্রস্তত- কারকের মুখের মত মুখথানা তার, তার ছি ফিরে বলূলে, “কাউণট-ধশাই, আপনার যন্ত্রপাতি রেখে দিন। ওসব্রে আর দরকার হবে না। তদ্রমহোদয়গণ, আর গুটিকয়েক কথা মাত্র আমার বলবার আছে। এখন আপনাদের নিশ্চয় বিশ্বাস হ'য়েছে যে আমাদের কলাকৌশল, উচুদরের লৌকদের পৃষ্টপৌষণা না পেলেও আর্ট বটে; এবং আপনিও হয়ত মার সঙ্গে একমত যে, এই আর্ট হচ্ছে এমন যাতে অবিরাম শ্রয, বিপদ এবং অসোয়ান্তিকর ভুল বোঝাবুঝি আছেই; তা! ছাড়া চাই ব্যক্তিগত নানান গুণাগুণ)

বিপর্যয় ৫৭

"আমি আশা করি আপনি বোধহয় এটাও বিশ্বাস করেন যে, প্রথম দৃষ্টিতে কাজটা যতই অন্তত লাগুক শেষ পর্যন্ত এর অনুশীলনে আগগ্রহশীল হওয়া যায়, এই কাজের অঙ্গুরাগী হওয়া যায় এবং সম্মানও দেওয়া যায় একে আপনারা কল্পনা! করুন-খ্যাতনাযা কোনো! মেধাবী কবি, ধার গান এবং কবিতা আমাদের উত্রষ্ট সাময়িক পত্রিকার পৃষ্ঠা অলংকৃত ক'রে থাকে, তীকে হঠাৎ একটা কাজের শ্থযোগ দেওয়া হ*লৌ-কবিতা লেখবার, এক লাইন, এক এক পেনি হিলাবে--সিগারেট জেস্মিনে-এর বিজ্ঞাপন স্বরূপ ; অথবা ধরুন আপনাদের নামকরা ব্যারিষ্টারদের কারও নামে দুর্নাম র'টে গেল, তীর উপর এই অভিযোগ যে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের সাক্ষী সাজিয়ে অথবা গাড়ীর কচুয়ান থেকে যদের দোকানের যংলিক পর্বস্ত সকলের আবেদন পত্র লিখে বেশ কিছু করছেন! অসশ আপনার আত্বীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিত লোকে ভা শিশ্বাস করবেন না। কিন্তু গুজবে তখন বিষিয়ে যা দেবার দিয়েছে আপনাকে তখন প্রতিমুহূর্ত কাটাতে হবে উৎপীড়নের মধ্যে ভেবে দেখুন, এই রকম গ্লানিকর ন্রিক্তিজনক অপবাদ, কে রটালে ভগবানই জানেন, তাতে যে কেবল -খপনারই সুনাম এবং স্বপরি- পাকের বি্ব স্ুকু ক'রলো তা নয়, আপনার স্বাধীনতা, আপনার স্বাস্থ্য এবং এমন কি আপনার ভীবনকেও বিপর করতে শুরু ক'রবে। . “আমাদের এই চোরদেরও অবস্থা তাই, হয়েছে, সংবাদ পত্রে অপবাদ দিতে শুরু করেছে! পরিকর ক'রে বল! দরকার আযার। ইতর এক শ্রেণীর লোক আছে-_ঘত্যন্ত ইতর প্রকৃতির, যাদের আমরা বলি মায়েদের দোহাগের খোকা। দুর্ভগাবশ্তঃ

€্ বিপর্যয়

এদের সঙ্গে আমাদের গুলিয়ে ফেল! হ'য়েছে। . ওদের লক্জাও নেই, বিবেকবুদ্ধিও নেই, লম্পট ইতর সব, মায়েদের অকর্মন্য মাণিকের- দল, অলস, জঘন্য পরান্নতোভী সব, দোকানের সহকারী, যার! অনিগুন চৌ়কর্ষ করে থাকে৷ তার বার্বপিতা-কত্রীর অক্নে জীবন ধারণ করার জন্যে কোনো বিকারই নাই ভাদের যনে, ঠিক সেই সামুক্িক মঙ্ধা ম্যাকারেল মাছের মত যারা সব সময় মাদী মাছের পিছু পিছু সাঁতরে বেড়ায় আর তাদের ঝিষায় জীবন ধারণ করে। মাত্র একটা পেনীর জন্যে তারা ছোটো ছেলেকে অন্ধকার গলিতে নিয়ে গিয়ে লুঠ ক'রতে পারে) ঘুমন্ত মাহগষকে মেরে ফেনৃতে পারে ; বৃদ্ধার উপর উংপীড়ন ক'রতেও পারে তারা এরা হ'লে! আমাদের পেশাতে কণ্টকস্বর্ূপ। ওদের জন্যে আমাদের এই আর্টের সৌদর্য আর গৌরব বিষুপ্ত হয়েছে। আমাদের মত সত্যি- কারের প্রতিজ্ভাবান তঙ্করদের উপর ওদের দৃষ্টি ঠিক সিংহের উপর শৃগালদলের মত। মনে করুন আমি একটা মোটা দাও মেরেছি_সে কথা আযরা উল্লেখ করতে চাই না যে, রিসিভার, ধারা যা্লগুলো বেচবেন বা বাটা দিয়ে হী ভাঙাবেন তাদের আমার তিনতাগের ছৃ'ভাগ দিতে হবে অথবা আমাদের নিষ্কলুস গুলিশকেও তীরা যথারীতি নভরানা যা দিয়ে থাকেন তাও %:ত হবে, সে লব বাদেও আমাকে কিছু কিছু ভাগ দিতে হবে & পরগাছাদের যারা হয়ত! দৈবাৎ বা লোক মুখে শুনে কিন্ব। অকম্থাৎ দেখে ফেলে আমার কাজের সন্ধান পেয়ে গেছে

“তাই আমরা ওদের" বলি আধা অংশীদার। ওদের দিই কেবল ওর জানে বলে_আমার বিরুদ্ধে বলে দিতে পারে। এমনও প্রায় হয় যে, ওদের ভাগ পাবার পরও ওরা ছুটলো পুলিশের কাছে আর.

বিপর্ধয় £দ

একট] আধ সতারিন,পাবার জস্তে আমরা, ভায়পরায়ণ তন্করদ্'*”:-- হা, আপনারা হাসৃতে পারেন তদ্রমহোদয়গণ, কিন্তু আমি আবার বলি, আমরা সং তন্করদল & সব সরীশ্রপদের দ্বণ! করি। ওদরে জার একটা নাম দিয়েছি আমারা-_কলঙ্কের ছাপ দেওয়া, কিন্তু এই জায়গার এবং আমার প্রোডৃবুনদের সন্ান রক্ষার জদ্ে তা উচ্চারণ ক'রতে সাহস হচ্ছে ন। | হা, ওরা সানন্দে & বেপরোয়া হত্যাকাণ্ডে যোগদান করবার নিমন্ত্রণ গ্রহণ ক'রবেই। প্র ব্যাপক হত্যাকাণ্ডে আমাদের যোগদান করার অভিযোগের চেয়ে ওদের সঙ্গে আমাদের তুল ক'রে মিশিয়ে ফেলা হ'তে পারে সেই চিন্তাই আমাদের পক্ষে শতগুণ অপমানের হয়েছে।

প্ভদ্রমহোদয়গণ, আমি কথা কইতে কইতে মাঝে মাঝে আপনাদের মুখে হাসি লক্ষ্য ক'রছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছি আপনাদের হাসির কারণ_ আমাদের এখানে আগমন, আপনাদের সাহাযের ভষ্ঠে আমাদের আবেদন, সবচেয়ে বেশী হাচ্ছে তগ্করদের রীতিমত প্রতিষ্ঠান থাকা, যে ঘটনা কারুর কল্পনাতেই নাই, তাদের আবার প্রতিনিধ্দিল, তারাও প্রত্যেকে তন্কর, এবং সেই প্রদ্তিনিধিদের একজন আবার মুখপাত্র তিনিও পেশাতে তত্র" +""এই সব ব্যাপার এতই আদি অক্ত্রিম যে হাসি পাওয়া অনিবার্ধ। কিন্তু এবার আমি আমার অন্তরের অন্তরমত কন্দর থেকে ব্লৃছি ; ভদ্রমহোদয়গণ, আমাদের বাহিরের আবরণ বাদ দিন, আমরা মানুষ হিসাবে মামুদের সঙ্গে কথা কই আস্বন।

“আমাদের প্রায় সকলেই শিক্ষিত এবং সকলেই গ্র্থ রাগ. আমরা কেংল রোফিমকোলের ছুঃনাহলীক অভিযান কাহিনী পড়ি না, বাস্তবপন্থী লেখকরা আমাদের সম্বন্ধে যা বলেন। আপনারা কি.

বিপর্যয়

মনে করেন, আমাদের মমস্থুল আহত হয়নি এবং মুখে চপেটা- খাতের মত আমাদের গণ্ডে ছ্ালা অচ্গুতব করি নি সব সময়, যতদিন শ্রী তাগ্যনাশা, গ্রানিকর, অভিশপ্ত কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ড চলেছিল! আপনারা কি বাস্তবিকই মনে করেন যে আমাদের আত্মা ক্রোধে উদ্দীপ্ত হয় না যখন আমাদের দেশ কসাকদের কশাহত হয়, পদপীড়নে নিশ্পেষিত হয়, ক্রুদ্ধ উন্মত্ত লৌকদের গুজিবর্ষণে এবং নিষ্ঠীবন ক্ষেপণে জর্জরিত হয়। আপনারা কি বিশ্বাপ করেন যে, আমরা তস্কররাও আনন্দ উল্লাসে ভাবী স্বাধীনতার প্রতিপদাক্ষেপের সমুশীন হই ?

“আমরা জানি, আমাদের প্রত্যেকেই জানি__হয়তো আপনাদের মত ব্যারিষ্টারদের চেয়ে কিছু কম হবে, ভদ্রমহোদয়গণ, বেপরোয়া হত্যাকাণ্ডের যথার্থ অভিপ্রায় কি! যখনই কোন কাপুরুষোচিত ঘটনা ঘটে ধ্অথবা গ্রানিকর বিফলতার উৎপড়ি হয়, কোনে! শহীদকে ছুর্গের নিতত কোণে হত্যা করবার পর অথবা জন- সাধারণের বিশ্বাস তঙ্গ করবার পর, তখন কেউ কেউ যারা শুকিয়ে ' থাকে, যাদের ধরাষ্ট্রোয়া মেলে না তারা সাধারণের ক্রোধে তীত হ'য়ে নির্দোষ যিহদী্দের উপর সেই ক্রোধের করঙ্কর বহ্িকে পরিচালিত করে। কাদের পৈশাচিক চিভে এই নিব্চার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা জাগে_এই রক্তসাগর ব্হানো, এই নারকীয়

.নরমেধ উক্নাস__পশুবৃত্ির লোক যত”

“আমরা বেশ পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি সামনে আমলাতন্ত্ে শেষ হাত-পা খ্িচুনী। ছবিটা কল্পনার ভুলিতে এঁকে দিচ্ছি, যাফ করবেন আমাকে একটা জাত ছিল, তাদের ছিল প্রধান একটা মন্দির, তার অভ্যন্তরে পুরোহিত-ুরক্ষিত যবনিকার অস্ত-

বিপর্যয় ৬৯. রালে ছিল এক রুক্তপিপান্থ দেবতা শস্কাবিহীন হাত এসে একদিন সেই পর্দা দিলে ছিড়ে তখন সকল লোকে দেখল দেবতার পরিবর্তে সেখানে র'য়েছে বিরাট এক লোষশ মাকড়সা দ্য কাটলমাছের মত। তাঁরা তাকে প্রহার করলে, গুলি ক'রলো তার উপর; তাঁকে বিছিয় ক'রে ফেলা হ'লো। বিস্ব তখনও চরম যন্ত্রণার উন্মাদনায় তার আকুড়েধরা বীভৎস শুড়- গুলো সেই প্রাচীন মন্দিরের চারদিকে বাঁড়াচ্ছিল। আর পুরো- হিতদল, তারাও মৃত্যুদপ্ডাদিষ্ট; তাঁরা তাঁদের শঙ্কা-কম্পিত হস্তে যাকে পাচ্ছিল ধ'রে এগিয়ে দিচ্ছিল দানবটার কবলে

“আমায় মাজনা ক'রবেন। আমি যা বল্লাম তা হয়ত থুঝই উৎকট এবং সাংগ্রস্তহীন। আমি একটু উত্তেজিত হ'য়ে পড়েছি; আমায় মাফ, ক'রবেন। যা বলছিলাম আমরা, যাদ্রে পেশাই হ'লে! চৌর্ঘ, আমরা, অস্ত সব লোকের চেয়ে ভালো ভাবেই জানি কেমন ক'রে ত্র ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের অগ্ুষ্ঠান সঙ্ঘটিত হয়। সর্বত্র আমাদের গ£িবিধি_ মদের দোকানে, বাজারে, চায়ের দোকানে, নিদ্খানায় (ভাড়া দিয়ে সুযোবার ঘর), সরকারী জায়গায়, বন্দরে সর্বত্র আমরা ঈশ্বরের সাম্‌নে, মাহুষের এবং ভবিষৎ, বংশধরদের সামনে শপথ ক'রে বলতে পারি যে, আমরা দেখেছি কেমন, ক'রে পুলিশ লজ্জার মাথা খেয়ে কোনো গোপনতার বাঁধাই না রেখে এই হত্যাকাণ্ডের পরিচালনার জনো দল তৈরী করে। আমর! তাদের সকলের মুখ চিনি, কর্মচারীর পোষাকেই ধীক আর ছদ্মবেশেই, থাক তারা। তাঁরা আমাদের অনেককে ডেকেছিল অংশ গ্রহণ করবার জন্যে; কিন্তু আমাদের মধ এমন নীচ প্রক্কৃতির কেউ. ছিল-না যাদের তয় দেখিয়েও মৌখিক সম্মতি পাওয়া সম্ভব হতো!

বিপর্যয়

পুলিশের উপর কি রকম ব্যবহার ক'রহিল? এই গুপ্ অনু- ্ানের সুযোগে যারা লাতবান হয়েছে তারা পর্বস্ত দ্ুনজরে দেখে নাওদের। কিন্তু আমরা তার চেয়ে ব্রিশওণ দ্বণা করি; অবজ্ঞা করি খুলিশকে_তার কারণ, আমাদের অনেকে গোয়েন্বা বিভাগে নির্ধাতিত হয়েছে কলে নয়, ওটা আতঙ্কের আগার মেরে মেরে যুমূর্য কারে দেওয়া হয়__গরুর চামড়ার আর রবারের চাবুক দিয়ে, একটা কিছু শ্বীকীরোক্তি নেবার জন্য অথবা আমাদের কোনো স্হযোগীকে প্রতারিত করবার জন্যে। হ্যা, আমরা সে জনোও তাঁদের দ্বণা করি। কিন্তু তত্কর আমরা, আমাদের সব যারা কারাগারে আবন্ধ, স্বাধীনতার প্রতি একটা উদ্মাদ আকাক্ষা আছে আমাদের! সেই কারণেই আমরা আমাদের কারারক্ষীদের দ্বণা করি-_যাচ্ুষের যনে যতখানি ঘুগা পোষণ করতে পারে ততখানি ঘ্বপা করি। আমি আমার নিজের কথা বলি।, তিনবার পুলিশের গোয়েন্দার দ্বারা শারীরিক নির্ধাতিত হয়েছি আধমরা কারে * ছেড়েছে তারা! আমার যক্ং, ফুসফুস “সিভিল হায়ে গেছে। পরদিন অকাল বেলা রক্তবহি কারে আমার শ্বাস বন্ধ হ'য়ে যাবার জোগাড়! কিনব এখন যদি আমায় বলা হয়ু যে, চতুর্ধারের চাবুক থেকে আমি রেহাই পেতে পারি কেবল যদি আমি গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কর- মর্ধন করি। ভা হলেও আমি তা করতে চাইনা। ₹॥

“আর সংবাদ পত্রে প্রচার করছে যে আমরা ওদেরই ছাত "থেকে প্রবঞ্জণার কড়ি নিষেটি_ম্ছুষের রজেরাডা টাকা। না "না, তত্রমহোদয়গণ। অপবাদ এমন যে আত্মীকেও বিদীর্ঘ করে,

বিপর্যয় ৬ও

অমহুণীয় যন্ত্রণা আরোপ করে। টাকা নয়, তয় না, প্রলোভন নয়, এর কোনোটাই আমাদের ভাইদের যারবার জগ্ভে আঁমা- দিকে ভাড়াটে হত্যাকারীতে পরিণত করবার পক্ষে যথেষ্ট নয়; তাদের কাজে সহযোগিতা করবার পক্ষেও নয়।” |

পশ্চাতে দগায়মান তাঁর সঙ্গীদল ব'লে হর কখনো না?”

তস্কর কলে চ'লূলো-“আহফি আরও বলি। সেই ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের সময় আমাঁদের অনেকেই নির্ধযাতিতদের রক্ষা ক'রেছে। আমাদের বন্ধু, ঃহাগ্ুতব সিসোয়ি ধীর লাম, এইমাত্র আপনার! তীঁকে দেখ লেন, ভদ্রমহোদয়গণ, তিনি তখন এক য়িহদী বিছুনি প্রস্তত কারীর সঙ্গে বাস করতেন মোল্ডাতাঙ্কায়। হাতে একটা উনান থোঁচার শিক নিয়ে তিনি একদল হত্যাকারীর বিরুদ্ধে তার বণ্ডীওয়শক রক্ষা কারেছিলেন। একথা সত্যি যে, যহাম্থুতব' সিসোয়ি অসীম শারীরিক শক্তিশালী লোক এবং সে কর্থা মোল্ডাভাঙ্কার সব অধি- বাসীদের জানা ছিল। কিন্ত, ভজ্রমহোদয়গণ, একথা আপনাদের স্বীকার করতেই হবে যে, এক্ষেজে মহাম্থুতব গিসোয়ি "একেবারে মড়যুর সামনে দাডিয়েডিলেন। আমাদের সহকর্মী মাইনার যার্টিন্ যে ভদ্রলোকটি ওখানে” বক্তা আঙ্গুল দিয়ে দেখালে একক ফ্যাকাসে রংয়ের, দাঁড়ীওয়ালা লোককে, হ্ন্দর তাঁর চোখ জোড়া $ পিছন দিকে ঈীভিয়েছিল। এক বৃদ্ধা যিহৃদী রয়ণীকে বীচিয়ে ছিলেন, যাকে উনি তার আগে কখনও দেখেন নি, একদল ইতর-. লোক তার পিছু নিয়েছিল। ওর সেই চেষ্টার জগ্টে ভার! ওর": মাথা ভেঙ্গে দিয়েছিল ভাঙা যোরে, হাতের ছু ভায়গা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল, পাঁজরার একটা হাড় টুকরো টুকরো কারে দিয়েছিল।?

৬৪ বিপর্যয়

উনি সবেমাত্র হালপাতাল: থেকে বেরিয়েছেন। উর ভাবে জামাদের মব একনিষ দৃ্প্রতিজ সদস্তেরা কাজ করেছেন আর গন্থান্ সকলে রাগে কেপেছে এবং নিজেদের অসামর্থোর জস্তে অক দিসর্জন কারেছে। “আমানের কেউই সেই কষিরসিক্ত দিন এবং অগ্রিশিখীয উদ্ভাঙ্িত রক্তমাখা রাত্রিগুলোর আতঙ্কের কথা তুব্‌বে শা? পনেই সব রোদন- স্বীলা রমণী আর শিশুদের হিরভিন দেহ, প্রাণহীন প'ড়ে রয়েছে পথের উপর! কিন্তু সে কাজের জন্যেও আমাদের কেউই মনে করেন না যে, পুলিশ এবং ইতর সাধারণই বাস্তবিক এই অনাচারের মূল। এই সব তর নির্বোধ, দ্য কীটগুলো কেবল বোহশূন্য হাতিয়ার নয়, নীচ স্বার্ধপর-চিত্ত শাসিত এবং পৈশাচিক ৃতষ্বারা পরিচালিত শয়তান সব

“বাস্তবিক, ভন্রমহোদয়গণ” বক্তা ব'লে চারুলো আমরা তত্করেরা, আপনাদের আইনের চক্ষে দ্বণা অর্জন কা'রেছি। কিন্তু দ্রমহোদয়গণ, আপনাদের যখন চতুর, সাহসী অনুগত লোকদের সাহায্যের দরকার ইবে দীড়াবার জনো, তখন কারা মৃত্থার সম্মুখীন হাতে প্রস্থত হবে গাল গাইতে গাইতে, মুখে পরিহাসের "সি নিয়ে, পৃথিবীর & সবচেয়ে গৌরবমণ্ডিত শব্দ ্বাধীনতা'র জ/-তখন কি আপনার! আমাদের সরিয়ে দেবেন, আপনাদের বদ্ধমূল বিভুষ্কার জন্যে কি ভাড়িয়ে দেবেন আমাদের? চুলোয় যাক্‌ সব, ফরাসী বিশ্বে প্রথম যে প্রাণ দিয়েছিল দে ছিল বারাঙলা। দে তার ্বার্টখানা পৃভাবে হাতে কারে ধারে প্রাচীরের উপর লাফিয়ে উঠে চীৎকার কারে: ক্ল্লে, সৈন্যদের মধ্যে কে স্্রীলোককে গুলি ক'রতে সাহস করে দেখি? হা; ঈশ্বরের নামে শপথ ক'রে

বিপর্যনধ ৬,

ব্দুছি/ বক্তা চীৎকার ক'রে মার্বেল টেবিলের উপর যুদ্ঠির আধাভ কারলো।

“তারা তাকে মেরে ফেরূলো কিন্ধ তার সে তদী পুর্ণ তায় কথার মাধুর্ঘ অবিনশ্বর

“যদি সেই মহামহিম দিবসে আপনারা আমাদের .তাড়িরে দেন, আমরা আপনাদের দিকে ফিরে বলবো, “হে নিষলুষ দেবশিশ্ত- দল, যদি মাস্থষের চিন্তার আহত করবার, হত্যাকরবার, যাগ্ুষের যশ এবং ধঙ্বর্ধ অপহরণ করবার ক্ষমতা থ'কে ভাজে, হে নির্দোষ কবুতরদল, আপনাদের কে কশাঘ,৩ এবং যাবজ্জীবন কারাবাস থেকে নিষ্কৃতি পাবেন বনুন?' তারপর আমরা আপনাদের কাছ থেকে গিয়ে দিজেদের উৎফুল্ল গ্রাণমর আম্য তস্করদল গঠন ক'রে মিলিত কণ্ঠে এমন সঙ্গীত নিয়ে প্রাণ বিসর্জন দেবো যে তুষারের চেয়ে শুভ্র আপনারাও ঈর্ষান্বিত হ'য়ে পড়বেন

প্যাই হোক যাফ কণ্রবেন। আমি আবার অন্ত কথায় চ'লে গিছপাম। আমি বক্তব্য শেষ ক'রে এনেছি। তদ্রঘহোদয়গণ। দেখুন, সংবাদ পত্রের অপবাদে আমাদের মধ্যে কী রকম উত্তেজনা এনে দিয়েছে। আমাদের নিষ্ঠার প্রতি বিশ্বাম করুন এবং আমাদের উপর যে জঘগ্ত কলঙ্ক অগ্ায়ভাবে আরোপিত হায়েছে তা মোচন করবার জদ্যে আপনাদের সাধ্যমত চেষ্টা করুন। আমার বক্তব্য শেব হ'য়েছে 1

সে টেবিল ছেড়ে তার সহকর্মীদের সঙ্গে গিয়ে যোগ দিল। ব্যারিষ্টারেরা ফিসূফিস্‌ করছিলেন, ঠিক সেসনের বেঞ্চে মা * ্েটদের মত। সভাপতি মশীয় উঠলেন। “আমরা আপনাদের সম্পূর্ণ বিশ্বাস করছি এবং আপনাদের

৬৬ বিপর্যয়

সঙ্ঘকে এই নিদারুণ অভিযোগের কবল মুক্ত করবার যথাসাধ্য চেষ্টা আমরা কারবো। এই সঙ্গে আমার সহকর্মীরা আমার উপর তার দিয়েছেন নাগরিক হিসাবে আপনাদের উদ্দীপন" অন্ভূতির প্রতি তাঁদের প্রগাড় শ্রদ্ধা নিবেদন করবার) এবং আমার নিদ্ধের পক্ষ থেকে আমি প্রতিনিধিদলের দলপতির অন্থমতি চাইছি তীর সঙ্গে করমর্ন করবার”

দুইজনে, উভয়েই দীর্ঘকায় এবং গন্তীর, পুরুষোচিত দুঢতাবে পরম্পরের হস্তধারণ ক'রলেন। |

ব্যারিষ্টাররা হলঘর ত্তাগ করিলেন | তাঁদের মাধা চারক্ষন হজের পরিচ্ঞণ রাখবার আলনার কাছে একটু আটকে গেলেন। আইসাক « ফ্াব্রামোভিচ ভার নূতন চটকদার পাশুটে রংএর টুপিটা কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কাঠের আলানটায় সেই টুপিটার স্থলে বুলহিল £লেপঠি দোভশজ্জ করা একটা কাপড়ের টুপি।

ছঠাৎ দরজার অপরপ্রাস্ত থেকে বক্তার কর্কশ কণ্ঠে শোনা

গেল, প্ইয়াষা শয়াসা। এই শেষবার তোমায় আমি বাল্ছি ধিক তোমাকে 1." তশিমৃতে পাচ্ছ ?

পরা তদ্রলোকটি ঢুকলো ভার হাতে ফ্যাব্রামোভিচের দেই টুপি আর মুখে বেশ শালীনতা মাথা ছাসি।

প্ভদ্্রমহৌদয়গণ। দোহাই ঈশ্বরের, আপনারা আঁষাদের মার্জনা ক'রবেন--একটা সামাগ্ক ভ্বল হয়ে গেছে। আমাদের এক

বিপর্যয় 1

সহকর্মী, দৈবাৎঘুর্ঠার টুপিটা বদলে ফেলেছেন:'.."এই যে, এ" আপনার সহত্রবার মান্না তিক্ষা করি। ওহে দারোয়ান! জিনিষ পত্রের উপর নজর রাখনা কেন, তাল লোক দুমি ₹, হেঃ? টুপিটা আমায় দাও ত, যে। ভদমহোদগণ। আবার একবার শামি আপনাদের কাছ থেকে মা ভিক্ষা ক'রছি।”

বেশ নধুর ভাবে নত হয়ে অভিবাদন] ছ্ানিয়ে, সেই একই, রকমের শীলীনতী যাধা হাসি নিয়ে রত পদে লে পথে বেরিয়ে

গেল

কৃহকী (১)

শিকার-রক্ষী যারমোলা ছিল একাধারে আমার ভৃত্য, পাচক 'আর শিকারের সঙ্গী-কাধে এক বোঝা কাঠ নিয়ে ঘরে ঢুকে বোকাটা সশন্ধে মেঝেতে ফেলে তার জমে-বাওয়া আঙ্গুলগুলোতে দিছে লাগলো

ষ্টির কাছে গিয়ে গোড়ালির উপর ভর দিয়ে বসে বনূলে__ প্বাইরে কি ঝড়, মশাই ! উচ্ননটা ভাল ক'রে ধরাতে হবে, আপনার দেশলাইটা দিন না?”

“তারমানে, কাল আমাদের আর খরগোশ ধরবার দ্ুঘোগ দিল্বে না। কি বলছে, যারামোলা ?”

“নাঃ ওকথা ভুলেই যান। বরফ গড়ার শব শদৃতে পাচ্ছেন না? ধ্রগোশগুলো চুপচাপ পড়ে আছে, কোনো সাড়া নেই””“কাল মকালে একটাও পায়ের দাগ দেখতে পাবেন না”

কপালের ফেরে পুরো ছ' মাস হলো পল্গিবসির প্রান্তে ভন্- হিনিয়ার যতন কৈচিত্রাহীন ক্ষত গ্রামে পড়ে থাকৃতে হয়েছে | একমান্্ কাক্ আর আনন্দ বনূতে শিকারই ছিল হামার অবলদন। সত্যিকধা বলতে কি, যখন আমাকে এই গ্রামে কাজের তার দেওয়া হয়েছিল) আঁমি ভাবতেই পারি নি এত অসহ্য রফমের এক ধেয়ে লাগবে খামার! আমার খুব আনলই হযেছিদ--পলিয়ল-“ফত দূরে"" প্রকৃতির ক্রোড়ে.'.লরল জীবন-যাত্া""'আমিম স্বভাব"! রেলের

ক্‌হকী ৭১

কামরায় বটে ভাবছিলাম।--ম্ূর্ণ অপরিচিত লোকজন বেখানে, : বিচিত্র তাদের চালচলন, অন্ভুত তাদের তাষা'-*এবং নিশ্চয় হয়ত আছে হাদ্ধার হাজার রূপকাহিনী, কিংব্স্থি আর গান 1, সেই সময, বাত যখন বসেছি সব কথাই বলি, দু'টো খুন আর আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে একটা গল্প ছাপিয়েও ফেল্লাম কোন এক নাম-না-্ঞালা খবরের কাগছে এবং তত্বকথা হিসাবে শামা জানাও হিস যে, সব রীতিনীতি লক্ষ্য করা লেখকদের পক্ষে দরকার ধং কিন্ত, হয় পিয়ারব্রডের কৃষিজীবিদের যধ্যে বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিশেষ কারে বাইরের লোকের সঙ্গে মেলামেশার অত্যামট1 একেবারেই ছিল নাং নয়তো আমারই ভান! ছিল না কি ভাবে তাদের সঙ্গে মিশতে হয়, "-তাদের£জে আমার সম্ব্ধটা বেশীদুর গড়ায় নি--কেবল তাঁরা আমায় “দেখতে পেজে এক মাইল দুর থেকেই তাদের টুপি খুলে ফেল্তো, আর পাশাপাশি এসে পড়লে গুরুগন্ভীর গলায় ব'লৃতোঃ “ভগবান আপনার সঙ্গী, অর্থাৎ বলৃভে চাইতো, ঈশ্বর আপনার সহায় .ছোন'। তাদের জঙ্কে কথাবাতর্ণর চেষ্টা ক'রলেই তার] হতবুদ্ধি হয়ে . চেয়ে থাকৃতো আমার দিকে ; আমার সামাগ্ প্রশ্নেরও জরা তারা দিতে চাইতো না-_সারক্ষণ কেবল আমার হস্ত চু্ধন করবার চেষ্টা অত্যাসটা বোধহয় পোলীয় দাসত্ব প্রথা থাকাকালীন তাদের মজ্জাগত হয়ে গিছিলো সঙ্গে যতগুলো বই ছিল সবই অল্লদিনের মধ্যে পড়া হয়ে গিছলো। একঘেয়ে বিরক্তিকর অবস্থায় প্রথম প্রথম নিতান্ত অসোয়াস্তিকর ঠেকছে যনে হ'তো। চেষ্টা করলাম স্নীয় হুধীজ্বনদের [সরে আলাপ ক'রতে--একজন ক্যাথলিক পাত্রী, তিনি থাকৃতেন পনর তাস (এক ভা্সটি প্রায় ৩৫০০ ফিট) দূরে, অরগ্যানবাদক ভদ্রলোক

৭২ ক্হ্কী

তারই সঙ্গে বাস ক'রতেন স্থানীয় পুলিশ সার্জেন্ট আর নিকটবর্তা এক ভমিদারীর বেলি ( গোম্া বিশেষ )। ভিনি ছিলেন অবগত বিনা সনঙ্গে নিযুক্ত ক্মচারী। এনেবওলঙ্গে আলাপ কারেও . কিছু হলো লা। ফি 28 0 খন গিয়ারের অধিবাসীদের চিকিৎসার কাজে নিদ্ধেকে ব্যাপৃত রাখবার চেষ্টা ক'রলাম। আমার কাছেই ছিল ক্যা জয়ে? কার্বনিকএসিড, বৌরাসিক আর আইডিন। এখানে কিন্তু আমার ডাক্তারী বিলের অভাব ছাড়া আরও একটা অসথবিধা হিল রোগ নির্ঘর করা অসম্ভব হয়ে পড়তো ! কারণ সব রোগীর লক্ষণ হুবহু একই ঠেকৃতো--£পেটে একটা যন্ত্রণা) আর খেতে গিয়ে চিবুতেও পারি না গিলুতেও না?

ব্যাপারটা হ'তো কেমন-_-এক বুড়ী এলো, এদিক ওদিক চেয়ে ডান হাতের তর্জনী দিয়ে নাকটা মৃছূলে। বুকের ভিতর থেকে একজোড়া ডিম বার ক'রে টেবিলের উপর রাখবার সমর চোখে পড়লে! তার বাদামী রংএর হাত খানা তারপর আমার হাতদুটো নিয়ে চুম্বন করবার চেষ্টা। সেগুলো সরিয়ে বাধা দিয়ে বলি-থাক থাক ঠান্দি-..না..আমি পাদ্রী নই.."আমার অধিকার লুউ-তোমার কি হয়েছে বলো ?” “আমার ভিতরে ভিতরে একট: খ্রণা ছচ্ছে) ঠিক ভিতরে, সেউজন্তে কিছু খেতে পারছি না না পারি চিবুতে, না পারি গিলতে +

“সনেক দিন হয়েছে নাকি?”

এর উত্তরে ,আমাকেই প্রশ্ন ক'রে বাস্লো সে, “কেমন ক'রে জানবো বলো? ঠিক যেন পুড়িয়ে দিচ্ছে) লব সময়েই একটা জাল!। কিছু চিবোনোও চলে নাঁ, গেলাও চলে না”

ক্হকী, দত যতই চেষ্টা করিনা কেন, এর বেশী আর সঠিক ফোনে! লক্ষণ মেলে না” পেই বেলিফ একদিন বল্লেন) “ও দিয়ে আপনি যাথা খাযাবেন নাঃ ওরা আপনা হ'তেই সেরে যাবে) কুকুরের গা! গ্বকানোর যত ওদের রোগও আপনা হউতই সেরে যাক্.'"আাধি ছাপনাকে কিন্তু একট! ওষুধ ব্যবহার করতে কলি; সেটা হচ্ছে পাল- ভোলেটাইল' এক ধক একদিন আমার কাছে এলো কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করায় সে বলূলে, “আমার অন্ধ ক'রেছে।' চুষে গিয়ে স্তাল- তোলেটাইলের বোতোলটা এনে বল্লাম-শোকো |, সে শকৃজো-- “শোৌকোঃ জাবার শেৌকো 7 সেআঁবার শুক্জো। “ভাল বোধ করছো না?” “ভালই “গা যনে চাচ্ছে “বেশ তাহলে এবার এসো, ভগবান তোমার সহায় হ'ন।” | আর হস্ত চুদন আমার মোটেই ভাল লাগতো না। (কেউ কেউ আবার ঠিক আমার পায়ের উপর পণড়ে জুতো চুদন করবার চেষ্টা ক'রতো ) কারণ, ওটা তাদের কৃতজ্ঞতার উচ্ছাস কিছুতেই নয়, ওদের একটা স্বণ্য স্বভাব মাত্র। বহু শতনদীন দাঙ্ত গার ক্ররভার ফলে ওদের মধো সজ্জাগত হয়ে গিইলো ! আমি দেখে আশ্চর্ঘ হয়ে যেতাম, যখন সেই বেলিফ আর পলিশ সাজে?ট বিনা দ্বিধায় বেশ গম্ভীর ভাবে তীল্র লাল লাল হাতগুলো বাড়িয়ে দিতেন কৃষকদের ঠোটের কাছে। কেবল শিকারই ছিল একমাত্র স্থল! কিন্তু জাছুয়ারি মাস শেষ হতে লা হতেই এমন ছূর্ঘ্যোগ শুরু হ'লো যে শিকার" করাও অসম্ভব হয়ে দাড়ালো প্রত্যেক দিনই ভীষণ ঝড় বইতো) রাত্রে চারদিকে বরফের কঠিন ছ্রর পড়ে যেতো কাজেই তার উপর কোঁনো রকম

৭৪ ক্‌হ্কী পায়ের চিহ্ন না: রেখেই থরগোশস্ে- শড়ে বেড়াতো। আমি যখন যে বন্দী হ'য়ে ৰাতাদের গর্জন শুন্তান, সয়ঙ্কর খারাপ লাগতে! আমার ) ভাই উৎসাহী হয়ে লেগে পড়লাম যারমোলাঁকে লেখাপড়া শেখাধার মত একুউৎকট কাজে ] 2

ব্যাপারটা হ'লো৷ এক অদ্ভুত “তাবে। একদিন চিঠি লিখছি, হঠাৎ মনে হলো কে যেন রয়েছে আমার পিছনে! ফিরে দেখি যারমোলসা। তার অভ্যাসমত রবারের তলাওয়ালা ভুতো পারে নিঃশবে পিছনে এসে দাডিয়েছিল। জিজ্ঞাসা করলাম-কি চাই যারমোলা ?” |

“দেখ ছিলায আপনি কেমন ক'রে লেখেন। আমিও যদি লিখতে পারতুম-ননা নী..ঠিক আপনার মত নয়” আমায় হাসতে দেখে গাড়াতাড়ি কলে উঠুলো- “মামি যদি কেবল আমার নামট! লিখতে পারতুম 1”

আমি বিশ্বিত হ'য়ে জিজ্ঞাসা ক'রলান, “কেন তুমি লিখতে চাও বল তো %” (ব্যাপারটা বুঝুন ; যারযোলাকে সারা প্রারবছের মধো দবচেয়েন্দরিদ্র আর অলস কৃষক ব'লে মনে হতো তার পারিশ্রমিক, আর যা কিছু আয় সবটাই খরচ হতো মদে তার যত উৎকট প্রকৃতি সেখানকার ফাঁড়গুলোর ভিতরেও ছি“; আমার ধারণা, ছিল, তারুমত লোকের কোনো কারণেই লেখাপড়ার দরকার হ'তে পারে লা |) সন্দিখ্ভাবে জিজ্ঞাসা ক'রলাষঃ “কেন বল তো, তোমার নাম কি করে লিখতে হয় শিখতে চাও ?” |

যারযোলা "তি মাত্র শীস্ত তাবে বাজতে লাগলো? “দেখুন না মশাই) ব্যাপারটা কি রকম দ্ীড়ায়? গ্রামে এমন একটা লোক নেই যে লিখতে পণ্ড়তে পারে .ঘদি কোনো কাগজে সই ক'রতে হয়,

হুহকী ৭8

বা কোনো কাজ ক'রতে হয় কাউকিলে) বা অগ্ভ যে কোনো কাজই হোক না কেন, কেউই পারে না। মেয়র কেবল শিল মোর দেন) কিন্তু জানেন না কাগজে কি লেখা আছে আমাদের মধ্যে কেউ যদি তার নামটাও লিখতে পারতো) ঘকলেরই ভাল হতে”

ফারমোলার এই আক্ষেপ-_একটা নামজাদা ঠক) ভুয়চোর, কুড়ে ভবঘুরে প্রকৃতির যে যারমোলা, যার প্রস্তাব কোনোদিনই গ্রামে লাষিতিতে আলোচিত হবে স'লে স্বপ্নেও ভাবা যায় না, তবুও গ্রামের সকলের স্বার্থের জগ্ভে ভার এই যে উৎকণ্ঠা, তা আমাকে মুগ্ধ করেছিল! আমি তাকে শেখাবার ভার নিলাম। তাকে লেখাপড়া শেখানোর চেষ্টা-উঃ সে এক ভীষণ ব্যাপার! যারাযোলা-_ বনের প্রত্যেকটি রাস্তা, প্রত্যেকটি গাছ যার নখদর্পনে; দিনেই হোক, রাব্রেই হোক, বনে যার অবাধ গতি) তা সে যেখানেই থাক না কেন) নেকৃড়েবাঘ, খরগোশ» শেয়াল__হাদের পায়ের দাগ দেখলেই সে চিন্তে পারতো এমন যে যারমোলা তার সারাদীবনেও সে কিছুতেই বুঝতে পারলে না কেমন ক'রে *ম' আর “আ+ একসঙ্গে মিলে 'মা' হয়। এই সমস্তার সামূনে এসে পড়লেই সাধারণতঃ সে প্রায় মিনিট দশেক ধ'রে অতি কষ্টে ভাববার চেষ্টা ক'রতো। তখন তার শুকনো কালো যুখ-*্না, কোটরগত কালো! চোখের কোল পর্যন্ত খোচা-খোঁচা কালো কালো দাড়িতে ঢাকা, আর পুরুষ গৌফ জোড়া দেখেই বোঝা যেতো যে তার মনে একটা গ্রচও আলোড়ন চ'লেছে।

আমি বারবার বলাবার চেষ্টা ক'রতাম, “বলো যারযোলা, মা? কেবল-যা'। কাগজের দিকে চেয়ো নাঃ আমার দিকে দেখো কেমন ক'রে বলি। নাও, এই বার বলো--মা? 1?

কী

যারদৌরা তখন বইটা, টেবিলের উপর রেখে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চুড়ান্ব হতাশা জানায় “নাঃ আমি পারবো না।”

“কেন পারবে না? এতো খুব হজ! কেবল বলো নামা যেমন ক'রে আমি বালছি।”

“না মশাই, আমি পারবো না.*..."আগি তৃলে গেছি

আযার সকল চেষ্টা, কল কৌশল আর নানা রকমের পন্থা এর এই নিরেট বুদ্ধির কাছে ব্যর্থ হায়ে যেতো। কিন্তু যারমৌলার শেখবার ইচ্ছা কিছুতেই কামতো না।

সে লজ্জিত হ'য়ে আমায় অন্লয় করতো

“কেবল যদি আয়ার নামটা লিখতে পারতুম! আমি আর কিছু চাই না, কেবল আমার ল্ঘট--খারতমাজ: পোক্রঝাক ব্যাম।”

শেষ পর্যান্ত তাঁকে রীতিমত শেখাবার কল্পনা ছেড়ে দিয়ে কেবল কেমন কারে তার নামটা লিখতে হয়, শেখাতে আরম্ত ক'রলাম-_দাগ! বুলোতে দিয়ে। আমি দেখে আশ্চর্য হ'দাঁম যে, এই উপায়ই যারমোলার পক্ষে সহজ। মাসের শেষে দেখি সে তাঁর নাহটা প্রায় আয়ত্ব ক'রে এনছে। তার পদবীটা নন্বদ্ধে ঠিক ক'রেছিনাম ওটা একেবারে খান দিয়ে কাজটা লহ কারে নেওয়াই ভালো

প্রত্যেকদিন সন্ধ্যার সময় উদ্নন সাজিয়ে যারযোলা| ধৈর্ঘ ধরে অপেক্ষা ক'রতো আমি না ডাকা পর্যস্ত।

“এই যে ঘায়মোলা, এসো) একবার চেষ্টা করা ঘাক।” তাকে এই কথা ঝনূলেই দে তখনি তড়াক কনে টেবিলের কাছে গিয়ে কমুইয়ে ভর দিয়ে কালো কালো কেঠো আঙুলে ক'রে

কুহ্কী ৭৭ কলযটা ধ'রে আমার দিকে চোখ তুলে জিজ্ঞাসা ক'রতো, “লিখবো কি?

শ্ই্যা, লেখো 1”

যারযোলা বেশ সহজেই প্রথম অক্ষরটা লিখে ফেলতো ) তারপর জিজ্াসত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকতো

“প্লিখছো না কেন তুমি? তুলে গেছ বুঝি?”

নিজের উপর রাগ ক'রে যাথা নেড়ে যারমোজ! বালুতোঃ “আঃ ভুলে গেছি!”

শ্হায় কপাল! কি রকম লোক তুমি হে? লেখো এই রকম কারে?

লেখার আভাস দিই তাকে বাতূলে! থুব উৎফুল্ল হয়ে অনেকক্ষণ ধ'রে মক্স করে--তারপর অনেকক্ষণ ধরে তারিফ ক'রে দেখতে থাকে বিশ্মিত ভয়ে নিজের লেখাটা, একবার বাঁদিকে মাথা ঘুরিয়ে একৰার ডানদিকে মাথা ঘুরিয়ে, চোখ পাকিয়ে পাকিয়ে।

“থামলে কেন ওখানে_লিখে চল 1”

“একটু দাড়ান মশাই এখন।”

দু'এক মিনিট ভেবে পূর্ববং অতি ন্রভাবে সে বলে ওঠে, “সেই আগেকার যতই

“হ্যা,ঠিক আগেকার মতই

এইভাবে কদূরৎ করতে করতে সে তীর পদবীর শেষ ঘক্ষরে এসে গৌছালো। লেখা শ্রেষ করবার পর রীতিমত গর্বতরে লেখার দিকে চেয়ে জিজ্ঞাসা করতো) “কি মনে হচ্ছে আপার বছুন তো? আর পাঁচ ছু'মাস যদি আমি এইভাবে

খ্ ক্‌ছকী

শিখি, আমি তো একটা শিক্ষিত লোক হয়ে পড়বো? কি মনে হয় আপনার 1” (২)

চুলির মুখে উবু হয়ে বে যারযোলা উদ্ননে কয়লা দিচ্ছিলে! আর আমি ঘরের কোণ থেকে কোণে পায়চারি করছি সেই বিরাট

ংলোর বারটা ঘরের মধ আমি মাত্র একটা দখল ক'রেছিলাম_ সেটা ছিল ব'সবার ঘর। অগ্ান্ত ঘরগুলে! ভালা বন্ধ থাকতো! সেগুলোর ভিতরে কিংধাপের কান্ত করা সব আসবাবপত্রঃ ব্োঞ্জের নানা রকম ছুক্জাপ্য জিনিষ, আর অগ্টাদশ শতাবীর ভ্বাকা কতকগুলো ছবি--অনড় অচল অবস্থায় থেকে সব ধূজো আর ছাতা ধরছিল!

উদ্ম্ত বিকট দৈত্যাবুড়োর মত ঠাণ্ডা বাতাস ঘরখাঁনাকে ঘিরে গ্জন করছে। সন্ধ্যার দিকে তুষার ঝটিকার গ্রকোপ বেড়ে গেল-মনে হচ্ছিল বাইরে থেকে কাচের শীর্শিভে কে যেন মুঠো মূঠো বরফের কুচি ,ছুঁড়ে যারছে। নিকটবততী বন থেকে আসছিল একটান] অসম, গজ'ন-_চাপু! কান্নার মত, অবিরায এক 2৩১5%ষ শড়।

ফীকা ঘরের মধ্যে দিয়ে শব্ধায়মান চিম্নির ভিতর দিয়ে বাতাস চুটোছুটি করছে, চারিদিকে জরাজীর্ণ সেই বাড়ি, যেন হঠাৎ ভীষণ শব করে জেগে উঠলো। আমি বিশ্ময় উৎকষ্ঠায় স্টনছিলাম সেই শব্। চুণকাম করা সাদা বৈঠকথানা ঘরে মনে হলো যেন একটা দীর্ঘশ্বাস আর করুণ বিলাপের স্বুর। কিছু- দুরে শুকৃনো পুরানো কাঠের মেঝে যেন কার নিঃশব পায়ের চাপে মর়্, মড়ঃ ক'রে উঠলো। আমার ঘরের পাশের বারান্দায় যেন কে দরজায় অদ্ি সাবধানে হাতল ধরে চাপ দিচ্ছে! ছারপর হঠাৎ যেন কেপে গিয়ে সমস্ত বাড়ীর দরজ! খড়খড়ি

কুছকী ৭৯ নাড়া দিয়ে বেড়াতে লাগলো-তারপর যেন চিম্নির ভিতর ছকে একটানা! করুণ সুরে বিলাপ করতে লাগলো'_কখনও বা চাপা গলায়। অকশ্থাৎ আবার তীব্র চীৎকার--তারপর ক্ষীপত্তর হতে হ'তে হঠাৎ আবার পশ্তর গর্জনের যত শৌনালো। যাঝে মাঝে এই ত্যঙ্কর আগন্বকটি আমার ঘরে ঢুকে পড়ে কাপিয়ে দিচ্ছিল ঠাডায়-_-সবুজ কাগজের ধেরাটোপের ভিতরকার দীপশিখাটাও কেঁপে কেঁপে উঠছিলো।

একটা অব্যক্ত অসোয়াস্তি কোধ করছিলাম আমি। তাঁবলাম এখানে «ই ঝড়ের রাঝে বনের যাঝে গ্রামে, জীর্ণ ঘরে আমার বিছ্বানার ওপর বসে আছি-শহর থেকে শত শত যাইল দুরে, সমাজ থেকে, যেয়েদের স্বিগ্ব হাসি থেকে, যান্থষেরত্র আলাপ আলোচনা থেকে কত দুরে! মনে ই'তে লাগলো আমার এই রকম ঝঞ্জাবিকষন্ধ সন্ধ্যা বোধ হয় চলতেই লাগলো বছরের পর বঙ্গর-...৮*এখন যেন বাতাসের গোঙানি_বোধহয় আমার জানালার বাইরে কাতাস অমনই গোঙাতে থাকবে | * প্থনকার মত সবুজ কাগজ্ষের খেলো ঘেরাটোপের ভিতর আঁলোটা অযনই জলতে থাকবে আমিও ঠিক এমনি শ্বীসরন্ধ অবস্থায় ঘরের এদিক ওদিক পায়চারি করতে থাকবো আর যারমোলাও ঠিক অমনি চুপচাপ নিঝিষ্ট মনে উদ্ুনের লাম্নে বসে থাকবে অন্তত এই লোকটা! আমার কাছে সম্পূর্ণ বুনো--পৃথিবীর আর সব জিনিষের প্রতি উদাসীন, এমন কি তার: পরিবারবর্গের খাওয়ার সংস্থান নেই তাতেও উদাসীন--বাইরের এই যে হুর ঝড় ভাতেও দিবিকার-_্জার আমার মনের মধ্যে ্ইষে ' অব্যক্ত উৎকগ্ঠা তাতেও ভার কিছু যায় আপে না।

৮৪ ক্হকী

হঠাৎ মনের মধ্যে প্রবল একটা ইচ্ছা অনুভব করদাম এই ' উৎকষ্ঠাময় নিল্তবনতা মানবের গলার আওয়াজ ভেঙ্গে দেবার। বরূলাম--পআজ এই ঝড় হচ্ছে কেন হে! বলৃতে পার যার- যোলা?

আস্তে আস্তে মাথাটা তুলে বিড়বিড় করে যারমোলা বল্লে-- গ্ৰড়? আপনি বাস্তবিকই জানেন না?”

প্ৰাস্তবিকই জানি না; কেমন ক'রে জান্ৰো ?”

প্রতি আপনি জ্ঞানেন না?” বলে যারমোলা হঠাৎ যেন ধড়ফড়িয়ে উঠলো। বল্লে-“আঘি আপনাকে বলবো 1-_তার বষ্ঠস্বরে রহস্তের সুর,-“ব'নৃছি আপনাকে এর কারণ। হয় কোনও ডাইনী জন্মেছে_নয়তো কোনো ডাইনের বিয়ে হচ্ছে”

প্ডাইনী? তোমাদের এখানে ওদের কি যাদুকরী বোঝায় ?”

যা, ঠিক ব'লেছেন-যাছুকরী

যা'রমোলাকে চেপে ধরলাম) কি জানি যনে হলো, হয়তো এই স্থত্রে ওর কাছ থেকে মজাদার কাহিনী শুন্তে পাবো-_ভেম্বী, ্তধন বা! শয়তানের কাঁছিনী।

জিজ্ঞাস! করলাম-_“পলিয়েসিতে কি ডাইনী ছে নাকি?

উদ্থনের দিকে ঝুঁকে যারমোলা তার স্বতাবন্থুলভ উদ্াসভাবে বলে--“জানিনা, থাকৃতেও পারে। বুড়োরা বলে, এক সময় নাকি ছিলো তা সত্যি নাও হ'তে পারে

আমি হতাশ হলাম তার কথায়। হঠাৎ পাথরের মত চুপচাপ, ছয়ে যাওয়। যারমোলার চরিত্রের একটা বিশেষত্ব ছিল। এই ষ্জাদার বিষয় সম্বন্ধে তার কাছ থেকে আর বেনী কিছু পাবান আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। হঠাৎ আমাকে অবাক কে সে ভার জড়ভামাখা

কুহকী ৮১

উদাসভাবে বলতে স্তরু কাকা আতকে লা কালে যেন উন্ননকেই ৰলছে”-“এখানে একটা ডাইনী ছিলো_সে প্রায় পাঁচ বছর আগেফার কথা*.-* কিন্ত ছেলেগুলো! তাকে, গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিল 1”

“তাকে ওর! কোথায় তাঁড়ালে ?” “কোথা আর? বনে হয়ত-_আর কোথায়? তার কুঁড়েবরটাও ভেঙ্গে দিয়েছিলো-তার সেই আগুদে আ্ানঃউ'র একটা কুটোও

রাখে নি! তাকে তাঁরা চৌমাথা রাত

“তার সঙ্গে ওরা অযন ব্যবহাত্ন করলে কেন?

“সে অনেক ক্ষতি করত: ঝগড়া করতো সকলের সঙ্গে; ঘরের চারপাশে বিষ ছড়িয়ে দিভ $ ক্ষেতের ফমলে তুক্‌ করে দিত-"- একদিন গ্রামের এক স্ত্রীলোকের কাছে পনর কোপেক (এক কোপেক গ্রার এক ফাদিং) চেয়েছিলো ভ্ীলোকট বল্লে_ “আমার কাছে টা পেনিই নেই সে বলুলে__আচ্ছা তোমায় শেখা আমায় ছ' পেনী কেমন না দেওয়া! তারপর কি হলো জানেন? সেই দিনই সেই স্ীলোকটির কচি হেলেন অসুখ করলো ক্রমশঃ তার অবস্থা খারাপ হয়ে শেষে মারা গেল। তারপরই তঁ ছেলেরা তাতে ডাইনী ব'লে দহ কারে দিলে"

আমার আরও জান্তে ইচ্ছ! হ'লো জিজ্ঞাসা করলাম_-্আচ্ছা, সে ডাইনী এখন কোথায় ?

- যারমোল! ভার স্বভাব্মত প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি ক'রে ব্লূলে- “ডাইনী? কেমন ক'রে জানবো ?”

প্্রামে তাঁর কোনও আত্মীয়স্বজন নেই?

“না, কেউ নেই। সে আমাদের গ্রাযেরই নয়। হয় উত্তর রাশিয়ার লোক, নয় জিপসী। সে যখন আযাদের গ্রামে আসে

৮২ ক্‌হ্কী

তখন আমি খুব ছোট ছেলে। তার সঙ্গে ছোট্ট একটি বালিকা ছিলো- হয় মেয়ে, নয় তার নাতনী হবে তাঁদের দুজনকেই তাড়িয়ে দিয়েছে?

“এখন কি তার কাছে কেউ ভবিষ্যৎ গৌণাতে বা ওষুধ নিতে যায় না?”

যারমোলা দ্বণাতরে ঝ্ললে_ “মেরা যায়?”

“ও তাহলে কোথায় থাকে জানা আছে ?”

“আমি জানি না--""*'লোঁকে বলে" সে নাকি ডেভিল করনারের কাছে কোথায় থাকে। জায়গাটা আপনি জানেন_সেই যে ট্রাইল রোডের ওধারের বিল্টা! সেএঁ বিলে থাকে_তার মা নরকে জনুক।”

প্আযার বাড়ীর দশ ভাট দুরে ডাইনী থাকে_ সত্যিকারের জ্যান্ত পঙ্গিয়েসির ডাইনী ।” কথাটা ভেবেই তৎক্ষণাৎ উত্তেক্তিত » হয়ে উঠলাম আরও জানবার জগ্তে। সেই বনচরকে কন্লাম_ “দেখ, যারযোলা, কি ক'রে এই ডাইনীর দেখা পাবো বলত ?

“আরে ছো£1” যারমোলা রাগে ঘে্লায় থু থু ক'রে উঠলো-_

“বেশ চমৎকার কথ! বল্লেন তো ?”

“ভালই হোক আর মন্দই হোক্‌--অ+: তার সঙ্গে দেখা ক'রতে যাঁব। একটু গরম পড়লেই আমি বেরচ্ছি_তুমিও নিশ্চয় আমার সঙ্গে যাবে?”

আমার এই শে কথাটা গুনে বারযোদা। চমকে মেঝে উপর তড়া্ক কারে লাফিয়ে উঠলো

বিরক্তি স্বরে চেঁচিয়ে বললে “আমি লাখ টাকাতেও নয় তা যাই হোক, আমি কিছুতেই যাচ্ছি না, আপনার সঙ্গে

হী চু

“আরে, বোকা 'ক্োথাকার 1, নি যাবে। “না. মার, আফি-কিছুতেই, নিব যাব নার”. আতঙ্কে চীবকার ক'রে দে ব'নুলে_ “সই. ডাইনীর আড্ডায়? ভগবান না করুন। আপনাকেও যেতে, মানা করছি সা

আপনাকেও “তোমার যা খুপী করো-:,“"আমি যাবই, তা রা হো তাকে আমার দেখতেই হবে”. * ২.১. 2৮ জি

.- পকিছুই দেখবার মত.. নেই দি জজাটা। সাজোরে বন্ধ ক'রে যারযোলা গন্ভীরভাবে টেচিয়ে ঝনূলে।

ঘণ্টাখানেক পরে টেবিলের উপর থেকে শ্তামোভার (চায়ের পেয়ালা বিশেষ; এতে চা গরম রাখার ব্যবস্থা থাকে) নিয়ে চা খেয়ে সে যখন সেই অন্বরার, পথে বাড়ী ফেরবার মতলব ক'রছে তখন তাকে জিজঞালা করলাম

“্ডাইমীর- নাম, কি ?” রর

- কর্বশস্বরে বজূলে যারমোলা-_সমাছুইলিখা চি

তার মনের ভাব বাইরে প্রকাশ লা করলেও মনে "তো লে যেন আমার গ্রতি বেশ নিবিড় ভাবে আকৃষ্ট হায়েছিলো। তার এই রীতির কারণ হলো উভয়ের শিরারের সখ, আমার সহজ ব্যবঙ্ছার আর. আমি তার নিত্য অভাবের সংসারে মাঝে . মাঝে কিছু সাহায্য করতাম; কিন্ধু সবচেয়ে বড় কারণ হলো পৃথিবীতে আমিই একমাত্র লোক, তাকে মদ খাওয়ার অভ্যাসের স্প্ ততপনা করতাম নীঁসেটা যারমোলার অসর্থ ছিলো? তাই ডাইনীর সঙ্গে আমার আলাপ করবার দৃঢ় -সঙ্কর শুনে প্লে অযন বিশ্রী রকমের উত্তেজন! প্রকাশ করেছিলো রেবল নাক দিয়ে .সশবে

৮৪ কুহকী

নিশ্বাস টেনে-তীতেও তাঁর রাগ গেল না, শেষ পর্যন্ত পিছনের মির কাছে গিয়ে তার কুকুর রিয়াবশিককে সজোরে লাখি যারলে,' রিয়াবশিক একপাশে লাফিয়ে প'ড়ে চীংকার ক'রে উঠলো গ্রাণগণ। পরক্ষণেই দে ঘোঁৎ ক'রতে করতে ছুটলো যারমোলার পিছু: পিছু। (৩)

রায় তিন দিন পর থেকে শ০হ'$যর ভাগ একটু বাড়লো একদিন খুব ভোরবেলাই যারযোলা আমার ঘরে ঢুকে অগ্থমনস্কভাবে বলৃলে_“আায়াদের বন্ুুকগুলো সাফ. করতে হবে মশাই”

কথ্ধলের তলায় দেহটা বিছিয়ে দিয়ে জিজাসা৷ ক'রণাম “কেন?”

প্বরগোশগুলো রাত্রে খুব ছুটোছুটি ক'রেছে, তাদের পায়ের দাগ যত ইচ্ছে পাওয়া যাবে। বেকুবেন লাকি সন্ধানে ?”

দ্খেলাম যার্মোলা বনে যাবার জগ্ঘে অধৈরধ্য হয়ে গ'ড়েছে-- কিন্তু তাঁর শিকারের ঝোককে উদ্সীনতাঁর অবঞ্তঠ্ন ঢেকে রাখবার চেষ্টা করছিলো বন্ততঃ তার একনলা! বনদুকট দরজার পাশে খাড়া করা রয়েছে দেখলাম সেই ব্দকর নক্ষ্য থেকে একটা বনমোরগও কোনোদিন রেছাই পায় যদিও তাঁর নলটার স্থানে স্থানে যড়চে আর বাকদের গ্যাসে ক্ষয়ে গেছে «বং তার উপর জোউশুলি দেওয়া আর কতকগুলো টিনের তাঠি বসানো হয়েছে।

বনে প্রবেশ করতে না করতেই একটা খরগোশের পায়ের দা' পাওয়া গেল। খরগোশটা রাস্তায় পড়ে প্রায় গজ পঞ্চাশেক তা উপর দিয়ে গিয়ে ল্বা এক লাফ মেরে ফার বনে ঢুকে পড়লো

কুহকী ৮৫ যারযোলা ব+লূলে-”এই বার দেখুন না, ওটাকে এক্কুণই পাওয়া

গেল বলে। একবার যখন দেখা দিয়েছে__মরবেই। আপনি--**- এক কাজ করুন-**” কতকগুলো! সঙ্কেত দেখে সে ভাবতে লাগলে! আমায় কোনখানে রাখবে, সে সব সঙ্কেত সে ছাড়া কেউ বুঝ তো না। ব'রূলে--“আপনি পোড়ো সরাইখানাটীতে যান। আমি জ্যানি- লিনের দিক্‌ থেকে তাড়া দেব-_কুকুরটা তাকে তাড়িয়ে বার করলেই আমি শব্দ ক'রে আপনাকে জানিয়ে দেবো |”

এক মুহ্তে মধ্যেই সে শরকাঠির জঙ্গলে ঢুকে আদৃশ্ঠ হয়ে গেল। আমি কান পেতে রইলাম বিন্দুমাত্র শব্ধ নেই তার চোরা গতি- বিধির-_তার জুতোর তলায় শুকনো লতা পল্পবের যডমড়ানিও শোনা যাচ্ছিল না। ছুটোইুটি না ক'রে ধীরে ধীরে আমি সেই সরাইয়ে এসে উপস্থিত হ'লাম_একটা তাঙ্গা পোড়ো বাড়ী। ছোট ছে'ট পাইন গাছের বনের ধারে-একটা খাড়া লঙ্কা! ফার গাছের ভলায় এসে ঈাড়ালাম। শীতকাল বাতাসের লেশশাত্র নেই_-এমন দিনে বন যেমন স্তব্ধ হয় তেষশি নির্জন সে জায়গাটা গাছের ভালগুলো ভৃষারের ভারে ঝুঁকে পড়েছে_সেই হিমপু্ধ শোভিত শাহ ওনেকে শীতের বিচিত্র উত্সবের মাজে ভারী সুন্দর দেখচ্িে, মাঝে মাঝে উঁচু শাখা থেকে ছোট ছোট ভাল শাখাপত্রের ভিতর দিয়ে ভেঙ্গে পড়ছিলো ; এবং পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তেক্সে যাওয়ার মুছু আওয়াজটি পর্যন্ত স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিলো! হৃর্ষের কিরণে তুষারের গোলাপী আভা! ছুটে উঠে ছিলো আর ছায়ায় সেগুলো! নীল দেখ:চ্ছিলো এই গম্ভীর শীতল স্তব্ধতার মধ্যে আমি যেন বন্ত্মুগ্ধের মত হয়ে গিহলাম--আমার পাশ দিয়ে সময়ের নিঃশব মন্থর গতিটিও যেন

অস্ভুভব করছিলাম

৮৬ ক্হকী

শরকন্াৎ দূরে বোঁপের- ভিতর থেকে রিয়াৎ. “কের চীৎকার-শোনা গেল--লে এক অন্ভূত চীৎকার_যখন ওরা কোনো গন্ধ পেয়ে অনুসরণ করতে থাকে-কীপা কাপা সরু আওয়াজ_আর তীব্র কিচ, চি শব! তৎক্ষণাৎ যারমোলার গলাও শোনা-গেল কুকুরকে বল্চ্ছে- পাডোলাক্ডো” প্রথমটা বেশ চ়াগলায়, ্বিভীয়টা খাদে। -

চারের চীতকারের ; দিক' লক্ষ্য ক'রে মনে হ'লে! কুকুরটা রা রী আমিও তাড়াতাড়ি খর- গোশটার কাছাকাছি হবার জগ্থে ছুট্লাম জলার ভিতর দিয়ে। ধিশ পচিশ গা যেতে না যেতেই এ্রকটা ধূসর রংয়ের খরগোশ কাটা গাছের গোড়ার পাশ থেকে লীফিয়ে বেরিয়ে এসে কাঁপগুলো পিছন দিকে ক'রে তিডিং তিডিং করে লাফিয়ে রাস্ত। পার হয়ে একটা আবাদে গিয়ে লুকোলো | তার পিছনে ঝাঁপিয়ে এলো রিয়াবশিক 1 আমায় দেখতে পেয়ে আস্তে আস্তে লেজ নাড়তে লাগলো তারপর ফাত দিযে ছু-চারবার বরফ কামড়ে আবার খরগোশের পিছু নিল? যারযোলাও হঠাৎ ঝোপের ভিতর থেকে. নিঃশবে লাফিয়ে এলো 1 জিভ দিয়ে অস্থশেচিনার আওয়াজ করতে ক'রতে ব্লূলে--“ওটার সাম্‌নে ছুটে এলেন না কেন?” *.

“মেক দূরে ছিলো পে, প্রায় ছু'শ গজেরও উপর 1৮ আয়াকে কিংরুত ধ্যবিষূঢ দেখে শীস্তভাঁবে যারযোলা বনলে--্তা য়াক্‌গে, আমাদের কাছ থেকে পাল্লাতে পারবে না আপনি তই আইরিনোভ কোডের দিকে যান একবার দিকে আম বে।”

আমি আইরিনোভ হিজড়া এগোলাম। ছু'এক মিনিটের

কৃহকী, ৮৭

মধ্যে কুকুরটার চীৎকার শুনূতে পেলাম) আমারই খুব কাছে কোথায় যেন গন্ধ পেয়েছে ! শিকারের উত্তেজনা! তখন অঃমায় পেয়ে বসেছিলো” বন্দুকের নলটা নিচু ক'রে ঘন ঝোপের ভিত দিয়ে দৌড়তে শুরু ক'রলাম-_ডালপালাও ভাক্গছিল। গায়েও চোট লাগছিল, সেদিকে ত্রক্ষেপ ছিল না আমার। অনেক্ষণ দৌড়েছিলাম তারপর আমার দম ছুটে এলো, এমন সময় কুকুরটাঁর ডাক থেমে গেল। আমিও অপেক্ষাকৃত ধীরে চল্তে লাগলাম, যনে হ'লো৷ মোজা গেলেই যারমোলাকে আইরিনোভ রোডে ধরতে পারবো। কিন্তু একটু পরেই বুঝতে পারলাম যে ছুটতে গিয়ে গথ হারিয়ে ফেলেছি-_এলোপাভাড়ি ঝোপের ভিতর দিয়ে কাটা গাছের গুঁড়ির পাশ দিয়ে ছুটেছিলাম, কোন দিকে চলেছি না জেনে। তথন যারমোলাকে চীৎকার ক'রে ডাকলাম কিন্ত কোনো উত্তর এলো শা।

ইতিমধ্যে আমি আরও এগিয়ে পড়েছিলাম। ক্রমশঃ বন ফাকা সয়ে এলো মাটি ধসে গিয়ে মেখানে ছোট ছোট টিলা হয়ে ছিলো। তুষারের উপর আমার পা ব'সে গিয়ে তাতে জল উঠতে লাগলো জায়গায় জায়গায় হাটু পর্যন্ত টুকে যেতে লাগলো। তখন টিলাগুলোর উপর লাফ দিয়ে দিয়ে এগুতে লাগলাম যেই টিলার গায়ে ঘন কার্পেটের আবরনের মত শ্ায়লায় আমার পা বসেযাচ্ছিল।

ক্রমে সেই গুল্সময় স্থান পার ছ'য়ে একটা গোলাকার বিলের সামনে এসে পড়লাম__বিলের ওপর পাতলা বরফের সর প'ড়ে আছে। সেই শ্বেত আস্তরনের যাঝে মাঝে মাটির টিলার মাথাগুলো জেগে রয়েছে। বিলের অপর প্রান্তে গাছের ফাক দিয়ে একটা

৮৮ কুহ্কী কুটারের সাদা দেওয়াল দেখী যাচ্ছিল। আমি ভাবলাম হয়ত আইরিনোভের শিকাররক্ষী এখানে থাকে। এ্রীথানে গিয়ে রাস্তাটা জেনে নেওয়া যাক।

কিন্তু সেই কুটারে গিয়ে ওঠা সহজ নয়। প্রতি পদক্ষেপে বিলে পাবাসে যেতে লাগলো ঘোড়তোলা জুতার ভিতরে জল ঢুকে প্রতি পদে উৎকটু প্যাচ, প্যাচ, শক হ'চ্ছিল_সেই জুতো নিয়ে এগুনো কষ্টকর হ'য়ে উঠলো

শেষ পর্যন্ত কোনমতে জলাটা পার হ'য়ে একটা টিলার উপর

উঠে কুটারটা ভাল ক'রে দেখবার চেষ্টা করলাম! সেটাকে কুটারও বলা চলে না-পরীকথার সেই পাতার কুঁড়ের মত মনে হ'লো। ঘরটা ঠিক মাটির উপর নয়-উচু টিপির উপর তৈরী; বোধ হয় বঙত্তের প্লাবনে সারা আইরিনোভ বনটা ডুবে যায় কলে এই রকম ব্যবস্থা। কুঁড়ে ঘরের একটা পাশ জরাজীর্ণ হায়ে ধসে খাওয়ায় সেটা একপেশে হ'য়ে উৎকট দেখাচ্ছিল। জান!ল!র শাশি কতকগুলো! নেই-সে জায়গাগুলো ম্যলা ছেঁড়া ন্যাকৃড়। দিয়ে বাহির থেকে বন্ধকরা?

ছিটুকানি সরিয়ে আমি দরজাটা খুললাম। ঘরটা ভয়ানক অন্ধকার। চোঁথে বেগুনী রং দেখতে লাগলাম -২বাধ হয় অনেক্ষণ বরফের উপর দৃষ্টি রেখে চল্ছিলায বলেই ; অনেকক্ষণ পর্যন্ত সেই কুঁড়ে ঘরের ভিতর কোনো লোক আছে কিনা দেখে বুঝতে পারলাম না ঠেঁচিয়ে জিজ্ঞাসা কণ্রলাফওগো, ঘরে কেউ আছে ক?” |

উচ্থলের কাছে কি যেন একটা নড়ে উঠলৌ। এগিয়ে গিয়ে দেখলাম্‌ এক বুড়ী মেঝের উপর বসে আছে। তাঁর সাম্‌নে স্তপাকার

কুহকী ৮৯

মুরগীর পালক পড়ে রয়েছে। বুড়ী একটি একটি ক'রে পালক নিয়ে ছিড়ে হিড়ে চুবড়ীতে রাখছে আর শক্ত শিরটা যেঝেতে ফেলে দিচ্ছে।

'এই বোধহয় আইরিনোভের ভাইনী- মান্ুইলিখা আর একটু তাঁল ক'রে লক্ষ্য করতেই চট্‌ ক'রে মনে হ'লো কথাটা রূ' কথার ডাইনীর বর্ণনার সঙ্গে তার হাবভাব সব মিলে গেল। শীর্ণ তোবড়ানো গালের চাম্ড! ঝুলে প'ড়েছে অনেক খানি, চ্যাপ্টা ইঁচোলো চিবুক প্রায় তার হুকের-মত-বীকা নাকের ডগায় গিয়ে ঠেকছে ফোক্লা তোবডা মুখটা অবিরাম নডহিলো_যেন কিছু চিবুচ্ছে! অলগ্গুণে পাখীর চোখের মত অদ্ভুত তাঁর দীপ্তিহীন নিস্তেজ গোল গোল বেরিয়ে আসা চোখ, হয়ত সেগুলো শীল হিরণ এক কালে

যতদুর সন্তুব মিষ্টিগলায় বললাষ_“কেমন আছ ঠান্দি, তোমার নাম যাহইনিথা, না?”

উত্তর দিতে গিয়ে বুড়ীর বুকের ভিতর যেন ঘড় ঘড় শব ক'রে উঠলো তাঁর দন্তচীন ফে!ক্লা দুখ থেকে অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পেনাম_কখনও তা বুড়ো কাকের ককশি ডাকের ম্ত-আবার কখনও বা হঠাৎ তা থেকে টা মরু আওয়াজ

“এক সময় ভালো লোকেরা মামুইলিখ! বলেই ডাক্তো কিন্তু এখন তার। আমাকে বালে ওর শাম কি: খুসি ত1ই-”তোমার কি চাই খুব বিরকতভাবে ব'লে কিন্তু তাঁর হাতে সেই কাজ একটানা ঠিকৃই চনছিল।

“দেখ ঠান্দি, আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি।” তোমার কাছে ছুধ একটু ফিল্তে পারে কি?

বুড়ী আমায় বাধা দিয়ে রেগে ব'লে উঠ লো,_ “না, না ছুধ নেই;

ক্হকী

বনের মধ্যে একদঙ্গল লোক আস্বে শিকারের পিছনে ছুটোছুটি ক'রতে--তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা ক'রতে হ'বে নাকি ?**** * প্ভোমার অতিথির উপর নি হ্ছ ঠানাদি ?”

“সত্যিই নির্দয় হচ্ছি বাছা, তোমাদের জন্যে তো খাবার ভরা তখডার আমার নেই। যদি ক্রান্ত হয়ে থাক একটু বিশ্ামকর কেউ তোমায় তাঁড়াৰে না। জানত কথায় আছে__

ঘরে" এগো দুয়ারে শেসো খাচ্ছি কেমন শোন

(কিন্তু) তেমার ঘরে যাব যখন খেতেই যাব জেনো। ব্যাপারটা হ'লো এই”

এর এই ধরণের কথাতেই বেশ বোঝা গেল যে এরা '্রঞ্চজে আগন্তক। কারণ সে অঞ্চলের লোকেরা পরিষ্কার কথা কইতে ভালোবাসে না, উত্তর দিককার রুশীয়েরা যেমন স্বতাঁবতই ভালোবাসে এদিকে বুড়ীর হাত ঠিক কলের মত আপনা হ'তেই চল্ছিলো,' আর মুখে একটা বিড় বিড় আওয়াজ, ভোর হ'চ্ছিল বটে কিন্তু অশ্পষ্ট। তার থেকে দু-একটা অসংলগ্ন কথা বুঝতে পারছিলাম-_থিখন এসেছে যাহগুইলিখা ঠান্দি--....কে তা কে জানে-আমার বয়েসটা কম হয় নি"..."উী যে উসথুস. ক'রছে। বক্বক করছে ছাতার পাখীর মত"*-".

বিছুক্ষণ তার কথা৷ শোনবার পর হঠাৎ আমার মনে হ'লো এক পাগল বুড়ীর পাল্লায় পড়েছি বোধ হয়_অত্যন্ত ভয়ও হ'লো।

যাই হোক পরের চারদিকট1 তালে! করে একবার দেখে নেবার ফুরম্থৎ পেয়েছিলায_ঝুঁড়ে ঘরের অধে কট! জুড়ে রয়েছে একটা! জলন্ব উচ্নন। ঠাকুরের কুলুঙ্গিতে কোনও বিগ্রহ দেখলাম না।

ব্হ্কী ৯১ দেওয়ালে সব সবুজ মৌউওয়ালা পেশাদার. শিকারী বেওনীরংয়ের কুকুর সঙ্গে, অথবা অজানা মেনাপতিদের ছবির পরিবতে” শুক্দ্ন! ডট, রান্নার বাসনপত্র এইসব ঝুল্ছে। পেঁচা বা কালো বেড়ালের কোনটাই: দেখলায না তার বদলে একটা ছ্যাবড়া রংয়ের যোটাসোটা শুকপাখী : উদ্ুদের কাঁছ থেকে বিশ্বয়ে সন্বিপ্ততাবে কটমটিয়ে চেয়ে রয়েছে।

বেশ জোরে বন্লাম--“একটু জলও পাব না ঠান্দি

বুড়ী মাথ| নেড়ে বন্লে-ী যে বালৃতিতে; রয়েছে

জলা অঞ্চলের জল লোনা লাগলে! খেতে। আমার জন্ে একটুও কিছু না ক'রলৈও বুড়ীকে ধষ্ঠবাদ দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “কোন দিকে গেলে রাস্তায় .পণ়বো &”

কথা! শুনে চট্ট ক'রে মাথা তুলে তার পাখীটার মত নিস্তেজ দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে বিড় বিড় করে বল্লে_ “সারে পড়ো! ছোকরা সরে পড়ো, এখানে তোমার কোনও দরকাঁর থাকৃতে পারে না-অতিধি সংকারের একটা সময় অঙ্ময় আছে '-।স'রে পড়ো তুমি, পথ দেখ ।”

পথ দেখা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় রইলো না। হঠাৎ তখন একটা উপায় মনে হ'লো যদি বুড়ীর কড়া মেজাজ একটু 'শরম হয়। পকেট থেকে একটা চক্চকে রূপোর ছ'পেনী বার ক'রে বুড়ীর সাম্নে ধরলাম। আমার মতলব বৃথা হ'লো না) মূদ্রা দেখে বুড়ী নড়ে উঠলো, চোখ ছু'টো বড় হয়ে উঠলো, তার সেই বাকা কুঁকড়ে যাওয়া কী! কাপা আঙ্গুল বাঁড়ালো সেটার দিকে। . পচ ঠানুদি, আমি তঅম্নি তোমায় দেব না” তাকে একটু

কুহকী ভোগাবার মতলবে মুদ্রাটা লুকিয়ে বঙ্গলা--"আগে আমার হছাছটা দেখে দাও দেখি।” |

ডাইনীর বাদামী রংয়ের কৌচকানো মুখখানা বিরক্কিতে ভরে উঠলো সে ইতস্তত; ক'রে অস্থির হ'য়ে আমার হাতের মুঠোর দিকে চাইলো পয়সার লোভ তাকে পেয়ে বসেছে তখন। অতি কষ্টে মেঝে থেকে উঠে ব্ডি-বিডি ক'রে কলূলে- “আচ্ছা বেশ দেখি, আমি এখন আর কারও বরাৎ গুণি না হে, ভূলে গেছি সব, বুড়ো হয়েছি, চোখ আর চলে না। তোমার জগ্তেই কেব্ল চেষ্টা করছি ।”

এই বালে বুড়ী দেওয়াল ধ'রে কীপতে কাপতে টেবিলের কাছে এলো অনেক কালের পুরাণো ময়লা এক প্যাক তাসঃ নাবহার ক'রে ক'রে পুরু হয়ে গেছে, আমার দিকে ছুঁড়ে দিয়ে

বললে তীগুলো শিয়ে বা হাতে কারে ভেজে দাও... হরতন আসুক 1”

তীরপর ভার আহ্গলে খুকু নিয়ে চারিদিকে ছিটোলো, তাঁসগুলো টেবিলে পণ্ড়তেই ময়দার ডেলার মত ধপ ক'রে একটা শক হ'ল তারপর আপনা হতেই সেগুলো একটা আটুকোনা তারার আকারে সাঁজানো য়ে গেল। শেষ তাসখানা যখন সেই রংয়ের সাহেবের উপর চিৎ হয়ে উঠে পড়লো তখন মামুইদিখা আমার দিকে হাঁত বাড়িয়ে জিপসী তিখারীর গলায় ধ্যান ঘ্যান করে বলতে লাগলো--“সোনার কড়ি ফেল, তাহ'লে তুমি ধনী হাধেস্বখী হবে|”

আমার হাতের ঘুঠোঁয় যে ছ'পেনী ছিল তাঁড়াতাঁড়ি তার হাতে গুঁজে দিলাম! বুড়ী সেটা অম্নি বাঁদরের মত টপ,

কুক ৯৫

কারে মুখে পুরে মাড়ি দিয়ে চেপে ধারলো।, তারপর তার অভ্যাস যত হড়বড় ক'রে বনূতে আরম্ত করলে--“দুর খেক একটা কঠিন সমন্তা তোমার দামূনে আসছে। কুইতনের বিবির সঙ্গে তোমার দেখ হবে_একটা নামজাদা বাড়ীতে সুখকর আলাপনও হবে তার সঙ্গে। চিডিতনের দাহেবের কাছ থেকে খুব শীগগির একটা এমন খবর আমবে যা তুমি একেবারে" ভাবোনি। বিপদও কিছু আসছে আর তার সঙ্গে কিছু সম্প্ভিও পাবে উইল থেকে? কতকগুলে! লোকের পাল্লায় তুমি পড়বে _ম্দও খাবে। খুব মাতাল হ'বে না বটে, তবে মদের হল্লোড় দেখতে পাচ্ছি। পরমায়ু তোমার খুব আছে। ভোঁমাঁর ষাট বহর বয়সে তুমি যাদি মারা না পড়--**-+-* হঠাৎ বুড়ী থেমে গেল। যেন কি শুনছে এই ভাবে

মাথাটা তুল্ঘে। আমিও কান পাতলাম। একটি স্ত্রীলোকের কণ্ঠ উৎফুল্ল স্বর-. পরিষ্কার গলা ছেড়ে গান গাইতে গাইতে কুটারের দিকে আগহে। মধুর সেই দক্ষিণ রুশীয় সঙ্গীতের বাণী বেশ বুঝতে পারলাম গাইছে

সাদা হিজেল গাছ, নোয়ালো কে গো, *

ওকি কুস্থম কলি, না টাটকা ফোটা ফুল!

আমার ছোট মাগাটিরে, মুইয়ে দিলে কে গোঃ

সেকি আমার স্বপন, পা স্বপন-ভরা ভুল!

বুড়ী আমাকে টেবিলের কাছ থেকে দুরে সরিয়ে খুব ব্ন্ত

হ'য়ে কলূলে_গ্হায়ে গেছে, এইবার তুমি এদ হে, বরে পড়ো। পরের ঘরে হানা দেওয়া তোমার উচিত লয়, এখন পথ

মে আমার জ্যাকেটের হাতা তি ভা

* 'কুহকী

দরজার কাছে নিয়ে এলো। তার মুখে তখন উগ্র উধকণ্ঠার ছাঁপ। ভিড ৫87 রর

কুটারের কাছে এসে গানও : হঠাৎ থেঁষে গেল। দরজার লোহার চাবিটা সশবে ঘুরিয়ে দরজাটা - খুলে দেখা দিল, হন্ঘমরী একটি যুবতী। দুই হাতে ' তার ডোরাকাটা এপ্রনটা ধারে আছে, সেই প্রপ্রনের কাক দিয়ে তিন্টি ছোট পাখী উকি মারহিল_নাদের গলাটা লাল রংএর আর চোখগুনো বক্ঝকে কালো। তি হওক ২০ সে হাঁস্তে হাসতে ক'নূলে “দেখ দিদিষী, এই ফিঞ্চগুলো! আমার পিছু. লাফাচ্ছিলো। কেমন মজার দেপতে দেখ। যেন কিছু চাইছিলো খেতে, আমার কাছে রুটা ছিল না তো!

কিন্তু আমাকে দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গে টুপ হয়ে গেল_লল্জায় রাঙ্গা হায়ে উঠলো তার মুখ। ভার ঘন কালে! তরুছটো কুঁচকে বুডীর দিকে জিজ্ঞাস দৃষ্টিতে চাইলে

বুড়ী বাল্লে_“ভদ্রলোক পথ জিজ্ঞাসী করতে : এখানে এসেছিপেন।” তারপর আমার দিকে কট্যটিয়ে চেয়ে বাল্লে- এইবার, অনেকক্ষণ বিশ্রাম ছাল-একটু জল খাওয়া হপ্য়ুহ-হটিক আলাপও কর! হয়েছে এইবার মশাইকে যেতে হয়। আমরা তোযাদের উপধুক্ত লোক নই”.

তরুপীর দিকে ফিরে আমি বল্লাম-__এদেখুন, - আপনি দয়া কারে "আমাকে আইরিনোভ রোঁডটা দেখিয়ে দেবেন? তা নইলে আমাকে আভীবন হয়ত: জলায় আটুকে থাকৃতে হবে” | 8

বোধহয় আমার মধুর অদ্ুনয় তার অন্তর: স্পর্শ কারেছিল

কুহকী ৯৫

সে আন্তে আস্তে তার সেই ছোট্র র্লিঞ্গুলোকে উচ্ননের কাছে ছাতার পাখীদের পাশে রাখলে। ওভার কোট্টা খুলে টেবিলৈর উপর রেখেছিল, সেটা আবার পরে নিয়ে কোনও কথ! না ক'য়ে ঘূর- থেকে বেরিয়ে গড়'ল। আমি তার অনুসরণ করতে লাগলাম।

চলতে চলৃতে তরুণীর সামনে গিয়ে জিজ্ঞাসা ক'রলাম- “আপনার পাখীগুলো সবই পোষা বুঝি ?

আমার দিকে না চেয়েই আলটপকা জবাব দিলে স্দবই পোষা ।” তারপর এক ওয়াটল ঝাড়ের কাছে থেমে আমায় বাল্লে-্দেখুন। যে ফার গ্রাছের ফাকে সরু একফালি পায়েচলা পথ দেখা যাচ্ছে, আপনি দেখতে পাচ্ছেন কি ঠি

যা, দেখতে পাচ্ছি বটে

“ই রাস্তা ধরে দোজা এগিয়ে যান। চন্তে চলতে কাটা ওক্মুড়োর কাছে গিয়ে বা দিকে ফিরবেন। সেই দিক ধারে সোজা বনের ভিতর দিয়ে চলে যাবেন? তাহলেই গিয়ে আইরিনত রোডে পড়বেন” সে যতক্ষণ ধরে তার হাত দিয়ে রাস্তা দেখিয়ে আমায় বৌঝাচ্ছিল-_ আপনা হ'তেই ঘুগ্ধ হ'য়ে তাকেই সারাক্ষণ আমি দেখছিলাম . এইখানকার অন্যান্য যেয়েদের কপাল চিবুক আর মুখ আর মাথা ফালি দিয়ে বাধা থাকে ব'লে কেমন বিশ্রী একঘেয়ে তাদের দেখায়, এর মধ্যে তাদের কিছুই ছিল না। আমার এই অগ্রিচিতা তরুণীটি হলো পিক্গলা দীরঘাঙ্ী, কুড়ি থেকে পচিশের মধ্যে বয়দ-বেশ সাবলীল কমনীয় তাঁর রূপ। "দাদা সার্টে তার দূ উন্নত বুকথানা শিথিল ভাবে ঢাকা__মনোরম দেখাচ্ছিল। তাঁর অপূর্ব সুদ্দর মুখখানা একবার দেখলে ভোলা যায় না-_এমন কি সে

৯৬ কুহকী

সৌন্দর্য বর্ণনা করবার জন্ে তাতে অত্যন্ত হওয়াও শক্ত। তার জরজ্গলে বড়ো বড়ো কালো চোখ দুটোর যাধুরীর উপর ধন্ছকের মত বাঁকা ভূরুর শোভা তাষায় প্রকাশ করা যায় না! সলজ্জ অথ: রাণীর মত দৃপ্ত অনাবিল তার দুষ্টি-টক্টকে গোলাগী আভা তা; মুখে, তার উপর ঠোট্ছুটো কুঁচকে চাপা_সে এক অপরূপ ব্ূপ তার পুরুষ্ট, ঠোঁটটা ঞ্ঈবৎ বেরিয়ে থাঁকায় তাঁতে বেশ দৃঢ়তা এব চটুলতা দুইই ফুটিয়ে তুলেছিল।

সেই ওয়াটুল ঝাড়ের কাছে দঈীড়িয়ে আনি তাকে জিজ্ঞ:সা করলা: “এই রকম নির্জন জায়গায় একা থাকৃতে মত্যিই আপনার করেনা

সে কাধ উচিয়ে উপেক্ষাভরে ব্লুলে--্আমাদের ভয় কর কেন? নেকৃডেগ্ডলো তো আমাদের কাছে আসে না 1”

“নেকৃড়েই সব নয়। কুঁড়ে ঘরটা বরফচষ্শা পড়তে পারে- তাতে আগুনও লেগে যেতে পারে-যাফো'ক একটা ঘটতে পারে আপনারা ওখানে থাকেন মাত্র ছুটি গ্রাণী_ আপনাদের সাহ! করবার.কেউ নেই”

সাহায্যের কথা ভনে সে ঘ্বণাভরে কলুদে--ঈশ্বরকে আ্‌ ধন্যবাদ | যদি দিদিমা আর আমি একল। ঘ্কৃতে পাই, তাহদে আমাদের যথেষ্ট সাহীয্য-_কিন্তু এ"...

“কিস্ত কি ঢ”

লে বাধা দিয়ে উঠ.লো-সে সব শুনতে গেলে বুড়ো

যাবেন।” উতৎ্চ্ক হ'য়ে জিজ্ঞাসা ক'রল্গো, “আপনিই বাঁ কে?”

আমার মনে হলো সেই বুড়ী আর যুবতীটি কতৃপক্ষের নির্ধাত তয় করছে আমার কাছে, তাই তাকে নিশ্চিন্ত করবার জছ্ে বল্লা;

কুহকী ৯৭ “আহা, আপনি ভয় পাচ্ছেন কেন, তয় পাবেন না। আমি গ্রামের "পুলিশও নই, পান্রীও নই, বা আবগারীর লোকও নই; আমি কোনা সরকারী কর্দচারীই নই?”

“্যত্যি বলৃছেন ?”

“আমার কথায় বিশ্বী করুন| আমাকে বিশ্বাস করুন আমি খুব সাধারণ লোৌক। আমি মাত্র কয়েক মাসের জগ্ভে এখানে এসেছি তারপর আবার চলে যাব। যদি বলেন, আমি কাউকেই ব'লব না যে আমি এখানে £দেস্টিত ম-এবং আপনাদের সঙ্কে দেখা হয়েছিল! আপনি অনাকে বিশ্বাস করেন কি ?”

ঘুবতীর মুখখানা একটু উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো। ব'লুলে-“বেশ ভাঁহলে আপনি ঘিথ্যা ঝলছেন না, সত্যি বলছেন? আচ্ছা ঝনুন আপনি আমাদের বন্ধে কিছু শুনেছিলেন কি, না দৈবাৎ এসে পাড়েছেন ?”

“কি ঘে বলব আমি বুঝতে পারছি না। হ্যা, আমি শুনেছিলায এবং আপনাদের এখানে আঁসবারও ইচ্ছা কারেছিলাম। আজ দৈবাৎ আমি এসে পড়েছি__পথ হারিয়েছিলাযম। এখন ধালুন তঃ আপনারা ওদের ভয় করেন কেন? ওরা আপনাদের কি শ্বনিষ্ট করে?”

সে সনদিদ্ধ দৃষ্টিতে আমার দিকে চাইলে কিন্তু আমি আমার বিবেকের কাছে যুক্ত ছিলাম_তাই কোন রকমে বিচলিত না হ'য়ে তার পরীক্ষায় উততীর্ঘ হ'লাম।

গে বেশ উত্তেজিত হয়ে বলতে আরম্ভ ক'ধলে-”ওরা বড় অসৎ ব্যবহার করে__সাধারণ লোকেরা তত নয়_কিন্ত কর্মচারীরা গ্রামের চৌকিদার আস্বে তাকে ঘুষ দিতে হবে। ইদসপেকটর,

দু

৯৮ কুহকী তাকে দিতে হবে? ঘুষ নেবার আগে আমার দিদিমাকে একচোট: অপমান করবে_ বুড়ী, ডাইনী, আসামী, এই সব বলে] কিন্তু এ. সব ব'লে লাত কি?”

যদিও উচিত নয়, হঠাৎ আমার মুখ থেকে বেরিয়ে গেল, “ওরা আপনাকে স্পর্শ করে নাত?”

আত্মবিশ্বাসের গর্বে তার মাথা উচু হয়ে উঠলো-তার অর্ধনিমীপ্সিত চোখে খেলে গেল তেজদৃপ্ত বিজয়ের ঝিলিক; ঝ'লূলে- “তারা আমাকে ই,তে পারে না-***একবার এক আমীন আমার কাছে এসেছিল-..-"আযাকে চুম্বন করতে চেয়েছিল-*..-তাকে আমি যে চুঙ্বন দিয়েছিলাম মনে হয় তা বোধ হয় আজও ভুলতে পারেনি 1”

তার এই 'গর্ব-ভরা চোখা চোখা কথাগুলোর ভিতর এমন একটা রূঢ় স্বাধীনতার সবুর বেজে উঠলো যে আপনা হ'তেই আমার মনে হ'লো-তুমি পলিয়েসির বনে বৃধাই পালিত হওনি__তোঁমার সঙ্গে তামাঁসা করা বিপজ্জনক !

আমার প্রতি তার বিশ্বীস যত বেড়ে উঠ্‌তে লাগলো, সে বনূতে স্থুক করুল-_“আমরা কি কারও কিছুতে থাকি? লোকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কই নেই-ব্ছরে একবার শহরে যাই সাবন, হন আর দিদিযীর জন্যে কিছু চা সওদা করতে__তিশি চা ভালবাসেন এগুলো না থাকলে ওদের বাদ দিয়েই আমরা চলৃতে পারতাম 1৮

হ্যা হ্যা, আমি বুঝতে পারছি আপনি আর আপনার দিদিমা লোকজন" ভালবাসেন না) কিন্ধ আমি কি মাঝে মাঝে অল্প সময়ের, ভগ্ভে আপনাদের কাছে আস্তে পারি ?”

সে হাসলো_তার সুন্দর মুখখানার কি অদ্ভুত এক আশাতীত পরিবর্তন? পূর্বেকার রূড়তার কোন চিন্ৃই তাতে

কৃহকী ৯৪ নেই_-এক মুহূর্তে তা উজ্্রল সলজ্জ এবং শিশুর মত হায়ে উঠলো। “আমাদের সঙ্গে আপনার আর কিদরকার? দিদিমা আঁর আমি মুখ্য স্ুখ্যু মানুষ! বেশ আসবেন-যদি আপনার তাল লাগে আর যদি আপনি সত্যই ভাল লোক হন। যদি আপনি আসেনই বন্দূকটা না ণিয়ে এলেই ভালো হয়!”

“আপনি ভয় পেয়েছেন ?”

“য় পাব কেন? আমি কিছুতেই ভয় পাইনা?” আবার তার কথার ভিতরে পেলাম তার শক্তির প্রতি বিশ্বাস।

“আমি ওসব পছন্দ করিনা ; আপনি পাখী, খরগোশ সব মীরেন কেন বলুন ত1 তাঁরা কারুর অনিষ্ট করে না-_-আপনার আফার মতই তারা বীচতে চায় ত? ছোট্ট গোবেচারা প্রাণগুলোকে আমার বড ভালো লাগে 1..." আচ্ছা এখন আসি, নমস্কার ।”

সে যাবার জগ্ভে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে) “আপনার নাম্টা জানা হলো না আমার! ভয় হচ্ছে, দিদিয়া ব্রেধ হয় আমার ওপর চট্বেন।”

লহজ সাবলীল গতিতে সে কুটারেব দিকে ছুটুলো-_বাতাসে উড়ে যাওয়া এলো চুলগুলোকে একহাতে ধ'রে নিয়ে মাথা নিচু কারে।

বল্লাম_দীড়ান, কঈীড়ান_-একটু ফীড়ান, আপনার নাম্টা কি? আমাদের পরিচয়টা ভালো করেই হয়ে থাক”

“আমার নাম ফ্যালিওনা-_ এখানকার লোকেরা বলে অলিয়েসিয়া বন্দুকটা কাধে তুলে নিয়ে আমি তার দেখালে!

১০২ কুহকী

দিনগুলিতে অলিয়েসিয়ার চিন্তা থেকে আমি মুক্ত হ'তে পারিনি একা আমার ভাল লাগতো চোখ বুজ্ধে শুয়ে থাকতে যাতে তারই চিন্তায় আমি যগ্ন হ'য়ে যেতে পারি ; বার বার আমার কল্পনায় তাঁকে ডেকে আন্তাঁষ কখনও কঠোর, কখনও চটুলঃ কখনও কোমল হাসি মাথা মুখে, তার তরুণ দেহখানি সেই বনের প্রাচুর্ধপুষ্ট তরুণ ফারগাছের ছন্দে ছন্দায়িত ; তার স্ুম্পষট কণ্ঠস্বর স্লিপ্ধ মধুর ; তার সমস্ত ভঙ্গিমায়, কথায় বাতাঁয়ঃ সে আমার চিন্তায় ফুটে উঠতো অভিজাত অথচ পল্লীযাধুরীতে হ্কৃষমাময়ী | অমি রহস্তময়ী অলিয়েঠিয়া'র প্রতি দিন দিন আক্ক্ট হ'তে লাগলাম মায়াবিনী কুহুকী ঝলে তার যে সন্দেহময় পরিচয়, সেই জলা জঙ্গলে তার ভীবন যাত্রা, সবচেয়ে বেশী তার সেই গর্ব-ভরা আত্মপ্রত্যয় য! তার কয়েকটা কথায় দেখতে পেয়েছিলাম-- আমাকে মুগ্ধ করেছিল

সুতরাং এতে বিশ্বয়ের কিছুই নাই_বনের পথ শুকনো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি চ'ল্লাম সেই জীর্ণ কুটীরের দিকে। সেই খিটখিটে বুড়ীকে তুষ্ট করবার জন্যে মাঝে মাঝে আধ পাউণ্ড ক'রে চা আর কিছু চিনি সঙ্গে নিয়ে যেতীম।

সেখানে গিয়ে তাদের ছৃ'জনকেই পেল» ঘরে? বুডী ভলস্ত উচ্থনের সাম্নে পায়চারি ক'রছে আর অলিয়েসিয়া একটা লম্বা বেঞ্চে বাসে সুতো কাটছে ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করবার শব করতেই, সে আমার দিকে ফিরে চাইলো, সুতো গেল কেটে, টেকোটা ছিটকে মেঝেতে পড়ে গড়াতে লাগলো

আমাকে দেখেই বুড়ী উচ্নের আঁচ থেকে মুখখানা আড়া্স কারে তয়ানক রেগে তুর কুঁচকে কিছুক্ষণ আমার দিকে কট্‌- মটিয়ে তাকিয়ে রইলো! উৎফুল্ল হয়ে গদ গদ তাবে জিজ্ঞাসা,

কুহকী ১০৩

ক'রলাম--“কেমন আছ ঠান্দি? তুষি বোধ হয় চিন্তে পারছ না আমাকে? মনে পড়ছে না, আমি গত মাসে এসেছিপাম এখানে রাস্তা জিজ্ঞাসা করতে? তুমি আমার কপালও গুণে বলূলে ?”

বিরক্তিভরে তার যাথা নেড়ে বুড়ী শ্ড়ি বিড় ক'রে বাল্লে-“আমার কিছু মনে নেই। আমি বুঝতেই পারছি না তুমি এখানে কি ফেলে গেছ? আমরা তোমার পরিচিত নই--আমর! খুব সাদাসিধে গ্রামবাসী এখানে তোমার কিছু থাকতে পারে না--বেশ প্রকাণ্ড বন রয়েছে, সেখানে বেড়াবার যথেষ্ট জায়গা আছে”

এইরকম কটু অভার্থনায় আমি বিশ্মিত এবং সম্পূর্ণ হতবুদ্ধি ইয়ে খুব মূঢ় অবস্থায় পড়ে গেলা--কি যে ক'রবো ঠাউরে উঠতে পারলাম নাএই রূঢ় অভার্থনাকে বিদ্রপ ক'রে উড়িরে দেব, না রাগ ক'রবো, না শেষ পর্যন্ত কোনো কথা না কয়ে ফিরে যাব। আপনা হতেই আমার অসহায় দৃষ্টি গিয়ে পণড়লো , অলিয়েসিয়ার উপর। তাঁর যুখে পেলাম ছলনার হাসির ক্ষীণ আভা ফেটা সম্পূর্ণ দুর্ৃভিন্ধিষর যনে হলো না। সে চর্কা থেকে বুড়ীর কাছে উঠে গিরে কলৃলে-“তয় নেই দিদিমা” আশ্বাস দিলে তাকে।

“লোকটা খারাপ নয়, আমাদের অনিষ্ট সে ক'রবে না”

আমাকে ঠাকুর-কুনুঙ্গীর কাছে একটা বেঞ্চি দেখিয়ে ঝল্লে__ “আপনি বন্সুন 1”

বুড়ীর ওজর আপত্তিতে আর কান দিলে না গে। আমার প্রতি তার দৃষ্টি পড়েছে দেখে আমিও হঠাৎ ঠিক করলাম যা ছোক একটা বোঝাপড়া ক'রে ফেলা ব'ল্লার্_

১০৪ কৃহকী

প্ঠান্ঘি তুমি চ'টেছ দেখছি, কোন আগন্বক ভোষার দরজায় আমুতে না আসৃতে তুমি তাঁকে গালি পাড়তে শুরু কর। আমি তোযার জগ্ভে উপহার এনেছি.-****1” বলে যোড়কট! ব্যাগ থেকে বার করলাম

বুড়ী চকিত দৃষ্টিতে যৌড়কটা দেখে নিয়েই আমার দিকে পিছু ফিরলো আমিও তৎক্ষণাৎ তাঁর হাতে চা আর চিনির মোড়কট! দিয়ে দিলাম! এতে বোধ হয় বুড়ী একটু শান্ত হলো কিন্ত তখনও তার বকার বিরাম নেই। অবিশ্তি রয় তান তাতে ছিল না। আলিয়েসিয়া আবার শ্াঘো কাটতে বসলো, আমি তার পাশে গিয়ে একটা ছোট্ট নিচু ভাঙ্গা টূলের উপর বসলাম অলিয়েসিয়। তার বা হাতে ম্থুভো পাকাচ্ছিলো- রেশমের মত কোমল; আর ডান হাতে টেকো ঘ্ুরেচ্িজো বন বন শকে। যখনই তার তকুলি একেবংবে দেঝের কাছে চে ভাঁদুছে বীরে ধীরে সেটা তুলে তাড়াতাড়ি পাকানো হথতোটা গুটিয়ে নিচ্ছে! তার ভাতে এই কাভ যেটা গুখমে দেখ যনে ভাড়েছিল হজ কিন্তু সত্য কথা ব্বৃতে কি, বহদিনের অভ্যাস কৌশল না থাকুলে এমন করা যায় না-তার হাত চলছিলো বি 'শতিতে-আমি তার ভাত থেকে চোখ ফেরাতে পারলাম 751 সুতো কেটে হাতে কড়া পড়ে গেছে, একটু কাজ দাগও প'ড়েছে ; কিন্তু খেই হাত গুলির এমন স্তর গড়ন যে রাঁজবুনারীরও হিংসা

টা

হবে ত1 দেখে। “আপনি আমাকে খজেন নি, যে দিদিমা আপনার ভাগ্য গণনা করেছিলেন 1” বললে অলিয়েসিয়া 1 আমি পিছন দিকে সতর্ক দৃষ্টি নিক্ষেপ করছি দেখে বললে

কুহ্কী ১০৪

“ওগব টিক আছে-দিদিমা একটু কালা। শুনতে পান নাঃ কেধদ আমার গলার ম্বরই বুঝতে পারেন ভালো ।”

“্থ্যা তিনি ভাঁগ্যগণন! ক'রে দিয়েছেন-তা কি হয়েছে?”

“আমি ছিজ্ঞাসা করছিলাম; আর কিছু নয়। আপনি ওতে বিশ্বাস করেন? কলে সে চু করে আড় চোখে একবার দেখে নিলে।

“কোন্টা বিশ্বাস করি? আপনীর দিদিমা যা গণে দিয়েছেন? না সাধারণ গণনা ব্যাপারটাই, কোনটা ?”

“হ্যা, সাধারণ ভাবেই ভিজ্ঞাসা ক'রছিলায 1”

“আমি ঠিক জানিনা। সত্যি ঝনতে কি আমি ওতে বিশ্বী্ করি না, তবে বলা যায় না? লোকে বলে এমন সব ঘটেছে-"..."লোকে ১হন্ধে অনেক চটকদার বইয়েও এসব কথা লিখেছে! কিন্তু আপনার দিদিমা যা বলেছেন আঁষি তাতে একটুও বিশ্বাস করি না_যে কোনো গ্রাম্য স্ীনোক রকম ঝলুতে পারে

অলিয়েদিয়া মৃদু হেসে ক্ল্লেই্যা, আজকাল "সত্যিই তিনি তাঁল তাবে গুণে বন্তে পারেন নাঃ বুড়ো হয়েছেন আর তা ছাড়া এখন একটু তরও হ'য়ছে। তাঁসগুলোতে কি বল্লে??

“তেমন চমব্দার কিছু না) আমি এখন খনেও করতে পারছি শী-সাধারণত যা বলে অনেক দূর দেশে যেতে হবে**..*"তারপর কি সব চিডিতনের ব্যাপার_ঘব ভূলে গেছি।”

“হ্যা, আজকাল দিদিমা তেমন আর ভাল গণনাই করতে পারেন না-এত "বয়স হয়েছে যে বেশীভাগ কথাই ভুলে যান

১৬ ক্হকী

কেমন করেই বা পারবেন তার ভয়ও হয়_এখন কেবল টাকা ঠৈখলেই বলতে চান।”

পৃকিসের তয়?”

“8 সব কমচারীদের। গ্রামের চৌকিদার আসে তয় দেখিয়ে যায় প্রত্যেকবার_তাঁরা বলে-তোমায়: এই মুহতে বার ক'রে দিতে পারি জান ?-_জান, লৌকে তোমায় ডাইনী কলে ধরে নিলে তাঁর শাস্তি কি?-হক দ্বীষ্প নির্বাসন 1”

“আচ্ছা আপনি কি বলেন, সত্যিই তাই %

“একেবারে মিথ্যে নয় শাস্তি একটু আছে তবে অত নয়। আচ্ছা, 'অনেয়েটিয়ত তুমি কি গণনা কারে বান্তে পার ??

প্রশ্ন শুনে সে একটু বিচলিত হয়ে পড়েছিল তবে খুনি সামলে নিয়ে ঝ্লৃলেপ্পীরি তবে টাকার বিনিষয়ে নয়?”

“তাহলে তুমি একবার তাস ফেলে আমার জগ্যে দেখতে পার!”

সে গম্ভীর ভাবে মাথা নেডে বল্লেন 1৮

কেন দেখবে না? বেশ, অগ্ক এক সময় হবে। আমার কেমন বিশ্বাস হয়, তুমি সত্যিই বল্তে প.থবে।”

“না আমি দেখবো না, কিডুতেই শা।”

“অলিয়েসিয়া, তোমার টিক শয়| অস্ত আমাদের :

প্রথম পরিচরের খাতিরে তোমার অস্বীকার করা উচিত নয়_কেন তুমি করতে চাইছ না বল ত?”

“আমি এঁর মধ্যেই তোমার তাস ফেলে দেখেছি ; ছু'বার দেখা অগ্ায় 1৮

“অগ্ঠায়! কেন?, আমি বুঝতে পারছি না।”

কুছকী ১৩৭

“না না, অগ্তায় অগ্ায়।” ব'লে সে এক অজ্ঞাত তায় চাপা গলায় কল্লে- “বার ভাগ্যগণনা করতে বলা নিহ্যধ আছে। তা ঠিক নয়। নিয়তি তা জান্তে পারবে, শুনৃতে পাবে; সে চায়না তাকে কেউ জিজ্ঞাসা করে, তাই জগ্যেই যত সব গণবকাঁরের; অস্ুতী 1” ]

আধি কি একটা বিদ্রুপ করতে যাচ্ছিলায কিন্তু পারলাম না-তার কথাগুলোর মধ্যে অত্যন্ত দুচ বিশ্বা দেখতে পেলায। সে যখন একটা অজ্রাত তয়ে দরজার দিকে ফিরে “নিয়তি? শব্দটা উচ্চারণ ক'রুলো আমিও তার সঙ্গে সঙ্গে চকিত হ'য়ে ছিলাম।

এবেশ। তুমি যদি আমার ভাগ্যের কথা ঝলৃতে না চাও আচ্ছা বল তাসে তুমি কি পেয়েছ?”

আমি তাঁকে অনুরোধ করলাম

অলিয়েসিয়া চট করে তার তক্লিটা ঘৃরিয়ে আযায় ছুয়ে কলূলে_“না, না, না বলাই ভালো।”

শিশুস্ুনভ অনুনয় তার চোখে ভেসে উঠ্‌লো-*-“লখটি, আযাকে কো না, কলতে-৩লা কিছুই নেই, জিজ্ঞাসা ন! করাই ভালো 1”

কিন্তু আহি গীড়াপীড়ি করতে লাগলাম_আমি ঠিক্‌ বুঝতে পারলাম না তার এই বলতে না চাওয়া আর নিয়তির ভয় দেখানো--এর ভিতর কিছু গণৎকারী চাল আঁছে কিনা, অথবা সে য| বাল্লে সেগুলো সে সত্যিই নিজে বিশ্বাস করে কিনা। আমি অসোয়াস্তি বোধ ক'রতে লাগলাম_কি যেন একটা আতঙ্ক আমাম়্ পেয়ে বসলো

১০৮ কুইক

শেষ পর্যন্ত অন্িয়েসিয়া রাভী হাল-বেশ আমি বলবো, কিন্তু একটা কথা শোনো, যা পেয়েছি জিনিষটা টাকার চেয়ে' দামী; আমি যা ঝলবো। তাতে “গ কারে! না যেন। তাঁস থেকে জানলাম তুমি লোক ভাষো! কিন্ত দুর্বল) তোমার সততা আছে কিন্ত তার ওপর নিভরর করাও চলেনা, তাকে বিশ্বীস করাও চলে না। তুমি তোমার কথা রাখতে পার না। তুমি চাও লোকের উপর কতৃত্ব করিতে কিন্তু তুমি না চাইলেও তাদের অস্থগত হয়ে পড়ো; তুমি পানাসক্ভ এবং, দেখ যদি আমাকে সব কলতেই হয় শেষ পন, আমি কিন্তু ঠিক ঠিক বলে যাব) স্ত্রীলোকের গুতিও তোমার খুব দেশী আসদ্ডি আছে এবং সেই ভগ্রেই প্োমার জীবনে অনেক দুর্ভোগ আদবেত তোঁফার কাছে টাকার কিছুই দাম নেই, ভুমি রাখতে পারবে *তুবি কখনও ধ্ী হবে নািতিতিখারও বাদল টা পবন যাও বলে যাও, ভুমি যা ভান সব বালে যটও।” প্ভানে 'আরও ঝ্ল্লে- তোমার জীবন ছুখের হবে , ভু হৃদয় দিয়ে ভ'লবাতে পারবে শা) তোধার জদর সির অসাড় বারা তোমায় ভাচনাফাৰ তাদেরই তম আঘাত দেবে)

শু

চর

তুমি বিয়ে ক'রবে না, অনিবাহিত অবস্থাতেই খারা যাবে তোমার জীবনে খুব বেশী রকম আনন কখনই আসবে শা? অভি ছুখে নৈৰান্ত ভরা তোর জীবন এমন একটা জঙয় আস্বে বখন তুমি জীবনকে শেব ক'রে দিতে চাইবে-*০-সেই ইচ্ছাটা আস্বে, কিন্তু তুমি সাহস করতে পারবে না, তুমি ভোগকরেই চলবে অত্যন্ত দারিজ্র্যও তোমাকে ভোগ করতে হবে কিন্ত শেবের দিকে তোমার বপ.ল ফিরবে! ভোমার কোনো নিকট

কুহকী ১০৯

আত্মীয়ের মৃত্যুতে সম্পূর্ণ আকম্মিকভাবে তোমার কপাল ফিরবে এসব ঘটতে অনেকে দেরী--**এই বছরেই, আমি ঠিক বলতে পাকি না কথন-_তাঁস বলেছে খুব শীগগির.....হয়ত এই মাসেই-**

থাম্বামীত্র আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি ঘণ্ট্বে এই ব্ছরে ?

“আমার আর বেশী ঝনৃতে ভয় করছে চিড়িতনের বিবির কাছ থেকে গভীর প্রণয় আস্ত্ব। আমি ঠিক দেখতে পাচ্ছি না সে বিবাহিতা না কুমারী? তবে আমি জানি তার থুব

কালো চুল 58 £ আমার চোখটা আপন! হতেই অলিয়েসিয়ার মাথার উপর পড়লো চট করে৷

“আমার দিকে দেখহ্‌ু কেন?” সে হঠাৎ লঙ্জাঁয় রাঙ্গা হয়ে উঠলো--অনেক মেয়েই যেমন পুরুষের চাউনী খুব তীক্ষ ভাবে

[ভব করে সে সেইরকম তীক্ষ অগ্ুভূতি নিয়ে যন্তরচালিতৰৎ তার কেশদাম গুছিয়ে নিয়ে আরও সলজ্জভাবে বলতে লাগলে “হ্যা, কতকটা আমার মতই 1”

আমি হেসে বললাম_ণ্তাহালে তুমি ভার বিবির দৌলতে আমার গভীর প্রণয় হবে|”

অলিয়েসিয়া গম্ভীর হঃয়ে রীতিমত দৃস্বরে ব'ল্লে-_“ছেসো নাঃ হেসে লাত নেই__-মত্যি যা তাই আঘি বলৃছি।”

“আচ্ছা, আমি আর হীস্বো না প্রতিজ্ঞা রা বলো; আর কি আছে?”

“আরো বলবো--চিডিতনের বিবির আস্বে অযঙ্গল, মৃত্যুর চেয়েও খারাপ তোমার জস্তে চিডিতনের বিবিকে অনেক

১১০

দুদর্ণা ভোগ ক'রতে হবে--এমন লাহনাঃ যা সে কখনই ভুলতে পরেবে না-তার ছুখু থেকে যাবে চিরকাল। তার দিক থেকে. তোমার কোনও অনিষ্ট হবে না1”

“আচ্ছা, বল ত, অলিয়েসিয়া, ভাসগুলো তোমায় ভুল বলতে পারে না কি? আমি কেন চিডিতনের বিবির অনিষ্ট করবো খামকা? আমি খুবই সাদাসিধে লোক--তবুও তুযি ষে কি কণরৈ আমার সম্বন্ধে অতগুলো ভয়ঙ্কর কথা বনূলে !”

»”আমি তা জানি না, তাপে যা পেলুষ, অবস্ত তুমিই অর্থাৎ ইচ্ছে করে, যে করবে ভা ব্ল্ছে না-এই সব দ্ুতেণগের তুমিই হবে নিমিত্--আমার কথাগুলো মনে করো যখন সত্যিই হবে ।”

“তাসগুলো তোমায় এই সব ব'লেছে, অলিয়েসিয়া তাড়াতাড়ি আমার কথার জবাব পেলাম না! শেন পর্যস্ত নেহাৎ অনিচ্ছা সক্কেই উড়ো উড়ো৷ উত্তর দিনে-হ্যা, ভাসে" তবে তাস ছাড়! আমি অনেক কিছু জান্তে পারি-কেধল যুখ দেখে। এই যেমন ধরো, কারুর হয়ত মরণ ঘনিয়ে এসেছে-বিশ্রীরকমে মারা যাবে, আমি তার মুখ দেখেই তৎক্ষনাৎ জান্তে পারি--তার সঙ্গে কথা কইবারও আমার দরকার হবে না।

“তুমি তার মুখে কি দেখ ?

“আমি নিজে জানিনা ঠিক, কি দেখি) আমার কেমন একট ভয়,হয় যেন আমার সাম্নে একটা মৃত লোক দাড়িয়ে আছে? দিদিমীকে জিজ্ঞাসা ক'রে দেখোঃ আমি সত্যি বল্ছি কিনা। গত বছরের আগের বূছর-_জতাওয়ালা ট্রফিম্‌ তার জাতাঘরে গলায় দড়ি দিয়েছিল। তার মরবার দু'দিন আগে ভাকে দেখে. আমি দিদিমাকে বলেছিলাম--দেখ দিদিমা, ট্রফিম বোধহয় শ্ীগগির

কন কৃহকী ১১১ 'বিশ্রীতাবে মারা যাবে। হ/য়েছিলও ঠিক তাই। গত বড়দিনে কোচের ইয়াঙ্কা আমাদের এখানে এসে দিদিমাকে বলেছিল আর বাহ গুণতে। লে ঠাট্টা কারে জিজ্ঞাষা করেছিল-বল তোঁ , 'আমি যরব কেমন করে? ব'লে হেসেছিল। তার দিকে আমার চোখ 'পণ্ড়তেই_আমার পা আর চললো না। দেখলাম্‌ ইয়াস্ক! সেখানে বসে আছে কিন্ত তার মুখখানা মৃতের মত- সবুজ হ'য়ে গেছে-- চোখগুলো বন্ধ, ঠোটে কালি। এক সপ্তাহ পরে শুন্লাঘ কতকগুলো ঘোড়া নিয়ে পালাবার মুখে কৃষকরা হয়াস্কাকে ধ'রে ফেজে-গারা রাত ধরে তাকে প্রহার করে--অত্যন্ত খারাপ লোক তারা এখানকার, ভয়ানক নিষ্ঠর_তাঁরা তার পায়ে পেরেক গুঁতে দিয়েছিল, পাঁজব্াগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছিল মুগ্ডর মেরে--বেচারা পরদিন সকালে মারা যা!”

“তুমি তাকে বনূলে না কেন যে--তার খুব খারাপ সময় আস্ছে।”

“কেন বলবো আমি?” অলিয়েসিয়া উত্তর দিলে--“নিয়তির ব্যবস্থা কিকোনো লোক এড়াতে পারে? ভীবনের শেষ সময়ের জন্মে মান্থষের ভাবাই বুখা-..***এ সব জিনিষ দেখতে আমার খুব খারাপ লাগে আমি নিজের নিয়েই হ্বিক্ত হয়ে আছি।*-"- কিন্ত আমিই বাকি করতে পারি? আমার কপালেই নেহাৎ এই ; দিদিমা ঘুখন ছোট ছিলেন উনিও যরণকে দেখতে পেতেন--আমার মাও পেতেন-_ দিদিমার মাও এর জগ্ঘে আমরা দায়ী নই আমাদের

সে তকৃলি কাটা বন্ধ করলো, মাথা নিচু ক'রে তার হাটুর উপর হাতদুটো কাথলো। তার স্থির নিশ্পলক চোখে এবং বড় বড় চোখের

৯৯২ ক্হকী

তারায় পড়েছিল ভয়ানক এক বিভীষিকার ছায়া_যেন এই রহস্তনয় লৌকিক শি ইন্জিয়াতীত অনুভূতির গ্রতি তার অনিবার্য বশ্ততায় তার সন্্বাকেও আতঙ্কে আচ্ছন্ন ক'রেছিল।

(৫)

টেখিলের উপর স্থচের কাঁজকরা একট! পরিষ্কার কাপড় পেতে বুড়ী তার ওপর একটা পাত্র রাখলো, তা থেকে ধোওয়া বেরোচ্ছিল।

পাবি আয় অলিয়েসিয়া” বলে তার নাত্‌নীকে ডেকে একটু ইতত্ততঃ করে আমার দিকে ফিরে কলৃুলে--“তুমিও আমাদের সঙ্গে খাবে ধাছাঃ আমাদের কিন্তু খুব সাদাসিধে খানা ; আমাদের ঝৌলটোল নেই কেবল গম দিদ্ধ1--**-*৮

বুড়ীর আমন্ত্রণের মন্যে 2 যে আগ্রহ ছিল তা বলতে পারি না

অহীয়েফ্যি তাঁর স্বতবস্তুলভ সরল হাসিমুখে আমায় অনুরোধ না ক'রলে, আমি প্রত্যাহার করবো ঠিক করেছিলাম--যাই হোক, খেতে সম্মত হ'লাম ! বুড়ী একটা প্লেট থেকে আমাকে এক ডিদ্‌ গম সিদ্ধ, চর্বি দিয়ে গমের হালুয়া, পেঁয়াজ, আহু আর চিকেন দিলে বেশ চমৎকার স্বস্বাত্ ছিল খেতে, দিদিমা! বা ন' নুলী খেতে বসবার সময় কেউই ক্রশ চিহ্ন আকলে না। খাব" লযয় আমি তাঁদের ছু'জনকেই এক নাগাড়ে লক্ষ্য করছিলাম, কারণ এপর্যস্ত আমার দুঢ স্ধারণা যে যাম্ৃষ থাবার দময় মবচেয়ে বেশী নিজেকে ধরা দেয়। বুড়ী খুব নুন্ধ গরাসে পরিজ থেয়ে যাচ্ছিল সশবে-_মুখের ভিতর কুটির বড় বড় টুক্রে! ঢুকিয়ে দিচ্ছিল-_সেগুলো তার তৌবড়ানো! গালে তাঁল পাকিয়ে ঘুরপাক খেতে লাগলো শর্গিয়েচিরার খাওয়ার ভঙ্গীতেও পল্লী সুষমার আভাস ছিল।

কুহকী ১১৩

. খাওয়া দাওয়ার ঘণ্টাথানেক পরে আমি সেই জীর্ণ কুটারের কর্তরীদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। "

অঙিয়েসিয়া বদূলেশ্যদি তোযার ইচ্ছে হয়, আমিও তোযার সঙ্গে একটু যেতে পারি।”

বুড়ী রেগে বিড় বিড় ক'রে বললেই রকম বেড়াতে যাবার যানে কি? তোর নিজের জায়গায় থাকৃতে. পারিস না বুঝিধিঙ্গী কোথাকার

ইতিমধ্যে অলিয়েসিয়া লাল কাশ্বীরী শালখানা জড়িয়ে নিয়েছিল। ছুটে তার দিদিমার কাছে গিয়ে তাকে আলিঙ্গন করে চুষ্বন করলো সশবে | ব'লূলে

“ও. দিদিমা, সোনামণি-“একটুখানির জগ্ঠে যাচ্ছি, এক মৃহূ্ভেই ফিরে আসবো” বুড়ী নিজেকে তার হাত থেকে যুক্ত ক'রে ৰাললে__“আচ্ছা যা, পাগলী, কোথাকার”_তারপর আমায় বলে--ওকে তুল বুঝো না বাছা, বড়ো বোকা ।”

একটা সরু রাস্তা পার হয়ে আমরা বনের পথে, এসে পঁড়লাম__কাদায় কালো_ক্ষুরের দাগ বার চাকার দাগে ভতি-- তাতে জল বোঝাই__তাঁর উপর সন্ধ্যাতারার আলো প্রতিবিদ্বিত হচ্ছিল। রাস্তার এক পাশ দিয়ে আমরা ইাটছিলাম। গত বছরের শুকৃনো বাদামী রংয়ের ঝর! পাতাগুলো তখনো! শ্তকোয় নি-বরফগল| জলে তিজা। মাঝে মাঝে সেই শুকনো হ'বূদে রংয়ের পাতার ফাকে ফাকে উকি মারছিল -বেল, ফুল তার নীলাভ লাল মাথা তুলে।

*শুন্ছো অলিয়েসিয়াতাকে বলতে নুরু করলাম “তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে বড় ইচ্ছে হয়__কিন্ধ

৯১৪ ক্‌হকী

তোমায় বোঝাবৌ কি ক'রে ভেবে পাচ্ছি না।”

প্িদিযা ডাইনী, এই ত?” অলিয়েসিয়া বলে উঠলো আমার কথা টেনে নিয়ে।

“না..পননাঃ ডাইনী লয়।” বালে তাকে বাধা দিলাম

"বেশ ডাইনীই যদি বলো--লোকে তাইত বলে। গাই গাছড়া ওষুধ পত্র+ যাছমন্্র কেনই বা জান্বে না? তবে তোমার যদি খারাপ লাগে তো উত্তর দিতে আমি ঝ'লবো না।”

সে সহজ ভাবেই উত্তর দিলে_কিস্ত কেন বলবো না, থারাপ লাগবে কেন? সত্যি কথা, তিনি ডাইনী কিন্তু এখন তার, বয়স হয়েছে, আগে যা সব করেছেন, এখন তা আর পারেন না ।” |

“তিনি আগে কি করতেন % উৎস্থুক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম | "

প্সৰ রকমই। রোগ সারাতে পারতেন, প্লাতের ব্যথা তাল করতে পারতেন; খনির উপর মন্ত্র পড়ে দিতে পারতেন; ক্ষ্যাপা- কুকুর বা সাপে কাম্ডালে ঝাড়ফুঁক ক'রে গলিতে পারতেন। গুপ্রধন উদ্ধার ক'রতে পারতেন_-তিনি যে কত কি ক'রতে পারতেন, তা ব্লা অসম্ভব ।”

“দেখ অনিয়েসিয়া, তুমি আমায় ক্ষমা কর | আমি এসব বিশ্বাল করি না! আমাকে সব কথা খুলে বদ, আমি কাউকে বলবো না। এগুলো কি জান? মামুষকে কেবল স্তস্তিত ক'রে দেবার ছল, নয় কি?”

তাচ্ছিল্যভাবে সে ঘাড় নাড়লে।

কুহ্কী ১১৫

_ “তোষার যা খুশী মনে কর- গ্রাম্য স্ত্রীলোকদের ঘাবড়ে দেওয়া] খুবই সহজ কিন্তু আমি তোমায় প্রতারণা ক'রবো না৷”

“তুমি সত্যিই তাহলে যাছুবিদ্যায় বিশ্বাস কর দেখছি ?”

বিশ্বাস না কণরই বা পারি কি ক'রে বল? আযাদের কপালেই তো যাছুগিরি লেখা আমিও নিজ্ঞে অনেক কিছু করতে পারি ।”

“ঘলিয়েজিয়ট তুমি জান না ওতে আমার কত আগ্রহ আছে। তুমি আমাকে কি কিছু দেখাবে না?”

“তোমার যদি ভাল লাগে তবে দেখাব ।”

অলিয়েসিয়া সহজেই সম্মত হ'য়ে বললে_“তোমার কি ইচ্ছে আমি এখুনি দেখাই ?”

ন্থ্যা যদি সম্ভব হয় এখুনি দেখাও 1”

“তয় পাবে না ত?”

"বারে! কেন, ভয় পাব; রাত্রে হ'লে হয়ত পেতাষ এখন দিনের আলো রয়েছে !”

"বেশ, তোমার হাতটা দেখি”

আমি হাতটা বাড়িয়ে দিলাম। অলিয়েসিয়া তাঁড়াতাড়ি ওভার কোটের আন্তিনের বোতাম খুলে গুটিয়ে দিলে। তারপর প্রায় তিন ইঞ্চি লা একটা চীনদেশীয় ছুরি তার পকেট থেকে বার ক'রে চামড়ার খাঁপ, থেকে খুললে__

“তুমি কি করবে বলত?” আমার কেমন একটা আতঙ্ক জেগে উঠলো ভিতরে ভিতরে :

“ভূমি এখনই দেখতে পাবে কিন্ত তুমি বলেছ, 'ভয় পাবে না?” সে হাতটা একটু নাড়লে এত তাড়াতাড়ি যে ধরাই যায় না, আমার ঠিক হাতের নাড়ীর উপরে নরম জায়গাটায় খুব ধারালো ছুরির আঁচড়

১১৬ ক্হকী

অ্ছভব ক'রলাম। সঙ্গে সঙ্গেই দেখি সেই কাটা দাগটা বেয়ে রক্ত হাতে গড়িয়ে পড়ছে_টপ. টপ্‌ ক'রে যাটিতেও পড়তে লাগলো চীৎকার যেন বন্ধ ক'রে রাখতে পারছিলাঘ না-_আমার বেশ মনে হ'লো আমি বিবর্ণ হ'য়ে গেছি।

অলিয়েসিয়া মৃছ হেসে ব'ললে-_“তয় পেও না, য'রবে না রি

সেই কাটা দাগটার উপরে আমার হাতটা ধরে, মুখ ন্ট ক'রে ফিস্‌ ফিস কে কি বালূতে লাগলো! তার নিশ্বীসটা প'ড়ছিলো আযার গায়ে-হাঁতের উপর। সে যখন হাত ছেড়ে দাড়ালো তখন সেই ক্ষতস্থানে কেবল লাল দাগ ছাড়া আর কিছু নেই। ছুরিটা রেখে চট্ল.হালি ছেলে সে কললে-“কেমন দেখলে ত? আরও দেখতে চাও ?”

যা) নিশ্চয়ই! অবশ যদি যাগ না দিয়ে আর রক্ত-পাত না কারে সম্ভব হয়।”

“তোমায় কি দেখাব ?” ক'লে সে ভাবতে লাগলো।

“আচ্ছ! ওতেই হবে--এখন চলতো! তুমি আগ আগে, পিছনে তাকিও লা?

আমার অঙোয়াস্তিকর বিন্বয়ের মূ আকাজাকে ঢাক্বার জস্ে একটু হেসে জিজ্তাসা ক'রলাম_-“ওতে আর তেমন ভয়ের কি আছে!”

“নানা কিছু লা, তুমি এগিয়ে চল।

তাকে পরীক্ষা ক'রে দেখে নেবার কৌতুছলে আবিষ্ট হ'য়ে আমি

আগে চন্লাম। আমার পিছনে অলিয়েম্যার স্থির দৃষ্টি যেন আমার গায়ে

ক্ছ্কী ১১9 লাগছিল-_দশ বারো পা এগোতে না এগোতেই বেশ সমান রাস্তার উপর আমি হোঁচট খেয়ে প'ড়ে গেলাম! টু

অলিয়েলিয়া চীৎকার ক'রে বলে উঠুলো--“্চ'লে চলো) চলে চলো, পিছনে চেওনা, কিছু নয়,......বিয়ের আগের দিন ঠিক হ'য়ে যাবে।

“পড়বো পণড়বো মনে হ'লে এরপর পণটা ভালো ক'রে টিপে চ'লো।”

চলতে লাগলাম আবার দশবারো পা এগোতে না এগোতে দ্বিতীয়বার পড়লাম একেবারে সটান চিৎপাঁত হয়ে

অলিয়েসিয়া হাততালি দিয়ে হাসূতে শুরু ক'রলো।

“কি? এখন তোমার হয়েছে?” চেঁচিয়ে উঠলো সে--তার ধব্ধবে সাদা দাতগুলো বকৃঝক্‌ ক'রে উঠলো

“**এখন তোয়ার বিশ্বাস হয়েছে কি? এসব কিছু না, না? তুমি চ'লৃতে গিয়ে কেবলই হুম্ডী খেয়ে প'্ড়ছ নিচের দিকে 1

বিস্মিত হয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলায-“তুমি কি কারে করলে?” জামা কাপড় থেকে ঘাসপাতাখুলো ঝাড়তে ঝাড়তে বল্লাম” “তুকৃতাক কিছু বুঝি ?

কতক ছুই না আমি কবে তোমায় ফ'দতে পারি। আমার খালি সন্োহ হয় তুমি বুঝতে পারবে না_আমি তোযায়

বাস্বিকই আমি তাঁর কথা বুঝতে পারি নি। , কিন্তু যতটুকু বুঝলাম সেটা হু'লো এই..আমার চলার ঠিক তালে তালে তায অনুসরণ করা) সে আমার দিকে স্থির ভাবে লক্ষ্য রেখে আমার

১১৮ ক্হ্কী

প্রত্যেকটি চলাফেরা অন্থরণ করছে ঠিক সে আমি হ'লে বা হয়। কয়েক পা চলবার পর সে কল্পনা করতে লাগলে যেন আমার সামনে কিছু দূরে রাস্তা থেকে গঞ্জ খানেক উঁচু দিয়ে একটা ঘড়ি আড়াআড়ি ভাবে রয়েছে | যে মুক্ূতে সেই কল্পিত দড়িটা আমার পায়ে ঠেকেছে অমনি অলিয়েসিয়া পড়বার ভাণ ক'রেছে; তখন) লে বলে, যত বলবান লোকই হোক না কেন নিশ্চয় পড়ে যাবেই। বহুকাল পরে আমি যখন ছৃ'জন হিষরিয়া রোগিনীর উপর দিয়ে চারকটের পরীক্ষার বিবরণী পণ্ডছিলাম, তারা নাকি বাহৃকরী ছিল, তখন অলিয়েস্ি'র এই গোলমেলে ব্যাখ্যার কথা আমার মনে হয়েছিল 1 আমি দেখে বিশ্বিত হয়েছিলাম যে, ফরাসীদেশের খুব সাধারণ যাদুকরীরাও এই রকম ক্ষেত্রে একই তুকৃতাক অবলম্বন করে) পলিয়েসির এই হুন্মরী মায়াবিনীটি যেমন কারেছিল।"

অলিয়েসিয়া বেশ গর্বভরে ব'ললে--“এছাড়া অনেক কিছু আমি করতে পারি! যেমন ধরো, আমি তোমার মনে একটা তয় ঢুফিয়ে দিতে পারি

“তার মানে?”

“আমি এমন একটা কিছু করবো যাঁতে তুমি ভয়ানক তয় পাবে। মনে করে! সন্ধ্যার সময় তুমি তোমার ঘরে ক'লে আছ-- _ কোন কারণ নেই হঠাৎ তোমার এমন ভয় পাবে যে ঠক্‌ ঠক করে কাপতে থাকৃবে'*'তফিরে চাইতে পর্যস্ত সাহস হবে না। এসব করতে হ'লে তুমি কোথায় থাকো সেটা জানা আর তোমার ঘরট! দেখা আমার আগে দরকার 1

“হ্যা, ওতো খুব সহজ ব্যাপার,” আমি বিশ্বাস করিনি তার

ক্‌হকী ১১৯ কথায়, বললাম--“তূমি জামার জানালার খুব কাছে গিয়ে ভাতে

“নাননাঃ তা নয়) সে সময় আমি থাক্‌রে! বনে। আমার কুঁড়ে ছেড়ে বেকুষো না মোটেই..নতবে আমি সেই সারাক্ষণ বলে মনে ক'রবো_যেন আধি রাস্তাদিয়ে বেড়াচ্ছি, তোমার বাড়ীতে ঢুকছি, দরজা খুলছি, তোমার ঘরে ঢুকছি-ধর, তুমি ঘরের ভিতর এক জায়গায় টেবিলের কাছে ব'লে আহ্‌-**.*আমি পা টিপে টিপে চোরের মত তোমার পিছনে গিয়ে ছু হাতে তোমার ছুই কাধ ধরে মোচড় দিতে লাগলাম_খুব জোরে আরও জোরে_আরো োরে-_তোমাঁর দিকে কটমট্‌ ক'রে চাইলাম_ঠিক এমনি কারে,

তার সরু সরু তৃরু দুটো হঠাৎ জুড়ে এলো। তার চোখছুটো আমার দিকে ভীতিজনক সম্মোহিনী দৃষ্টিতে নিবন্ধ হ'লো। তার চোখের তারাগুলো বড় বড় হায়ে নীল হ'য়ে গিছলো। মাস্কোতে টি তিকৌভ, চিন্রাগারে, কার আঁকা ভুলে গেছি; একটা যেছুসার মুখের প্রতিকৃতি দেখেছিলাম_মনে পড়ে গেল সেই মুখ! তার এই অদ্ভুত দৃষ্টিতে পণড়ে আমি যেন কি এক অলৌকিক আতঙ্কে শিউরে উঠলাম

জোর ক'রে হাসবার চেষ্টা ক'রে বাল্লাম_ছয়েছে.*+ওতেই হবে) অলিয়েসিয়া। তোমার হাঁসি মুখখানা দেখতেই আমার বেশী ভাল লাগে কেমন ছোট্র শিশুর যত মধুর তোমার মুখখানি”

চলৃতে হুর করলাম আবার হঠাৎ মনে হলো যে অলিয়েসিয়ার কথাবাতর্ণর মধ্যে একটি মধুর স্বচ্ছতা! আছে এবং তার মত লাধারণ মেয়ের পক্ষে বেশ একটা মার্জিত রুচি বোধও আছে ।-_বল্লাম_- “অলিয়েসিয়া, তোযার মধ্যে সব চেয়ে আমার আশ্র্ঘ লাগছে কি

১২০ ক্হ্কী

জান? তুমি বনেতে মানুষ হায়েছ-লোক -লর মুখ দেখই নি ব্লা চলে'*”** ভূমি নিশ্চয় বেশী দূর পড়তে. গনি? য়

“আমি একেবারেই পড়তে পারি না

“তাহলে আরও আশ্তর্ধের বিষক-..*কিন্ধু তুমি কধা কও ঠিক সুশিক্ষিতা মহিলার যত) তুমি ০১ দায় শিখেছ। বলতো? আমি কি বলছি বুষতে পারছো ত?”

প্্া, বুঝতে পেরেছি, বৈকি। দিদিমার কাছ থেকে শিখেছি। তার চেহার! দেখে তুমি বিচার কারো না) /উনি খুব চতুরা। তোমার সঙ্গে তার পরিচয় হ'লে হয়তো কোনো দিন তোমার সামনে কথাও কইতে পারেন। তিনি সব জানেন পৃথিবীর; হা] কিছু তুমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করো! না কেন: সত্যি উনি এখন বুড়ো! হয়েছেন ?”

প্উনি তাহ'লে তুর জীবনে অনেক কিছু দেখেছেন। উনি কোথাকার লোক? এর আগে কোথায় বাস করতেন ?”

মনে হলো এই প্রপ্রগুলো অলিয়েসিয়ার ভাল লাগলো না। সেউত্তর দিতে ইতস্তত; ক'রে আম্তা আম্তা করতে লাগলো-- “আমি তা জানি না'”****তিজি নিজেও সে সব কথা কইতে ভালো বাসেন না। যদিবা সম্বন্ধে তিনি কোনোদিন 'কছু বলেন তো তোযাকে সে কথা তুলে যেতে বলবেন, প্রশ্ন 1---*-স্্যা। আমায় যেতে হয় .এবার**” ব'লে অলিয়েঙিয়! তাড়াতাড়ি করতে লাগ লো, পদিদিযা রাগ কণরবেন.-”**আচ্ছা, বিদাক়্-..."মাফ ক'রোতোযার নামটা এখনও জানলাম না।”

প্ইভান টিযোফেইভিচ 1. বেশ, ঠিক আছে, আচ্ছা, নমস্কার,

.. কুহকী ১২৯ ইভান টিযোফেইভিচ.! আমাদের কুঁড়েকে দ্বপা করো না যেন... মাঝে মাঝে এসো |”

আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম বিদায় জানিয়ে, সেও তার্‌ ছোট্ট পরিপুষ্ট হাতে সবলে চাপ দিয়ে শ্রীতির সাড়া জানিয়ে দিলে।

(৬).

সেইদিন থেকে আমি সেই জীর্ণ কুটীরে প্রায়ই আস্তে আরস্ত ক'রলাম। যখনই আসতাম অলিয়েসিয়! ভার স্বাতাবিক মধুর গাস্তীর্য নিয়েই আমার সঙ্গে মিশতো। কিন্তু আমি, নিশ্চয় ক'রে বলতে পারি যে আমি আসাতে যে সে খুলীই হয়েছে সেটা তার অজ্রাতসারে আপনা হ'তেই ফুটে উঠতো তার ভিতরে

বুড়ী তবুও তার অভ্যাসমত নাকি হরে বিড় বিড় ক'রে বিরক্তি প্রকাশ ক'রতো) তাতে প্রকাশ্যে বিদ্বেষের তাৰ কিছু দেখাতো না, সেটা হয়ত তার নাতনীর অন্থরোধে, যদিও আমি তা প্রত্যক্ষ করিনি, আমার দৃঢ় ধারণা কিন্তু তাই। আর, তার জন্ঘ মাঝে যাঝে ষে সব উপহার নিয়ে যেতাম--গরম শাল, মোরব্বা, সেরী-ব্রাণ্ডি এতে,ক'রেও আমার উপর রীতিমত থুস্‌ মেজাজই ছিল মনে হয়। যেন তার মৌন সম্মতিতেই আমার বাঁড়ী যাবার সময় সেই আইরিনোতের রাস্তা পর্যস্ত আমাকে এগিয়ে দেওয়া অলিয়েসিয়া তার অভ্যাসে পরিণত ক'রেছিল। আর সেই সঙ্গে আমাদের মধ্যে এমনই মজাদার গ্রাণময় অলোচনা শুরু হ'তো যে আপনা হতেই আমরা দুজনেই চেষ্টা ক'রতাম পথটা বাড়াবার-_সেই নিস্তন্ধ বপথ যতদুর সম্ভব আস্তে আন্তে চলে!

আইরিনোত রোডে এসে আমি আবার আধমাইল পর্যস্ত তার

.৯হহ কুহকী

সঙ্গে ফিরে যেতাম-__সেখান থেকে বিদায় নেবার আগেও সেই স্রতিময় পাইন শাখার ছায়ায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে অনেক্ষণ কথা ৰালতাম।

কেবল অলিয়েসিয়ার লৌন্দর্থ যে আমাকে মুগ্ধ করেছিল তা নয়, তার সহজ সাবলীল মুক্ত স্বতাব, তার সেই শিশু স্বলত সরল যন-_ কখনও পরিষ্কার কখনও অবিচ্ছির অলৌকিক আশঙ্কায় আচ্ছর অথচ সুন্দরী নারীর চতুর চটুলতাও তাতে মাথানো। “তার অনাবিল উচ্দ্ল কল্পনাকে যে জিনিষেই আন্দোলিত করতো সে সম্বন্ধে খুটিনাটি প্রশ্ন ক'রতে সে ক্লান্ত হতো! না__নানান, দেশ, নানান লোক নৈসর্গিক "ঘটনা, বিশ্বচর/চরের ব্যবস্থাঃ পণ্ডিত লোক, বড় বড় শহর__এই সব কতকি? অনেক জিনিষই তার কাছে ছুবেধ্য ছিল-_-আশ্চর্য মনে হতো, পরীর মত বিশ্বয়কর মনে হতো তার কিন্ত আমাদের মেলা- মেশার গোঁড়া থেকেই আমি এমনই আত্তরিক ভাবে গন্ভীর অথচ সহজ সরল ব্যবহার তার সঙ্গে করতাম যে আগার সকল কাহিনীতেই সে তার সম্পূর্ণ আস্থা স্থাপন ক'রতো মাঝে মাঝে যখন কোনো বিষয় তাকে বোঝাতে গিয়ে আমি উপায় ধুঁজে পেতাম না, যখন যনে হতো আমি যা দিয়ে বোঝাতে যাচ্ছি "চার সেই বনবাশী মনের পক্ষে খুবই ছূর্বোধা সেটা, তখন "ই ব্যাকুল প্রশ্্ের উত্তরে বলতাম-“দেখখ আমি তোমাকে এটা বোঝাতে পারব লা ভুমি আমার কথা বুঝতে পারবে না”-_

তখন সে অস্থুনয় করতে শুরু ক'রতো-প্বিল, বল আমাকে বল না, আমি বুঝ তে চেষ্টা করবো, পরিষ্কার ক'রে না পার, যাহোক করেই বলোনা?” তখন সে আমাকে বাধ্য করতো! নানারকম অলঙ্গত তুলনা আর অসম্ভব আজগুবি সব দৃষ্ান্তের সাহাযেই তাকে

ক্হ্কী ১৩ বোঝাতে ) যখনই তাকে কিছু বলতে গিয়ে ঠিক্‌ ঠিক কথা খুঁজে পেতাম না তখন সেও তার নানারকম অধীর সিদ্ধান্তের স্রোত বইয়ে আমাকে উদ্ধার করবার চেষ্টা ক'রতো- যেমন আমরা তোতলাদের বেলা কথা জুগিয়ে থাকি। শেষ পর্যন্ত তার সজীব সচল মনের বিচিত্র কল্পনাই আমার সেই অক্ষম গুক্ুগিরির উপর জয়ী হতো]; তার পারিপার্থিক অবস্থা আর শিক্ষা শিক্ষা নয়। শিক্ষার অতাবের কথা তেবে তার শর ক্ষমতা সম্বন্ধে আমার দৃঢ় বিশ্বাস হ'য়েছিল।

একবার কথাপ্রসঙ্গে আমি পি্বৃস্বার্দের উল্লেখ ক'রেছিলাম_- অলিয়েসিয়! তৎক্ষণাৎ উৎসুক হয়ে পড়লো

“পিটারস্বার্শ কি? একটা ছোট শহর নাকি ?”

“না, ছোট নয়_এটা রাশিয়ার সবচেয়ে বড় শহর 1”

“িবচেয়ে বড়? মানে সবগুলোর চেয়ে? ওর চেয়ে আর বড় নেই বুঝি 1” সে বেশ সরলভাবেই জোর ক'রে প্রশ্ন করলো

“্মৰ চেয়ে বড়। প্রধান প্রধান ব্যক্তিরা এইখানে বাস করেন-**..*বড় বড় লোকেরা ; সেখানকার বাড়ীগুলো স্ব পাথরের তৈরী-_কাঠের একটিও নেই

“তাই লাকি? এটা কি আমাদেন স্টাপ্যানির চেয়েও অনেক বড়?” অলিয়েসিয়া দৃঢ় বিশ্বাসের স্থুরে জিজ্তাসা করলে

“ও; নিশ্চয়ই_বেশ বড়ধর পাঁচশ” গুণ বড়। সেখানকার বাড়ীগুলো এত ৰড়যে একটা বাড়ীতে স্যস্ত স্টাপ্যানির ছু লোক বাস করে ।”

"ওরে বাবা! বাড়ীগুলো তাহলে কিরকম গো?” অলিয়েসিয়! বেশ থানিকট! ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা ক'রলো। |

৯২৪ ক্হকী

“ভীষণ ভীষণ বাড়ী_পাচ ছয় এমন কি সাত তলা এঁফার গাছটা দেখছো ত?”

“হ্যা, & বড়টা ?”

“ওরই যত বড় বাড়ীগুলো এবং উপর থেকে ঘলা পর্যন্ত লোক ঠাস়া। লোকগুলো ছোট জীর্ণ খুপরির যধ্ো থাকে_েন খাচার পাখী একটাতে দশক্গন ক'রে নিঃশ্বাস নেবার উপযুক্ত প্রচুর বাতাসও পায় না। কেউ কেউ নীচের তলায় থাকে একেবারে মাটির নিচেস'যাৎসৌতে ঠাণ্ডা তাদের মধ্যে কেউ কেউ বছরের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত হুর্যকে দেখতেই পায় না 1”

“কিছুতেই আমার এই বন ছেড়ে তোমাদের & শহরে আমাকে নিয়ে যেতে পারবে না” অলিয়েসিয়া মাথা নেড়ে ব'ল্লে--এমন কি যখন আমি ই্টিপ্যানীতে বাজার ক'রতে যাই__আমার বিরক্ত বোধ হয়-তীরা ঠেলা দেয়, চীৎকার করে, গালিগালাজ করে'***আর আমার বনের উপর এমন একটা টান আছে ষে আমার মনে হয়ে আমি সব কিছু ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ছুটে পালাই আর ফিরে লা তাকিয়ে। ভগবান তোমাদের শহর দিন, আমি সেখানে থাকতে চাই না 1” কিন্ত যদি তোমার স্বামী শহরের লোক হন-তখন কি করবে?” আমি একটু হেসে জিজ্ঞাস! ক'রলাম। তার তৃরু ছুটো কুঁচকে উঠ্‌লো নাকের গর্ত কেপে উঠলো--“মার কিছু ঝলবে কি!” দ্বপাতরে সে বল্লে-“আমার ক্বামীর দরকার নেই”

“এখন তুমি একথা বলছে! বটে অলিয়েসিয়া, প্রায় সব মেয়েরাই এই কথা বলে থাকে কিন্তু তবুও তারা বিয়ে করে। কিছুদিন ব্পেক্ষা কর) কারোর সঙ্গে তোমার দেখা হবে এবং প্রেমে পড়বে

কুহকী ১৪

এবং তার অনুসরণ কারবে শুধু শহরে নয় পৃথিবীর শেষগ্রান্ত পর্যস্ত।” নি

“না-না-তন্দয় কারে প্রসঙ্গ ছাড় ।”

সে বিরক্তিতরে আমার কথার মধ্যে বলে উঠ্‌লো--“এ সব কি কথা হচ্ছে আমাদের? আমি বলছি, এসব কথা বলো না।”

“ভারী মজার তুমি অলিয়েসিয়া ! আচ্ছা, সত্যি কি তুমি বিশ্বাস কর যে জীবনে তুমি কাউকে তালবাসবে না? তুমি এমন হুদর..-্বাস্থ্যবতী*.ফুবতী। রক্তে যদি একবার তুমি ভালবাসার স্বাদ পাও কোনো প্রতিজ্ঞাই তোমাকে আটকাতে পারবে না?”

“বেশ তাহ'লে আমি ভালবাসবে ।”

অলিয়েস্যি: উত্তর দেয়, তার চোখে যেন বাদি রাখার আগুণ খেলে যায়_-“আমি কারুর অনুমতি চাইবো না।”

“তোমাকে বিয়েও করতে ছবে।” তাকে চটাবার জস্ে ব্্লাম। | “আমার মনে হয় তুমি শীর্জার কথা কল্ছো? সে অস্থমান কারে দিজ্তাসা ক'রূলে।

নিশ্চয়ই, গীর্জার কথাই ত? পাত্রী তোমাকে বেদীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করাবে, স্তাবক গান করবে_-ইসায়া প্রীত হান? ঝলেঃ তারা তোষার মাথায় একটা মুকুট পরাবে *৮** অলিয়েসিয়া চোখ নিচু ক'রে মৃছু হেলে মাথা নাড়তে লাগলো

“না গো নাত হয়তো আমি যা বাল্ছি তা তোমার ভাল লাগছে না? কিন্তু আমাদের বংশে কেউ কখনও দীর্জায় গিয়ে বিবাহ করে নি। আমার মা, তারও আগে আমার দিদিমা কখনও তা করেন নি......তাছাড়া আমরা কখনই ঈীর্জায় যাব না

৯২৬ কুছকী রি তোমাদের যাচ্ুবিদ্তের আ্ধে ?” হ্যা, যাহুবিদ্বেই বটে?” অলিয়েসিয়া স্থির গান্ভীর্ঘে উত্তর দিল।

"কোন সাহসে আমি গীর্জায় উপস্থিত হবো বলো? জন্ম থেকেই আমার আত্ম: তারই কাছে নিবেদন করা আছে?”

“অলিয়েসিয়া, লক্ষীটী--..--আমাকে বিশ্বাস কর, তুমি নিজেকে প্রতারণা করছো তুমি যা বলছো, তা সাংঘাতিক আর হান্তকর ॥”

আগেও .দেখেছি আবার দেখলাম অলিয়েসিয়ার মুখে বিশ্বাসের অন্তুত আভাস রৃহম্তাবৃত ভাগ্যের প্রতি তার নতি স্বীকারের ভাব ফুটে উঠলো

পনা না. তুমি বুঝতে পারবে লা," কিন্ত আমি অম্ভুতব করতে পারি.-...-ঠিক্‌ এইখানটায়_-সে হা হখানাকে তার বুকের উপর জোরে চেপে ধরল, “আমি তা অন্তরে উপলব্ধি ক'রতে পারি চিরকাল, চিরকালের জ্ঞগ্যে আমাদের বংশ অভিশপ্ত কিন্ত একবার ভাবতো ! বদি তিনি না হন তবে কে '্বামাদের সাহায্য করছে? আমি যা করতে পারি তা কি কোনে সাধারণ লোকের কাজ? আমাদের সমস্ত শক্তি তারই দেওয়া ।”

যত্বারই আমাদের কথাপ্রসঙ্ষে এই শলৌকিক বিষয়ের কথা উঠেছে ততবারই ঠিক এই ভাবেই শেষ হয়েছে। অলিয়েসিয়ার বোধগম্য যাবতীয় যুক্তি থাকৃতে পারে বৃথাই আমি সেগুলো! প্রয়োগ কারে শেষ করতাম। বৃথাই আমি কৃত্রিম স্বপ্ন, প্রস্তাব, সন্মোহন এবং ভারতীয় ফকিরদের কথা সহজ ভাষায় বোঝাতে যেতাম। শিরার উপর চাপ দিয়ে রৃক্তের তুকতাক জাতীয় ডাইনিদের অনেক *

ক্হকী তে,

রকম তেম্কী যে দেখানো বায়, এটা শরীর তত্বের সাহায্যে আমি তাকে বৃধাই বোঝাবার চেষ্টা ক'রতাম। যে আযার অগ্ত সব কথা নিঃসংশয় ভাবে বিশ্বীস করতো সেই অলিয়েসিয়া আমার সমস্ত যুক্তিতর্ক এবং ব্যাথ্যা প্রবল জিদের সঙ্গে উড়িয়ে দিত।

“বেশঃ আমি তোমাকে রক্তের তৃক তাক্‌ দেখাব 1”

সে টেচিয়ে কলে উঠলো--“কিন্ত অগ্ঘ সব জিনিষ কোথা থেকে আসে বলতে পার? আমি কি খালি রক্তের তুক্তাক জানি? একদিনের মধ্যে আমি যে কোনে! কুঁড়েঘর থেকে সমস্ত ইছর আর গুবরে পোকাকে বার ক'রে আন্তে পারি-দেখতে চাও? যদি তুমি দেখতে চাও তো! আমি দুদিনের মধ্যে সাংঘাতিক ভব সামাস্ ঠাণ্ডা জল দিষে সারিয়ে দিতে পারি) এমন কি তোমাদের সব ডাক্তাররাও যদি সে রোগীর আশা ছেড়ে দেয়। যেকোনো কথা তুমি বলতে চাও আমি তোমায় একেবারে ভুলিয়ে দিতে পারি? এবং কি কৰে আমি স্বাপ্পের অর্থ করতে পারি বলো? কি করে আমি ভবিষ্যৎ ৰ'লতে পারি ?”

আমাদের শুুল5শ সর্বক্ষেত্রেই উভদ্বের নীরব্তার মধ্যে শেষ হতো যাঁর ফলে পরষ্পরের বিরুদ্ধে যে ভিতরে ভিতরে খানিকটা রাগ না হতো এমন নয়। বাস্তবিকই তার এই যাছুর অনেকটাই আমি আমার সদর বিজ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে অর্থ করতে পারতাম না) আমি জানিনা এবং বলতেও পাৰিনা অলিয়েসিয়া যে সব যাছুর কথা বিশ্বাসের সঙ্গে বলতো তার অদ্ধেকও সে জানতো কিনা? কিন্তু প্রায়ই অনেক ব্যাপার দেখে আমার একটা দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছিল যে আলিয়েসিয়া সেই অলৌকিক রাজ্যে পৌছেচে, যা ইন্জিয়াতীত, সহজাত, অল্পষ্ট এবং আকস্মিক অভিজ্ঞতাঁলক্-_

৯২৮. ক্হকী

সা যুগ বুগ ধরে সত্যিকারের বিজ্ঞানকে ঢেকে দিয়েছে যা জনগণের মনে ছুর্বোধ্য ছুর্ঘ্ম ছয়ে উৎকট হান্তকর সংস্কারের মধ্যে জট পাকিয়ে বেঁচে থেকে আজও বংশপরষ্পরায় গৃঢ়তম রহন্ত্ূপে মাছ্ষের মধ্য সঞ্চারিত হ'য়ে আছে।

এই এক বিষয়ে আমাদের মতানৈক্য থাকলেও আমরা দিন দিন পরম্পরের প্রতি অধিকভাবে আকুষ্ট হ'তে লাগলাম আমাদের মধ্যে কোনো ভালবাসার কথা এখনও পর্যস্ত হয়নি কিন্ত আমাদের একসঙ্গে থাকা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে; প্রায়ই অবসর মুষ্থূতে আমার চোধের সামলে ভেসে উঠতো, অলিয়েসিয়ার অশ্রুসিক্ত ছুটি চোখ এবং রগের উপর একটি নীলবর্ণ ক্ষীণ শিরা যেন ধক্‌ ধক্‌ ক'রছে।

কিন্তু যারমোলার সঙ্গে আমার সম্পর্ক একেবারে ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলো ম্পষ্টত আমার সেই জীর্ণ কুঁড়েতে যাতায়াত বা অপিয়েশিয়ার সঙ্গ সাস্কাত্রমণ কিছুই তার কাছে অবিদিত ছিল না।

বড়ই আশ্চর্ষের বিষয় এই যে, সে বনের মধ্যে যা ঘটুতো তা হবছ সবই জান্তে পারতো | কারণ অনেক সময় আমি লক্ষ্য ক'রতাম সে আমাঁকে এড়িয়ে চল্তো | যতবারই আমি বুলর মধ্যে বেড়াতে ৰার হ'তাম, ততবারই তিরস্কার অসব্বে্গঠয়া তার কালো চোখছুটি আমাকে দুর থেকে লক্ষ্য ক'রতো-_বযদিও তার এই বিরক্তি কখনও! এমনকি একটা কথাতেও, সে প্রকাশ ক'রতো না। লেখাপড়ায় আমাদের যে হাস্তকর তোড়জোড় তাও চুকে গেল) একং যদি কখনও যারযোলাকে সন্ধ্যেবেলা লেখাপড়ার জন্যে ভাগাদা দিতাম-_সে কেবল তার হাত নাড়তো

“কি হবে পড়ে? তারী টানাহেঁচড়া মশাই '” সে স্বণাভরে বলতো

কুহকী ১২৪

. আমাদের শিকারও বন্ধ হ'য়ে গ্িছলো। আহি বতবারটু এবিষয়ে বলতে গেছি, যারমোলা এটা ওটা নানান্‌ ওজর দেখিয়ে আপত্তি ক'রেছে-_হয়তো তাঁর বন্দুক খারাপ হয়ে গিয়েছে কিংবা কুকুরের অন্ুথ ক'রেছে-__বা সে ভীষণ ব্যন্ত।

হবেশআমার আমন্ত্রণে যারযোৌলার এইগুলোই ছিল মায়ুলী উত্তর, কিন্তু আমি ভাল ক'রেই জানতাম সে যোটেই লাঙ্গল দেবে না, সরাইখানার বাইরে অনেক্ষণ কাটাবে! যদি কেউ তাকে একটু মদ খেতে দেয়_এই বৃথা আশা নিয়ে। তার এই নীরৰ গোপন বিদ্বেষে আমার বিরক্ত বোধ হ'তে লাগলো এবং ছুবিধে পেলেই যারমোলাকে আমার কাজ থেকে বরখাপ্ত করার চিন্তা করতে লাগলাম ।*:.****তার নিদারুণ দারিজ্রারিষ্ট পরিবারের প্রতি করুণাবশেই পিছিয়ে যেতাম। যারমোলার সাপ্তাহিক চার রুবল ত্র সংসারকে অনাহার থেকে কোন রকমে বীচায়।

(৫)

অত্যাসমত ঠিক অন্ধকার হওয়ার আগেই একদিন সেই জীর্ণ কুটিরে এসেই বাসিন্টাদের উত্তেজনা দেখে অবাক হয়ে গেলাম। বুড়ী তার বিছানার উপর উঁচু হ'য়ে কুঁজো হ'য়ে বসে মাথাটা হাত দিয়ে ধরে এদিক ওদিক ছুলৌতে দ্ুলৌতে কি লব বিড়বিড় ক'রে বাকছিল বুঝতে পারলাম না। আমি যে এসেছি-বা আমায় অভ্যর্থনা করতে হবে বলে-আদৌ খেয়াল নেই তার। অলিয়েসিয়া যেমন বরাবর ক'রে থাক্ষে, আমায়

১৩০ কুছকী আন্তরিক অভ্যর্ঘনা ক'কশো-কিন্ম আমাদের কথীবাতা বেশী দূর এগোতে পারলো না।

লে অগ্যমনন্কতাবে আমার কথা শুনে যেন খাপছাড়া উত্তর দিতে লাগলো-_

তার সুন্দর মুখে এক গোপন উদ্বেগের ছায়া-_কিছুতেই মুছে ফেল্তে পারছিল না। বেঞ্চের উপর তার হাতখানা স্পর্শ ক'রে তয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা ক'রলাম--“অলিয়েসিয়া আমার মনে হচ্ছে কোনো কিছু অণ্তুত ঘটেছে তোযান্দের 1”

অলিয়েসিয়: তাড়াতাড়ি কিছু দেখবার ছলে জানালার দিকে মুখ সরিয়ে দিলে। সে তাকে অবিচলিত দেখাবার চেষ্টা করলে কিন্তু তার তুরুজোড়া কুঁচকে গিয়ে কাপতে লাগলো এবং ঠাত দিয়ে নিচের ঠোটটায় জোরে চেপে ধরলো

“কি আবার হবে আমাদের £-সে গল্ভীরভাবে বলূলে-_ “যেষন তেমূনিই আছে।”

“অলিয়েসিয়া তুমি আমাকে সত্যি কথা বলছ না কেন?*-*, তোমার অগ্তায়'..*."আমি ভেবেছিলাম আমাদের মধ্যে সত্যিকারের বন্ধুত্ব হ'য়েছে।”

“কিছু না---*বান্তবিকই কিছু না আমাদের বিপদ...কিছু না”

“না অলিয়েসিয়া কিছু নয় বলে মনে হচ্ছে ন। তুমি যেনে অলিয়েসিয়া নও তো?”

“ওটা তোমার মনে হ'ছ্ছে বালে ।”

“আমার কাছে খুলে বল না কেন অলিয়েসিয়া। আমি জানিনা তোমাকে আমি কোনো সাহায্য করতে পারবো কিনা বে

কৃহকী ১৩১

,তোমার বিপদের কথা ব'লে ফেল তবে খানিকটা হাক্কাও হ;তে পার।”

প্না না সত্যিই তা বলবার মত কিছু নয়?” অলিয়েসিয়! অস্থির- তাবে ব'লে উঠলো; “তাছাড়া অবস্থায় তুমি বোধহয় আমাদের কোন রকমেই সাহাষ্য ক'রতে পারবে না।”

হঠাৎ আশাতীত উত্তেজনায় বুড়ী "যাদের কথাবার্ঠার মাঝখানে যোগ দিলে

“বোকা মেয়ে কোথাকার? তুই অত একগুঁয়ে কেন বল ত?, মাম এলো কাজের কথ! কইতে, আর তুই নাক ঘুরিয়ে নিলি? যেন ভ্ঞগৃতে তোর চেয়ে বুদ্ধিমান আর কেউ নেই? বাছা, ভুমি যদি শুনূতে চাও তো আমিই তোঁয়াকে সব ঘটনা বলছি, একেবারে গোড়া থেকে শুরু ক'রে ।--সে আমার দিকে চেয়ে ব'ল্লে।

অলিয়েশিয়ার একরোখা কথাবাতীয় যা মনে হয়েছিল__দেখলাম বিপদই তার চেয়েও গুরুতর! আগের দিন সন্ধের সময় স্থানীয় পুলিশের লোক সেই জীর্ণ কুটারে এসেছিল

বুড়ী মাহুইলিখা বলতে শুরু ক'রলো-_“প্রধম সে এসে, সেই ভীর্ণ কুটারে ভদ্রভাবে বসলো, ভড.ং খেতে চাইলো, তারপর লে, খেতে আরস্ত করে টেনেই যেতে লাগলো, তারপর ব'লৃতে শুরু ক'রলো, তোমাদের যা কিছু সব নিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কুঁড়ে ছেড়ে বেরিয়ে যাও-ফের এসে যদি আমি দেখি এখানে রয়েছ, বলে রাখছি তোমাদের জেলে যেতে হবে। আমি ছুটো গোরা, দিয়ে তোমাদের

পকিস্ত জানো বাছা, আমাদের বাড়ী অনেক ঢূরে- সেই ফ্যামচেনুস্ক শছরে.....*সেখানে আমার এখন এমন কেউ নেই যে আমাকে চিন্তে

১৩২ “ক্হ্কী

পারবে আমাদের ছাড়পত্র অনেক দিন তামাদি হ'য়ে গেছে, .

তাছাড়া তা ঠিকও নেই। হায় ভগবান, কি পোড়াকপাল [” প্ভাহলে আগেই বা সে এখানে তোযাদের থাকৃতে দিলে কেন?

আর এখনই বা হঠাৎ ভাড়াবার মতূলব হলো কেন ?”

“তাআমি কি করে বলবো! সে যেকত কীঠেচিয়ে গেল কিন্তু সত্যি বল্ছি, আমি তার কিছুই ধরতে পারলুম না। বুঝলে ব্যাপারটা হ'লো এই, আমরা এই যে গর্ডটায় বাস করি বেটাও আমাদের নয়, জমিদারের অলিয়েসিয়া আর আমি আগে গ্রামেই বাস করতাম; কিন্তু”

“হ্যা, তা জানি ঠান্দি। সে সম্বন্ধেও আমি শুনেছি-_চাধীর! তোমার উপর চ*টেছিল”

স্্যাঠিক্‌ তাই, সেই জগ্ভে বুড়ো জমিদার মি: ্যাব্রোসি- মোতের কাছ থেকে এই কুঁড়েটা চেয়ে নিলাম। এখন শুনছি কে এক নূতন জমিদার এই বনটা কিনে নিয়েছেন, বোধহয় তিনিই এই জলার খানিকটা কাটিয়ে সাফ ক'রতে চান। কিন্তু আমি কি করি বলতো?”

আমি বল্লাম-“ঠান্দি ' হয়তো এসব দিশকুল যিথ্যে কথা; আমার মনে হয় সার্জেন্ট এই ব'লে পাউওথানেক আদায় ক'রতে চায়:

"আমি তাকে দিতে 'চেয়েছিলাম--দিয়েও ছিলাম, সে নিলে না-_ সে এক মহা ঝাষেলা, আমি তাকে তিন পাউণ্ড দিতে গেলাম, লে নিলে না, কি আপদ রে বাবা! উল্টে আমার উপর রেগে এমন কটুকাটব্য ক'রতে লাগলো, আমি যে কি ক'রবো ঠিক করতে পারলুম না। সে কেবলই বলছিল-নিকালো হিয়াসে। নিকালো*.**'আযরা

কুহ্কী ১৩৩ এখন কি করি? জগতে আমাদের আর কেউ নেই, বাহ, তুষি “ছুয়তো কোনো উপায়ে আযাদের সাহাষ্য করতে পারো। মি অস্্রতঃ তাকে গিয়ে বলূতে পারো তার পেট কিছুতেই ভরে না-_ বাস্তবিক ব'নৃছি, আমি তোমার কাছে চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকৃবো_-সত্যি বাল্ছি।”

অলিয়েসিয়া মৃছ ভত্গনার সুরে ক্ল্লে- “দিদিমা!” বুড়ী বেশ ক্ষেপে গিয়ে ব'ল্লে-“দিদিমা যানে? প্রায় পচিশ বছর তোর দিদিমা হ'য়েছি-তোর কি মনে হয়? বরং ভিখারীর বোঝা বওয়া ভালো। না বাছা, তুমি ওর কথা শুনো, না। দয়া করে আমাদের জগ্ঠে যদি কিছু করতে পারো করো ।”

আহি এসম্বন্ধে ব্যবস্থা ক'রবো বলে ফীঁকা একটা! প্রতিজ্ঞা করলাম তার কাছে যদিও সত্যি কথা বালৃতে কি, কোনো আশাই দেখছিলাম না। সার্জেন্ট যদি টাকাকড়ি না নেয়; ব্যাপারটা তাহলে সত্যিই গুরুতর | সেদিন সন্ধ্যায় অলিয়েসিয়া আমার কাছ থেকে বিদায় নিল, খুব বিদস্ভবে; তার স্বভাব মত্ত সেদিন আমাকে এগিয়ে দিতেও এলো না, বুঝতে পারলাম বেশ, সেই গরবিণী বালিকা আমার এই বিষয়ে মাথা দেওয়ায় খুব রাগ করেছে, এবং দিদিমার কাতর অন্থুনয়ে লজ্জিতও হ*য়েছে।

(৮)

সকালটা ছিল ঘোলাটে__একটু গরমের আমেজ মাখানো ইতি- মধ্যে কয়েকবার যুষঘধারে বৃষ্টি হ'য়ে গেছে ) কচি কচি ঘাস গিয়েছে

ছোট ছোট গাছের নৃতন পল্পবগুলে! যেন তব্‌ তরু ক'রে বেড়ে চ'বেছে। বৃষ্টির পরই হুর্ধদেব এক নিমেষের জন্ভে উকি মারলেন, সোনার

১৩৪ কুহকী আলোর বল্যলানি ছড়িয়ে প'ড়ল আযার প্রীঙ্গনের বেড়ার লিলাফ্‌ ঝো্‌পগুলোর বৃষ্টিতে ভেজা কচি সবুজের 'উপর | লা বাগানের . মধো থেকে চড়াইএর অধীর কিচির মিচির শব ক্রযশ: বেড়ে যেতে লাগলো এবং খাড়া পপজার গাছের পাটল রঙয়ের কুঁড়ির গন্ধ আরও যধুর হ'য়ে ভেসে আস্তে লাগলো, আমি টেবিলের কাঁছে বসে, ফাঠ কি করে কাটতে হবে তার একটা মতলব ভাজছি--এযন সময় যারমোলা ঘরে ঢুকলো, বিষরতাবে বললে “সার্জেন্ট এসেছেন।”

সে সময় আমি, একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম যে ছুদিন আগে যারযোলাকে বলে রেখেছিলাম যেসার্জেন্ট এদিক দিয়ে গেলে আমাকে খবর দিতে

ঠিক তৎক্ষণাৎ কতৃপিক্ষের লোকের সাঙ্গ আমার যে কি সম্পর্ক হওয়া উচিত তা ঠিক করা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠুলো। হৃততম্থ হয়েজিজ্ঞাসা করলাম--“এঁযা ?”

“বল্ছি যে, সার্জেন্ট এখানে এসেছেন।” যাবমেলাত এই পুনরুক্তির মধ্যে বিদ্বেষের সুর বেজে উঠলো কারণ ভাৰটাই কয়েকদিন, যাবৎ সে আযার প্রতি পোষণ ক'রে আস্ছে। বললে পআমি বীধের কাছে এখনই তাকে দেখলাম, ইউনি এইদিকেই আসৃছেন।”

বাইরে চাকার ঘড়ঘড়ানি শোনা গেল; একটা লক্বা জীর্ণ চকলেট রং্এর দাষড়া ঘোড়া, তলার ঠোঁটটা ঝুলে পড়েছে-_মুখে একটা বিরক্কিরচ্র' বলছ ঝুড়ির যত একটা ছুইচাকার হাল্কা গাড়ীকে ঝাঁকনি দিতে দিতে গল্ভীরতাবে লাফাতে লাফাতে টেনে আন্ছিল। কেবল একটা! মাত্র যোত ছিল আর বাকিটার জায়গায় একটা শক্ত দড়ি। |

কুহকী ১৩৫

ছুর্জনদের যতে সার্জেন্ট নাকি অপ্রিয় লযালোচনা এড়বার মতলবেই এই রকম ছিরিছাদহীন একটা জোড়াতাড়া দেওয়া ব্যবস্থা ক'রছে।

মিলিটারী খাকি পোষাকে ঢাকা তার বিরাট দেহটা নিয়ে ছুজনের জায়গা জুড়ে নিজেই রাস ধ'রে হাকাচ্ছিল।

জান্ল। থেকে মুখ বাঁড়িয়ে আষি বল্লাম

প্নমস্কার, নমস্কার কেমন আছেন?” বেশ জোরালো সম্ভাষণ এবং শিষ্টাচার মাখানো অথচ তার পছমর্ধাদাহচক গাস্ভীর্বও ছিল তাতে। ঘোড়া থামিয়ে তার অনড় দেহটা কোনোরকমে জানালো “একটু ভিতরে আগুন না, আপনার সঙ্গে আমার একটু দরকার ভা .

সার্জেন্ট তার হাত ঘুরিয়ে ঘাড় নেডে বলূলে-“এখন সুবিধে হবে না ত, আমি যে বেরিয়েছি! আমাকে ভলচায় যেতে হবে একটা তদস্তে--একটা লোক ডুবেছে।”

আমি কিন্তু ইভসাইকির দূর্বলত. জানতাম; উনদ্াসীনতার তাঁণ ক'রে ঝললাম_-“আহা, বড় দুঃখের কথা-**..কিস্ত আমি যে কাউন্ট ভরচ্জেলের মদের ভাড়ার থেকে ছুটো থাসা বোতল

"কিন্ত এখন তো সুবিধে হবে না"*"কাঁজ আছে ।”, সর্ধার বাবুচি'র সঙ্গে আমার বেশ খাতির আছে কিনা, তাই আমীয় বেচেছে--আর তার নিজের ছেলের মত যঙ্কে এগুলোকে

১৩৬ ক্হকী

মদের তাঁড়ারে লালন ক'রে তুলেছে আপনার আসা চাই... আমি ওদের ব'লে দিচ্ছি ঘোড়াটাকে খেতে দিতে 1”

প্বাঃ বেশ খাসা লোক তো আপনি 1” সাজেন্ট ততপলার ছরে বব্ূলে-“জানেন না বুঝি কর্তব্যটাই সবার আগে। যাক্‌ তবুও বোতলগুলো কিসের শুনি? শুকুনো আহ্ুরের মালটাল নাকি?

আমি হাত দুলিয়ে বললাম-প্আঙ্কুরের মাল, একেবারে অনেক দিনের পুরানো যা, বুঝলেন মশাই?”

“ইস্‌ আবার এখুনই, এই মানস যে একটু-+*টেলে বেরিয়েছি যুখ্‌টা অসম্ভব রকম কুঁচকে, গাল চুলকোতে চুলকোতে অঙ্গুশৌচনার সুরে বল্লো!

আমি আগেকার যতই বেশ ধীরভাবে বলুলাম--“আমি জানিনা সত্যি কিনা, কিন্তু সদর্ণার বাবুঠিত হলফ, কাঁরে ক'লূলে--এটা দু'শ বছর আগেকার! গন্ধ ঠিক পুরানো কইনাকের মত, একেবারে জলঙ্গলে এপ্বার পাথরের মত সোনালী 1”

“আং কি যে লাগালেন আমাকে নিয়ে?” সার্জেন্ট ব'জলে-_ “আমার ঘোড়াটা ধরবে কে?”

বাস্তবিকই আমার কতকগুলো পুরাছদে। যদের বোতল ছিল, অবিশ্তি আমি যা বলেছিলাম তত পুরানো নয় তবে আমি ভেবেছিলাম &ঁ রকম আতাস দিলে সেটার বয়স আরও একশ বছর বেড়ে যাবে ।-.* ০৯০০০ যাইহোক জিনিষটা খাটি, ঘরে চোলাই, খুব জোরালো যাল-পড়ে-যাওয়া এক ব'নেদি ত্বরের মদ্য ভাগারের গৌরব বিশেষ। |

ধর্মযাজকের সন্তান ইতসাইকি ফ্যাকরিকানোতিচ তক্ষুণি আমার

ক্হকী ১৩৭

কাছ থেকে একটা বোতল চেয়ে +ললো। বলা যায় না) যদি কখনও তার সর্দি লাগে এই অজুহাত দেখিয়ে। তাছাড়া টাটকা মাঠা আর কচি যূলোর তৈরী মুখরোচক চাট্‌ও ছিল আমার কাছে।

প্্যা, আপনার কি একটু সামান্ভ দরকার, বলছিলেন ?” পঞ্চম গ্লাসটি নিঃশেষ ক'রে গাণ্টা এলিয়ে দিয়ে ভিজ্তাসা ক'রলো--তার ভারে পুরানো! চেয়ারটা মচ, যচ. ক'রে উঠলো

আমি সেই গরীব বুড়ীর অবস্থার কথা! তাকে বুঝিয়ে কলৃতে লাগলাম; তার চরম নৈরাশ্তের বিষয় উল্লেখ ক'রে আলোচনা ক'রলাম এবং তার ছোটখাটো লৌকিকতার কথাও একটু ছোঁয়া দিয়ে গেলাম। লাল লাল রসালো যূলোগুলো৷ থেকে ছেট ছোট শিকডগুলো বেশ ক'রে একটার পর একটা ছাড়িয়ে উৎফুল্ল হ'য়ে মাধা নিচু কারে মচচ, ক'রে চিবোতে চিবোতে সাজেন্ট আমার কথাগুলো শুনৃতে লাগলৌ। সে তার অস্বাভাবিক রকমের ছোট ঘোলাটে নীল ছুটো উদাসীন চোখ দিয়ে মাঝে মাঝে কটাক্ষ ক'রছিল্‌, কিন্তু তার প্রকাণ্ড লাল যুখখানায় আমি কোন চিহ্ছই ফুটে উঠতে দেখলাম নানা অঙ্ুরাগের, না বিরাগের। আমার যথন কথা শেষ হ'ল সে জিজ্ঞাসা ' ক'রলে, “তাল, আপনি তাহ'লে আমায় কি ব"রতে বলেন?”

আমি উত্তেজিত হয়ে বললাম-বলেন কি? দয়া ক'রে তাদের অবস্থাটা একবার দেখুন-ছ্ুজন গরীব অসহায় স্ত্রীলোক খানে রয়েছে”

“তাদের একজন টাট্কা ফুলের কুঁড়ি'-_সার্জেন্ট কটাক্ষ কারে বললে |

প্কুড়ি হোক বা না ছোকৃ-সে কথা আস্ছে না।

১৩৮ কুহকী

তা বলে আপপি কেন তাদের দিকে একটু নজর না দেবেন। আপনি যেন তাদের এই মুহূর্তেই তাড়িয়ে দিলে বীচেন? ছ'একদিন সবুর করুন আমি জমিদারের সঙ্গে একবার দেখা ক'রে আসি, আর আপনি যদি মাসখানেকই ধরুণ না অপেক্ষা করেন তাতেই বা আপনার কি বয়ে যাবে?»

“আমার কি বয়ে যাবে!” সাজেন্ট চেয়ারে গ্রাড়া হ'য়ে বললো--প্ওরে বাব! আমার সবই যাবে--সর্বপ্রথমে চাক্রীটাই থোয়াবো। কে জানে এই নডুন জমিদার ইসাই- চাভিক কি ধরণের লোক? হয়ত বা মিট্মিটে শয়তান--একটা দানব-_একটু উত্তেক্তিত হলেই একটুকুরো কাগজ আর কলম নিয়ে পিটারসবার্গে রিপোর্ট পাঠাবে! এই ধরণের লোক অনেক আছে।”

উত্তেজিত সাজেন্টকে শান্ত করতে চেষ্টা করলাম--“বুঝেছি ইভসাইকি ফ্যফরিকানোভিচ, আপনি সব কিছু বাড়িয়ে ঝলছেন। যাই বলুন না ঝক্ধি বক্ধিই, কতজ্ঞতা রুতজ্ঞভ) |”

সার্জেন্ট একটা লঙ্কা শিস্‌ টেনে প্যাপ্টলের পকেটে হাত পুরে বঝললে--ছোঃ এটা বুঝি কৃতজ্ঞতা! আপনি কি মনে করেন তিন পাউগ্ডের জস্ত আমি আমার চাক্রীটার যাথা খাব ? না, না, আপনি "আমাকে শেহাৎ ভুল বুঝেছেন 1”

“আপনি এত গরম হচ্ছেন কিসের জগ্তে ইভসাইকি গ্যাফরি- কানোতিচ? টাকাটাই তো কথা নয়? দেখুন না, আমাদের

সে চিবিয়ে চিবিয়ে ব'লে উঠলো--কি, মমুয্যত্বের খাতিরে? আপনার প্র যমুয্যত্বেই আমি ভরপুর হ'য়ে গেছি 1--এই বলে মে

কুহকী ১৩৯ 'তার গল্পার কলারের উপর ঝুলে পড়া চিবুকের তলাকার তীৰাটে কোমহীন থল্খলে ভাজাটা টিপে টিপে দেখাতে লাগলো!

“দেখুন এটা আপনার পক্ষে বড় নিষ্ুর হয়ে পড়ে, ইভসাইকি' য্যাফরিকানোভিচ,

“কিছুই নিষ্ঠুর নয়! ওই যে নামজাদা, গল্প লেখক মিঃ ক্রাইলোত ঝলেছেন--"ওরা হ'লো৷ দেশের বিভীষিকা আর বাস্তবিক এই স্ত্রীলোক দুটো তাই। আপনি বোধহন্ধ মাননীয় কাউণ্ট রুসোত বাহাছুরের লেখা! বিখ্যাত “পুলিশ-সার্জেন্ট” বইখানা পড়েন মি %

“না, পড়ি নি?”

“আপনার পড়া উচিত ছিল। দুর্দান্ত লেখা, খুব নীতিমূলক আমি বলৃছি, স্থুবিধা পেলেই আপনি পড়ে নেবেন”

“বেশ বেশ, আমি পড়ে আনন্দ পাব! কিন্তু এখনও আমি ঠিক . বুঝতে গারছি না-বইটার সঙ্গে এই ছুই দরিদ্র রমণীর কি বদ্ধ আছে!”

“কি সম্বন্ধ আছে? অনেক অনেক) প্রথমত”-.....ইভগাইকি ফ্যাফরিকানোভিচ, তার বা হাতের লোম মোটা তর্জনীটার উপর টোকা দিয়ে ব'ললে--মন্ত লোক গিজণয় যাচ্ছে কিনা তাঁর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা পুলিশ সাজেন্টের কত প্-_অবিশ্তি তাই ক'লে তাদের সেখানে যেতে বাধ্য করা নয়ত ”আমি আপনাকে জিগ গে করি...সে কি যায়......ভার লাষটা যেন কি? যাছুইলিখা না? সে কি কখনও গির্জায় যায়?”

আমি চুপ ক'রে রইলাম, কথাটার যে এইরকম মোড় ফিরবে ভেবে আশ্চর্য হয়ে গেলাম। সে একবার বিজয়ীর দৃষ্টিতে আমার দিকে চাইলে এবং এইবার মধ্যম আঙ্কুলে টোকা মেরে বললে

১৪৪ কৃহকী

পদ্বিতীয়ত, “মিথ্যা তবিষ্াৎবাণী, করা আর পূর্বলক্ষণ দেখে কিছু বলা সরবকই নিষিদ্ধ আপনি জানেন ত? তারপর তৃতীয়ত; “যাবি! ৰা ভোজবাজী অথবা ভ্বাতীয় প্রবঞ্চনা করা বে আইনী? নম্বন্ধে আপনি কি বলৃতে চান বনুন? এবং ধরুন যদি এই সব কথা জানাজানি হয়, গোপনে গোপনে কতাঁদের কানে গিয়ে পৌছায় এই সব কথা, তাহলে ঠেলা সামলাবে কে? এই আযাকেই সামলাতে হবে ? আর চাক্রীই বা যাবে কার? লেও এই শর্মারই। এখন বুঝতে পারছেন ত, ব্যাপারটা কতদুর গড়ায় ?”

সে আবার চেয়ারে হেলান দিয়ে অগ্তমনস্ক ভাবে ঘরের দেওয়ালের উপর চোথ বুলাতে বুলাতে আঙ্গুল দিয়ে খুব জোরে টেবিল বাজাতে লাগলো।

“আচ্ছা, ইভঙাইকি ফ্যাফরিকানোভিচ, ধরুন না, আমি আপ্রনাকে একটা! অন্থরোধই ক'রছি।” আমি বেশ নরম গলায় আবার বলতে লাগলায--“অবিশ্তি আমি জানি আপনার পক্ষে কাজটা খুব গোলমেলে এবং জটিল কিন্ত আপনার অন্তর ব'লে একটা জ্রিনিষ আছে? কিন্ত আমি তজানি প্রাণটা আপনার কত দরদী! আচ্ছা, আপনি যদি কথা দেন যে প্র স্ত্রীলোক দুটিকে কোনো ঝামেলায় ফেল্বেন না, কি যায় আসে আপনার ?”

সার্জেন্টের দৃষ্টি আমার মীথার উপর বরাবর এসে থেযে গেল।

- পৰেশ ন্বন্দর ছোট্র বন্দুকটা আপনার ?” সে অগ্ঠমনস্কভাবে ব'ল্লে_-তখনও আঙ্গুল বাজাচ্ছিল। “থাসা বন্দুকটা ত! আগেরবার যখন এসেছিলা আপনার সঙ্গে দেখা ক'রতে- আপনি বেরিয়ে গিছলেন_সারাক্ষণ আমি এটার প্রশংস! করে গেস্ি। চমৎকার ব্দুকটা 1”

কুছকী ১৪১

“হ্যা, বন্দুকটা মন্দ নয়। সায় দিয়ে ক'ললাম-_গ্যাসটিন রেনেটের তৈরী পুরানো ধরণের বন্দুক এটা-গত বৎসর আমি এটাকে ঘোড়া বাদ দিয়ে পাল্টে নিয়েছি, চোঙটা দেখুন না ?”

“হ্যা, হ্যা-_এই চোঙটাই আমার সব চেয়ে তাল লেগেছে.**অতি চমৎকার কাজ আমি এটাকে সত্যিকারের সম্পদ বলে মনে করি 1”

আমাদের চোখাচোখি হ'তেই লক্ষ্য ক'রলাম সার্জেশ্টের ঠোটের কোণে একটি অর্থপূর্ণ হাসির আতাস খেলে গেল। চেয়ার থেকে উঠে দেয়াল থেকে বন্দুকটা নামিয়ে ইভসাইকি যাফ কনো তিতির কাছে নিয়ে এলাম।

“সারকাসিয়ানদের একটা চমৎকার রীতি এই যে-*.*"*** » আমি মিষ্টি করে ব'ললাম-***“অতিথি যদি কোনো! জিনিষের প্রশংসা করেন তাকে সেইটি উপহার দেওয়া যদিও, ইভসাইকি ফ্যাফরিকা- নোতিচও আমরা সারকাগিয়ান নই তবুও আমি স্থৃতিচিন্ স্বরূপ এটা আপনাকে গ্রহণ কর'তে অন্গরোধ করছি 1”

সার্জেন্ট ভব্যতার খাতিরে সলজ্জভাবে বললে--“ভারী, মজার কথা ত? আরে রাখুন রাখুন, না, না."*লে কি হয়, ওটা বড় বাড়াবাড়ি রকমের উদার প্রথা”

যাই ছোক! আমাকে আর বেশী ক'রে তাকে অন্থুরোধ ক'রতে হ'লো না! সার্জেন্ট বন্দুকটা নিলে, ছুই হাটুর যাঝে রেখে যত্তের সঙ্গে একটা পরিষ্কার রুমাল দিয়ে চাবির গায়ে যা ধুলো জমেছিলো সেগুলো আন্তে আসে মুছতে লাগলো। দেখে বরং আমার সাস্বনাই হ'ল যে ভিনিষটা একজন কুশলী অথচ বন্দুক-রসিকের হাতেই পড়লো পাবামাত্র ইভলাইকি ফ্যাকরিকানোভিচ, দীড়িয়ে উঠে ক্তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে উদ্যত হ'ল-_

৯৪২ ঝুহ্বী

“কাজ তো সবুর করবে নাঃ আমি এখানে আপনার জঙ্গিকে গর কারে কাটাচ্ছি-*.+-** এই ব'লে তার বেখাপ গলসূ (জুতাকে পরিষ্কার আর শুকৃনো রাখবার আস্তে ভূতার উপর পরবার রবারের জুতা) মেজের ওপর ঠুকে আওয়াজ ক'রলে।

“যদি কখনো আমাদের ওদিকে আসেন খুব খুসীই হবো 1”

“বেশ তা তো হঃলো-কিস্ক মাননীয় মহাশয়, মাস্থুইলিখার বিষয়টা কি স্থির করলেন?” আমি খুব বিনীত ধোৌচায় তাকে, প্মরণ করিয়ে দিলাম।

“আচ্ছা, আচ্ছা সে দেখা যাবেখন.+...-*+ ”. ইভসাইকি ফ্যাফরিকানেশতিচ, এড়িয়ে যাওয়ার তাবে বললে” আরও একটা

“ওগুলো আমি নিজে পুঁতে্থিলাম 1” প্ভা-রী চমৎকার মূলো। আমার স্ত্রী বাগানের টাটকা সক্জীর বিশেষ, তজ্জ হুতরাং বুঝতেই পারছেন, তা যদি ছোটো একটা

“লাননে, ইভসাইকি ফ্যাফরিকানোডচ। তো আযার উচিতই-.....'-আজকেই আমি লোক দিয়ে একঝুড়ি পাঠিয়ে দেব। কিছু মাখনও পাঠাবো-."*আমার মাথনের একটা আলাদা রকমের বৈশিষ্ট্য আছে।”

“বেশ বেশ, মাখনও দেবেন-*.+*** সার্জেন্ট রর সমর্থন করলে, আর আপনি যেই স্ত্রীলোকদের আতামে ইঙ্গিতে জানিয়ে দিতে পারেন যে কিছুদিনের জগ্ভে আমি তাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ ক'রবো না। হ্যা, তবে আপনি তাদের এটাও

কুছ্‌কী ১৩

ার্িয়ে দেবেন যে, আমার মত লোকের লঙ্গে ধু একট মৌখিক ধষ্যবাদ দিয়ে রফা করা চনৃবে না_বেশ চড়া গলায় ঝৰ্লে।“"'এইবার আমি আসি, আপনার উপহার আর আতিখেয়তার ভম্ঠে আবার ধন্যবাদ জানাচ্ছি” |

সে সৈনিকদের কায়দায় ভুভোর গোড়ালি দুটো একসঙ্গে কারে শব কারে বেশ ভারিক্কি চালে রীতিমত তোয়াজ-পষ্ট হোম্রা চোম্রা লোকের যত গাড়ীর দিকে এগিয়ে গেল-- ইতিমধ্যে ভার গাড়ীর চারধারে গীয়ের পুলিশ, মেয়র আর আমাদের যারযোলা ঘিরে দীড়িয়ে গেছে.""ননকলে খালি _ স্বাথায় সসন্রমে খাড়া হয়ে রয়েছে।

(৯)

ইভভ্াইকি ফ্যাফ্রিক্যানোতিচ, তার কথ! রেখেছিল। বনের, সেই কুটীরবাসীদের কিছুদিন বেশ শাস্তিতেই থাকৃতে দিলে বটে কিন্তু অলিয়েসিয়ার সঙ্গে আমার নঙ্বস্বটা হঠাৎ অদ্ভূত রকষের ঝুলে গেল। আমার উপর তার সেই আগেকার যে একটা সরল আত্বরিক সন্ধদয়তা ছিল ৩ার বিলুমাত্র রইলো না। তার পূর্বেকার সেই উদ্দীপনা, যার ভিতরে ফুটে উঠতো হুন্দরী তরুণীর চটুলতা এবং শিশ্তর ক্রীড়াচপল লরলতা, তাও আর রইলো না। আমাদের কথাবাার মধ্যে এক বিশ্রী রকমের আড়ট্টভাব এসে পড়লো যেটা কিছুতেই কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছিল না। যে সব আলোচনায় আগে আমাদের মনে অসংখ্য প্রশ্নের উদয় হ'তো অলিয়েসিয়া এখন সেগুলো স্শঙ্ক চিত্তে এড়িয়ে. চলবার চেষ্টা করে।

১৪৪ ক্ছকী

আমার সামনে সে নিদ্ধেকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখ তো* একটা ব্যবসাদারী নিলিপ্ত কঠোর ভাব নিয়ে-*”*কিন্ধ প্রায়ই আধি দেখতাম কাজের মাঝে হঠাৎ তার হাত থেমে গিয়ে ছুর্বলভাবে হাটুর উপর গড়িয়ে পড়তো এবং স্থির নিষ্পন্দ লক্ষ্যহীণ দৃষ্টিতে মাটির দিকে তাকিয়ে থাকৃতো। এইরকম মুহূর্তে যখন তার নাম ধ'রে অলিয়েসিয়া ব'লে ভাক্তাম-__কিংব! তাকে কোনো প্রশ্ন ক'রতাম-_সে চমকে উঠতো এবং আস্তে আস্তে আমার দিকে যুখ ফেরাতো-_তার যুখে ফুটে উঠুতো- ভয়ের 'আভাসের সঙ্গে আমার কথা বোঝবার চেষ্টা; অনেক সময় মনে হয়েছে, আমার সাহচর্ষে সে যেন পীড়িত উত্যক্ত বোধ ক'রছে--কিস্ত মাত্র কয়েকদিন আগে আযার প্রত্যেকটি কথাও প্রত্যেকটি মন্তব্য তার মনে যে ওঁৎসুক্যের হৃষ্টি করতো! তার সঙ্গে একে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না। আমার কেবল মনে হচ্ছিল যে তাদের ব্যাপার নিয়ে স্ভেপ্টের সঙ্গে যে মুকুন্বীয়ানা ক'রেছি সে জস্ভে সে আমাকে ক্ষমা করতে না'রাজ-_এত দু ছিন' তার স্বাধীন প্রকৃতি কিন্তু এই নিষ্ধান্তেও আমি খুসী হ'তে পারলাম না) কেবল নিজেকে এর করতে লাগলাম যে এই অতি সাধারণ বনবাসিনী কুমারীর মধ্যে এই তীক্ষ মর্ধাদাবোধ এল কোথা থেকে!

উতয়পক্ষেই প্রচুর বোঝাপড়ার দরকার হয়েছিলো) কিন্ত অলিয়েসিয়া খোলাধুলি কথাবাতণর প্রত্যেকটা স্থযোগই এড়িয়ে চলৃতে লাগলো আমাদের সাস্ক্য্মণও বন্ধ হ'য়ে গিছলো। দিনের পর দিন বিদায়" মুহূর্তে বৃথাই আমি অলিয়েসিয়ার দিকে 'অসথনয়মুখর দৃষ্টিতে চাইতাম; লে এমনভাব দেখাতো! যেন ওসবের

কুহকী ১8৫

অর্থরঞ্দ কিছু বোঝে না। বুড়ী বধির হ'লেও তার উপস্থিতি আমাকে গীড়া দিত।

সময় সময় আমি নিজের দুর্বলতা এবং অলিয়েসিয়ার সঙ্গে প্রত্যহ দেখা করবার আকর্ষণের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হ'য়ে উঠতাম। আমি নিজেই বুঝতে পারতাম না কোন্‌ ক্ষ অনপ্ত অমোঘ বন্ধনে আমার হৃদয় বেধে ফেলেছে এই রৃহগ্ময়ী সুন্দরী তরুণীর সঙ্গে। তালবাজা যে কি জিনিষ তখনও আঁমি জানি 3 কিন্ত আমার দিনগুলো কাটছিল, অব্যক্ত আশায় আঁকাজ্ায় কন্পমান উদ্বেগ- চঞ্চল দিনগুলো, কি এক অনির্দে্ঠ বেদনার মধ্যে দিয়ে) যেখানেই থাকি না কেনে কাজেই নিজেকে ডুবিয়ে রাখবার চেষ্টা করি না কেন--আমার সমস্ত চিন্তা থাকৃতো অন্িয়েগ্রিকে ঘিরে) আমার জমগ্র সত্ব তার কামনায় অদীর হয়ে উঠতো £ তার অতি তুচ্ছ কথার খণ্ড স্বতি, তার হাঁবভাব, তার হাসি এই পরব বেদনা যধুর স্থৃতিতে আমার হৃদয় গুম্রে উঠতো তবু সন্ধা] আসে- আমি ঝধে থাকি অনেকক্ষণ তার পাশে নিচু জিরজিরে ছোট্র বেকার উপর, প্রতি পলে কেমন যেন উদত্ান্ত হয়ে পড়ভাম, এক অদ্ভুত জড়তায় বিল হয়ে উঠ্তাঁম 1:

একদিন এই তাবে সারা দিনটা অলিয়েিয়ার পাশে বসে ক'টিযেছিপাঃ। বেলা যত বাড়তে লাগলো কেমন একটু অন্স্থতা বোধ ক'রহিলাম। কিন্তু ঠিক বুঝতে পকুছিজ্ম না অন্থথটা কি! মন্ধ্যার দিকে আরও বেড়ে উঠলো। মাথাটা ভার বোধ হ'ল; তালুতে একটা একঘেয়ে একটানা বেদনা বোধ করলাম! ঠিক কেউ যেন মাথার উপর কোমল হাতে কড়া চাপ দিচ্ছে। মুখ গেছে শুকিয়ে, সারা দেহে একটা অবসাদ

৯৩

১৪৬ কুহ্কী

বহি দিয়েছে। চোখে একটা টনটনানি দে-...একাটে অনেকক্ষণ একটা ঝক্কে কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকনে যেমনটা

এরি

সন্ধার পর বাড়ী ফিরতে গিয়ে যাঝপথে ভীষণ ঠা ঝড় উঠে কীপিয়ে তুললো আমাকে] এগিয়ে চ'লেছি ঘটে গথ দেখবার উপায় নাই-কোন্‌ দিকে যাচ্ছি একেবারে খেয়াল ছিল না। মাতালের মত টল্তে উরু কপ 5 আর আমার চোয়াল দুটো ঠক্‌ ঠক ক'রে কীপছিল।

আজ পর্যন্ত আমি জানি না কে আমায় ঘরে ফিরিয়ে এনেছিলো। ছঃটি দিন আমি ভীষণ মারাম্মক পলিয়েসির জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলাঁম। দিনের বেলা ভূরটা নেষে যেত এবং জ্ঞান ফিরে “আসতো এতদূর শ্তিহীণ ক'রে ফেলেছিল, এত মারাত্মক বেদনা দূর্বলতা, যে আমি পাচারি ক'রতে পার" ছিলাম নাঃ একটু জোর ক'রে অঙ্গ চালনা ক'রদেই মাথায় স্বেগে রক্ত উঠে যেত, চোখে অন্ধকার দেখতাঁয়।

স্যার দিকে সাধারণতঃ মাভটার সময় দ্বরট' আ্ুমতো। তার প্রবল দাপটে; বিছ্বানায় অভিভূত হয়ে পড়ে “কৃতাম-_ছুবিগহ এক একটা শতাকীর মত রাত্রি কাটুতো কখনও কদ্বলের তলায় প্রীতের কীপুনি--কখনও বা অস্হা উত্তাপের জ্বালা। একটু ভ্রা আমৃতে না জামৃতেই যত সব অদুত বিচিত্র উৎকট্‌ প্নু আমার সেই উত্তপ্ত মস্তি খেলা ভ্রু কারতো। প্রত্যেকটি পন তার ডু খুঁটিনাটি নিয়ে শপষ্ট হ'য়ে উঠ্‌ভো তারপর সেগুলো একটার ঘাড়ে একটা জোট পাকিয়ে বিশ্রী রকমের তালগোঁলের হি করতো | কখনও বা মনে হতো যেন অভভূত

ক্হকী ১৪৭

কারের রং বেরংএর ডোরাকাটা! সব বাক্স খুলছি) বড়র ভিতর থেকে ছোট, তার ভিতর থেকে আবার ছোট, এই রকম» কত! আমার এই বান্স খোলা যদিও বিরক্ত লাগছিল, অনেবক্ষণ থেকেই কিন্তু কিছুতেই, ইচ্ছা থাকলেও সে পরিশ্রমের শেষ ক'রে উঠতে পারছিলাম না। পরক্ষণেই চোখের আামনে ফুটে উঠলো কাগজ মোড়া দেওয়ালের উপর দাগগুলো আশ্চর্য রকমে স্পষ্ট হ'য়ে-দেখলাম সেগুলো কাগজের প্যাটার্ণ না হ'য়ে তাতে ফুটে উঠেছে অনেক মামুবের মুখ, হুন্দর, সহাস এবং সদয়। হঠাৎ সেগুলো অয়ঙ্কর মুখ খিচিয়ে জিত বার ক'রে দাত দেখিয়ে চোঁথ পাকাতে হাগলো। পরক্ষণেই হঠাৎ যারযোলার সঙ্গে অত্যন্ত বুঙ্গু অথচ জটিল দার্শনিক তর্বজালে জড়িয়ে পড়েছি গ্রত্যেকবারর পরস্পর পরম্পরের বিরুদ্ধে থে ঘুক্তি উত্থাপন করছিলাম নেগুলো। ক্রমশঃ আরে সুঙ্ষঃ আরো, গভীর তাৎপধ্যদন্ত হয়ে পড়ছে। পৃথক পৃথক শব্দগুলো এমন কি তার অক্ষরপ্তলো পর্বস্ত হঠাৎ যেন গভীর রহস্তময় অর্থপূর্ণ হায়ে উঠছে সেই সঙ্গে একটা উদ্বেগজনক অজ্ভাত আতঙ্ধে অভিভূত হ'য়ে পণ্ড়ছিলাম ! কি থেন এক অনৈদ্িক শক্তি আমার মস্তিষ্ের ভিতরে বিরাট সব হুজ্ঞে তর্কের সুত্র ছুড়াচ্ছিল একটার পর একটা, কিছুতেই আমাকে সে সকল স্ত্র ছিন্ন ক'্রতে দিচ্ছিল না যদিও তাঁ আমার অনেকক্ষণ থেকেই বিরক্তিকর হ'য়ে উঠেছিল। মানুষ, নান'রকম জন্ত, প্রাকৃতিক ষ্ঠ, বিচিত্র বর্ণ আকারের যব জিনিষ; কথাবাতী যার অর্থ খুবই ল্র্ট এবং বৌধগম্য;_এই সব মিলিয়ে এক কিছু ঘুণির মত , "ক খাচ্ছিল মাথায় বিশ্ত একট) অন্ভুত ব্যাপর-বুজ চীক্ন। দেওয়া আলোট। ভিতরের ছাদে প্রতিফলিত হয়ে যে উদ্ধুল আলোক

১৪৮ কৃহকী বৃ্তের হাটি করেছিল সেটা কোনো সময়েই আমার দৃষ্টি ছাড়া হয়নি_-

এবং যেন মনে হতো! সেই পূর্ণ বৃত্তটার অস্পষ্ট রেখার অন্তরালে

: একটা শীরব বিরক্তিকর রহস্তময় অথচ ত্যঙ্কর জীবনীশক্তি লুকিয়ে

রয়েছে-যেটা আমার কাছে উজ্তরাস্ত স্বপ্ন-সঙ্কটের চেয়েও ভয়াবহ ঠেকৃতো।

তারপর জেগে উঠুতায়? বাস্তবিক পক্ষে সেটা ঘৃম থেকে ওঠা নয়। হঠাৎ যেন জোর ক'রেই নিজেকে উঠিয়ে বসাভাম বিছানায় সংজ্ঞাও ফিরে আসৃতো ) বুঝতে পারতাম আমি অসুস্থ হয়ে বিছানার শুয়ে এতক্ষণ প্রলঃপ বক্ছিলাম। কিন্ত ভিতরে ছাদের সেই আলোর বৃ্তটা তার অন্তরালে একটা অমঞ্গলের আতঙ্ক নিয়ে আমাকে ভয় দেখাতো | ছূর্বল হাতটা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে ঘড়িটা নিয়ে বিরস

. অবসন্নত! নিয়ে দেখান আমার সেইসব উৎকট স্বপ্নের অনিষ্রান্ত

ঘটনাত্রোত মাত্র দ্'তিন মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। “ভগবান, ভোর কি ইবে না? ভেবে হতাঁশ হ'য়ে গরম বালিশের উপর মাথা রাখলান, জ্রত দীর্ঘ সবাস-প্রশ্বাসে আমার ঠোটটা যেন পুড়িয়ে দিচ্ছিল। আবার একটু" ঘুমের আমেজ এলো, আবার মন্তিষ্ষটা বিচি সব দুঃস্বপ্নের ত্রীড়াস্থল হ'য়ে উঠ লো, আবার মিনিট দুইয়ের মধ্যেই বর্মান্তিক যার খোঁচায় উঠে পণ্ডলাম!

কুইনিস আর বাকথর্ণের কাথের সাহায্যে আমার বঘিষ্ঠ কাঠাযোর

জোরে ছ'দিনের মধ্যে রোগ থেকে সেরে উঠলাম; কিন্তু বিছানা

যখন ছাড়লাম তখন মনে হলো দেহটা একেবারে পিশে দিয়ে গেছে --অতিকষ্টে জা হয়ে ফাড়াতে পারছি মান্র। মনের জোরেই শরীরটা এত তাড়াতডি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছিল। ছ'দিনের জরের স্বপ্র-প্রলাপে মস্তিফটা ক্লান্ত হয়ে প:$ছিছ- ওক)

কুহকী ১৪৯

কর্মহীন মধুর নিশ্চিন্ত অবস্থা অস্থভব ক'রছিজাম মনের ক্ষিধের চোট দ্বিগুণ হ'য়ে দেখা দিল__ঘণ্টায় ঘণ্টায় আমি যেন শক্তি সঞ্চয় ক'রতে লাগলাম, প্রত্যেক মুহুর্তে তা থেকে স্বাস্থ্য এবং গ্রাণের আপনের স্পন্দন অম্থতব ক'রছিলাম। তার সঙ্গে আবার নৃতন এবং প্রবল টান এলো সেই বন আর জীর্ণ নির্জন সেই কুঁড়েঘরের গ্রতি। কিন্ত স্নামুগ্ডলো তখনও রীতিমত সবল হয় নি; অলিয়েলিয়ার মুখ আর তার গলার স্বর মনে পডল্ই--ছামার কান্না আমৃতো।

(৯০)

আর দিন পাচেক পরেই খুব সুস্থ বোধ করেছিলাম, পাঁয়ে হেঁটেই সেই জীর্ণ কুটারে উপস্থিত হ'য়ে একটুও কলান্তিবোধ হা'লো না। যখন দরজায় পা দিচ্ছি দম-আটুকাতন! আতঙ্কে বুক্টা টিপ্‌ টিপ ক'রে উঠুলো। প্রায় ছু সপ্তাহ অলিয়েসিয়াকে দেখিনি, এখন আমি বুঝতে পারছি মে আমার কত অন্তরঙ্গ কত আপন! দরজার চাধির হাতল্টা ধারে কয়েক মুহুর্ত দাড়িয়ে রইলাম অতিকষ্টে নিশ্বাস বইছিল। এত অব্যবস্থিত চিত্ত আমার তখন যে, দরজাটা ধে!লবাঁর আগে কিছুক্ষণ চৌখ বুজে দীড়িয়েই রয়ে গলাম।

ভিভরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই আমার""মান্র যে অব্যক্ত ভাৰ তা বিশ্লেষণ কারে ব্লা অযন্তব'*** মাঁতা-পুত্র, স্বামী, *৮-৫৭ছি৪ এদের প্রথম দেখা হ'লে যে সন্ভাবশ সে' কি কারও যনে থাকে যদি সে কথাগুলো হবু লেখা হয়, হয়ত দেখা যাবে খুব সহজ, খুব সাদাসিধে কিছ্বা নিতান্ত হান্তকর থাই হয়েছে যেমন কথাই হোক্‌ তার গ্রত্যেকটি খুবই সময়োচিত এবং খুবই মধুর কারণ মবচেয়ে মধুরতম কণ্ঠস্বর থাকে তাতে।

১৫০ কৃহকী

আমার মনে আছে-বেশ শ্পষ্ট মনে আছে একটা ব্যাপার, অলিয়েসিয়ার বিবর্ণ সুন্দর মুখরাঁনা আমার দিকে ফিরলো চকিতে সেই সুর মুখখানি আমার কাছে এত নৃতন বোধ হাল সে বলবার নয়, মুহতের যধো পর পর ফুটে উঠলো তাতে বি্বয়, সংশয়, উৎকষ্ আর স্নিগ্ধ কমনীয় প্রীতির হাদি-'”**প্বুড়ী তখন আমাকে ঘিরে বিড় বিড় ক'রে কি বলছিল কিন্তু তার সেই অভিননান আমার কানেই পৌছোলো না। মধুর বঙ্কারে আমার কানে এলো অলিয়ে- সিয়ার কথাগুলৌ-__

“কি হয়েছিল তোমারঃ অন্থথ করেছিল বুঝবি? রোগা হ'য়ে গেছো তুমি !”

অনেকক্ষণ আমি কোনো উত্তর দিতে পারলাম না। হাতি ধারে মুখোমুখি ছুজীনে দুজনের চোখে চোথ রেখে গভীর দুষ্টিতে দাড়িয়ে -সে এক অপূর্ব পুলক! সেই কয়েকটি নীরব ঘুহ্তআমার জীবনে সবচেয়ে সুখের হয়ে রয়েছে তাঁর পুবে বা তার পরে আর কখনও আমি এমন সব-ভোলানো পবিত্র পরিপূর্ণ পুলকের অনুভূতি পাই নি। অপিয়েদিয়ার বড়ো বড়ো কালো চোখ ছুটির তা +য় দেখলাম -_মিলনের উল্লাস, আমার দীর্ঘ শ%পছিতির জঙ্তোে তং +না আর গভীর, প্রেমের ঘোবণা। সেই দৃষ্টির মধ্যেই বুঝতে পারলায অবিয়েখিয়! পরম খুসীন্ডেই নিজের যা কিছু দিয়ে দিয়েছে আমাকে কুষ্ঠাহীন নিঃসন্দেহে।

সেই প্রথব আমার চমক তাঙ্গালো চোখের যস্থর ইসারায় মামুই- লিখাকে দেখিয়ে। ছুজনে পাশাপাশি বসলাম, অলিয়েসিয়! নিতান্ত উৎদ্ৃক ছয়ে প্রশ্ন করতে লাগলো খুটিনাটি আমার অগ্গুখের। কি কি ওষুধ খেতে হয়েছিল, ডাক্তার কি ব'লেছ্িঘ__সে তেবেছিলো সেই

| কৃহকী ছোষ্ট শহর থেকে ডাক্তার বুঝি দিনে ছু'বার ক'রে আমায় দেখতে আন্তো সে বার বার আমায় ডাক্তারের কথা জিজ্ঞাসা ক'রছিজঃ আর সেই জঙ্গে লক্ষ্য করলাম তার ঠোঁটে বিজ্রপের ক্িগ্র হাসি!

সে আক্ষেপে অধীর হ'য়ে বলে উঠ্‌লো-_-“তোমার অন্ধ হয়েছে আমি জান্তে পারলাম না! আনি একদিনে তৌণ়্ ড় করিয়ে দিতাম ।"+..*ওদের বিশ্বাম করা যায় কেমন ক'রে, ওরা কিছুই বুঝতে পারে না-কিছুই ধোঝে না একেবারে? তুমি আমায় খবর দাও নি কেন?”

আমি কিযে উত্তর দেব ভেবে পাচ্ছিলাম না; ঝললাম-_“দেখ, অলিয়েসিয়া--..*শরমন হঠাৎ অন্থুখটা হ'লো-*"ততাছাড়া তোষায় বিব্রত করতে আমার ৩: কারছিল। শেষের দিকটা আমার প্রতি ভুমি যেন কেমন হয়ে গিছুলে-*-**যেন আমায় দেখলেই তোযার

রাগ বা বিরক্তি বোধ হতো.” তারপর খুব আস্তে আন্তে ঝ'ললাম-_-

“দেখ অলিয়েদিয়া, আমাদের দুজনের কতো কথা আছে পরস্পরকে বলবার-_-কতে! কথা-_কেবল আমাদের দুজনের***তুমি জান ?”

সন্গতির সক্ষেত স্বরূপ ধীরে ধীরে তার দুষ্টি মাটির দিকে, ফিরিয়ে ফিস্‌ রা কারে ঝলে উঠলো--দিদিাকে একবার ছি চুপি দেখে নিয়ে হহ্যা-"আফিও চাই-পরে হবে নীড়াওত

সূর্য অন্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অলিঘ্বেশিয়া বাড়ী ফেরবার জস্ে পেড়াশীড়ি করতে লাগলো বেঞ্চ থেকে আমার হাতি ধরে টেনে ব'ললে__-"ওঠো ওঠো,.তাড়াতাড়ি তৈরী হ/য়ে নাও, ঠা লাগলেই আবার তোমার জর হবে”

নাততরীকে ছাই রংএর শান্টা তাড়াতাড়ি মাথায় গায় জড়াতে দেখে মাছুইলিখা জিজ্ঞাস! কারদে-“কোথাঁয় যাচ্ছিদ্‌ অলিয়েসিয়া ?

রঃ ১৫২ কুহকী অলিয়েসিয়৷ ক'ললে--“থানিকটা পথ একে এগিয়ে দিতে যাচ্ছি।” করা গুলো সে বললে উদাস ভাবেই, দিদিমার দিকে চেয়ে নয়, জানালার দিকে মুখ ফিরিয়ে কিন্ত তার গলার স্বরে, আমি বেশ ধরতে পারলাম, স্পষ্ট একটা বিরক্তির ঝাঝ। বুড়ী ক্মাবার একবার বিশেষ ক'রে জিজ্ঞাসা ক'রলে তাকে--“তুই সত্যি সত্যিই যাচ্ছিদ্‌ ? অলিয়স্যার চোখগুলো দ্প১কারে জলে উঠলো, স্থির দৃষ্টিতে মাছইলিখ'র দিকে চেয়ে গর্বতরে ক'ললে--এ্হ্যা, আমি যাচ্ছি। ওসব বোঝাপড়া তে! অনেক আগেই হ'য়ে গেছে, এসব আমার ব্যাপার, আমার দায়িত্ব. .*.৮” বুড়ী বিরক্তি আর ততসনার নুরে চীৎকার ক'রে উঠ্‌লো--“আঃ তুই.” আরো কি ঝলতে গিয়ে কেবল হাত নেড়ে কম্পিত পদে ঘরের এক কোণে গিয়ে একটা চুবড়ী নিরে নিজের কাজে ব্যস্ত হা'লো বিড় বিড় করতে ক'রতে। , "আমি বেশ বুঝতে পারলাম যে, দেইমাত্র যে অগ্রীতিকর কথাবাত আমার সামনেই হলো সেটা হচ্ছে দ্জনকার দীর্ঘ ঝগড়া আর রাগারাগিরই জের. অলিরেসিয়ার সঙ্গে বনের দিকে এগোতে এগোতে তাকে জিজ্ঞাসা ক'রলাম_-“দিদিম বুঝি চান না তুমি আমার সঙ্গে বেড়াতে যাঁও, না?” ' বিরক্তি আর অবজ্ঞার তঙ্গীতে কীধ উচিয়ে অিয়েমিয়া ব্ললে-- প্রৃমি কিন্ধু ওতে তরক্ষেপ কারো না-না, তিনি পছন্দ করেন ন"*"**আমার যা ভাল লাগে স্বাধীন ভাবে আমি নিশ্চয় ক'রছে পারি।” | আমার গ্রতি অলিয়েসিয়ার আগেকার কঠোর ব্যবহারের জগ্ঘে তাঁকে ভতগনা করবার আদম্য ইচ্ছা অম্থভব ক'রলাম_-“আমার

কুহকী ১৫৩ অসুখের পূর্েষি তুমি ক'রতে পারতে__তখন তুমি আমার সঙ্গ একলাই যেতে চাইতে না-”.**আমার যনে হ'তো। রোজ বিকা্গে ভাবতাম হয়তো তুমি আমার সঙ্গে আমৃবে এগিয়ে দিতে। কিন্তু তুমি সেদিকে নজরই দিতে না, তুমি কী অসাড়, কী রকম রূঢ় ছিলে-"****তুমি আমায় কী যন্ত্রণা দিয়েছ, নিয়েছি 1”

অলিয়েসিয়া সকরুণ অন্থুনয়ে অন্ভুতাপের ঘুরে বল্লে_ছিঃ, লথ্যিটি, ওসব ভূলে যাও 1”

“নানা, আমি তোমার দোষ দিয়ে কিছু বল্ছি না। এমনই ব'লে ফেল্লাম। এখন বুঝতে পেরেছি কেন অমন হয়েছিলে। কিন্ত আগে মনে হ'তো-৮'এখন ওসব কথা বলতেও মজা লাগে-.-নআমি ভাবতাম তুমি বোধহয় সেই সার্জেন্টের জগ্যে আমার উপর চ'টেছিলে-*“**উকথা মনে হ'লেই আমার নিদারুণ ছুংখু হ'ত আমি না ভেবে পারতাম না যে, তুমি বোধ হয় আমাকে বিদেশী আর অত্যন্ত পর ব'লে মূনে কর তাই আমার কাছ থেকে সাদারণ মামাগ্ত উপকারটুকুও গ্রহণ ক'রতে তোমার অত কুষ্ঠ". আমার বড় খারাপ লাগতো-"*'এমন কি আমার কখনে। সনেহই হয় নি যে দিদিমাই হলেন ওর কারণ, বঝলে অলিয়েসিয়া

অনিয়েহিয়'র মুখখানা হঠাৎ টকটকে লাল হয়ে. উঠলো ।__ “কিন্ত দিদিমা মোটেই নন্‌-..**আমিই, আমিই চাইনি নিজে?” রীতিমত স্পধ্ণভরে ঝলূলে সে?

“আচ্ছা, কেন তুমি চাঁওনি অলিয়েসিয়াঃ কেন বলতো?” জিজ্ঞাসা করলাম তাকে। উত্তেজনায় আমার গল্ন বাসে গিছলো! তার হাতখান! ধরে তাঁকে থামালাম; তখন আমরা একটা দীর্ঘ সক রাস্তার ঠিক মাঝ বরাবর এসেছি রাস্তাটা তীরের মত সোজা

১৫৪ কুহকী

্ন্র ভিতর দিয়ে চলে গেছে। আমাদের ছু'পাশে সরু সরু নঙ্া লত্বা পাইন গাছের সারি, পথটাকে একটা স্ুবিস্ৃত বারাদার মত ক'রে ব্হদূরে যেন গিয়ে যিশিয়ে দিচ্ছে_মাঁঝে মাঝে সেই স্বুরতিত ডালগুলো দ্ুপশ থেকে মিলিত হ'য়ে খিলানের মত ছাউনির সৃষ্টি ক'রেছে। ছালওঠা খাড়া খাড়া গাছের গু'ড়িগুলো সার সি'ছুরে মেঘের ঘন লাল আতায় বিচিত্র হয়ে উঠেছিল

তার হাতখানা কাছে টেনে এনে মৃছু চাপ দিয়ে আস্তে আন্তে বাল্লাম--“ৰলো কেন-****অলিয়েসিয়া কেন?”

“আমি পার্সিনি, আমার ভয় হয়েছিল” এত মৃদুস্বরে অলিয়েসিয়া বললে যে শোনাই যায় না তার কথা বললে “আমি ভেবেছিলাম নিয়তির হাত এড়ানো বোধ হয় সন্তব। কিন্ত

বলৃতে বলতে ভার শ্বাস রুদ্ধ হ'য়ে এলো-_যেন বাতাস নাই *সেখানে। চকিতে তার হাতছ্ুটো আদার গলা জড়িয়ে ধরলে মজোরে এবং অপিয়েপিয়ার কম্পিত অধরের মধুর উত্তাপ অনুভব করলাম, আযার ওষ্েঁন্ললে, পকিন্ত এখন সব সযান--স্ব সমান কারণ আমি থে তোমায় ভালবাসি! ওগো! আঁষাক প্রিয়, ওগো! আমার আনন্দময়, আমার প্রেমাম্পদ।” সে ক্রশঃ নিবিড় আলিঙ্গনে আমায় আকড়ে ধরলে, আমি বেশ অস্ভুভব করলাম তার সেই বলিষ্ঠ সুঠাম উত্তপ্ত দেহলতা আমার বাহুবে্টনে কী রকম কম্পিত হচ্ছিল আর আমার বুকের উপর তার হৃৎপিণ্ডের কত দ্রুত স্পন্দন। তার সেই উত্তেজনাঁময় চুম্বন মাতালকর! মদের মত আমার মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তখনও কুগ্ন ঘূর্বল আমি, আমার নিজেকে সামলাবার ক্ষমতা ছিল না!

ক্হ্কী 2৫8.

“হছিয়েছিয়, দোহাই তোমার, অমন ক'রো। মা, ছেড়ে নাও আমায়।” আমি তার বার বন্ধন ছাড়াবার চেষ্টা কারে বল্নাফ-_ “আমার ভয় হচ্ছে, এখন আমার নিজের জগ্ঠে ভয় হচ্ছে; আমায় যেতে দাও অলিয়েসিয়া ।”

সে মাথা তুঁললো। তার মুখখানা অবসন্ন হাসির ছটায় ধীরে ধীপ্র উষ্ভাগিত হায়ে উঠলো। ক'লনে--“ভর পেয়ো না ভুমি।” তার মুখে চোখে এক অবর্ণনীয় অভিব্যক্তি, কমনীয় অন্গুরাগ এবং অন্তম্পর্শী ভরীনতা।

“আমি তোমায় কখনও তিরস্কার করব না, ঈর্যাও ক'ব না কাউকে, তুমি কেবল বলতো, ভুমি আমায় তাঁলবাস কি না ?”

“আমি তৌমায় ভালবাসি অপিয়েগিয়া, অনেকদিন থেকে ভালবাসি, অন্তরের সহিত তাঁলবাপি কিন্তু ভুমি আমায় আর টু্ঘন কারো না” আমি ছুবজ হয়ে পড়ি; আমার দাখা গুলিয়ে যায়, অসাড় হয়ে পড়ি আমি-*৮

তার অধর আবার একবার অ'ঘার ওকে অুদীর্ঘ তীব্র মধুর নিম্পেণে নিশ্পেষিত করলো কিছুই আমি শুন্তে পাচ্ছিলাম না, মনে হ'ল সে যেন বনছে_-“তা হলে ছয় গেয়ে! না, আর কিছু ভেবো না__ এই দিনটি আজ আঁয়াদ্রে-কেউহ আমাদের কাছ থেকে কেড়ে গিতে পারবে লা”

সই সমস্ত রাত্রিটা! একটা জূপকথার যাছু মন্ত্রে রূপা়িত হয়ে উঠ্‌লো, টাদ উঠলো, তার রখিজাল, রহস্ঘময় বর্ণ বৈচিত্র্যে এলো- মেলো৷ ভাবে ছড়িয়ে পলো বনের উপর। সেই অন্ধকারে গ্রদ্থি গাছের গুঁড়ি গুলোর উপর আনত শাখাগ্রশাখীর এবং কোমল শৈবাল তূমির উপর ফিকে নীল রংএর ছোপ পড়লো

5৫ কুহুকী

উচু উঠ বার্চগাছের গুঁড়িগুলো পরিষ্কার সাদা ককৃবকে দেখাচ্ছিল কর মনে হ'চ্ছিল যেন তার সরু সরু পাঁতার উপর স্বচ্ছ রূপালী “ববগুঞণ ঝুলিয়ে টেকে দেওয়া হয়েছে; জায়গায় জায়গায় ঘন পাইন শাখা ভেদ ক'রে আলো কিছুতেই প্রবেধ-ক/রতে পারছিল না। কোথাও বা দূর্ডেন্য নিবিড় অন্ধকার কেবল তাও -.-ঝ কোন অজানা

পথে একটি মাত্র রশি প্রবেশ ক'রে দীর্ঘ বৃক্ষসারিকে অকস্থাৎ উদ্ভাসিত ক'রে সরু পথের রেখার যত মত অভিমুখে নেমে এসেছে এত ছুন্দর উচ্্ল আর পরিপাটি সেই আলোক পথ, মনে হয় যেন পরীরা অবিরণ আর টিটাশিয়'র বিজয় শোভাযাত্রা জচ্ভে তৈরী কারে রেখেছে আমরা দুজনে পাশাপাশি বাহুবদ্ধ হরে চ'লূতে লাগলাম সেই প্রতার্ষ হথান্তময় রূপকথার রাজোর ভিতর দি: আমাদের পুলক আর রাত্রির ভয়াবহ নীরবতার ভারে বিভৌর ইস,

“আমি ভুলেই গিছলাম যে তোঁথ!য় বাড়ী যেতে হবে তাঁডাতাড়ি।” হঠাৎ অলিয়েসিয়ার মনে হ'লো সে কথ! বললে “কী ছুষ্ট মেয়ে আমি? তুষি সবেমাত্র তোমার অস্ুথ থেকে জেঞ্সে উঠেছোঁ, আর আমি তোমায় এতক্ষণ বনের মাঝে আটকে এখলাম 1৮

তাকে চু্ধন ক'রে তার মাথার ঘন কালো! চুশে উপর থেকে শীলটা সরিয়ে কানের কাছে যুখ নিয়ে গিয়ে চুপি টুপি বল্লাম-- পছুখ কোরৌ না, অলিয়েসিয়া, অনুশোচনা কারো না 1”

ধীরে ধীরে মাথা নেড়ে সে বললে__“না, না যাই ঘটুক না কেন, ছুঃখু করবো না-আমি কত ন্ুখী ?”

“কিছু কি ঘটক'র সম্ভাবনা আছে নাকি?” তাঁর চোখে অব্যক্ত ভীতির উদ্বেগ ফুটে উঠলো সেটা আনার বছদিনের চেনা।

“হ্যা ঘটবেই তোমার মনে আছে, আহি তোমায় চিডিতনের

কুহকী ১৫৭

বিবির কথা বলেছিলাম; সেই চিড়িতনের বিবি-_আমি, আমি 'নিজে ; তাস যে ছুরদৃষ্টের কথা ব'লেছে দেটা আমারই হবে। তুমি জান আমার এমনও যনে হ'য়েছিল তোমায় নিষেধ ক'রবো-_-আমাদের সঙ্গে দেখাশোনা করতে? কিন্তু ঠিক সেই সময় তোমার অন্ধুথ করলো তোমার জন্তে তখন আমার এত উৎকগী আর এমন কষ্ট হচ্ছিল যে তোমার এক মুহুতের সঙ্গ সুখের জ্ে জগতের সব কিছু বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলাম তারপর ঠিক ক'রলাম আমার হুখকে বিছুতেই ভাপিয়ে দেব নাঁ_তাতে যা! হয় হৌঁক.****৮

“সত্যি অলিয়েঘিয়া, আমারও ঠিক অমনই হয়েছিলো,” তার ললাটে আমার ওষ্টের পরশ দিয়ে ঝললাম--“আমি যে তোমায় ভাল- বাসি তা ভোষার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যস্ত জানতেই পারিনি। যে লোক বলেছে যে, গ্রেমে বিচ্ছেদ ঠিক অগ্রিতে বায়ু সংযেগের যত, ক্ষুদ্রকে নিবিয়ে দেয়, গভীরকে দাঁউ দাউ ক'রে জালিয়ে দেয়-ঠিকই বলেছে গে”

অলিয়েসিয়া নিতান্ত উতনুক হয়ে বললে--“কি, ঝ'ললে তুমি? আবার বলো--বলো? আবার বলো

কথাগুলো আবার বললাম | জানিনা কথাগুলো! কার, অলিয়েসিয়া ভাবতে লাগলে! সেগুলো নিয়ে, তর ঠোটের নডাচড়া দেখে আমি বেশ বুঝলাম সে কগাগুলো! মনে মনে আবৃত্তি করছে!

পিছনে হেলানো তার মুখখানার দিকে আমি একুষ্টে চেয়েছিলাম, তাঁর বড়ো বড়ো কালো চোখ ছুটোর উপর চাদের আলো পণড়ে জল- জল ক'রহিল) দেখতৈ দেখতে হঠাৎ একট! কর্পুনির সঙ্গে যেন আসন্গ এক বিপর্যয়ের অস্পষ্ট ইঙ্গিত আমার মনকে ধীরে ধীরে আচ্ছ্র করে ফেল্লো৷

১৫৮ কুহকী

(৯৯)

আমাদের এই অকপট মুগ্ধ প্রণয়কাহিণী চললো প্রায় একমাস। সমাজও আমীর মনে অঙ্কুর প্রভাবে সগীবিত এস্য়ছে_অভিত্যিমিয়ার সুন্দর মুখখানি, সেই প্রদীপ্ত গোধূলি, লিলিফুল আর মধুর স্ুরতি যাথা শিশির সিক্ত সেই প্রভাত, পাখীর কুজনে মুখর ভেজবৃপ্ নবীনতাময়, জুন মাসের সেই গরমে ক্রান্ত অলস দিনগুলো তখন অবসাদ বা ক্লান্তি অথবা ভ্রাম্যমান জীবনবাত্রার প্রতি যে চিরকালীন আকর্ষণ, কোনোটাই আমার যনকে স্পর্শ করতে পারতো না, আমি তখন প্যাগান দেবতা অথবা যৌবন চঞ্চল জীবের যত আলো, উত্তাপ, জীবনের আনন্দ চেতনা আর শাস্ত পবিত্র স্পর্শজ প্রেমের গুলকে আংয্মহারা | আঁমি সেরে উঠবার পর থেকে বুড়ী মামুইিখা এত অসহা- রকমের থিটুখিটে হ'য়ে উঠেছিল, এমন প্রত্যক্ষ বিদ্বেষতাৰ পোষণ ক'রতে লাগলো আমার উপর এবং আমি যুখন কুটারে বাসে থাকতাম সে তখন উচ্গনের উপর রান্নার পাত্রে বিরক্ডিভরে এমন আওয়াজ ক'রতো যে, অলিয়েসিয়া আর আমি ছুজনে বিকাে বনের মধ্যে দেখাশোনা করাই তালো যনে করলাম। এবং সেই পাইন বনানীর বিরাট সবুজ সৌন্দর্যের মহামূল্য পরিবেশ আমাদের অনাবিল প্রণয়কে গৌরবান্বিত ক'রতো! প্রতিদিন গভীরতম বিম্বয়ে আমি দেখতাম সেই বনবালা অলিয়েসিয়া, যে গড়তে পর্যস্ত জানে না, তার মধ্যে রয়েছে জীবনের বছ বিষের সক্্ম অনুভূতি আর বিশিষ্ট সহজাত স্ুরুচি। স্কুল এবং প্রত্যক্ষতাবে; ভালবাসায় সব সমূয়েই একটা বীতৎস দিক আছে, যেট!

চে রর. কুহকী ১৫৯

কোম* চিত্ত শিী-প্রক্ততি লোকেদের পক্ষে খুবই লজ্জীকর এবং পীড়াদায়ক হয়| কিন্তু অলিয়েসিয়া তার অকপট নিষ্ঠায় সে সব এমন ভাবে এড়িয়ে যেতে পারতো! যে আমাদের প্রণয় কোনো দিনই কোনো কুৎসিত চিন্তা ৰা মুতের নৈরাষ্ের কঠোরতায়- কলুষিত হ'তে পারেনি!

ইতিমধ্যে আমার যাবার সময় এগিয়ে আস্ছিল। সত্যি কথা ব'লতে কি, পিয়ারব্রডে আমার থা কিছু সরকারী কান্গ এর পূর্বেই প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই শহরে ফিরে যাওয়াটা দেরী করছিলাম ফত্বন্ধে অলিয়েসিয়াকে আমি বিন্দু মার আভাঘও দিই নি কারণ আঁযায় চলে যেতে হবে এই কথাটা মে কী ভাবে যে নেবে তা কন্টলা করতেও আমার ভয় হচ্ছিল। অভ্যাসটা আমার মধ্যে গভীর তাবে বদ্ধমূল, প্রতিদিন অলিয়েসিয়াকে দেখা, তার সুমধুর আর সঙ্গীত যুছনার যত হাসি শোনা, তার সোহাগের গ্গিগ্গ মনোরম স্পর্শ অন্তুতব করা আমার কাছে অপরিহার্য আনশ্তকেরও বাড়া হয়ে পঃড়েছিল। আবহাওয়ার বিপর্ধয়ে যেদিন আমাদের দেখাশোনা ঘ্টতো না, সেই বিরস দিনগুলোতে মনে হতে ঠিক যেন আমি আমার জীবনের প্রধান এবং একান্ত গ্রয়োজনীর যা কিছু সব থেকে বঞ্চিত সর্বহারা হয়ে গেছি। প্রত্যেক কাজটি বিরক্তিকর নিরর্থক যনে হতো, আমার অর্ধদেহ মন আকুল হয়ে উঠ্‌তো তেই বনের আস্তে, সেই আলো) জেই নিবি সান্নিধ্য আর অলিয়েছিয়ার সুন্দর মুখচ্ছবির জগ্ঘে |

অলিয়েসিয়াকে বিয়ে করার কল্পনা আমার মনে ক্রমশঃ দৃঢ়- সঙ্বন্ের মত হয়ে উঠলো। প্রথম দিকে, এটা যে আদৌ সম্ভবপর

১৬৫ ক্হ্কী

এবং শেষ পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কে শোভন সুন্দর পরিণতি হ'তে পারে একথা প্রায় মনেই হয় নি| কেবল একটা বিষয় শঙ্কা হাত, বাধাও ছিল তাই আমি নিজে নিজেও ভাবতে পারতাম না, এই প্রাচীন কল্পকথা আর রহস্ভভরা বনের যোহিণী পরিঝে্টনী ব্চিত অলিয়েমিয়া চমকদার বণিয়াদি পরিচ্ছদে শজ্জিতা হয়ে বৈঠকথানায় আমার সহকর্মীদের স্ত্রীদের সঙ্কে আলাপ ক'রছে।

আমার চ/লে যাওয়ার দিন যত ঘনিয়ে আসতে লাগলো, নিঃসঙ্গ জীবনের শঙ্কা বেদনা আরও যেন চেপে বসতে লাগলে] আমার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত যনের মধ্যে নিত্য দুঢতর হয়ে উঠলো) খেৰ প্ন্ত সেটা কিছুতেই সযাজবিরুদ্ধ ঝলে যনেই হলো লা অন্ত, সুশিক্ষিত লোকেও পরিচ্ছদ প্রস্ততকারিণী এবং পরিচারিকাকেও বিয়ে করে, ভেবে নিজেকে প্রবোধ দিতাম তারাও তো! বেশ স্থুখে বাস করে, এবং জীবনের শেষ দিন 'পর্বস্ত তাদের দেই মিলনের বিধানের জন্ভে ব্ধাতাকে ধ্ঠৰাঁদ দিয়ে থাকে। আমি কি নেহাঁৎ অগ্ত সবার চেয়ে অনুখী হবো

জুন মাসের যাঝামাঝি একদিন বিকালে আমার জভ্যাস মত, সরু একটা বনপথের বীকে মঞ্জরিত হোয়াইট হর্ণ -ক্কাপের মাঝে ঈাড়িয়ে অনিয়েছিয'হ জগ্ভে অপেক্ষা করছি দে তখন অনেক দুরে, তার সেই সাঁবশীন ভ্রুত পদক্ষেপ শুন্তে পেলাম। অলিয়েসিয়া এসেই আমায় আলিঙ্গন ক'রে হাফাতে হাফাতে ঝ'নলে--“তুমি কেমন আছ বল! তোমায় অনেকক্ষণ দাড় করিয়ে রাখিনি তো? ,শেব পর্যন্ত বেরিয়ে আশা এত কঠিন-....*সারাক্ষণ দিদিমার সঙ্গে বচসা কারে”

“তিনি কি এখনও তোমার মতে মত দেন নি ?”

ক্হকী ১৬৯

“মোটেই না) তিনি আমায় বলেন_-ও তোমাকে উচছনে দেবে তার খুলীমত তোমার সঙ্গে খেলা করবে, তারপর সরে পাড়বে-**ও তোমায় একটুও ভালোবাসে না:

“ওঠতিনি আমার সন্ধে এই কথাই বলেন বুঝি ?ি

"যা, তোমার সম্বন্ধে অমনি কথাই বলেন বটে, তবে আমি তাঁর একটা কথাও বিশ্বাস করি না-*.*

“তিনি কি সব কিছু জানেন ?”

“আমি ঠিক ঝলৃতে পারি না**কিন্ত আমার বিশ্বীস তিনি জানেন..”*আমি সম্বন্ধে তীকে ঝলিনি,"*"তিনি ভেবে নিয়েছেন। যাকৃগে ওসব ভেবে কি হবে, এস) এস-**৮

চমৎকার ফুটত্ত ফুলের গুচ্ছ সমেৎ একটা হোয়াইট হর্ণের ডাটা ভেঙ্গে নিয়ে গে তার খোঁপায় পরে নিলো। দুজনে ধীরে ধীরে চ'্লূতে লাগলাম সেই পথে, অন্তগামী রবিরশ্মি পথের বুকেও ফিকে গোলাপী রং ছড়িয়ে দিয়েছিল।

ূর্বরাত্রে ঠিক ক'রেছিলায যে-কোনো গ্রকারেই হোক আজ বিকালে আমি বলবই। কিন্ত কি এক অস্ভুত জড়তা *আমার জিভের উপর গুরুভারে চেপে ঝঙগেছিল। মনে হ'লো--“আমি যদি অলিয়েসিয়াকে বলি যে আমাকে চ'লে যেতে হবে এবং তাকে বিয়ে করতে চাই-সে কি তাববে না। যে প্রথম আঘাতের বেদনা লাঘব করবার জগ্মেই আমার এই -প্রস্তাব ক'রছি? যাই হোক) ছালওঠা গুঁড়িওয়ালা ম্যাপ্ল গাছটার কাছে পৌছালেই আমি শুরু করব ঝ'লতে। মনে মনে এই স্থির করলাম। ইতি মধ্যে সেই ম্যাপ্লগাছের পাশাপাশি আমরা এসে প'ড়েছি**'মনের আলোড়নে বিবর্ণ হয়ে দীর্ঘ নিস্বাস টেনে বলতে যাবো-হঠাৎ

১১

সাম গেল দাষে শেষে বুক্টা টিপ্‌ টিপ্‌ করে উঠলো দ্রুত ভালে, ঠোট দুটো কাপতে লাগলো!) একটু পরে ভাবলাম আমার বয়প সাতাশ, আমি সাতাশ পর্যন্ত গুণে আরস্ত ক'রব.*....গুণূতে আর্ত করলাম কিন্তু সাতাশের কাছে এসে দেখি আমার সিদ্ধান্ত শিথিল হয়ে গেছে। মনে মনে বললাম-_না, ষাট পর্যস্ত গোণাঁই তাল, তাতে এক মিনিট হবে-**"**তখন**আর কিছুতেই নয়,

নিশ্চয় ঝলবো”** নিশ্চয়,

নন আজ কি হয়েছে বলতো ?” হঠাৎ অলিয়েসিয়া জিজ্ঞাসা করলো" ** “তুমি কষ্টকর কিছু ভাবছো! কি হয়েছে তোমার ?”

তখন কথা কইতে শুরু ক'রলাঁম বটে--কিন্তু শ্বরটা নিজের কাছেই অগ্রীতিকর ঠেক্ছিল, কেমুন একট! টেনে আনা অস্বাভাবিক খাপছাড়া ভাবে, যেন ব্যাপারটা অতি তুচ্ছ!

“হ্যা, হ্যা, বাস্তবিকই একটু অগ্রীতিকর বটে, অলিয়েসিয়া। তুমি ধারেছো দেখছি! দেখ আমার এখানকার কাজ শেষ হয়ে গেছে, কছৃপিক্ষ আমায় শহরে ফিরে খাবার আদেশ করেছেন !”

আড়চোখে চট ক'রে অলিয়েসিয়কে দেখলাম। তাঁর মুখের বর্ণ গেল মিলিয়ে, তাঁর ঠোঁটছুটো কেঁপে উঠলো একটি কথাও তাঁর মুখ থেকে বেরুলো না। কিছুক্ষণ তার পাশে আমি চুপচাপ চললাম, ঘাসের ভিতর থেকে ঝিঝিপোকা আর 'কর্ণক্রেকের একটানা কর্কশ আওয়াজ আস্ছিল দূর থেকে।

আমি আবার ঝলৃতে আরম্ভ ক'রলাম-“্অবিশ্তি তুমি নিজেই বুঝতে পারছো, অপিয়েসিয়া, যে আমার এখানে থেকে কোনো লাভ

কুহকী টউত নাই) তাছাড়া খাক্বার জায়গা রি “ছার দবমার 'কাজকেও অবহেল! ক'রতে গারি না*”** | পলা. “*বক'লেই বা লাভ ** অলিয়েসিয়া বালূলে। (হাতা কপ হ'লেও এত মর্মস্পর্শী আর প্রাণহীন যে ভয় হলো আমার। বল্লে-স্যদি এটা তোমার কতববাই হয়... যাৰে বৈকি তুমি'.. সে গাছটার কাছে এসে থেমে; গাছের শুঁড়িতে হেলীন দিয়ে দড়ালো। মুখখানা সম্পূর্ণ বিমর্য হায়ে গেছে, হাতছবটো যেন তাঁর শরীরে কোনোমতে ঝুলে রয়েছে অনাড়ভাকে বিষাদযয় করুণ হাসি তার অধরপ্রান্তে। তার পাখুরতা দেখে ভয় হলো আমার, ছুটে গিয়ে তার হাঁতদ্ধটো সজোরে চেপে ধ'রে বললাম--“কি হ'লো অলিয়েসিয়া--রানী ?” “কিছু না, আমায় ক্ষমা ক'রো-”"এসব কেটে যাবে"

এরখন..."*আমার মাথাটা বিম্‌ বিম্‌ করছে?” দে জোর কারে নিজেকে সাঁম্লে নিয়ে চ'লতে স্বর করলো আবার--আঁমার হাতে ছাতি রেখে! *

অন্থঘোগের স্বুরে' কললাম-প্তুহি বোধহয় আমাকে মনাই ভাবছো অলিয়েসিয়া, তোমার কিন্ত লজ্জিত ওয়া উচিত--তুমি কি সত্যিই মনে করো, আযি তোমায় ত্যাগ করে সরে পড়বো? না গো রানী, নাঃ ভাই জন্তেই তে। আমি এই কথা পাড়লাম যাতে তুমি আগেই. তোমার দিদিযাকে গিয়ে বলো যে আমি €ভোমায় বিয়ে করবো *

আমি যা আশা করেছিলাম ঠিক তার বিপরীত হলো! আমার বথায় অলিয়েসিয়াকে একটুও বিস্মিত হ'তে দেখলাম না।

১৬৪ কুহকী

“তোমার স্ত্রী? ঝুলে বিষাদতরে ধীরে ধীরে মাথা নেড়ে বাললে-_প্না না, অসম্ভব ত্যানিচকা-_-অসম্ভব'*'1”

“কেন, কেন অলিয়েসিয়া ?”

“না না, তুমি নিজেই দেখ না, একথা ভাব্লেও হাসি পায়, তোমার কেমন স্ত্রী আমি হবো? তুমি একটা শিক্ষিত বুদ্ধিমান ভত্রলোক, আর আমি? আমি পণড়তেও পারি. না; লোকের সঙ্গে ব্যবহার ক'রতেও জানি না। আমার স্বামী হ'তে তোমারই লজ্জা করবে"

আমি খুব আগ্রহ সহকারে ঝললাম--“কি বোঁকার মত বলছো, অলিয়েসিয়া! ছ'যাসের মধ্যে তুমি নিজেই নিজেকে চিন্তে পারবে না। তুমি ধীরধাই করতে পার না যে তোমার মধ্যে স্বাভাবিক বুদ্ধি আর পর্যবেক্ষণ ক্রবাব প্রতিভা কতখানি আছে আমরা দুজনে একসঙ্গে ভালো ভালো সব বই পণ্ড়বো, ঈন্াস্ত সব বুদ্ধিমান লোকদের সঙ্গে বন্ধু করবো, ছুজনে একসঙ্গে এই বিশীল পৃথিবীটাকে দেখবো, অলিয়েসিয়া ! ঠিক এখন আমরা, যেমন চলেছি তেমনি হাত ধরাধরি ক'রে চ'লবো, বুড়ো বয়স পর্বস্ত_সেই কবর পর্যন্ত--তোযার জগ্ভে কখনই পঞ্জিত হবো নী, আমি, বরং গবিত হবো আমি, কৃতজ্ঞ থাকবো:+*

আমার এই আবেগপূর্ণ কথার উত্তরে অনিয়েসিয়া কৃতজ্ঞতাতরে আমার হাতটা মুঠো করে, ধরে--ঝলৃুতে লাগলো--“সেই সব নয়....“হয়ত তুমি এখনও জান না.***নআমি তোমায় কখনও ঝ'লিনি'*আমার-পিতা নাই.“*আমি জারজ সন্তান***

"না না, অলিয়েসিয়া) ওকথা। আমি শ্রমৃতে চাই না। তোমার কুল পরিচয়ে কি হবে, যখন তুমিই আমার কাছে, আমার বাবা,

কুছকী ১৬৫

মা এমন কি পৃথিবীর লব কিছুর চেয়ে মূল্যবান! লা, নাঃ এব অতান্ত তুচ্ছ তোমার ওজর-”

অলিয়েসিয়া বিনীত শীস্ত সোহাগভরে আযার কীধের উপর ছেলে পড়লো ব'ললে--“দেখ, তোমার এসব কথা না কওয়াই ভাল ছিল। তুমি যুবক, মুক্ত পুরুষ, তোমাদ্র সারা জীবনের মত আমি কি তোযার পা হাত বাধতে পারি! পরে যদি তুমি আর কোনে! নারীর প্রেমে পড়? তখন তুমি আমায় দ্বণা ক'রবে, আর যে দিন যে সময়টিতে আমি বিয়েতে রাজী হবো 'সেইক্ষণটিকে অভিশাপ দেবে! রাগ কারো না তুমি?

কথাগুলোতে আমার মুখে অনন্তষটির ছায়া দেখে সে অনুনয় ক'রে লে উঠ্লো--আধি তোমায় ব্যথা দেবার জগ্ঠে বলিনি.*আমি কেবল তোমার মুখের দিকটাই ভাব্ছি। হ্যা, তুমি দিদিমার কথা একেবারেই তুলে গিয়েছ। বল,তুমি নিজেই তেবে দেখো, আমি কি তাঁকে এক! ফেলে যেতে পারি ?৮

কেন, তিনিও আমাদের সঙ্গে যাবেন--»

(সত্যি কথা বলৃতে কি, তার দিদিয়ার কথা যনে ই'তে আমি অসোয়াস্তি বোধ করছিলাম) "আর যদ তিনি আমাদের সঙ্গে থাকতে না চান, শহর মাত্রেই অনেক জায়গা আছে...সেগুলোকে বলে দাতব্যশালা.**সেখানে এই রকম বৃষ্ধাদের থাক্বার ব্যবস্থা আছে_- বন্ধ করে দেখাশোনা করা হয়।?

“লা না, তুমি কি বনৃছো? তিনি কখনই বদ ছেড়ে বানের না 'লৌক্‌কে তিনি ভয় করেন”

“বেশ তো তুমিই তালো৷ রকম কোনও উপায় তাবে! না, অলিয়ে- পিয়া তোমার দিদিমা আর আমার মধো একজনকে তোমায়

১৬৬ ক্হকী

বেছে নিতে হবে। কিন্তু তোমায় এই একটি কথা আমি ব'লে রাখি তোমাকে ছাড়া অংমার জীবনটা দুবিসহ হবে”

অত্যন্ত কোমল কষ্ঠে অলিয়েসিয়া ব'ললে_“ওগো। তোমার & কথার জন্ঠে আমার কৃতজ্রতা রাখবার জায়গা নেই। তুমি আমার অন্তরকে উৎফুল্প কারেছ। বিয়ে না করেও আহি তোমার সঙ্গে যেতে পারি সরি তুমি আমায় ভাডিয়ে না দাও." কিনতু এত তাড়াতাড়ি কারো না--আমায় ভাড়া দিও নাদৌহাং তামার, দু-একদিন সময় আমায় দাও। আমি ভালো ক'রে ভেবে দেখি-*“ভাছীড়া দিদিযাকেও বলতে হবে”

“আচ্ছা বলতো অলিয়েসিয়া” আমার মনে একটা নৃতন চিন্তা জেগে উঠ্‌লো। জিদ্রামা ক'রলাম--“দেখ, তুমি বোধহয় এখনও". গির্জাটাকে তয় করছো ?”

বোধহয় এই গ্রশ্ন তুলেই আমার বথা শুরু করা উচিত ছিল যাছুকরী শ্তি থাকার দরুণ তাঁদের বংশের উপর একটা কাল্নিক অভিশাপের বে্ানত বিশ্বাস তার মনে ছিল, সেটা দুর করবার চেয় রায় গ্রতিদিনই এই নিয়ে গ্রলিযেসিয়ার সঙ্গে আম" ঝগড়া হতো রুপদেশীয় বুদ্ধিভীবিদেব মধ্যে ধর্ম গুচারকের ভাবটা নিতান্ত স্বাভাবিক এটা আমাদের রক্েই রয়েছে, রুশদেশের সমস্ত সাহিত্যের ভিতর দিয়ে আমাদের অব্যবহিত পূর্ব পুরুবদের মধ্যে স্চারিত হয়ে গেছে! কে ঝ'লতে পারে, যুদি অলিয়েসিয়ার দু বিশ্বাস থাকৃতো৷ সে হয়তো উপবাসগুলো কঠোর ভাবে পালন ক'রতো। একটি পার্বনও বাদ দিত দা। খুব সম্ভব এই আমিই ধর্মবশ্বাসী হয়েও কেবল তার মনে ঘুক্তিমূলক চিন্তার উন্মেষের জগ্ভে হয়ত তার ধর্মবোধকে মৃছু ব্যঙ্গ ক'রতে ছাড়তাম না। এই ধর্মবোধকে ব্য

ক্হকী ১৬৭ করতাম কিন্তুধে তার অকপট দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে মুক্কণ্ে স্বীকার ক'রতো- ভৌতিক শক্তির সঙ্গে তার আন্তরিক যোগাযোগ আধু ঈশ্বর থেকে তার বিচ্যুতি, যে ঈশ্বরের বথা কইতেই সে ভয় পেতো।

অলিয়েসিয়ার কুসংস্কার দুর করবার চেষ্টা আমার নি্ষল হ'য়েছিল। আযার সমন্ত যুক্তিতর্ক, আমার বিদ্রপ, মাঝে মাঝে তা খুবই কঠোর এবং গীড়াদায়কই হ'তো, কিন্তু সে সবই তার সেই রহগ্ময় মারাত্মক. যাদুকরীর উপর স্থির বিশ্বাসের কাছে চুর্ণ হয়ে যেতো।

আমি আবার তাকে জিজ্ঞাসা করলাম “তুমি কি গির্জাকে তয় কর, অলিয়েসিয়া ?” সে নীরবে মাথা দত করলো

আমি কাতরভাবে ব'ললাম--তুমি কি মনে করো, ঈশ্বর তোমাকে গ্রহণ ক'রবেন না? তুমি কি যনে করো) তিনি তোমায় অনুগ্রহ ক'রবেন না? তিনি বয়, ধিনি হাজার হাজার দেবদূতকে পরি- চালনা করেন, তিনি নিজে পৃথিবীতে অবতীর্ঘ হ'য়ে সমস্ত মানব- জাতীর মুক্তির জগ্চে কী বীতৎস রকষের মৃত্যুকে বরণ করেছিলেন! তিনি সবার চেয়ে স্বণিতা নারীর অন্ুশোচনাকেও আক্ীস দিয়ে- ছিলেন যে সেই শেষ দিনে স্বর্গে তারই পাশে আসন লাত করবে সে!”

আমার এই সবভাম্ম ইতিপূরেই অনিয়েসিয়ার পরিচিত হ'য়ে গিছলো। কিন্তু এবার সে ওসব কথায় কানই দিলে না। তাড়াতাড়ি তার শালখান! নিয়ে পাকিয়ে আমার যুখ্র উপর ছুঁড়ে দিলে। বগড়া শুরু হলো দু'জনে আমি তার হোয়াইটই্ণ ফুলের গুচ্ছটা কেড়ে নেবার চেষ্টা করলাম | সে বাধা দিতে গিয়ে মাটিতে পাড়ে গিয়ে আমাকেও টেনে ফেল্লে তার হঙ্গে__খুচীতে হাস্‌তে হাস্‌তে

১৬৮ কুকী

তার করত নিষ্থোমে প্কুরিত সি মুলার অধর আমার দিকে এগিয়ে দিল... পু

অনেক রাত্রি তখন, ব্দায় নিয়ে পরস্পর অনেক দূর চ'লে গেছি, হঠাৎ পিছনে অলিয়েসিয়ার ডাক শুদ্লাম-_“ভ্যানিচকা, একটু দাড়াও-_আমি তোমায় একটা কথা বলবো 1”

আমি ফিরে তাঁর কাছে এগিয়ে গেলাম; অলিয়েসিয়াও ছুটে এলো তাড়াতাড়ি আমার দিকে। আকাশে তখন খীঁজ-কাটা পাত্লা রূপার কান্তের মত তরুণ চাদ হাম্ছিল। দেই আলোতে দেখলাম অলিয়েসিয়ার চোখছুটি অশ্রভারে টলটল্‌ ক'রছে। _ উৎকষারে জিজ্ঞাসা ক'রলাম--“একি অনিয়েসিয়া ?”

মে আঁযার হাতছ্ুটো ধারে চুন করতে লাগলে! বার বার। কম্পিত কঠে'ব'রূলে--“ওগো তুমি কতো দুন্দর, কতো ভালো তুষি, এতক্ষণ চ'লতে চ'লতে ভাবছিলাম কতো ভ'ল'বাসে তুমি আমায়! দেখো, তৃষি যা চাও, আমিও তেমনি কিছু কা'রতে খুবই চাই****

প্অলিয়েসিয়া, লব্যি রাণী আমার, চুপ করো।”

সে বরৃষ্ধে লাগলো--“আচ্ছা বলতো, আমি যদ কোনে! দিন গির্জায় যাই তুমি খুব খুমী হবে? সত্যি কথা বণতো--সত্যি ক'রে বলো?”

আমি ভাবনায় গণ্ডলাম। হঠাৎ একটা মারাত্বক আশঙ্কা হলো মনে, যে থেকে কোনো অনর্থ ঘটতে গারে।

পউত্তর দিচ্ছো না কেন? আমায় শগগির বলো। তুমি তাতে ধুমী হবে না তোমার কাছে গির্জায় যাওয়া না-যাওয়া সমান?”

“কেমন ক'রে বাবোঁ অলিয়েসিয়া?” সনদিষ্ধ চিত্তে তাকে ঝললাম--“ঠ্যা, হয়ত খুলী হবো। আমি অনেকবার বলেছি যে

পুরুষ অবিশ্বাস ক'রতে পারে, সনেহ ক'রতে পারে, এমন কি শেষ পর্যন্ত উপহাসও ক'রতে পারে, কিন্ত তশাতীপের ছিধাহীর্ন ধর্মপরাযণা হওয়া উচিত। যে সরল শীস্ত বিশ্বাস নিয়ে নারী দর্বতোতাবে নিজেকে ঈশ্বরের আশ্রয়ে নিবেদন করে তার মধ্যে আমি সব সময়েই একটা ধর্মম্পর্শী রমণীুলভ কমনীয়তা অন্থুতৰ কারি।”

আমি চুপ ক'রলাম| অলিয়েসিয়াও কোনো উত্তর দিল না কেবল আমার বুকের ভিতর মাথা ঘসতে লাগ্‌লো ধীরে ধীরে

জিজ্ঞাস! ক'রলাম--“তুঁমি কেন আযায় ওকথা জিজ্ঞাস! করছো 1”

সে চমকে উঠে ব'ললে_কিছু না, এমনই জিজ্ঞাসা ক'রছিলাম। তুমি নিয়ে তেবো না! আচ্ছা, আজ আসি। কাল আবার এসো ।”

সে অদৃষ্ঠ হয়ে গেল। আমি অনেকক্ষণ দাড়িয়ে রইলাম-- অন্ধকারের দিকে চেয়ে, আমার কাছ থেকে চ'নে যাওয়া সেই পায়ের শবের প্রতি কান খাড়া রেখে আয্য ইচ্ছা হ'লে! আযার-_ অনিয়েস্যা'র পিছু ছুটে গিয়ে তাকে ধারে এই ঝ'লে অনুনয় করি দরকার হ'লে জোর করে দাবী করি, যে তাকে গির্জায় ঘেতে হবে না। কিন্তু আমি আমার সেই আকশ্িক উত্তেজনা দন করলাম এবং আমার মনে পড়ে, চ'লুতে চ'লতে আমি নিজে নিজেই ব'লে উঠেছিলাম চীৎকার করে--“ভ্যানিচ.কাঁ, আমার মনে হয়, তোমাকেও কুসংস্কারে পেয়ে কমেছে?”

হায় ঈশ্বর, আমি তখন কেন অস্তরের সেই অক্পষ্ট কথায় কান দিই নি? যে-কথা আমি এখন নিঃসংশয়ে বিশ্বাস ধরি''*'**কখনও, ক্ষণিকের জন্ত হলেও, অনাগতের পূর্বাভাস দিতে অন্তর বখনও তুল করে না।

১৭০ কুহকী (৯২)

& ন্ধেশ্শীলার পরের দিনটা ছিল হইট সানটাইউ-_খুটান পরদিন; সেটা আবার সেই বছরে পড়েছিল টির মৃত্যু বাসরে- তিনি ছিলেন মহাঞ্জাণ শহীদ] লোকগ্রবাদ মতে এই ছুটো দিন এক হ'য়ে গেলে ফসলের দিক থেকে খুবই হাঁনি সৃচনা করে। যাজকীয় কর্তৃত্বের দিক থেকে পিয়েরব্রড গ্রাম ছিল অগ্ঠ গির্জার অধীন, অর্থাৎ সেখানে গিজ ছিল বটে কিন্তু তাঁর নিজস্ব পুরোহিত ছিল না। কদাচিৎ কখনও উপবাসের সময় আর বড় বড় পর্বদিনে তলৃকাই গ্রামের পুরোছিত এসে পৌরহিত্য ক'রতেন।

মেদিন, শরকারী কাছের ভাগিদে আমায় নিকটবতী শহরে যেতে হ'য়েছিল; সকার বেলাকার ঠাগডাতেই আমি ঘোড়ায় চ'ড়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম বেলা প্রায় আটটার সময়। কিছুদিন পৃবে আমি ছোট্ট তেজী দেখে একটা ঘোড়া কিনেছিলাম আমার ঘোরা- ঘুরির জগ্ভো) সেটার বয়স ছাসাঁত বছর হবে) স্থানীয় সাধারণ জাতের ঘোড়া কিন্ত তার আগেকার মালিক, জেলার তয়ারের যত্ত আর শিক্ষায় বেশ পৌঁষ মেনেছিল। ঘোড়াটার নান ছিল টারানসিক। ঘোড়াটার প্রতি আমার রীতিমত টান এসে গিছলো ! ভার সেই সরু সন পরিপুষ্ট গাগুলো যেন বাটাহীর ছাটে তৈরী, বাঁকড়া ঝাঁকড়া কেশর, তার তিতর থেকে ভ্বল অল ক'রছে ছুটো আগুনের তখটার মত চোখ) আর ঠোঁট দুটো ছিল শক্ত কারে চাপা) রংটা ছিল অদ্ভুত রকমের, কদাচিৎ তেমন দেখা যায়_-আগাগোড়া পাশুটে ইছরের মত রং কেবল কোমরের কাছে এক জায়গায় সাদা কালোর একটু ছিটট।

ক্হকী ১৭৯

আমাকে গ্রামের ঠিক যাবখাণ দিয়েই যেতে হ'য়েছিল। গিগ্ক! থেকে লরাইখানা পর্যন্ত বিস্বৃত মাঠখানা গাড়ীর লা লঙ্কা সারিতে ভরে গিছলো। আশে পাশের গ্রামের কৃষকরা স্ত্রী আর ছেলে, মেয়েদের নিয়ে এসেছিল ছুটি ব'লে-_তোলোচা, জুলনিয়া আর পিচালোভকা থেকে। গাড়ীর ফাকে ফীকে (দাকগুলো ইতস্তত; ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেই সকালে, আর আইনের কড়াকড়ি সত্বেও তাদের মধ্যে মাতাল ছিল অনেক (ছুটির দিনে বা রাত্রি বেলা সরাই- খানার আগেকার যালিক গোপনে ভডকা বিক্রী ক'রতো )। সকাল বেলাটা বাতাসের লেশযাত্র ছিল না-্তন্ধ তাৰ; গুমোট রেখেছিল» দিনটা অসহ গরম হবে ন্গারই চলা আকাশ নির্মল, মেঘের লেশযাত্র ছিল না৷ তাতে; দেখতে ফেল ঠিক রূপালী ধুলোয় ঢাকা।

দেই ছোট্ট শহরের সকল কাঁজ সারা হ'লে অল্প ক'রে হান্কী একটু খানা খেয়ে নিলাম__গাইক মাছ যিহদী প্রথায় রান্না আর তার সঙ্গে থানিকটা নিবেশ ধরণের বিয়ার দিয়ে গলাটা সাঁফক'রে নিলাম তারপর বাড়ীর দিকে রওনা হলাম। একট! কামারের দৌঁকানের পাশ দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ মশে পণ্ডদো টারানসিকের সামনের পায়ের নালগুলো কিছুদিন আগে আল্লা হয়ে গিছলো। তার পায়ে নাল লাগাবার জগ্মে নামলাম স্ইথানে। তাতে প্রায় আরও দেড় ঘণ্টা কেটে গেল) কাজেই যখন আমি পিয়েরব্রড গ্রাযের কাছাকাছি এসেছি তথন বেলা বোধহয় বিকাল চারটা কি পাঁচটার, মধ্যে। এরা

সমস্ত মাঠটা ভ'রে গেছে মাতালে-হে হৈ করছে তারা।' সরাইখানার উঠান আর অভিনো খরিদার গিস্‌ গিসু করছে

5 ঞুছকী

কেবল তাদের মধ্ো চলেছে ধাক্কাধাক্কি আর গুঁতোগুতি। পিয়ের- ব্রডের লোক আর তাদের সঙ্গে ভিন্গীয়ের আগন্ধবরা ঘাসের উপর আর গাড়ীর ছায়ায় বসেছিল। শর্বত্র উৎধুধী হয়ে মদের বোতল ঢলিছিল গলায়। একটা লোকও তাদের মধ্যে রকৃতিস্থ ছিল না" সকলের নেশীর যাত্রা এতূরে পৌচেছিল যে, চাষীরা প্রত্যেকেই মাঘলামীতে অপর কলকে টেককাদিয়েছে সেটা প্রমান করবার জগ্ঠে গর্বতরে চীৎকার মু ক'রেছে। তাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো তখন এমন একটা অবশ আর তারী বস্থায় এসে গিছলো যে, মাথা নেড়ে হাঃ বলতে সমস্ত দেছটা সাম্নের দিকে ঝুঁকে পড়ছিল, হাটু মুড়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত দেহের তার ঠিক রাখতে না পেরে--পিছনের দিকে চিৎপাৎ গড়ে যাচ্ছিল অধন্বাৎ-_অত্যন্ত অসহায় হঃয়ে। ছোট ছেলেমেয়েরাও 'সেই একই জায়গায় ছুটোছুটি টেটামেচি করছিল ঘোড়ার পায়ের কাকে ফাকে-ঘোড়াগুলো সেদিকে ত্রক্ষেপ ন! করে আপন মনে শুকনো ঘাম চিবিয়ে যাচ্ছে। কোথাও বা কোনো স্ত্রীলোক, 'যে নিজেই মোজ| হয়ে দাড়াতে পারছে না, তার চুরুরে যাতাল স্বামীর জামার আস্তিন ধারে তাকে বাড়ীর দিকে টেনে নিয়ে চলেছে জোর ক'রে_তার নিতান্ত অনিচ্ছাসত্বে। একট? খন বসতির ছায়ায় প্রায় জনকুড়ি কৃষক, পুরুষ আর মহিলা মিলে, একজন অন্ধ বীণাবাদককে ঘিরে ধরেছে; তাঁর কাপাগলার নাকি ছুরের সঙ্গে তার বাস্ধ যন্ত্রে একটানা জিং জিং শব সেই জনতার একঘেয়ে কোলাহলকে ছাপিয়ে শোনা যাচ্ছিল স্পষ্ট। দূর থেকে আমারও কানে আমসূছিলো দৃক্ষিণ রুশীয় সঙ্গীতের হুপরিচিত বাণীগুলো- |

ক্ছকী ১৩ “ধ যে উঠেছে তারা গো সাষের তারা, পোচছা মাঠের "পরেও ধঁ যে আসে গো তুকী সেনানী (যেন) কালো মেঘ থরে থরে ।” এই গানখানার তিতর দিয়ে ঝলতে চায় কেমদ ক'রে তুকীরা পোচ্হা মঠ আক্রমণ করতে না পেরে কৌশলে দখল করবার চেষ্টা কারেছিল। এই মতলবে তারা পাঠিয়েছিল, যেন মঠুকে- উপহার দিয়েছে এই ভাবে, একটা বিরাট বাতি, বারুদ ঠাসা। বারজোড়া বলদে টেনে এনেছিল সেটা। উৎফুল্ল সন্ন্যাসীরা সেটাকে ভাঞ্জিনের বিগ্রহের সাম্‌নে ছ্বালাবার ভস্তে ব্যন্তঃ কিন্ক ঈশ্বর তুকাঁদের কু মতলব চরিতার্থ হ'তে দিলেন না। “রাত্রে স্বপন দেখিল প্রবীন__ পে বাতি কেহ না লয়) ফাকা যাঠে ল'য়ে কুঠারের ঘায় কেটে যেন করে ক্ষর 1” তখন যঠবাসীরা-_ “ফীকা মাঠে লয়ে, সে "তির 'পরে কুঠার হানিল যত ওগো, গোলাগুলি আর বারুদেরে রাশি ছড়ায়ে পড়িল তত 1” যনে হচ্ছিল সেখানকার অস্হ গরম বাতাসটা, তডকার .তলানি, পেয়াজ, ভেড়ার চামড়া, মোটাকম্বল ইত্যাদির গন্ধ আর: নোংর' লোকগুলোর গায়ের তাপ মিলিয়ে একট! উৎকট গন্ধে, তরে উঠেছিল। আমি যখন তাদের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলাম”

১৭৪ রুহকী

টারানসিকৃকে কোনে! রকমে বাগিয়ে_সে ক্রযাগতই মাথা নাঁড়ছিল, আমার প্রতি চারদিক থেকে ভাদের সকলকার অভ জঙ্ভুত এবং প্রতিকূল দৃষ্টি আমার চোখ এড়ায় নি। «২; লৌকও টুগী খুললো! না, যেটা খুবই স্বাভাবিক, হবে আমার কাছাকাছি হওয়ার সঙ্ষে সঙ্গে তাদের গোলমাল থেমে এসেছিল। হঠাৎ জনতার ঠিক মাবাধান থেকে খুব কর্কশগলায় একটা উন্মাদ চীৎকার শোনা গেল--কথাগুলো পরিষ্কার বোঝা গেল না-_তার ' উত্তরে হি হি করে একটা চাপাহাসির শকও এলো কানে। ভয়ার্ত এক ক্্রীলেইকের কণ্ঠ ধম্কাঁতে শুরু করলো সেই ঝগড়াটে লোকটাকে_

পপ টুপ বোকা কেথ:কার!] চীৎকার ক'রছো কেন? ভোমার কথা যে শুনৃতে পাবে।” বিদ্রপক'রী সেই কৃষকটি ব'লে উঠলো“শোনে তো কি হবে? আমার রবে সে। উচু চাকরে? তো কেবল বনের মধ্যে, তার”?

উন্মাদ অট্হাসির সঙ্ষে সঙ্গে একটা ভ্যঙ্কর বু কথা বাতাসে মিলিয়ে গেল। চকিতে আঁমার ঘোড়ার মুখ ফি চাবুক বাগিয়ে ধারলাম 'শক্ত কারে_রাগে আর উত্তে্নায় তামি আচ্ছর, তখন কিছু দেখতে পাঁ্ছিনা, ভাবতেও পাচ্ছিনা_কিছুতেই ভয় নেই তখন। হঠাৎ একটা অদ্ভুত রকমের পী€” উৎসুক তাৰ মনে . হলো! আমার, বিদ্যুতের মত চকিতে_এমনি তো আমার জীবনে এর আগে একবার ঘটেছিলো অনেকদিন আগে**ঠিক এখনকার মত হুর্ধ ছিল প্রখর, সারা মাঠটা ঠিক এমনি কোলাহলময় উত্তেজিত জনতায় পুর্ণ ছিল ঠিক এমনিতরো! ভীষণ ক্রোধের উত্তেজনায় সেদিনও চকিতে ফিরে দীড়িয়েছিনুম। কিন্তু সেটা কোন জায়গায়?

ক্হ্কী ১৭৫৫ কখন**শ*কখন? চাবুকটা লীচু ক'রে পাগলের মত বাড়ীর পথে ঘোড়া ছুটিয়ে দিলাম।

যারমোল! ধীরেস্স্তে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে ঘোড়াটা ধর্বার সময় রক্ষুতাবে ব'ললে-“্ম্যারেনোভ ফামের বেলিফ আপনার ঘরে অপেক্ষা করছেন 1”

আযার মনে হ'ল দে যেন আরও কিছু ব'লতে যাচ্ছিল যেটা শোনা আমার পক্ষে দরকারীও বটে, ক্টকরও বটে; আমি যেন দেখতে পেলাম তার মুখে একটা কটু বিদ্রপের অস্পষ্ট আভাস! আমি ইচ্ছে ক'রেই দরজার মুখে স্থিরভাবে দীড়িয়ে কট্যটিয়ে চাইলাম তার দিকে__কিন্তু সে আমার দিকে না! তাকিয়েই ঘোড়ার লাগাম ধরে টানতে আর্ত করেছিল, ঘোড়াটা সামনের দিকে মুখখানা বাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে এগোক্ছিল।

ঘরে ঢুকে দেখলাম নিকটবর্তী এক এষ্টেটের এড" নিকিটা ন্যাজারিচ মিস্থচেন্ক। তার পরনে পীশুটে রংয়ের জ্যাকেট, লালচে রংয়ের পিছ 3 নীল রংয়ের পেন্টুন আর টকটকে লাল রংয়ের নেকটাই। চুলগুলো ঝামাঝি ছৃ'তাগে আঁচড়ানো। পমেড মাখা চক্চকে তার স,।জ থেকে "পারসিক লিলাকের সুগন্ধ ছড়া্ছিল। আমাকে দেখতে পেয়েই চেয়ার থেকে তড়াক ক'রে লাঁফিয়ে উঠে আমায় অভিবাদন জানালে, ঠিক নত হয়ে নয়, কোনমতে কোমর একটু বাকিয়ে এবং সেই সঙ্গে ছু'পাটি দাতের ফ্যাকাসে মাড়িছুটো ঈষৎ বার ক'রে। ,নিকিটা গ্রাজারিচ বিনয় সহকারেই বললেন হড়বড়িয়ে-“আপনার দেখা পেয়ে অত্যন্ত শ্রীত হ'লাম! বড়ো আনন? হলো আপনাকে দেখে। প্রার্থনা শেষ ক'রে আপনার জন্তে আমি এখানে অপেক্ষা ক'রছি।

৭৬ [. হুহকী পু এতদিন আপনার সন্ধে দেখা না হওয়া ...কা বিরক্ত লাগছিল আমার, আপনাকে তো ভুল্তেই ব'স্ছিলাম। আপনি আমাদের ওদিকে একদিনও যান না কেন বনধুন তো? ্ীপ্যানীর মেয়েগুলো তো! আজকাল আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা করে দেখি

এই বলে তার কি যেন একটা হঠাৎ মনে পড়ে গেল) হিছি ক'রে হাসতে ঘুর ক'রলো ভয়ানক তার সেই দম আটকানো হাসির ফাকে ব'লে উঠ্‌লো-“আজ কী যজাই না হয়েছিল! ছাঃ হাঃ হা:"“আমার তো হাসূতে হাসূতে প্রায় নাড়ী ছেঁড়বার জোগাড়!”

াযার বিরক্তিভাবটা না চেগেই জিজ্ঞাসা :শম-_-পকি বলছেন আপনি? মজাটা কি হ'ল?”

হাসির তোড়ে থমূকে থমূকে লিকিটা বলতে লাগলো--প্প্রার্ঘনার পর এক হুরুস্ল কাও। পিয়েরব্রডের যেয়েগুলো"ননা, দোহাই ভগবান আমি তো পারতাম না-*পিয়েরব্রডের যেয়েগুলো একটা ডাইদীকে এখানে হাটের যাঝে ধরেছিল-**অবিশ্থি তাদের চাষাড়ে অস্ত্তায় তাকে ডাইনী কলে মনে করে*+*যাই হোক তাকে যা ্রহারটা , দিল তারা! তার সর্বাঙ্গে তারা আল ণা মাথাবার জন্ঠে ধরেছিলো, কোনো রকমে ছিটকে তা মাঝ থেকে পালিয়েছে”

একটা, ভয়ঙ্কর আতঙ্ক চেপে ব্দ্ঘ!! আযার যনে। প্রবল উত্তেজনায় নিজেকে সম্পূর্ণ ভূলে গিছলাম, বেলিফের দিকে ছুটে গিয়ে তার কীধ ছুটো চেপে ধরলাম সজোরে। খুব চড়াগলায় বললাম--“কি সব বলছেন আপনি? আঁপনার হাসিটা থামান তো। ধিক্‌ আপনাকে ? ডাইনী কে, কার কথা বলছেন আপনি ?”

তার হাসি তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে গেল; গোল গোল চোখনুটো

)

ক্হকী ১৭৭

প্মিলে ভয়ে ভয়ে আমার দিকে চেয়ে হতত্ হয়ে বাধো বাধো ভার্কে _বাললে-“হাফি”*আমি-“বাস্বিক জানি না। আঁষার মনে হয় কে যেন বলেছিল সামোইলিখা-..মামুইলিথা-..হবে কি? ক্যা, যা, কে এক মাছইলিখার মেয়ে। চাঁধারা ধরকম-কি একট! ব'লে চীৎকার কণ্রছিল। কিন্তু বাস্তবিক ঝনছি.*কি যে বলছিল আমার যনে নেই।” তাঁর কাছ থেকে শুন্লাষ সে যা যা দেখেছে আর শুনেছে ধারা- বাহিক ভাবে। লে কাহিনীটা বললে অসঙ্গত রকযের; খাপহাড়াঃ খুঁটিনাটি বলতে গিয়ে প্রতিপদ গুলিয়ে ফেলছি, শ্বার আমিও প্রত্যেক পদে প্রশ্ন ক'রে বাধ দিচ্ছিলায বিশ্মিত হ'য়ে; মাঝে মাঝে বমূকেও উঠুছিলাম। তার বর্ণনা থেকে আমি খুব?সামাগ্রই বুধতে, পারলাম ব্যাপারটা এর মাস ছুই পরে একজন প্রত্া্ষদর্শী। ক্রাউনলা গুমের ফরেষ্টারের স্ত্রী, তিনিও সেদিন উপস্থিত ছিলেন, সেই উপাসনায়, তাঁর কাছ থেকে শুনে তবে আমি হট আগাগোড়া জান্তে পারলাম আমার ভাবী আশঙ্কাটা মিথ্যে হয়নি। ৩০৯ হর ভয় দূর ক'রে গির্জায় এসেছিল। সে যখন ঢদীয় এলে পৌচেছিল তখন প্রার্থনার কাজ অনেক দূর হারে গেছে; সে এসে দরজায় ঈাডিয়েছিল এবং গির্জায় যত কৃষক ছিল, সে আসবার সঙ্গে সঙ্গেই, তাদের সকলের দৃষ্টি প'ড়লো তার উপর। প্রার্ঘনার বাকি সময়টা স্্ী- লোকেরা পরল্পর কানাকানি ক'রছিল আর শিছন দিকে ফিরে দেখছিল। [ও সমবেত প্রীর্থনার কাজ শেষ না হওয়া দত ড়য় থাকার হস অলিয়েসিয়ার যদিও ছিল কিন্তু সে হয়ত তাদের দেই: কুটিল

4 ১৭৮ কুহকী

'টাক্ষের অর্থ বুঝতে পারে নি? সে বোধহয় দন্ততরে তাদের উপে- .ক্ষাই ক'রেছিল। কিন্তু গির্জা থেকে বেরিয়ে গির্জার বেড়ার কাছে যেতে না যেতেই এক দল স্ত্রীলোক তাকে ঘিরে ধরলো প্রতি মুহ্রতে তাদের দল বাড়তে লাগলো তার চারদিকে এবং ক্রমশঃ ভার কাছে বেঁকে আসৃতে লাগলো তার!। প্রথমত: তারা কোনো রকম শিষ্টাচার না রেখে, কোনো কথা না ব'লে, চুপচাপ নিরীক্ষণ ক'রলে সেই অসহায় যুবতীকে ; সে তখন ভয়ে চারিদিকে দেখছে? তারপরই শুরু হ'ল তার চূড়ান্ত অপমান-_তীব বাক্যবাণ, গালি- গালাজ আর উচ্চ উপহাস সেই সঙ্গে! তারপর কথা ছাঁড়িয়ে কেবল স্্রীলোকদের রাঙ্গসী চীৎকার আরন্ত হলো আর গণগুগোল উত্তেজিত জনতা ক্রযশঃ ক্ষিপ্ততর হ'য়ে উঠলো বাঁরকয়েক অলিয়ে- সিনা চেষ্টা করেছিল এই বীভৎস সজীব ঝেষ্টনী থেকে পালিয়ে নিজেকে লাচাতে কিন্তু প্রত্যেক বারই তাকে তারা ধাক্কা মেরে মাঝখানে গানে ফেলছিল। হঠাৎ জনতার পিছন থেকে একটা বুড়ী তীব্র কণ্ঠে চীৎকার ক'রে উঠ.লো--“নোত্রা ছু'ড়ীটাকে আলকাত্রা মাখিয়ে দাও--আলকাত্রা 1” রুশিয়ায় কোনো বালিকার বাড়ীর দরজায় আলকাত্রা মাখানো মানেই তাঁর অসহণীয় অপঃন) তাঁর গায়ে মাখানো দূরের কথা। সেই মূহতেই এক টিন আলকাত্রা আর . বুরুশ এসে গেল-সেই ভুদ্ধ জলতার মাঝে_মাথার উপর দিয়ে 'ছাতে হাতে এগিয়ে আস্তে লাগলো সেটা তখন অলিয়েসিয়া রাগে ভয়ে এবং হতাশায় দিশে হারিস়ে তার নিগ্রহ্কারীদের মধ্যে সামলে যাঁকে পেল তার দিকে ছুটে গিয়ে এত জোরে ধাক্কা দিল যে, সে মাটিতে ছিটুকে পড়লো-_ সঙ্গে সঙ্গে মারাযারি হলো শুরু আর সেই বিরাট জনতার

কৃহকী- ১৭৪ মিলিত চীৎকার। সেই ধত্তাধস্তির ভিতর থেকে অলিয়েসিয়া আশ্র্য রকমে পিছলে বেরিয়ে এসেছিল। বেরিয়েই লোকজ রাস্তা ধরে উধন্বাসে দৌড়লো) তার শাল রইল গড়ে, পোষাক পরিচ্ছদ ছিড়ে কুটি কুটি হয়ে গিয়ে তাঁর গা বেরিয়ে পড়ছিল অনেক জায়গায়। তার উপর তখনও চ'লেছে পিছু পিছু পাঁথর ছোড়া, ইতর গালিগালাজ আর বিদ্রপের হাদির তোড়। প্রায় পঞ্চাশ যাট পা এসে অলিয়েসিয়া একটু দাড়িয়ে তার সেই রক্তাক্ত অঁ্চড়ালো বিবর্ণ মুখখানা জনতার দিকে ফিরিয়ে চীৎকার ক'রে কললেএবেশ বেশতোমাদের একথা মনে থাকে যেন। এর) জগ্ঘ তোমাদের কেদে ভাঁষাতে হবে তোমাদের সকলকে” কথা- গুলো সে এত চেঁচিয়ে বলছিল যে সারা মাঠের লোকে তা শুন্তে পেয়েছিল

্রত্যক্ষদরধিনীই আমাকে পরে বলেছিলেন যে এঁ অভিশাপের কথাগুলো! এমন তীব্র দ্বণাভরে, অবশ্থাপ্তাবী ভবিষ্যৎ বাণীর মত এত উচ্চ কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল যে মুহূর্তের জগতে সেই জনতা সত হয়ে গিছলো। কিন্তু সেটা কেবল মুহূর্ঠের জঙ্ঠে, তারপরই আবার গাল'গাণির তোড় নূতন ক?রে শুরু হ'য়েছিল।

যা ঝলছিলায, ঘটনার খুব অক্লদিন পরেই কাহিনীর খুঁটিনাটি সব আমি জানতে পেরেছিলাম। তখন যিস্ৎচেনকের বিবরণ শোনবার মত শক্তি বা ধৈর্য আমার ছিল না। মনে হলো যারমোলার হয়তো তখনও ঘোড়ার জিন খোলা হয় নি) সেই হতবুদ্ধি বেলিফকে আর একটা! কথাও নাঁ ঝরে আমি দৌড়ে এলাম উঠানে যারযোলা তখনও টান্চে ঘোড়াটাকে বেড়ার দিকে। ঘোড়ার রাশটা! পিঠের দিকে নিয়ে, জিনের পেটিটা এটে .

১৮০, .. কুহুকী

চকিতে ছুটলাম বনের দিকে...ফোরালো পথ ধরে_যাঁতে নেই মত জনতার মাঝ দিয়ে যেতে না হয়।

(১৩)

খোঁড়ার পিঠে চড়ে পাগলের মত যখন ছুটুছি তখন আমার মনের অবস্থা যে কি তা বর্ণনা করা যায় না। একেবারে ভুলে গেছি কোথায় ছুটছি, কেনই বা ছুটছি। কেবল একটা ক্ষীণ আভাস £মনের মধ্যে রয়েছে--কি যেন একটা অপূরণীয় ক্ষতি হ'য়ে গেছে-- কি যেন একটা বীভৎস তযঙ্কর ব্যাপার ঘটেছে! জরে প্রলীপের ঘোরে মান্গষের মনটা যেমন অহেতুক গুরুতর আশঙ্কায় আহ্ছন্ হয়ে থাকে ঠিক তেমনি ভাব| সাঁরা পথটা ঘোড়ার ক্ষরের শব্ের তালে তালে আমার যনের যধ্যে বঙ্কার দিয়ে উঠছিল সেই বীণাবাদকের নাকি হ্থুরে ভাঙ্কা গলায়-- ছা. &ঁ যে আসে গো তুকাঁ সেনানী

(যেন) কালো! মেঘ থরে থরে।

যখন, সেই মরু পায়ে-চলা! গথঃ যেটা মাছুইলিখার কুঁড়ের দিকে গেছে, তার কাছে এলাম তখন টারানসিকের পিঠ থেকে নেমে তার জাগায ধ'রে চ'ল্লাম। তাঁর জিনের যা, আর গেটির সর্বত্র গাঁজলায় ভর্তি ছয়ে গিছলো। দিনের বেছাঁকার প্রচণ্ড উত্তাপ আর দুরস্্বেগে ঘোড়া ছোটানোর ফলে আমার ম্াধাতেও রক্ত এত চড়ে গিছুলো যেন অবিরায জোর পাম্প চাঙ্গানো হায়েছে,রক্তে।

কষ্চির ঝাড়ে বোড়াটাকে বেঁধে রেখে আমি কুটারে প্রবেশ করলাম?" প্রথমে যনে হ'লো অলিয়েসিয়া হয়ত সেখানে নাই,

সঙ্গে সঙ্গে আমার বুক আর ঠোঁটছুটো ভয়ে কাঠ হঃয়ে গেল 16. একটু পরেই দেখতে পেলাম সে বিছানায় শুয়ে আছে মুখটা দেওয়ালের দিকে ফেরানো, মাথাটা বাদিশের তিতর ডোবা। দরজা খোলার শবেও সে পাশ ফিরলো না!

মাুইলিখা তার পাশে উবু হয়ে বসেস্থিল। 'আযায় দেখতে পেয়ে অতিকষ্টে উঠে ঈীড়িয়ে আমার দিকে হাত নেড়ে নিষেধ ক'রলো। তারপর আমার খুব কাছে এসে তয় দেখানো ভাঁবে কানে কানে ঝললে-চুপ, গোলমাল ক'রো না ক্লৃছি-টের পাবে তাহলে?” তার সেই ভো*তিঠীন ঘোলাটে চোখছাটোতে কটমটিয়ে আমার দিকে চেয়ে ফিম্‌ ফিদ্‌ ক'রে বললে বিদ্বেষতরে “হা, কাজটা তো বেশ ভালো বকমেই করেছো বাছা? আমি চটে গিয়ে ব'ললাম-দেখ, ঠান্দি, এখন আমাদের দুজনের , বোঝাপড়া বা গালিগালাজের সময় নয়। কি হয়েছে অলিয়েসিয়ার তাই বল।”

“চুপ, চুপ। অলিয়েসিয়া তো অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। হবে আর কি অলিয়েসিয়ার! তোমার যেখানে কোন! দরকার ছিল ন| সেখানে যদি তুমি মাথাটি না ণ্লাতে আর মেয়েটাকে অত আজেবছে কথা না শোনাতে কোনো অনর্থই ঘটুতো না। আমিও সে সব দেখে শুনেও প্রশ্রয় দিয়ে এসেছি-'কি মুখ্যু আমি ! বি অরে অরে উই টিনার নার জারি পেতেন যে দিন তুমি সর্ব গ্রথম, এক রকম জোর করেই, আমাদের ঘরে ঢুকেছিলে দেই দিনই আমি এই দুর্ঘটনার জুনচ পেয়েছিলাম। তৃমি কি ক্সতে চাও যে, তুমি ওকে জোর ক'রে গির্জায় যাবার জন্ঠে ওষ্কাও নি?” এই ব'লে বুড়ী আমার দিকে হঠাৎ দুণায মুখ

শা

/ ১৮২ কৃহকী

কত ক'রে চাইলে। “তুমি নও কি? আগুদে লোক কোথাকার ! মিথ্যা কথা বালো না- তোমার ছলচাতুরী দিয়ে আমায়ঞ্এড়াবাপি চেষ্টা করো না_নিলঙ্জ কুকুর কোথাকার-_কিসের লোত দেখিয়ে ওকে তুমি গির্জায় যাবার জগ্ভে মতলব দিয়েছিলে ?”

"আমি ওকে কোনো লোভই দেখাই নি ঠানদি? হলফ, কারে বলছি তোমায়। নিজে থেকেই যেতে চেয়েছিল” যাছইলিখা নিজের হাতজুড়ে, যুঠো ক'রে ব'লে উঠ্‌লো--হায়

আমার পোড়া! কপাল, কি দুর্ভাগ্য গো! সেখান থেকে ছুটতে ছুটতে এলো সে--তার মুখটা আস্ত রাখে নি স্থা্টধান! ছিড়ে কুটি কুটি হয়ে গেছে__মাথায় শালখানাও নাই! কি ক'রে অযন দশা হ'লো, আমায় বলতে বলতে হ্াসেও, কাদেও_-যেন মাথা খারাপ হয়ে গেছে তারু। তারপর বিছানার উপর শুয়ে শুয়ে কাদতে লাগলো আধি যখন কাছে গেলাম মনে হ'লো ঘুযুচ্ছে। বৌকার মণ্ত এই ভেবে খুসি হ'লাম যে ঘুমুলেই তার সব সেরে ঘাবে। হাতটা ঝুলে আছে দেখে ভুলে ঠিক ক'রে দিতে গেলাম, পাছে ফুলে ওঠে, এই ভয়ে, বাছার হাতখানা ধরতে গিয়ে দেখলাম যেন আগুনে গুড়ে যাচ্ছে। মানে তখন জর এসে গেছে। ঘন্টাখানেক ধ'রে অবিরাম কেবলই কথা কইছিল, খুব তাড়াতাড়ি +লছিল কিন্ত বড় করুণভাবে ? সে এইমাত্র থেষেছে--এক মূহুর্ত আগে ভুমি কি করলে গো তার? তুমি কি করলে?" ঝলৃতে ঝলৃতে কাদতে গিয়ে তার বাদামী রংয়ের মুখখানা! কুঁচকে ভীষণ বিকট হয়ে উঠলো। মুখের সমস্ত পেশীগুলো শক্ত হ'য়ে কীপৃতে লাগলো চোখ ছুটো বিস্ফারিত হ'য়ে কপালে পুরু ভজ প'ড়ে গেল__চোথ থেকে টপ্‌টপ, ক'রে জল ঝরতে লাগলে! বড়ো বড়ো ফোটায়। দু'হাতে

রঃ রে মাথা ধ'রে টেবিলের উপর কম্ুই রেখে ভার সমস্ত দেহটা দোলাতে দোলাতে একটানা চ'ললো তার চাপা কাল্না_-“ওগো আমার মেয়ে গো, ওরে আমার দাত ্ী রে-কি যে যন্ত্রণা আমার গো”

আমি তখন ধমৃকে উঠ্‌লাম মা্ইলিখাকে *চেচিও না, বোকা বুড়ী কোথাকার! জাগিয়ে ফেলৃবে যে ওকে?” বুড়ী চুপ ক'রলো টে, কিন্তু মুখে সেই উৎকট কারার ভঙ্গীতেই হুঁনতে লাগলো আর তার চোখের জল প'ড়তে লাগলো টপ. টপ. ক'রে টেবিলের উপর | এই ভাবে যিনিট দশেক কেটে গেল। আমি মাছুই

লিখার পাশে ঝসে নিবিষ্টমনে শুনছিলাম একটা মাছি একটানা ভে] ভে শব্ধ করে জানালার শাসিতে ধা থাচ্ছিল।

হঠাৎ অলিয়েসিয়ার অত্যন্ত ক্ষীণক্ঠ শোনা গেল--“দিদিমা। দিদিয়া, কে এসেছে ?”

মান্থইলিখা নেংচে নেংচে তাড়াতাড়ি তার বিছানার কাছে গিয়ে নাকিম্থুরে আরস্ত ক'রলো--"ওরে, আমার নাতনী রে, ওঃ কি কষ্ট আমার রে, কি যন্ত্রণা ।”

“আঃ থামো দিদিযা, তুমি খামো।” অলিয়েসিয়। বলে উঠ লো! অন্ভুযোগের ছ্ুরে অতিকষ্টে, “কে এখানে বস আছে বল না?”

খুব সন্র্পণে পা টিপে টিপে আমি তার বিছানার কা

গেলাম; যনে একটা বিশ্রী রকমের অহেতুক আশঙ্কা নিজের মুন স্বাস্থ্যের জন্ভে ; রোগীর কাছে যেতে হ'লে সাধারণতঃ যা হয়। আস্ে হতে বাূলাম তাকে_“আমি, অলিয়েসিয়া! আমি এই বানর ঘোড়ায় চ'ড়ে আস্ছি গ্রাম থেকে ।-++সার! সকালটা শহরে কাটাতে হ'য়েছিল-.'তোমার কি অন্ুথ করেছে অলিয়েসিয়া ?”

বালিশ থেকে মাথা না নাড়িয়ে সে তার খোলা হাতিখান

৯৮৪ কৃহকী

বাড়িয়ে দিল যেন ছাওয়ায় কিছু স্পর্শ ক'রতে চায়। ইঙ্গিত বুঝতে পেরে তাঁর গরম 'হাতখানা হাতে নিলাম আমার। ভার সাদঃ কোমল চামড়ার উপর ছুটো বড়ো বড়ে! নীল দাগ ফুটে উঠেছে, একটা কজিতে আর একটা কম্বইয়ের উপর |

অতি কষ্টে ধীরে ধীরে অকিয়েসিয়! বান্লে- ছাড়া ছাড়া কথা “ওগেনআমি-তোঁমায় দেখতে চাই--কিন্ত পারছি না যে--ওরা আমায় পঙ্গু ক'রে দিয়েছে'"*আমার সমস্ত শরীরখানা-'তোযার আছে.."তুমি আমার মুখখানা কতো ভালোবাস্তে-" "ভালো লাগতো। মা তোমার? আমি যে কতো খুনী হতাম তাতে'.*সূব সময়'*” আর এখন তোঁষার বিশ্রী লাগবে সেটা.."এমন কি আমার দিকে চাইতেও তোমার ভালো লাগবে না [তাই তো আমি" চাইছিনা-"”

তার কানের কাছে মুখ নিচ ক'রে বল্লাম_“অলিয়েসিয়া। তুমি আমায় ক্ষমা করো ।” মে অনেকক্ষণ তার গরম হাতখান! দিয়ে আমার হাতথানা চেপে ধরে রইল। তারপর বল্লে--কিন্ত তুমি কি বলছ? তৌমায় আমার ক্ষমা করবাঁর কি আছে বলো? একথা তাঁবতেও তোমার লজ্জা হচ্ছে না? তৌমার ফ্রাঘ এতে কিকা'রে হ'তে পারে? অবই তো আমার দৌষ--আমি যেমন বোকা-কেন মরতে গিছলাম? না না, ভুমি নিজেকে দৌষ দিও না।”

“অলিয়েদিয়া বলো-শতুমি আগে প্রতিজ্ঞা করো-বে

“বলো ভূমি যা বল্ৰে প্রতিজ্ঞা করছি'** “আমাকে একজন ডাক্তীর আনতে দাও আমি তোমায় অমুনয়া

কৃহকী ১৮৪ ক'রছি। সে যা বনৃবে তোষায় তা ক'রতে হবে না, যদি তোঁষার ইচ্ছে না হয়"তুমি কেবল বলো"+্যা_নিয়ে এসো-'অন্ততঃ আমার জগ্চে তুমি বলো, অলিয়েসিয়া।”

“ও তুমি আমায় ভয়ানক ফাদে ফেললে দেখছি! না, তুমি আমায় প্রতিজ্ঞার হাত থেকে রেহাই দাও। যদি আমার সত্যিই ভয়ানক অসুখ করতো, মরতে বাস্তাম_-তবুও আমি আমার কাছে ডাক্তারকে আস্তে দিতাম না। আঁমি কি অন্থস্থ নাকি? কেবল আতঙ্কে আমায় এমনি কারে ফেলেছে বন্ধ্যা হলেই সেটা কেটে যাবে। যদি না যায়, দিদিমা আমায় লিলির কাঁথ বা একটু কণ্টিকারীর চা ক'রে দেবে। ডাক্তার এনে কি হবে? তুমিতুমিই আমার সব চেয়ে বড়ো ডাক্তার যে। তুমি সবে মাত্র এসেছে-তাতেই আমি এরই মধ্যে ভালো বোঁধ করছি। আর কেবল একটা খুব খারাপ লাগছে'-"আমি তোষীয় দেখতে চাই."*একটা চোখ দিয়ে হলেও দেখ তে চাই...কিন্তু তয় হচ্ছে...»

অতি সন্তর্পণে বালিশের উপর থেকে অলিয়েমিয়ার মাথাটা আমি তুললাম। জরের ঘোরে তার মুখখানা লাল টক্টুকে হায়ে গেছে-কালো চোখদুটো অস্বাভাবিক রক* ভূল জল করছিল, তার শুকনো ঠোঁট দুটো ভয়ে তয়ে কীপছিল। লাল লাল টানা টানা আঁচড় কাটার দাগ তাঁর কপালে, গালে আঁর ঘাড়ে। কপালে আর চোখের কোণে ঘন কালশিরা পড়ে গেছে।

“আমার দিকে চেয়ো না, ওগো, আমি ব'লৃছি আমার দিকে চেয়ো না; আমি এখন কদাকার হয়ে গেছি।” *চাপাগলায় এই কথা ব'লে অগুনয় ক'রে ভার হাত দিয়ে আমার চোঁখছুটো ঢাকবার চেষ্টা করতে লাগলো

১৮, কুকী

করুণায় আমার মনটা! ছলছল ক'রে উঠ্‌লো। কম্বলের উপর 'অলিয়েসিয়ার স্থির হাত খানার উপর আমার ওষ্টরর স্পর্শ দিয়ে দীর্ঘ নীরব চুন এঁকে দিলাম তাঁতে। এর আগেও আমি তার হাতে চুন ক'রতে গেলেই সে সলাজ চমকে চকিতে তার হাতছুটো টেনে নিত আমার কাছ থেকে, কিন্ধু এখন আর সে আমার সোহাগে কোনো! বাধাই দিল ন!3 তার অপর হাতে ক'রে ধীরে ধীরে আমার চুল গুলো গুছিয়ে দিতে লাগলো !

সে চাপাগলায়_জিজ্ঞাঁসা করলো-_“তুমি সব জানো ?ি

আমি নীরবে মাথা নিচু ক'রলাম। সত্যি বলৃতে কি, আমি 'নিকিটার বর্ণনা থেকে ব্যাপারটা সব বুঝতে পারি নি, আবার সেই সকাল বেলাকার গত ঘটনা উল্লেখ ক'রতে গিয়ে অলিয়েসিয়া উত্তেজিত হয় আমি সেটা*্চাইলাম না! হঠাৎ রাগের অদম্য উত্তেজনায় আমায় আচ্ছন্ন ক'রলো সেই উৎপীড়নের কথা ভেবে যা তাঁর উপর হয়েছে। সোজা হয়ে উঠে বন্ধমুষ্টি নিম্নে চীৎকার ক'রে উঠলাম-- “আঃ কেন আমি সেথাঁনে ছিলাম লা তখন-*”**্তাস্হলে-একবার***”

“না না, ছুখু কারো মাশন্ছুখু করো নাততরাগ কারো না তুমি-*” অলিয়েসিয়া খুব শাস্তভাবে বাধা দিল আমায়।

আমি আর কান্না থামাতে পারছিলাম নাঁ_আমার গলা ঝসে অংসৃছিল; চোখ ছল্ছল্‌ করছিল ; অলিফেস্য়িংর কাধে আমার মুখ লুকিয়ে কেঁদে ফেল্লাম খুব-_নীরবে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে |

“তুমি কীদ্ছো!? তুমি কীদৃছো ?* বিশ্বয়ে করুণাভরা কোষল কে কলূলে অনিয়েসিয়া ) “না না.*কেঁদো না তৃষি-"ছিঃ-*নিজেকে কষ্ট দিও না তুমি। তোমাকে কাছে পেয়ে আমি কতো খুশী দেখছো না? নানা-'যতক্ষণ এক সঙ্গে আছি কীদবো কেন? এই শেষের

কুহকী ১ৰ

কণা দিন আমরা একটু খুশী হই লা কেন, তাহলে বিদায় বেলায় / তত কষ্ট হবে না”

বিশ্থিত হ'য়ে আমি মাথা তুললাম। অনাগত কি এক আশঙ্কা ধীরে ধীরে আমার মনকে আচ্ছন্ন ক'রতে লাগলো

“শেষ দিনগুলো ! অলিয়েসিয়া ? তুমি কি ঝলৃছো-শেষ? কেন আমরা বিচ্ছিন্ন হবে! ?”

অলিয়েসিয়া চোখ বুজে কয়েক মুহূর্ত নীরব রইলো, তারপর দৃঁতাবে বলূলো--“আমাদের বিচ্ছিন্ন হতেই হবে। আমি সামান্ একটু সেরে উঠলেই এখান থেকে আমরা চ'লে যাব_দিদিমা আর আমি। আর বেশীদিন এখানে আমাদের থাঁকা চলবে নী 1”

“তৃমি কি কিসেও তয় পেয়েছ ?”

প্না গো না, আমি কিসেও ভয় পাইনি, তয়ের কিছু থাকলেও! আমি কেন অনর্থক লোকদের মন্দ কাজে প্ররোচিত করবো? তুমি হয়তো জান নাঃ ওখানে পিয়েরবডে আমার এমন রাগ আর অপমান বোধ হ'য়েছিল যে আমি তাঁদের অভিসম্পাত দিয়েছি। এখন যদি কিছু হয় তারা আমাদের ধরবে যদি গরু ঘোড়া য'রতে আরম্ত করে বা ঘরে আগুন লেগে যায়-_শাঁমরাই হবো অপরাধী তখন।* তারপর মাচুইলিখার দিকে ফিরে েচিয়ে বন্লে”” “দিদিমা, আমি যা বলৃছি সত্যি নয় ?”

“কি বলেছিলে ভাই দিদি, সত্যি ঝল্ছি আমি গুনিনি।” বিড় বিড় ক'রে লে বুড়ী তার কাছে এগিয়ে এসে কানে হাত দিয়ে উৎবর্ণ হ'লো, তাঁর কথার দিকে “আমি বল্ছিলাম এরপর পিয়েরব্রডে যা কিছু অমঙ্গল হবে তাঁর! দৌষ চাপাবে আমাদের উপর |”

প্তা সত্যি, তা সত্যি কথা অলিয়েসিয়া-_তাঁরা সব কিছু আমাদের

১৮৮ কুহকী

ঘাড়ে চাপাবেশ্যত সব হতভাগা গয়তানগুলো আমন্বা যে এখীনকার বাসিন্দা নই, তারা আমাদের ছুজনকেই মেরে ফেল্ুবে-*" একেবারে শেষ ক'রে দেবে আমাদের আপদগুলো। এর আগে আমাকে ওরা কি রকম ক'রে গ্রাম থেকে তাড়িয়েছিল? কেন? ঠিক এই একই কারণে নয়? খুব তিতিবিরজ্ত হ'য়ে আমি কেবল তাঁদের ভয় দেখিয়েছিলাম। কোথাকার এক বোকার হাড় মেয়ে...তাঁর শিশ্ুটী যারা গেল-_আমার তাতে কোনই দোষ ছিল নাঃ আধ স্বরে ব্যাপার ভাবি নি অথবা ভূতও আমি নামাই নি" কিন্তু শয়তানগুলো আমায় মেরে ফেলেছিল আর একটু হ'লে। আমার দিকে পাথর ছুড়তে আরম্ভ করলো শে কুক "আমি ছুটলাম তোকে কৌন রকমে বীচিয়ে--তুই তখন নিতান্ত শিশু ভাবলাম ওরা য্টি আমায় মারে কিছু যায় আসে না? কিন্ত এই নির্দোষ শিশুটা আহত হবে কেন! তা হলো না, সেই শিশুর উপরই আমূতে লাগলো ঘা কিছু-*লোৌকগুলো অত্যন্ত বর্বর--জঘগ্ক মড়া- খেকো সব”

“কিন্তু তোমরা যাবে কোথায়? তোমাদের তো কে ধাঁও বন্ধু বা আত্মীয় স্বজন কেউ নেই আর নূতন জায়গায় য়ে বসবাস করতে হ'লে তোমাদের পয়সারও দরকার !”

“আমরা কোনো রকমে চ'লে যাঁব।” অগ্যমনস্কভাবে অলিয়েসিয়া বল্লে-+টাকাও জুটে যাবে। দিদিমার কিছু জমা আছে ।”

প্টাকাও ছুটে যাবে।” বুড়ী ধমকে উঠলো রেগে) বিছানা থেকে উঠে গিয়ে বলূলে-_ “বিধবার কডি_চোখের জলে ধোয়া”

“অলিয়েসিয়া, আমার কি হবে? তুমি আমার কথা ভাবতেও

ক্হকী ১৮৯

চাওনা।” চেচিয়ে উঠলাম আমি। মনে মলে অনিয়েপিয়ার উপর খুব বিশ্রী রকমের রাগ হ'চ্ছিল।

সে নিজেকে একটু তুলে তার দিদিমার উপস্থিতি না মেনে, আমার মাথাটা ছুঃহাতে ধ'রে আমার গালে কপালে পর পর চুস্বন ক'রতে লাগলে! উপরাউপ-রি। তারপর ব'দলে_“আমি যে সব- চেয়ে বেশী ভাবি তোমার কথা। ওগো! কেবল তোমারই বথা। আমাদের কপালে যে আমাদের মিলন নাই_তাই এই দশা। তোমার মনে আছে? আহি তোমার জগ্ঘে তাস পেতেছিলাম ? তাঁসে য! ঝলেছিল তার প্রত্যেকটা হবহু ঘটেছে! বিধাতার ইচ্ছা নয় আমরা! সুখী হই| তা না হ'লে আমি কি কোনো কারণে ভয় পেতাম ।”

“অলিয়েসিয়া, তুমি আবার ভাগ্যের কথ! কইছো৮ অধৈর্য হ'য়ে ঝনুলাম আমি_-“আষি ওতে বিশ্বীন করতে চাইনা-আমি কখনোই বিশ্বাস ক'রবো না।”

অলিয়েসিয়া ভীত হ'য়ে চুপি টুপি ক'লে উঠলো-_“না-"না"না-- অমন কথা বলো না আমি আমার জগ্ঘে ভয় পাচ্ছি না, তোঁমার জগ্ঠে। না, না, তোমার নিয়ে কথা না বলাই ভালো” *

অলিয়েলিয়াকে মে আশঙ্কা থেকে বিরত করবার চেষ্টা বৃথা হ'লো আমার। বৃধাই আহি তার তবিষ্যুতের নিরবঙ্ছিনন স্থখের ছবি এঁকে দেখালাম যা কুটিল নিয়তি বা খল+ দুষ্ট লোকেও ভাঙ্গতে পারে না। অলিয়েম্য়া কেবল আমার হস্ত চুদন ক'রে মাথ! লাড়লো--“না-না- না..আমি জানি। আমি দেখতে পাচ্ছি।” বেশ ভাবে ব'নূলে আবার--“কিছু না-কেবল ছুংখুই রয়েছে আমাদের কপালে আর কিছু নেই।”

৩৫

১৯০ _ কুহকী তার এই একথু'য়ে অন্ধ কুসংস্কারে ব্যাকুল এবং হতাশ হয়েই

তাকে জিজ্ঞাসা কারলাম--“তা হ'লে কবে তোমর! চ'লে যাচ্ছ দিনটা

আমায় জানিয়ে দিও |”

অলিয়েসিয়া ভাবতে লাগলো! হঠাৎ তার মুখে হাসির অস্পষ্ট থেরা ফুটে উঠলো | ঝ্ললে--"সে বিষয়ে আমি একটা ছোট গল্প তোমায় ঝলুবো। এক সময় একটা নেকড়ে বাঘ বনের ভিতর দিয়ে ছুটতে ছুটতে একটা ছোট্ট খরগোশকে দেখতে পেয়ে তাকে ঝ'লূলে, আরে খরগোঁশ। আমি তোঁকে খাব / খরগোশটা অন্থনয় ক'রে বল্লে-_-আমাকে তুমি দয়া করো। আমি বাঁচতে চাই। ঘরে আমার ছোট্ট ছোট্ট সন্তানগুলি রয়েছে।' নেকড়েটা রাজী হ'লো না। তখন খরগোশটা ঝল্লে--“আচ্ছা বেশ, তাহলে আমাকে অন্ততঃ আর তিন দিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে দাও, তারপর তুমি খেতে. পাবে; তখন মরাটা আমার পক্ষে এর চেয়ে সহজ হবে? নেধড়েটা তাঁকে তিন দিন সময় দিলে। তাকে খেলো শা, তার উপর নজর রাখলো একদিন কেটে গেল; দ্বিতীয় দিনও গেল, তৃতীয় দিনও শেষ হয় হয়। নেকৃড়ে ব'লূলে, “এইবার তুমি তাহ'লে তৈরী হও। আমি তোমায় খাবো তখন খরগোশ বেচা আকুল হয়ে কীদতে কাদতে বললে_-ওগো নেকড়ে বাঘ, কেন তুমি আমায় তিন দিন ছেড়ে দিলে? তুমি যে মুহূর্তে আমায় প্রথম দেখেছিলে তখনই খেয়ে ফেল্লে যে আমার ভাল ছিল। এই তিন দিন তো আমি বেঁচে ছিলাম না কেবল মৃত্যু যন্ত্রণা পেয়েছি সারাক্ষণ 1."

“দেখ, সেই ছোট্ট খরগোশটা সত্যি কথাই বলেছিল, তোমার তাঁই মনে হয় না কি?”

আমি চুপ করে রইলাম--ভাবি সঙ্গিহীনতার আঁশঙ্কার অম্পষ্ট

কুহকী ১৯৯1 ইঙ্গিতে আমার মনটা বিকল হয়ে প'ড়েছিল। অলিয়েসিয়া উঠে / বিছানায় বসূলো। হঠাৎ তার মুখখানা গম্ভীর হ'য়ে উঠলো ধীরে ধীরে ঝল্লে_“শোনো ভ্যানিয়া, বল দেখি তুমি যতদিন আমার সঙ্গ পেয়েছ শ্বখী হওনিকি? তোমার কি মনে হয় সেটা ভালোই: হয়েছে

“অলিয়েসিয়া, ভুমি মে কথা এখনও জিজ্ঞাসা! করছো?”

“থামো।তআমার সঙ্গে পরিচয় হওয়ায় তুমি একটুও অন্থতাপ ,করোনি কি? আমার সঙ্গে যখন থাকৃতে, তুমি কি আর কোনো; মহিলার কথা ভেবেছে ?”

“না, এক মুহূতের জচ্েও ভাবিনি। কেবল তোমার সঙ্গে যখন থাকৃতাম কেন) যখন একলাও থাঁকৃতাম তোমার কথা ছাড়া আর কারোও চিন্তা আমার ছিল না 1”

“আমার উপর হিংসা তোমার হয়েছিল কি? আমার উপর রাগ করেছিলে কি কখনও ? তুমি আমার সঙ্গে যখন থাকৃতে কখনও কি অন্দুধী বোধ করেছিল ?

“না অভিয়েসিয়াঃ কখনও না

লে তার হাত ছুটো আমার কীধের উপর রেখে অব্যক্ত প্রেম বিহ্বল দৃষ্টিতে আমার চোখের দিকে চেয়ে ঝলৃলে-“তা হ'লে তোমায় কলে রাখি-যখন আযার কথা তোমার মনে ইবে তুমি কিছুতেই, আমি দুঃখে আছি বা আমার অমঙ্গল হয়েছে তা ভাবতে পার্‌বে না”** স্থির বিশ্বাসেই সে কথাগুলো বল্‌লে, যেন আমার চোখে সে ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে। “আমর! যরন চ'লে যাবো তখন তোমার খুব দুঃখু হবে, ভয়ানক ছুঃখু 1**"তুমি কীদবে*কোথাও একটুও সাত্বনার জায়গা খজে পাবেনা তারপর যখন সব চ'জে

১৯২ .. কুহকী "২ যাবে ফিলিছে যাবে"ততখন তুমি আমার কথা বেশ স্হজে সুখের অঙ্গে ভাবতে পারবে-কোনো ছুঃখু হবে লা।” এই বলে সে তার মাথাটা আবার বালিশের উপর রেখে ক্ষীণ কণ্ঠে বল্লে যা, এইবার যাও, ওগো সূবস্ব আমার, তুমি বাড়ী যাও.**আর্মি একটু ক্ান্ত_হ'য়ে পড়েছি না থামো--টুমা দাও আমায়, দিদিমার জগ্তে ভয় কারো না, দিদিমা কিছু মনে ক'রবে লা। তুমি কিছু মনে করো না, না দিদিমা?” | “ব্দায় নিয়ে নাও। তোমাদের তো বিচ্ছিন্ন হতেই হবে|” তারপর একটু হসস্ত্ট ভাবে বুড়ী বনৃনে- “আমার কাছ থেকে ওসব নুকাতে চেষ্টা করো কেন তোমরা? আমি যে এসব অনেক দিন আগেই জানি ।” শ্ুম! দাও ামায়_দাও এখানে এখানে আর এইখানে?” 'লিয়েসিয়া বলতে লাগলো! আর আঙ্গুল দিয়ে তাঁর চোখ, গাল, মুখ “দেখিয়ে দিলে আমি আশঙ্কায় শিউরে উঠে ঝল্লাম_-“অলিয়েসিয়া তুমি এমন ক'রে বিদায় নিচ্ছ যেন আমাদের ছুজনে আর কখনও দেখা হবে না।” “জানি না, ওগো আমি কিছুই জানি নাঁ_কিছুই জানি না। এই- বার তুমি এসো, ভগবান তোমার সহায় হু'ন। না, না) একটু দীড়াও, আর এক মৃহ্..আমার কাছে সরে এলো ।--তুমি কি জান আমার দুঃখু কিসের ?” তারপর তাঁর অধর দিয়ে আমার ওষ্টে স্পর্শ ক'রে চুপি চুপি বল্ল-“তুমি আমায় একটি সন্তান দিলে না-ও আমি তাহলে কতো দুখী হ'তাম মাছইনিথার সঙ্গে আমি বেরিরে এলাম পথে, জাকির আবেকিটা ত্বন কালে! মেঘের কুগুলীতে ঢেকে ফেলেছে। হৃর্ঘ তখনও পৃবদিক

কুহকী ৯৯৩

ঘসে কিরণ দিচ্ছে-এই আলো আর আসন অন্ধকারের মিশর্শে_ কি যেন একটা অনঙ্গলের সুচনা ক'রছিল। বুড়ী উপরদিকে চাইলো ছাতার যত হাতে ক'রে চোখ ছুটো আড়াল ক'রে, তারপর ঘাড় নাড়তে লাগলো! যেন অর্থ সুঝেছে তার |

“ই-.*আজ পিয়েরব্রডের উপর ঝড় আর ব্জপাত হবে” দৃঢ় বিশ্বাস সহক!রেই সে বল্লে, “শিলাবৃষ্টি সেই সঙ্গে-*...খুব সন্ভাবনা আছে ।”

(১8)

ধু

দযব্রডে এসে প্রীয় পৌঁছে গেছি এমন সদয় হঠাৎ এক ঘুষি হাওয়া উঠলো, রাস্তার উপর ধুলারকুণ্ডলী উডডিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো বড়ো বড়ো বৃষ্টির ফোটা ইতস্তত: পণ্ডতে আর্ত হ'লো।

মাহ্ইলিখ! ভূল বলেনি। সাঁরদিনের অসঙ্থ উত্তাপে ঝড়ের যে বেগ পুগ্রীভূত হ'য়েছিল পিয়েরব্রডের উপর প্রচণ্ড ভাবে বইতে লাগলো অসাধারণ গতিতে বিদ্যুৎ চম্কাতে লাগলো! অবিরাম )* আমার, ঘরের জানালাগুলো কীপতে লাগলো বাঁডের আওয়াজে সার্শির কীচগুলো ঝন্ঝনিয়ে উঠছিল। রাত্রি প্রায় আটটার সময় কয়েক” মিনিটের জগ্ঘে ঝড়টা একটু শান্ত হ'লো, কিন্তু তাঁ কেবল আবার নৃতন গর্জনে শুরু করবার জন্মে; হঠাৎ বধির-করা শবে কি যেন হুড়হুড় ক'রে প'ড়তে লাগলো৷ ছাদের উপর--ঘরের দেওয়ালের উপর।: জানালার কাছে ছুটে গেলাম, ওয়ালনাঁটের* মত বড়ো বড়ো শিল্প পড়ছে ভীষণ বেগে ; মাটিতে পড়ে অনেক দুর পর্যস্ত আবার াফ্চিয়ে উঠছে শৃদ্ভে বাড়ীর সামনে. তুঁতগাছের বাঁড়ের দিকে

১৩

১৯৪ ক্‌হ্কী

চাইলাম, সেখুলো নেড়া ছড়িয়ে আছে--প্রতোকটি পাতা সেই . ততরঙ্কর শিলার ঘায়ে উড়ে বেরিয়ে গেছে। জানালার নিচে যার মোলার চেহারা ভেসে উঠলো-অন্ধকারে ভালো বোঝা যাচ্ছিল না। একটা ভেড়ার চাষড়ায় মাথাটা ঢেকে সে রাল্লাঘর থেকে ছুটেছে খড়খড়ি বন্ধ ক'রতে। তখন অনেক দেরী হ'য়ে গেছে--একটা মস্ত বড়ো বরফের টাই এসে জানালায় এমন জোরে লাগলো যে সেটা চুরমার হ'য়ে গেল--ঝন ঝন শবে কীচগ্ুলো টুকরো! টুকরো হয়ে মেঝেতে ছড়িয়ে পড়লো

তখন অবসঙ্পতা আমায় আচ্ছন্ন ক'রে ফেলেছিল, পোষাক পরিচ্ছদ পরা অবস্থাতেই বিছানায় শুয়ে পড়লাম আনে হয়েছিল যে রাত্রে বোধ হয় আমি একটুও ঘুমোতে পারবো না--সকাল পর্যন্ত বিছানায় এপাশ ওপাশ করে কাটাতে হবে নিশ্মল মর্জবেদনায়। তাই পোষাক না ছেড়ে শোয়াই আমি সিদ্ধান্ত ক'রেছিলাম--পরে দরকার " ছলে ঘরে ক্রমাগত গায়চারী ক'রেও নিজেকে একটু শ্রান্ত ক'রতে গারুবো। কিন্তু সে এক অকুত অবস্থা হ'লো আমার মনে, আমি যেন কয়েক সেকেও মাত্র চোখ বুজে ছিলাম, যখন খুঙলাম তখন খড়খড়ির ফাক দিয়ে হর্ধের রশ্মি এসে ঘর ত'রে গেছে তার ভিতর অসংখ্য সোনালী ধূলিকণা ঝিক মিক ক'রে বেড়াচ্ছে। _. খারমোলা মার বিছানার কাছে ছাড়িয়ে ছিল, তার যুখে গভীর উৎকঠ| আর ধৈর্ধহারা প্রত্যাশার ছাপ। হয়তো অনেকক্ষণ থেকে আমার ঘুম ভাঙ্গার অপেক্ষা ক'রছিল। সে ধরা গলায় বলূলে “মশাই, দোহাই আপনার, আপনি বরং এখান থেকে চ'লে যান, যশাই তার বষঠস্বরে একটা অসোয়াস্তির ভাৰ পরিশ্মট ছিল।

বিছানা থেকে উঠে বাসে মেঝেতে পা রেখে যারমোলার দিষ্ষ

০৯

ক্ছকী ১৯৫

বিশ্িত দৃষ্টি নিক্ষেপ ক'রে বাল্লাম--“বরং চলে যান? কোথায়? কেন? তুমি নিশ্চয় পাগল হয়ে গেছে?”

গর্জন ক'রে উঠলো যারমোলা_প্লা, আমি পাগল হইনি আপনি শোনেননি তো! গত কালের শিলাবৃষ্টিতে কি হয়ে গেছে? গ্রামের শন্তের আরেক যেন কে পায়ে ক'রে“্মাড়িয়ে গেছে একে- বারে নষ্ট ম্যাক্সিযাম্দের, গোটদের, বুড়ো ফ্যাডূলিপ্যাটের, প্রোকোপকাক ভাইদের, গোঁডি ওলফারের*লব নষ্ট। সেই এই অভিসম্পাত দিয়েছে আমাদের, সেই শয়তানী ভাইনিটা-_নরকে পচুক সে।”

চকিতে আমার মনে পড়ে গেল গতকাল কি হয়েছিল গির্জার কাছে, অলিয়েসিয়ার অভিসম্পাত আর তার সেই আশঙ্কা

যারযোলা বানৃতে লাগলো এগ্রামস্তদ্ব লোক গেছে ক্ষেপে "সকাল বেলাই প্রথমে প্র&ুর মদ খেয়েছে সকলে, তারপর এখন মারামারি শুরু করেছে; তারা আপনার নামেও দোষারোপ ক'রেছে। জানেন তো--আমাদের জাভটা কেমন? যদি তাঁরা ডাইনিদের কিছু করে তাতে কিছু যায় আসে না। ছোটলোকের ঠিক সাজাই ছবে। কিন্তু মশাই আপনাকে*তাই আমি কেবজ সাবধান করি, আপনি যত তাড়াতাড়ি পারেন এখান থেকে স'রে পড়ুন 1.

অলিয়েপিয়ার আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হ'লো, আমাকে এখনই তাকে জানাতে. হবে কি বিপদ তার এবং যা্ুইলিখার সামনে ঝুলছে তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে যুখটা ধুয়ে ফেল্লাম, একটুও ন! দাড়িয়ে আধ ঘণ্টার মধ্যেই আমি ছোর কদমে ঘোড়া ছুটিয়ে দিলাম ডেভিরূস কয়নারের দিকে সেই জীর্ণ কুটারের দিকে যতই এগোতে খাকি” একটা অস্পষ্ট বিষাদময় উৎকণ্ঠা আমায় তত পেয়ে বসে।

১৯১ কুহকী

মনে যনে কলহিলাম-”*এই মুহূ্ভেই বুঝি ত্বামায় আবার একটা অগ্র ত্যাশিত দুর্ঘটনায় পড়তে হয!

বেনে মাটির টিপির গায়ে দেই সক পায়েচলা পরা হামি বোধহয় একলাফেই পেরিয়ে এলায। কুটারের জানালাগুলো সব খোলা, দরজাটাও ফাক হয়ে রয়েছে৷

ছায় ভগবান একি হলো? চাপা গলায় বেরিয়ে গেল আমার মুখথেকে। চলন পথে ঢুকতে গিয়ে আমার বুকটা দ'যে গেল। " কুটীর কাকা গড়ে আছে। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ী ছেড়ে গেলে যেমন এলোমেলো আঁবর্জনায় বিষাদ ছড়ানো থাকে তেমনি বিষাদ ছৃড়ানতে কেবল চারিদিকে ছেঁড়া কাপড় আর জঞ্জালের সপ যেঝের একধারে। আর এক কোণে খাড়া রয়েছে বিছানার ফাকা কাঠামোখানা। . ছবিসহ বেদনায় আমার অন্তর ভ'রে উঠুলো-চোখের জল উপচে এলো--তখনই কুটার থেকে বেরিয়ে আসৃতে যানো। এমন সময় চোখে পড়লো একটা কি যেন চক চকে জিনিষ ঝুল, | যেন ইচ্ছে ক'রেই ঝুলিয়ে গেছে, জানালার কাঠামোর এক থে.ণে। বন্তা নাল পু'তির একটা মালা সেটা _পলিয়েদিতে তাকে বলে প্রবাল, ক্বেল দেই, একটি মাত্র জিনিব রইলো আমার কাছে অলিয়েসিয়| আঁর তার কোমল উদার হদয়ের প্রেমের স্ৃতি চিহ্ন স্বরূপ